নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেরার সেরা ১০০ কৌতুক কালেকশন, জাস্ট ফর ইয়ু ৷ :#)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৩

ছোট ছেলেটি একরাতে হঠাত করে তার

বাবা-মায়ের ঘরের দরজা খুলে দেখল তার

বাবা চিত হয়ে শুয়ে আর মা কোলের উপর

বসে আপ-ডাউন করছে। মা তাড়াতাড়ি

নেমে গিয়ে কাপড় পরে বাইরে এল। তখন

ছেলে জিজ্ঞেস করল, মা তুমি কী

করছিলে?

মা উত্তর দিল, তোমার বাবার পেটটা তো

দেখছ, অনেক উঁচু ওটা সমান করে

দিচ্ছিলাম।

ছেলেঃ তুমি শুধু শুধু সময় নষ্ট করছ!

মা অবাক হয়ে বলল, এ কথা বলছ কেন?

ছেলেঃ তুমি যখন শপিং করতে বাইরে

যাও তখন পাশের বাসার আন্টি এসে হাঁটু

গেড়ে বসে বেলুনের মত বাবার পেট

ফুলিয়ে দেয়।





মিলিটারী একাডেমীতে ট্রেনিং চলছে.......

OFFICER, ক্যাডেট পল্টুকে জিজ্ঞেস করল : "তোমার

হাতে এটা কি ?"

পল্টু : "Sir, এটা বন্দুক"

OFFICER : "না ! এটা বন্দুক না !

এটা তোমার ইজ্জত, তোমার গর্ব, তোমার

মা হয় মা "

.

.

তারপর Officer দ্বিতীয় ক্যাডেট

বল্টুকে জিজ্ঞেস করল : "তোমার হাতে এটা কি ?"

বল্টু : "Sir, এটা

.

.

.

.

.

.

.

.

.

.

পল্টুর মা, ওর ইজ্জত, ওর গর্ব, আমাদের আন্টি হয়।







তিন লোক

কোমরের

ব্যথা নিয়ে গেছে ডাক্তারের

কাছে ডাক্তারঃ আপনার এ

অবস্থা হলো কেমন

করে...?

১ম

রোগীঃ আজকে নাইট

ডিউটি শেষে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছি বাড়ি

ফিরে

দেখি বউ

ঘরে নাই,

খুঁজে দেখি বেলকোনিতে দাঁড়িয়ে রাস্ত

দিকে তাকিয়ে আছেআর

এক লোক শার্ট

পড়তে পড়তে রাস্তায়

দৌড়াচ্ছেআমি যা বোঝার

বুঝে নিয়েছিরাগে আমি ফ্রিজ

তুলে লোকটাকে মেরেছি

ফ্রিজটা ভারি ছিলো তাই

কোমরে ব্যথা পেয়েছি|

১ম রোগীটি চলে যাওয়ার

পড় ২য় রোগী এল২য়

রোগীর

অবস্থা আরো খারাপ

সে বললঃ আজকে আমার

চাকরিতে জয়েন করার প্রথম

দিন ঘুম

থেকে উঠে দেখি দেরি হয়ে গেছে

তাই রাস্তায়

দৌড়াতে দৌড়াতে শার্ট

পড়ছিলাম কোন বান্দির

পোলা যেন

একটি ফ্রিজ

তুলে আমার উপর

থেকে মেরেছেতাই

আমার এ

অবস্থা|

এরপর এলো ৩য়

রোগী৩য়

রোগীর অবস্থা খুবই

খারাপ ৩য়

রোগীঃ আজকে খুব

বড়

বিপদ

মানে পরকিয়া থেকে বাচাঁর

জন্য ডিপ ফ্রিজে লুকেয়েছিলাম

কোন

হারামজাদা যেন

ফ্রিজ

তুলে রাস্তায়

ছুড়ে মেরেছে তাই আমার এ

অবস্থা...







ঢাকায় একটি উঁচু

বিল্ডিং দেখে দুজনের কথা হচ্ছে-

১ম – দোস্ত

দেখ কত উঁচা বিল্ডিং,

এইটা এতো উঁচায় রঙ করল কেমনে?

২য়-

হুর

ছাগল, এইটা ব্যাপার

নাকি? কাইত

কইরা রঙ করছে,

পরে সোজা কইরা খাড়া

করাইছে,কিন্তু ভাবনার বিষয়

হইল“এই ছোট গেট

দিয়া এতো বড়

বিল্ডিং ঢুকলো কেমনে?”







এক লোক তার

বউকে SMS

করছিল!!

কিন্তু

ভুল বশত

সেই

মেসেজটি চলে গেলোএক

বিধবা মহিলার

কাছে।।

সেই

বিধবা মহিলার

স্বামী মাত্রই

গতকাল

মারা গিয়েছেন।।

যাই হোক,

মহিলা মেসেজটি খুললেন,পড়লেন,

এবং সাথে সাথে অজ্ঞান

হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন!!

কি লেখা ছিল সেই

মেসেজে??

মেসেজে লেখা ছিলঃ

আমার প্রিয় বউ!!

আমি ঠিকঠাক

মতইপৌঁছেছি!!

আমি জানি তুমি আমার

কাছ

থেকে মেসেজ

আশা করনি!!

এখানে আজকাল

মোবাইল

ফোন

এসে পড়েছে!!

আমি আসার

সাথে সাথে তারা আমাকে একটি মোবাইল

ফোন গিফট

করেছে!! সেই

মোবাইল

থেকেই

আমি তোমাকে মেসেজ

পাঠালাম!!

তুমি জেনে আরো খুশি হবে যে,

তারা সবাই

এখানে তোমার

জন্য

অপেক্ষা করছে!!

আশা করা যায়,

কাল-পরশুর মধ্যেই

তুমিও

চলে আসবে!!

আশা করি তোমার

যাত্রাও

হবে আমার মত

সুখের!! তোমার

অপেক্ষায়

রইলাম!!

- ইতি,

তোমার প্রিয়

স্বামী!!





এক হাঁড়কিপটে লোকের ঘরে মেহমান

এল,

কিপটে : কি খাবেন??

ঠান্ডা না গরম??

মেহমান : ঠান্ডা

কিপটে : পেপসি নাকি রুহ আফজা??

মেহমান : পেপসি

কিপটে : গ্লাসে খাবেন

নাকি বোতলে??

মেহমান : গ্লাসে

কিপটে : নরমাল

গ্লাসে না ডিজাইন

ওয়ালা গ্লাসে??

মেহমান: ডিজাইন ওয়ালা গ্লাসে

কিপটে :কি ডিজাইন ফুলের

নাকি ফলের??

মেহমান :ফুলের ডিজাইন

কিপটে:কি ফুল গোলাপ না বেলি?

মেহমান :গোলাপ ফুলওয়ালা

কিপটে :বড় বড় গোলাপ

ফুলওয়ালা নাকি ছোট

ছোট গোলাপওয়ালা?

মেহমান:ছোট ছোট

কিপটে :সরি আপনাকে তাহলে আমি আর

পেপসি খাওয়াতে পারলাম না

.

.

.

.

কারন আমার ঘরে ছোট ছোট

গোলাপের ডিজাইন

ওয়ালা কোন গ্লাস নেই!!!!!

বাড়িতে আসার জন্য ধন্যবাদ!!!!!

আবার আসবেন!!!!





কর্মচারী: স্যার, পাঁচ দিনের ছুটি চাই।

বস: কেন? মাত্রই তো তুমি ১০ দিন ছুটি

কাটিয়ে ফিরলে।

কর্মচারী: স্যার আমার বিয়ে।

বস: বিয়ে করবে ভালো কথা। তো এত দিন

ছুটি কাটালে, তখন বিয়ে করোনি কেন?

কর্মচারী: মাথা খারাপ? বিয়ে করে

আমার সুন্দর ছুটির দিনগুলো নষ্ট করব

নাকি?

.

.

কর্মচারী: স্যার, একটা দিন ছুটি চাই।

বস: কেন? আবার কী?

কর্মচারী: স্যার, আমার দাদা…

বস: আবার দাদা? গত তিন মাসে তুমি

চারবার দাদির মৃত্যুর কথা বলে ছুটি

নিয়েছ।

কর্মচারী: স্যার, এবার আমার দাদার

বিয়ে!

.

.

রেগেমেগে অফিস থেকে বাড়ি ফিরলেন

শফিক।

শফিকের স্ত্রী বললেন, ‘কী হলো? আজ এত

চটে আছো কেন?’

শফিক: আর বোলো না। প্রতিদিন অফিসে

যে কর্মচারীর ওপর রাগ ঝাড়ি, সে আজ

অফিসে আসেনি। মেজাজটাই খারাপ

হয়ে আছে!





অফিসে সিদ্দিক সাহেবের প্রথম দিন।

বস: আমাদের অফিসে একটি ব্যাপারে

আমরা খুবই গুরুত্ব দিই, তা হলো পরিষ্কার-

পরিচ্ছন্নতা। তুমি নিশ্চয়ই আমার ঘরে

ঢোকার আগে পাপোশে জুতা মুছে ঢুকেছ?

সিদ্দিক: অবশ্যই স্যার।

বস: আরেকটি ব্যাপারে আমরা আরও বেশি

কঠোর। তা হলো সততা। দরজার বাইরে

কোনো পাপোশ নেই, ইডিয়ট!





চিঠি পোস্ট করতে পোস্ট অফিসে গেছে

নিতু।

কর্মকর্তা: চিঠিটা যদি দ্রুত পৌঁছাতে

চান, খরচ পড়বে ৪০ টাকা। আর যদি

স্বাভাবিক নিয়মেই পাঠাতে চান,

তাহলে খরচ পড়বে ৫ টাকা।

নিতু: সমস্যা নেই, আমার তেমন কোনো

তাড়া নেই। প্রাপক তার জীবদ্দশায়

চিঠিটা পেলেই হলো।

কর্মকর্তা: তাহলে আপনাকে ৪০ টাকাই

দিতে হবে!







অফিসের নতুন বড়কর্তা কাজের ব্যাপারে

খুব কড়া। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেন না।

চাকরির প্রথম সপ্তাহেই একদিন খেপে

গেলেন তিনি। রেগেমেগে রুম থেকে

বেরিয়েই এক লোককে পাকড়াও করলেন।

অফিসের সবার সামনে চিৎকার করে

বললেন, ‘সপ্তাহে কত টাকা মাইনে পাও

তুমি, শুনি?’

লোকটা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, ‘৩০০০

টাকা’।

বড়কর্তা তাঁর মুখের ওপর ৩০০০ টাকা ছুড়ে

দিয়ে বললেন, ‘এই নাও তোমার এ

সপ্তাহের মাইনে, আর বেরিয়ে যাও।’

লোকটা বেরিয়ে যাওয়ার পর বললেন

বড়কর্তা, ‘প্রয়োজন হলে এভাবেই অফিসের

প্রত্যেককে বের করে দেব আমি। যাই

হোক, ওই লোকটা আমাদের অফিসে কী

কাজ করে?’

কর্মচারীদের একজন বলল, ‘স্যার, ও

আমাদের এখানে পিৎজা ডেলিভারি

দেয়!’







বসের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে কর্মচারীর।

কর্মচারী: স্যার, আজকে আমার শরীরটা

খুব খারাপ। আজ অফিসে আসতে পারব না।

বস: শরীর খারাপ থাকলে আমি কী করি

জানো? আমার প্রেমিকার সঙ্গে রিকশায়

ঘুরে বেড়াই, বেশ ভালো লাগে। তুমিও

চেষ্টা করে দেখতে পারো।

কিছুক্ষণ পর বসকে ফোন করলেন কর্মচারী।

বললেন, ‘স্যার, আপনার বুদ্ধিটা বেশ

কাজে লেগেছে। রিকশায় ঘুরে খুব ভালো

লাগছে। আপনার প্রেমিকাও বেশ স্মার্ট,

রিকশা ভাড়াটা সেই দেবে বলেছে…!’





এক অফিসের বস কেবল বিবাহিত

লোকদেরই নিয়োগ দেন। একদিন তাঁর বউ

তাঁকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কেবল

বিবাহিতদেরই নিয়োগ দাও কেন?’

স্বামী বললেন, ‘কারণ তারা সহজে

বাসায় যেতে চায় না, ধমক সহ্য করে আর

মুখ বন্ধ রাখতে জানে।’





একদিন দুপুরে বসের মুড বেশ ভালো। সে

কর্মচারীদের একের পর এক কৌতুক

শোনাচ্ছিল। কর্মচারীরাও হাসছিল হো

হো করে। শুধু হাসছিলেন না এক মহিলা।

বস বললেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি হাসছ না

কেন?’

মহিলা: আমি কাল চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি।

আমার অত হাসাহাসি না করলেও চলবে।





স্বামী: হ্যালো! ওগো শুনছ, আমি গাড়ি

চালিয়ে সুজানার বাসায় যাচ্ছিলাম।

হঠাৎ একটা ট্রাক টাল সামলাতে না

পেরে আমার মুখোমুখি হয়ে গেল। আমি

কোনোমতে ট্রাকটাকে পাশ কাটিয়ে

গেলাম। কিন্তু একটা বিশাল গাছের

সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটা থমকে গেল।

আরেকটু হলেই ৫০ ফুট নিচের একটা খাদে

পড়ে যেতাম। কোনোমতে উঠে এসেছি।

পা আর হাতের হাড় ভেঙেছে। এখন আমি

হাসপাতালে!

স্ত্রী: বলি সুজানাটা কে, হ্যাঁ?







একদিন ঘুম থেকে উঠে রতন তাঁর স্ত্রীকে

বললেন, ‘আজকের সকালটা সুন্দর।’

পরদিনও ঘুম থেকে উঠে রতন বললেন,

‘আজকের সকালটা সুন্দর।’

এর পরদিনও একই ঘটনা।

এভাবে এক সপ্তাহ পেরোনোর পর রতনের

স্ত্রী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘প্রতিদিন এই

কথা বলার মানে কী?’

রতন: সেদিন ঝগড়ার সময় তুমি বলেছিলে,

কোনো এক সুন্দর সকালে তুমি আমাকে

ছেড়ে চলে যাবে।





মনিকা আর চামেলীর মধ্যে কথা হচ্ছে।

মনিকা: গতকাল রাতটা কেমন কেটেছে

বলো তো?

চামেলী: খুবই বাজে। আমার স্বামী

অনেক রাতে অফিস থেকে ফিরেছে।

রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে গেছে। আর

তোমার?

মনিকা: দারুণ! স্বামী অফিস থেকে

ফেরার পর আমরা বাইরে খেতে গেছি।

রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ হেঁটেছি। এমনকি

বাড়ি ফিরে ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে

দুজন মুখোমুখি বসে ছিলাম।

ঠিক সেই সময় কথা হচ্ছিল মনিকা আর

চামেলীর স্বামীদের মধ্যে।

মনিকার স্বামী: গতকাল রাতটা কেমন

কেটেছে বলো তো?

চামেলীর স্বামী: ভালো না। বাড়ি

ফিরেছি আর ঘুমিয়েছি। তোমার?

মনিকার স্বামী: জঘন্য। বাড়ি ফিরে

দেখি লোডশেডিং চলছে। বাধ্য হয়ে

স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে খেতে গেলাম।

দেখি খাবারের এত দাম, খাওয়া হলো

না। রাস্তায় বিশাল জ্যাম, তাই হেঁটেই

বাড়ি ফিরতে হলো। তখনো লোডশেডিং

চলছে। গরমে ঘুমও আসে না। বাধ্য হয়ে

মোমবাতি জ্বালিয়ে দুজন বোকার মতো

বসে ছিলাম।





অনেক দিন পর হোস্টেল থেকে বাড়ি

ফিরেছে মৌ। ফ্রিজ খুলে সে দেখে,

ফ্রিজের ভেতর ভীষণ সুশ্রী একটি মেয়ের

ছবি রাখা।

মৌ ছুটে গেল মায়ের কাছে, ‘মা, ফ্রিজের

ভেতর একটা সুন্দরী মেয়ের ছবি রাখা

দেখলাম।’

মা: হুম্। এটাকে বলে ‘পিকচার ডায়েট’।

যখনই আমি কোনো খাবার নেওয়ার জন্য

ফ্রিজ খুলি, মেয়েটাকে দেখলেই আমার

মনে হয়, আমাকেও ওর মতো সুন্দরী হতে

হবে। তখন আর খাওয়া হয় না।

মৌ: বাহ্! দারুণ। তা উপকার পাচ্ছ?

মা: পাচ্ছি আবার পাচ্ছি না।

মৌ: কেমন?

মৌ: আমার ওজন কমেছে আট কেজি। কিন্তু

বারবার ফ্রিজ খোলার কারণে তোর

বাবার ওজন ১০ কেজি বেড়েছে!





প্রশ্ন: একটা একতলা বাড়ি আর একটা

নয়তলা বাড়ির মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: একটা নয়তলা বাড়ি থেকে কেউ

পড়ে গেলে আশপাশের লোকজন যে শব্দটা

শুনতে পায়, তা হলো ‘আআআআ…ধপাস!’

আর একতলা থেকে পড়ে গেলে—‘ধপাস’!





: আবার পাঁচ টাকা ভিক্ষা চাইছ! একটু

আগেই না দিলাম।

: অতীতের কথা ভুইলা যান। অতীত নিয়া

পইড়া আছেন বইলাই আজ আমাদের এই

অবস্থা।





ভিক্ষুক: ভাই, ছয়টা টাকা দেন…এক কাপ

চা খাব।

বাবু: তুমি একা মানুষ, ছয় টাকায় তো

অন্তত দুই কাপ চা পাওয়া যাবে।

ভিক্ষুক: আসলে আমি একা না, সাথে

আমার বান্ধবীও চা খাবে।

বাবু: পকেটে পয়সা নেই, ভিক্ষা করে খাও,

আবার বান্ধবী জুটিয়ে নিয়েছ!

ভিক্ষুক: জি না ভাই, বান্ধবী আগেই ছিল।

সে-ই আমাকে পথে নামিয়েছে।





ভিক্ষুকঃ মাগো! দুটো ভিক্ষা দিন, মা।

বাড়ির মালিকঃ বাড়িতে মানুষ নেই,

যাও।

ভিক্ষুকঃ আপনি যদি এক মিনিটের জন্য

মানুষ হন, তাহলে খুব ভালো হতো।





ভিখারি বলল, বাবু, একটা টাকা দিন।

ভদ্রলোক বললেন, কাল এসো।

ভিখারি বলল, এই কালকের চক্করে,

আমার প্রায় লাখখানেক টাকা

আটকে আছে এই পাড়ায়।





ভিখারিকে দেখে গৃহিণী বললেন,

‘তোমাকে তো মনে হয় চিনি। মাস দুই

আগে তোমরা কয়েকজন আমার এখানে

খিচুড়ি খেয়ে গিয়েছিলে না?’

ভিখারি বলল, ‘হ, আম্মা। আমরা তিনজন

আছিলাম। তার মধ্যে আমিই শুধু বাঁইচ্চা

আছি। সেই খিচুড়ির ধাক্কা খালি আমিই

সামলাইতে পারছিলাম।’





প্রথম ব্যক্তিঃ আমার তিন ছেলে। এর

মধ্যে দুজন ডিগ্রি পাস। কিন্তু ছোট

ছেলেটি মোটেও পড়াশোনা করেনি,

তাই সে ভিখারি!

দ্বিতীয় ব্যক্তিঃ তা হলে ছোটটিকে

বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন না কেন?

প্রথম ব্যক্তিঃ কী বলছেন, মশাই? একমাত্র

ওই তো ভালো আয় করে!





: ভাই, একটা টাকা দিবেন! বাড়ি যাব,

টাকা-পয়সা নাই।

: ভাংতি যে নেই। এক’শ টাকার নোট।

: ওটা দিলেও চলবে। ট্যাক্সি করেই না হয়

বাড়ি যাব।





: স্যার, তিন তিনটা দিন খাইনা। একটা

টাকা দিবেন?

: তিন দিন খাওনি, এক টাকায় কি হবে?

: দেখব, কতটা ওজন কমেছে।





একদিন এক ভিক্ষুক রাস্তায় দাঁড়িয়ে

ভিক্ষা করছিল। এই দেখে এক লোকের খুব

দয়া হলো।

সে ভিক্ষুকের কাছে গিয়ে বলল : তুমি যদি

ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দাও তাহলে

তোমাকে আমি মাসে ১০০০ টাকা করে

দেব।

জবাবে ভিক্ষুক লোকটিকে বলল: তুমি যদি

আমার সঙ্গে ভিক্ষা করো তাহলে প্রতি

মাসে আমি তোমাকে ৫০০০ টাকা দেব।





ভিক্ষুকঃ স্যার, দয়া করে আমাকে একটা

টাকা দেন।

পথচারীঃ নেই।

ভিক্ষুকঃ তাইলে আট আনা পয়সা দিন।

পথচারীঃ বললাম তো নেই।

ভিক্ষুকঃ তাইলে স্যার আমার সাথে

নাইমা পড়েন।





সাহায্য দাতাঃ দশ টাকা দিচ্ছি

দোকান থেকে কিছু কিনে খেও। ঠিক

আছে, কিন্তু তোমার এ দশার কারণ কি?

সাহায্য প্রার্থীঃ আমিও আপনার মত

ছিলাম কিনা। যে চাইত তাকেই দিয়ে

দিতাম।





১ম ভিক্ষুকঃ এই মিয়া তুমিনা আগে রেল

স্টেশনে ভিক্ষা করতা। এইখানে আইছ

কেন?

২য় ভিক্ষুকঃ ওই জায়গাডা মেয়ের

জামাইরে যৌতুক দিছি।





পথচারীঃ এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও।

তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছ কেন?

ভিক্ষুকঃ ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ

সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায়

আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি

বোবা।



একটা মেয়ে ফার্মেসীতে গিয়েছে

সেনেটারি ন্যাপকিন কিনতে। তো

ন্যাপকিন কেনার পর বাসায় আসার পথে

এক ছেলে মেয়েটির হাতে ন্যাপকিন

দেখে টিজিং করতে গেলো –

– এই যে আপু, কি কিনলেন ?

– দেখতেছেন না কি কিনছি ?

– ওহ ব্রেড ? এক পিছ ব্রেড হবে ? খুব খুদা

লাগছে আপু।

– এখনই দেবো, খাবেন ?

– হুম, এখনই খাবো, খুব খুদা লাগছে।

– কালকে দেই ভাই ? জেলীসহ খাবেন,

হুম… ?





মঞ্জু ও বাবুল খেতে কাজ করছিল। একটু

দূরেই গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছিল

সগীর।

মঞ্জু বলল বাবুলকে, ‘এই কড়া রোদে আমরা

কাজ করছি। আর ওই ব্যাটা আয়েশ করে

বসে আছে কেন?’

বাবুল বলল, ‘তাই তো! দাঁড়া, গিয়ে

জিজ্ঞেস করে আসি।’

বাবুল গেল সগীরের কাছে, ‘এই যে নবাব!

আমরা কাজ করছি, আর আপনি হাত-পা

গুটিয়ে বসে আছেন কেন?’

সগীর হাসে। বলে, ‘কারণ, আমি

বুদ্ধিমান।’

‘কীভাবে?’ বাবুলের প্রশ্ন।

‘দাঁড়া, দেখাচ্ছি।’ সগীর তাঁর এক হাত

একটা বড় পাথরের সামনে ধরে বলে,

‘আমার হাতে জোরে একটা ঘুষি মার তো

দেখি।’

বাবুল যেই ঘুষি মারতে গেছে, অমনি সগীর

হাত সরিয়ে ফেলে। ঘুষি লাগে পাথরের

গায়ে। ব্যথায় ককিয়ে ওঠে বাবুল।

সগীর হো হো করে হেসে ওঠে, ‘দেখলি

তো, তোকে কেমন বোকা বানালাম।

একেই বলে বুদ্ধি।’

মন খারাপ করে বাবুল যায় মঞ্জুর কাছে।

মাথা নিচু করে বলে, ‘ও বসে আছে। কারণ

ও বুদ্ধিমান।’

‘কেমন বুদ্ধি?’ এবার মঞ্জুর জিজ্ঞাসা।

বাবুলের চোখ আনন্দে ঝলমল করে ওঠে।

হাসিমুখে সে বলে, ‘দেখতে চাস?’ নিজের

নাকের কাছে হাত রেখে সে বলে, ‘আমার

হাতে একটা জোরে ঘুষি মার তো দেখি…!’







PK- একটা ভগবান দাওনা ভাই।

মূর্তি বিক্রেতা- কোনটা দেবো? ২০, ৫০,

নাকি ৫০০ টাকা দামেরটা?

PK- পার্থক্য কোন জায়গায়?

বিক্রেতা- সাইজে পার্থক্য। বাকি সব

একই।

অতঃপর দোকানদার তাকে ভগবানের

একটা মূর্তি হাতে ধরিয়ে বিদায় করলো…

কিছুক্ষণ পর PK মূর্তিরুপী ভগবানের কাছে

প্রার্থনা করে বিফল হল। সে আবার

দোকানদারের কাছে গেল-

PK- ভাইসাব। এই ভগবানের ব্যাটারী খতম

হয়ে গেছে নাকি? একটু আগে কাজ করলো,

তারপর লুল হয়ে গেল…

বিক্রেতা- মানে কি?

PK- মানে…নতুন ব্যাটারী লাগিয়ে দাও…

কোথায় লাগাতে হয়?

বিক্রেতা- আরে ভাই! এটাতে কোন

ব্যাটারী লাগাতে হয় না।

PK- তাহলে কাজ করছে না কেন?

ম্যানুফ্যাকচারে ত্রুটি আছে নাকি?

বিক্রেতা- ত্রুটিপুর্ণ জিনিস আমরা

বানাই না ভাই।

PK- (অবাক হয়ে) এই ভগবানকে আপনি

বানিয়েছেন!?

বিক্রেতা- জ্বি হ্যাঁ!! আমার নিজের এই

দুই হাত দিয়ে …

PK- আপনি ভগবানকে বানিয়েছেন নাকি

ভগবান আপনাকে বানিয়েছে?

বিক্রেতা- ভগবান তো আমাদের সবাইকে

বানিয়েছেন। আমরা তো কেবল তার মূর্তি

বানিয়েছি।

PK- কেন বানালেন?

বিক্রেতা- যাতে আমরা তার পূজা করতে

পারি। আমাদের সুখ দুঃখের কথা বলতে

পারি…

PK- মূর্তির ভেতরে কি ট্রান্সমিটার

লাগানো নাকি…ভগবানের কাছে কথা

পৌছায় কেমনে?

বিক্রেতা- আরে! ভগবানের কোন

ট্রান্সমিটারের প্রয়োজন নেই। উনি তো

এমনিই সব কথা শুনতে পারেন।

PK- এমনিতেই শুনতে পায় তাহলে এই

মূর্তির কি দরকার?

বিক্রেতা- আমাদের ধান্ধা (ব্যবসা) বন্ধ

করাতে চাও নাকি? সমস্যা কি তোমার?





ছয় বছরের এক বাচ্চা তার বাবার কাছে

এসে জিজ্ঞাসা করে–”বাবা, সেক্স মানে

কী?”

“বাবা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন।

ভাবলেন, এসব বিষয়ে কৌতুহলই

ছেলেমেয়েদের বিপথে টেনে নেয়। তাই

কৌতুহল জেগে উঠার আগেই তার সব

বিষয়ে জানা উচিৎ। তাই এই বিষয়ে

তিনি একে একে সব বুঝিয়ে বলা শুরু

করলেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বাচ্চাকে

বোঝালেন, সেক্স কি, বিয়ে কি,

জন্মদানের প্রক্রিয়া, সেক্স করার

প্রয়োজনীয়তা, বিয়ের আগে সেক্স করার

নিষেধাজ্ঞা… ইত্যাদি ইত্যাদি…

সব কথা শেষে ছেলে বললো, “সবই বুঝলাম

বাবা। কিন্তু যেটা বুঝতে চেয়েছিলাম

সেটাই তো বুঝলাম না।” এই বলে সে

দৌড়ে গিয়ে স্কুলের এডমিশন ফর্ম এনে

দেখালো। যেখানে লেখা– Sex: Male/

Female







বাবার এক বন্ধু বেড়াতে এসেছেন

আমাদের বাড়ি। সাথে তার মেয়ে। খুব

সুন্দরী। প্রেমে পড়ে গেলাম। প্রতিদিন

মেয়েটিকে সাথে নিয়ে বাগানে

বেড়াতে যাই। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে

বলি, এই একটু আম পাড়তে যাচ্ছি।

তো একদিন দুজনের প্রচণ্ড ঝগড়া হলো।

মেয়েটি রাগ করে চলে গেল। মন খারাপ

করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে বাবার বন্ধুর

সাথে দেখা। জিজ্ঞেস করল, কিরে

বাগানে কী করছিলি?

– এই আম পাড়ছিলাম।

– কই আজকে আমার মেয়ে তো তোর সাথে

যায়নি।

– ও যায়নি তো কী হয়েছে। আমি নিজেই

ডালটা ধরে দুবার ঝাকাতে আমটা পড়ে

গেল।







স্যার খাতা দিচ্ছেন, হঠাৎ, ‘কী রে, তুই

এইখানে কী করিস?’

পরীক্ষার্থী উত্তর দেন, ‘মামা, পরীক্ষা।

ভালো আছেন?’

‘তুই এইবার পরীক্ষা দিচ্ছিস? বলিস কী!

তোকে এইটুকুন দেখেছিলাম? তোর

বাবা-মা কেমন আছে···।’

স্যারের হুঁশ ফেরে পাশের পরীক্ষার্থীর

ডাকে, ‘স্যার, খাতা দ্যান!’

সবাই প্রথমে অবাক হলেও পরে বুঝতে

পারে, তারা দুজন গ্রাম সম্পর্কের মামা-

ভাগ্নে। দীর্ঘদিন পর হঠাৎ দেখা হয়েছে

আজই।







ভাগ্নেঃ আচ্ছা মামা, বলতো সবচেয়ে

সাহসী কে?

মামাঃ কেন, মানুষ ।

ভাগ্নেঃ দূর মামা, তুমি যে কি বল না!

আরে মানুষ যদি এত সাহসীই হত তাহলে

সামান্য মশার ভয়ে কি মশারির ভেতর

লুকাত?







মামাঃ এখন কোন ক্লাসে পড়িস

ভাগনে?

ভাগনাঃ ক্লাস টুতে মামা।

মামাঃ তোর লজ্জা করা উচিত। তোর

বয়সে নেপোলিয়ন ক্লাস ফাইভে

পড়তেন।

ভাগনাঃ তাহলে মামা, আপনারও লজ্জা

করা উচিত, আপনার বয়সে নেপোলিয়ান

সম্রাট হয়েছিলেন!







দুই মাতাল গ্যালারিতে বসে ক্রিকেট

ম্যাচ দেখছে।

এমন সময় ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকালেন।

১ম মাতাল: ওহ! কী দারুণ একটা গোল দিল!

২য় মাতাল: আরে বুদ্ধু, গোল কি এই খেলায়

হয় নাকি? গোল তো হয় ক্রিকেট খেলায়!





মদ্য পান করতে করতে চিৎকার করে

কাঁদছিল জন। একজন জিজ্ঞেস করল, ‘কী,

কাঁদছ কেন?’

জন বলল, ‘যে মেয়েটাকে ভোলার জন্য পান

করছি, তার নাম মনে পড়ছে না!’





ট্যাক্সিতে উঠেছে তিন মাতাল।

এক মাতাল বলল, এই, মালিবাগ চলো।

ট্যাক্সির চালক বুঝতে পারছিল, লোকগুলো

মাতাল। তার মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি

খেলে গেল। চালক কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে

থেকে বলল, চলে এসেছি স্যার, নামেন।

আর ভাড়া দেন।

প্রথম মাতাল ভাড়া মিটিয়ে নেমে গেল।

দ্বিতীয়জনও চুপচাপ নেমে গেল।

তৃতীয়জন গাড়ি থেকে না নেমে রাগী

চোখে তাকিয়ে থাকল চালকের দিকে।

চালক তো ভয়ে কাবু! মাতাল ব্যাটা

জারিজুরি ধরে ফেলল নাকি!

হঠাৎ তৃতীয় মাতাল চালকের গালে ঠাস

করে একটা চড় বসিয়ে দিল। বলল, এই

ব্যাটা, এত জোরে কেউ গাড়ি চালায়?

ধীরে চালাতে পারিস না? আরেকটু হলেই

তো আমরা মরতে বসেছিলাম!





দুই মাতাল কথা বলছে।

প্রথম মাতাল: ওরে, তুই আর খাইস না।

দ্বিতীয় মাতাল: কেন?

প্রথম মাতাল: এখনই তোকে ঝাপসা দেখা

যাচ্ছে। আরেকটু খেলে উধাও হয়ে যাবি!





এক মাতালকে ধরে এনেছেন থানার

হাবিলদার।

ইন্সপেক্টর: এটাকে নিয়ে এসেছ কেন?

হাবিলদার: স্যার, সে রাত দুইটার সময়

একটা ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে চালককে

অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল।

ইন্সপেক্টর: চালককে নিয়ে এসো।

হাবিলদার: এটাই তো সমস্যা স্যার।

ট্যাক্সির ভেতরে কোনো চালক ছিল না!





নববর্ষের রাত। গভীর রাত পর্যন্ত বন্ধুদের

সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাতাল অবস্থায়

বাড়ি ফিরছিল উইলিয়াম। মাঝরাস্তায়

পুলিশ তার পথ রোধ করে দাঁড়াল।

পুলিশ: কোথায় যাচ্ছেন?

উইলিয়াম: বক্তৃতা শুনতে।

পুলিশ: এত রাতে আপনাকে বক্তৃতা

শোনাতে কে বসে আছে, শুনি?

উইলিয়াম: আমার স্ত্রী।





—কিছু পান করবেন?

—না, ধন্যবাদ।

—চা?

—না, চা খাই না।

—কফি?

—কফিও খাই না।

—সোডাসহ হুইস্কি?

—সোডা খাই না।





রুশ রস

ঘটনা ১.

—এত মদ খাও কেন?

—খাব না কেন! বেতন কম। কত দিন ধরে

অনুরোধ করছি বাড়ানোর! বাড়িয়ে দিন,

এক ফোঁটাও মুখে নেব না।

ঘটনা ২.

—কিন্তু এখনো কেন মদ খাও?

—খাব না কেন! আর কত ভবঘুরের মতো

জীবন যাপন করব? ফ্ল্যাট নেই। কত অনুরোধ

করেছি! থাকার জায়গার বন্দোবস্ত করে

দিন, এ জীবনে আর মদ ছোঁব না।

ঘটনা ৩.

—এর পরেও মাতাল হয়েছ?

—হব না! আমার বাচ্চা-ছেলেটাকে

দিনের বেলায় কোথায় রাখব, ভেবে পাই

না। কোনো নার্সারিতে নাকি জায়গা

নেই। ব্যবস্থা করে দিন, মদ খাওয়া বিলকুল

ছেড়ে দেব।

ঘটনা ৪.

—এর পরও মদ খাওয়া ছাড়োনি?

—ছাড়ব কেন! কাজ থেকে বাসায় ফিরে

বেকার বসে থাকতে হয়। কিচ্ছু করার নেই।

অন্যদের পাঠানো হয়েছে

কোয়ালিফিকেশন বাড়ানোর কোর্সে,

আমার বেলায় ঠনঠন। কতবার অনুরোধ

করেছি, আমাকে কোর্সে পাঠিয়ে দিন,

আর যদি কখনো মদ খেয়েছি!

ঘটনা ৫.

—এখনো মদ খেয়ে বেড়াচ্ছ? তোমার বেতন

বাড়ানো হয়েছে, ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে,

ছেলে নার্সারিতে যায়, তোমাকে

কোর্সে পাঠানো হয়েছে…আরও কী চাই

তোমার?

—আর কিছু চাই না তো! এখন আমার সব

আছে। এমন অবস্থায় মদ না খাওয়াটাই তো

পাপ!





দুই মাতাল ইতালীয় পুলিশ রেললাইন ধরে

গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

—এত লম্বা সিঁড়ি! উঠতে উঠতে ক্লান্ত

হয়ে গেলাম।

—আরেকটু অপেক্ষা করো। ওই দেখো, লিফট

আসছে।





প্রচণ্ড মদ্যপানের পর কোভালস্কি বাড়ি

ফিরল গভীর রাতে। ঘরে ঢুকতেই দেয়াল

ঘড়ি বেজে উঠল ঢং-ঢং-ঢং।

বিরক্তির সুরে সে বলল:

—বুঝেছি তো, বাবা, রাত একটা বাজে।

তাই বলে সেটা তিনবার জানান দিতে

হবে?





দুই মাতালের কথোপকথন।

—স্ট্র দিয়ে ভোদকা খাচ্ছ কেন?

—ডাক্তার আমাকে বলেছেন পানপাত্র

থেকে দূরে থাকতে।



নাইট-শো সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছে

এক লোক। হঠাৎ দেখল, তার আগে একটা

মাতাল টলতে-টলতে যাচ্ছে। তার একটা

পা ফুটপাতের উপরে, একটা পা রাস্তায়।

লোকটি এগিয়ে গিয়ে মাতালটাকে

রাস্তায় নামিয়ে দিল।

মাতাল তখন সোজা হয়ে হাঁটতে হাঁটতে

বলল, আমি ভেবেছিলাম আমি বুঝি

খোড়া হয়ে গেছি।



প্রথম মাতাল : আরে দেখেছিস, আমাদের

চারপাশে শহরটা কী রকম শাইঁশাঁই করে

ঘুরছে।

দ্বিতীয় মাতাল : দেখেছি বৈকি, তাই

তো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। বাড়ির

দরজাটা সামনে এলেই টুক করে ঢুকে পড়ব।





একটি বিমূর্ত চিত্র এঁকেছেন শিল্পী

ডোনাল্ড বব। নিজের আঁকা চিত্রের দিকে

নিজেই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি।

এমন সময় এক ভক্ত পাশে এসে দাঁড়ালেন।

বললেন, ‘বাহ্! চমৎকার এঁকেছেন! তা

কিসের ছবি আঁকলেন বলুন তো?’

ডোনাল্ড বললেন, ‘একটা নারীমূর্তি’।

ভক্ত বললেন, ‘হু হু! ভালো তো!’

ডোনাল্ড হতাশ কণ্ঠে বললেন, ‘কিন্তু

আমি তো অভিনেত্রী লিলি বিরিয়ানকে

আঁকতে চেষ্টা করছিলাম।’

‘ও! তা হলে আপনি বরং নারীমূর্তিটির

নাকটা একটু ছোট করে দিন।’ পরামর্শ

দেওয়ার চেষ্টা করল ভক্ত।

ডোনাল্ড এবার বিরক্তি নিয়ে বললেন,

‘আরে, ওটাই তো খুঁজছি!’





দীর্ঘক্ষণ ধরে আঁকায় মনোনিবেশ করতে

চেষ্টা করছেন শিল্পী হরিপদ। কিন্তু

মডেল মেয়েটা এত নড়াচড়া করছে,

বারবারই তাঁর মনোসংযোগে ব্যাঘাত

ঘটছে। একসময় রেগেই গেলেন হরিপদ।

আঁকার চেয়ার থেকে উঠে মডেল মেয়েটার

দিকে এগিয়ে গেলেন। এবং চটাস করে

মেয়েটার গালে একটা চড় বসিয়ে দিলেন!

হতভম্ব হয়ে মেয়েটা বলল, ‘আপনি বুঝি

আপনার সব মডেলকেই এভাবে মারেন?’

হরিপদ বললেন, ‘কখনোই না। এর আগে

আমি চারটা মডেলের ছবি এঁকেছি। তারা

কেউই তোমার মতো নড়াচড়া করেনি।’

মেয়েটা একটু দুখী দুখী স্বরে বলল, ‘কোন

মডেলের ছবি এঁকেছেন, দেখি।’

হরিপদ একটা থালা, দুটো গ্লাস, একটা আধ

খাওয়া পেঁপে ...





একটি প্রদর্শনীর আয়োজক বলছেন একজন

চিত্রশিল্পীকে, ‘আপনার জন্য একটি

সুসংবাদ এবং একটি দুঃসংবাদ আছে।’

চিত্রশিল্পী: বলুন, শুনি।

আয়োজক: গতকাল সন্ধ্যায় এক লোক

এসেছিল প্রদর্শনীতে। সে আমাকে ডেকে

আপনার আঁকা ছবিগুলো দেখিয়ে বলল, ‘এই

লোকের মৃত্যুর পর তাঁর আঁকা ছবিগুলোর

দাম কেমন হতে পারে?’ আমি বললাম,

‘অবশ্যই খুব চড়া দাম হবে।’ লোকটা আমার

উত্তরে সন্তুষ্ট হয়ে আপনার আঁকা ১৫টা

ছবিই কিনে নিয়ে গেল।

চিত্রশিল্পী: বাহ্! এ তো দারুণ খবর।

আয়োজক: আর দুঃসংবাদটাও শুনুন। লোকটা

আর কেউ নয়, আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক!







এক ধনাঢ্য ব্যক্তি একবার পাবলো

পিকাসোকে মোটা অঙ্কের টাকা দিলেন

তাঁর স্ত্রীর ছবি এঁকে দেওয়ার জন্য।

পিকাসো এঁকে দিলেন। ছবি দেখে ধনাঢ্য

ব্যক্তিটি খুবই বিরক্ত হলেন এবং বললেন,

‘এটা মোটেও আমার স্ত্রীর মতো হয়নি।’

পিকাসো বললেন, ‘তা হলে কেমন আঁকা

উচিত ছিল?’

ধনাঢ্য ব্যক্তি পকেট থেকে মানিব্যাগ

বের করলেন এবং তাঁর স্ত্রীর একটা

পাসপোর্ট সাইজের ছবি বের করে

দেখালেন। পিকাসো ছবিটি ফিরিয়ে

দিতে দিতে বললেন, ‘হু, ছোট করে আঁকতে

হবে, তাই তো?!’







শিল্পী পল ক্লিকে একবার প্রশ্ন করা

হলো, ‘আপনার আঁকা চিত্রটি আসলে কী?’

পল ক্লি উত্তর করলেন, ‘আমার আঁকা

চিত্রটি আসলে একটি বিন্দুর, যে কি না

খানিকটা হাঁটতে বেরিয়েছে!’





একজন শিল্পীকে পাঁচ মাইল লম্বা একটা

রাস্তাজুড়ে বিশাল আল্পনা করার কাজ

দেওয়া হলো। প্রথম দিন তিনি দুই মাইল

পর্যন্ত আঁকলেন, দ্বিতীয় দিন আল্পনা

করলেন আরও এক মাইলজুড়ে। তৃতীয় দিন

আঁকলেন আধা মাইল।

কেউ একজন প্রশ্ন করল, ‘দিনে দিনে

আপনার কাজের পরিধি কমছে কেন?’

শিল্পী বললেন, ‘কারণ দিনে দিনে আমি

আমার রঙের বাক্সটা থেকে দূরে সরে

যাচ্ছি!’





– কেমন বাজালাম বলুন তো?

— থামার পর বেশ লাগছে।





নতুন অভিনেত্রীর অভিনয়ে মুগ্ধ

পরিচালক: সত্যি যন্ত্রনার যে অভিব্যক্তি

তুমি প্রকাশ করেছে, ঝানু অভিনেত্রীও

তা পারবে না। তোমাকে ধন্যবাদ।

অভিনেত্রী: ধন্যবাদ আমাকে নয়, এই

পেরেকটাকে দিন। এটা পায়ে বিঁধেছিল

বলেই না…







চিত্র প্রদর্শনীতে আপনার আকাঁ ছবি

দেখলাম শুধু আপনার ছবিগুলোরই পর্ব

প্রশংসা করতে পারি।

শিল্পীঃ কেন অন্যদের আকা ছবিগুলো

কি একেবারেই ভালো হয়নি।

দর্শকঃ না ঠিক তা নয়। আসলে অন্যদের

আঁকা ছবিগুলোর সামনে এত ভিড় ছিল যে

ওগুলো আমি দেখতে পাইনি।



দ্বিতীয় পর্ব এখানে Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.