নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেরার সেরা আনলিমিটেড কৌতুক কালেকশন, পর্ব দুই, হাসলেই জরিমানা :#)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

ছেলেঃ Excuse me! আমি কি আপনাকে
একটু জড়িয়ে ধরবো?
মেয়েঃ what ননসেন্স !!
ছেলেঃ ও Sorrry, আমি আপনাকে একটু
আগে জানি কি বলেছি?
মেয়েঃ Excuse me! আমি কি আপনাকে
একটু জড়িয়ে ধরবো?
ছেলেঃ বলেন কি? আমি কি আপনাকে
মানা করেছি নাকি!!
মেয়ে পুরাই Shockzzz
ছেলে তো Rockzz


বাড়িতে অতিথি এসেছেন। মা পল্টুকে
ডেকে বললেন, ‘বাবা পল্টু, জলদি
অতিথিদের জন্য বাইরে থেকে একটা কিছু
নিয়ে এসো তো’।
দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল পল্টু।
কিছুক্ষণ পর ফিরল খালি হাতে।
মা: কী হলো? কী আনলে ওনাদের জন্য?
পল্টু: ট্যাক্সি! ওনারা যেন চটজলদি বাড়ি
ফিরতে পারেন!


শফিক আর কেয়া—দুজনের ছোট্ট সংসার।
এর মাঝে একদিন উটকো এক অতিথির
আগমন।
দিন গড়িয়ে সপ্তাহ পেরোয়, অতিথির আর
যাওয়ার নামগন্ধ নেই। বিরক্ত হয়ে একদিন
লোকটাকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটল দুজন।
পরদিন সকাল না হতেই তুমুল ঝগড়া শুরু করল
শফিক-কেয়া। ঝগড়া একসময় হাতাহাতির
পর্যায়ে চলে গেল।
অবস্থা বেগতিক দেখে চুপচাপ বাক্স-
পেটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল অতিথি।
অতিথি বেরিয়ে গেলে ঝগড়া থামাল
দুজন। কেয়াকে বলল শফিক, ‘ওগো, বেশি
লেগেছে তোমার?’
কেয়া: আরে নাহ্! আমি তো লোক
দেখানো কাঁদছিলাম!
এমন সময় দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল
অতিথি, ‘আমিও তো লোক দেখানো
গিয়েছিলাম!’


নতুন বছরের প্রথম দিন মালিক বলছেন
চাকরকে, ‘গত বছর তুই বেশ ভালো কাজ
করেছিস। এই নে ১০ হাজার টাকার চেক। এ
বছর এমন ভালো কাজ দেখাতে পারলে
আগামী বছর চেকে সই করে দেব!’


অপু এবং নাছের দুই বন্ধু একই অফিসে
চাকরি করে।
অপু: দোস্ত, কত দিন ধরে ছুটি পাই না।
কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু
বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না।
নাছের: হুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি।
কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে
পারব, দেখবি?
বলেই নাছের টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল
এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড
ধরে ঝুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বস এলেন।
বস: এ কী নাছের! তুমি ঝুলে আছ কেন?
নাছের খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল,
‘স্যার আমি লাইট, তাই ঝুলে আছি।’
বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। কিছুক্ষণ ভেবে
বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার
মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং
এক সপ্তাহের ছুটি নাও।’
নাছের অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে
রুম থেকে বিদায় নিল।
অপু চেয়ে চেয়ে দেখল। নাছের বেরিয়ে
যেতেই সেও নাছেরের পিছু নিল।
বস: সে কী! ছুটি তো ওকে দিয়েছি! তুমি
কোথায় যাচ্ছ?
অপু: কী আশ্চর্য! লাইট ছাড়া কাজ করব কী
করে?!


পল্টুর অফিসে প্রথম দিনেই বড় কর্তার
সঙ্গে কথা হচ্ছে—
বড় কর্তা: আপনি কম্পিউটারে কী কী
কাজ জানেন?
পল্টু: স্যার, প্রায় সব ধরনের কাজই করতে
পারি।
বড় কর্তা: আচ্ছা, আপনি এমএস অফিস
জানেন?
পল্টু: আজই যেতে হবে! তাহলে ওই
অফিসের ঠিকানাটা একবার বলে দিলেই
আমি খুঁজে বের করতে পারব, স্যার।


অফিসে কাজে গাফিলতির কারণে বড়
কর্তা বেশ রেগে আছেন মোকলেসের ওপর।
বড় কর্তা মোকলেসকে ডেকে বললেন, ‘সব
কাজই নষ্ট করে ফেলেছেন আপনি। এই
অফিসে একটা গাধা আছে, আপনি
জানেন?’
মোকলেস বড় কর্তার অগ্নিমূর্তি দেখে
মাথা নিচু করে জবাব দিল, ‘না, স্যার।’
‘নিচে কী দেখছ, আমার দিকে তাকাও?’—
বড় কর্তার জবাব।


অফিসের বড় কর্তা ও মন্টুর মধ্যে কথা
হচ্ছে—
বড় কর্তা: আচ্ছা আপনি আগের চাকরিটা
ছেড়ে দিলেন কেন?
মন্টু: অসুস্থতার জন্য, স্যার।
বড় কর্তা: তা কী হয়েছিল আপনার?
মন্টু: আরে আমার তো কিছুই হয়নি। ওই
অফিসের বড় কর্তাই তো আমার কাজে
অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, মানে তার প্রায়
মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল
স্যার।


এক সরকারি অফিসে পিয়নের কাজ করে
নিকিফরোভ। তাকে বলা হয়:
‘ফাইলটা নিয়ে যাও।’
সে নিয়ে যায়।
বলা হয়:
‘নিয়ে এসো।’
সে নিয়ে আসে।
একদিন তাকে ধমক দিয়ে বলা হলো:
‘এত দেরি হয় কেন?’
‘শ্-শালা!’ মনে মনে ভাবল সে। মেজাজটা
খিঁচড়ে গেল। ‘একদিন আমি তোমাদের
মজা দেখাব, তখন ঠ্যালা বুঝবে!’
একদিন কয়েকটি ফাইল অন্য ঘরে পৌঁছে
দেওয়ার সময় একটা ফাইল সে ফেলে দিল
ডাস্টবিনে।
সে রাতে প্রায় ঘুমাতেই পারল না
নিকিফরোভ। জেগে জেগে মিষ্টি স্বপ্ন
দেখল, কল্পনা করল, ফাইল হারানোর খবর
ফাঁস হয়ে গেলে কী মজার কাণ্ডটাই না
হবে!
কিন্তু পুরো একটা সপ্তাহ পার হয়ে গেল।
কেউ মনেও করল না ফাইলটার কথা!
‘বোধহয়, একটি নয়, আরও কয়েকটি ফেলার
দরকার ছিল’, ভাবল নিকিফরোভ।
এবং সুযোগ বুঝে গোটা দশেক ফাইল
ডাস্টবিনে ফেলে দিল একবারে।
‘ঠ্যালা এবারে নিশ্চয়ই বুঝবে!’ আশ্বস্ত
করল সে নিজেকে।
প্রতীক্ষার দিন বাড়তেই থাকল একের পর
এক। প্রতিদিন সকালে সে একবার করে ঢুঁ
মারে সেক্রেটারি ল্যুদার ঘরে।
‘কেমন আছেন?’ জিজ্ঞেস করে সে, ‘নতুন
কোনো খবর আছে?’
‘কেন, কোনো খবর হবার কথা আছে?’ অবাক
স্বরে জানতে চায় ল্যুদা।
‘না, এমনিই জিজ্ঞেস করলাম,’
নিকিফরোভ উত্তর দেয়।
দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষ হয়ে আসতে আসতে
রীতিমতো শুকিয়ে গেল সে; মলিন হলো
চেহারা। তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে আর সহ্য
হলো না তার। সুযোগ বুঝে তার হাতে
ধরিয়ে দেওয়া সব কটি ফাইল ফেলে দিল
ডাস্টবিনে।
‘এবার এমন ঠ্যালা খাবে বাছাধনেরা!’
নিশ্চিত ধারণা হলো তার।
তারপর পেরিয়ে গেল তিন-তিনটে বছর।
তার সঙ্গে প্রভাতকালীন প্রাত্যহিক
সাক্ষাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে ল্যুদা।
এই দীর্ঘ সময়ে নিকিফরোভ হাল ছেড়ে
দিয়েছে খানিকটা। চুল কমে এসেছে
মাথায়, ভাঁজ পড়েছে মুখের চামড়ায়। শুধু
চোখে রয়ে গেছে আহত অহংকারের
ঝিলিক।
‘ঠ্যালা একদিন বুঝবে! বুঝতেই হবে!’
অফিসের ফাইল নিয়মিত ডাস্টবিনে
ফেলতে ফেলতে আশা তবু ছাড়ে না সে।


চৌকস বস হচ্ছে সে, যে অফিসের মিটিং
সংক্ষিপ্ত করার জন্য বলেন, এগুলো হলো
আমার প্রস্তাব। কারও যদি কোনো
ব্যাপারে দ্বিমত থাকে তাহলে হাত তুলে
বলুন, ‘আজ থেকে আমি রিজাইন করলাম।’


ডিসিপ্লিন কী?
: বসের চেয়ে বোকা হবার ভান করার
আর্ট।


বাড়িতে অতিথি বেড়াতে এসেছে
বাসায় ছোট বাচ্ছার সঙ্গে খাতির
জমানোর চেষ্টা করছে-
অতিথি : কাছে এস বাবু আমাকে একটু চুমু
দাও। তাহলে তোমাকে পাঁচ টাকা দেব।
বাবু : শুধু অষুধ খাওয়াতেই মা এর থেকে
বেশি দেয়।


বস : এ কী টাইপিষ্ট নিয়েছেন? সুন্দরী
তাতে সন্দেহ নেই-কিন্তু প্রতিটি লাইনে
এক গন্ডা ভুল। আপনাকে বলি নি, টাইপিষ্ট
নেবার সময় গ্রামারের দিকে নজর
রাখবেন।
ম্যানেজার : শুনতে ভুল হয়েছিল স্যার।
আমি গ্ল্যামারের দিকে নজর
রেখেছিলাম।


বাইরে থেকে দরজা নক করছে।
ভেতর থেকেঃ কে?
বাইরে থেকেঃ আমি।
ভেতর থেকেঃ আমি কে?
বাইরে থেকেঃ আরে, আপনি কে আমি কী
করে বলব?


বাসা খালি। পাহারায় আছি আমি আর
আমার এক সমবয়সী মামু। দারুণ আনন্দে
কাটছে দিন, যা ইচ্ছা তা-ই করছি আমরা।
স্বাধীন জীবন দুজনের। এর মধ্যে হঠাৎ
গেস্ট এসে হাজির। হায় হায়, এখন কী
করা? নিজেদের স্বাধীন জীবনে বাড়তি
উৎপাত কিছুতেই সহ্য করা হবে না। কী
করা যায়? দুজনে মিলে বুদ্ধি করলাম।
গেস্ট সকালে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায়
আসে। আমরা ঠিক করলাম, সন্ধ্যায় আমরা
গা ঢাকা দেব। সে সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতে
পারবে না, পরে বাধ্য হয়ে কেটে পড়বে।
যেই ভাবা, সেই কাজ। দুজনে সন্ধ্যা
পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে
শ্যামলী হলে সেকেন্ড শোতে সিনেমা
দেখতে ঢুকে পড়লাম। সিনেমা শেষ হতে
হতে রাত ১২টা। আমাদের গেস্ট কি আর
আমাদের জন্য সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা
পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? বিরতির সময় দুজন
বাইরে এলাম সিগারেট টানতে। বাইরে
এসে দেখি আমাদের গেস্ট! সেও
সিগারেট টানছে!!
: আ-আপনি?
: বাসায় তালা দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষায়
থেকে বুদ্ধি করে সেকেন্ড শো সিনেমায়
ঢুকে পড়লাম। যাক, ভালোই হলো,
তোমরাও···।
তারপর আর কি···বাকি ছবি তিনজন
একসঙ্গে দেখলাম।


গৃহস্বামী: এই যে চা খেলেন, এটা
একেবারে দার্জিলিং স্পেশাল।
অতিথি: বোধহয় এইজন্যই এত ঠান্ডা।


অনেক দিন পর বাড়িতে একজন মেহমান
এসেছে। মেহমান দেখে বাড়ির মালিক
বললেন, তা কেমন আছেন, অনেক দিন পর
এলেন, আজ তো আর থাকবেন না, আবার
কবে আসবেন?
মেহমান : অনেক দিন পর এলাম, যেতে তো
আর দিবেন না, লুঙিটা দিন গোসলটা
সেরেই আসি।


উকিল বলছেন আসামিকে, ‘এবারের
মতো তোমাকে বেকসুর খালাস
পাইয়ে দিলাম। কিন্তু এখন থেকে
পাজি লোকজনের কাছ থেকে দূরে
থাকার চেষ্টা করবে।’
আসামি: অবশ্যই স্যার। আমি অবশ্যই
আপনার কাছ থেকে দূরে থাকার
চেষ্টা করব।


বিচারক: আপনার অপরাধ?
অভিযুক্ত ব্যক্তি: আমি আমার ঈদের
কেনাকাটা একটু আগেভাগে সেরে
ফেলতে চেয়েছিলাম।
বিচারক: কতখানি আগে?
অভিযুক্ত ব্যক্তি: দোকান খোলার আগে।


তিন অপরাধীকে পাঁচ বছরের জন্য
কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিচারক সদয় হয়ে তাদের একটা সুযোগ করে
দিলেন। জেলখানায় সময় কাটানোর জন্য
তারা চাইলে সঙ্গে কিছু নিতে পারবে।
প্রথম অপরাধী সঙ্গে নিল একটা খাতা আর
কলম। দ্বিতীয়জন সঙ্গে নিল একটা
রেডিও। আর তৃতীয়জন নিল এক বাক্স
সিগারেট।
পাঁচ বছর পর প্রথমজন যখন বেরিয়ে এল, তখন
দেখা গেল, জেলখানায় তার সময় ভালোই
কেটেছে। জেলের জীবন নিয়ে সে একটা
উপন্যাস লিখে ফেলেছে। দ্বিতীয়জনও
আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে। জেলখানায়
গান শুনে তার চমৎকার সময় কেটেছে।
তৃতীয়জন বেরিয়ে এল বিধ্বস্ত অবস্থায়।
চুল উসকোখুসকো, উন্মাদপ্রায় দশা।
বাক্সভর্তি সিগারেট হাতে নিয়ে সে
কাতরস্বরে বলল, ‘কারও কাছে একটা
দেশলাই হবে?’



দুই কয়েদি পালিয়েছে জেল থেকে। আবার
যখন তাদের আটক করা হলো, কারারক্ষক
প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা জেল থেকে
পালিয়েছিলে কেন?’
১ম কয়েদি: কারণ, জেলখানার খাবার খুবই
জঘন্য। খাওয়া যায় না।
কারারক্ষক: কিন্তু তোমরা জেলের তালা
ভাঙলে কী দিয়ে?
২য় কয়েদি: সকালের নাশতার রুটি দিয়ে!


জেলখানায় নতুন কয়েদি এসেছে। নতুন
কয়েদির পরিচয় হলো এক পুরোনো, বৃদ্ধ
কয়েদির সঙ্গে—
নতুন কয়েদি: আপনি কয় বছর ধরে আছেন?
পুরোনো কয়েদি: ১০ বছর।
নতুন কয়েদি: আহা! নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়
আপনার।
পুরোনো কয়েদি: বললে বিশ্বাস করবে না,
আমি একদিন বিল গেটসের মতো জীবন
যাপন করেছি। বিলাসবহুল হোটেলে
থেকেছি, দামি খাবার খেয়েছি, বউকে
দামি গয়না কিনে দিয়েছি…
নতুন কয়েদি: তারপর?
পুরোনো কয়েদি: তারপর একদিন, বিল
গেটস থানায় অভিযোগ করলেন, তাঁর
ক্রেডিট কার্ডটা হারানো গেছে!



বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলল এক
কয়েদি, ‘হুজুর, আমাকে ব্যাংক ডাকাতির
মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ
আমি একেবারেই নিরপরাধ। আমাকে
আপনি বাঁচান।’
সাক্ষী ব্যাংক কর্মকর্তা চিৎকার করে
বললেন, ‘না হুজুর! পাঁচ ব্যাংক ডাকাতের
মধ্যে এই লোকও ছিল। আমি নিশ্চিত।’
কয়েদি: অসম্ভব! এই লোকটা মিথ্যা বলছে
হুজুর। আমরা চারজন ছিলাম!



কোর্টে জজ সাহেব চোরকে জিজ্ঞেস
করলেন, ‘তুমি একই বাড়িতে এই নিয়ে
কুড়িবার চুরি করতে গেলে। এর কারণ কী?’
চোর হাসতে হাসতে জবাব দিল, ‘স্যার,
আমি ওই বাড়ির ফ্যামিলি চোর।’


বিচারক আসামিকে:
—নকল টাকা বানিয়েছিলেন কেন?
—আসল টাকা বানাতে শিখিনি বলে।


মুরগি চুরির মামলা চলছে। আসামির
কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মানুষটাকে বিচারক
প্রশ্ন করলেন, ‘তুমিই কি অভিযুক্ত ব্যক্তি?’
লোকটা জবাব দিল, ‘জি না, স্যার, আমি
হচ্ছি সেই লোক, যে মুরগিগুলো চুরি
করেছে।’


৭৬ বছরের এক বুড়ো লিডসকে আদালতে
বিচারকের সামনে ৫০০ বারের মতো
হাজির করা হয় মদ খেয়ে মারামারি
করার জন্য। প্রতিবারই বিচারক তাঁকে
খালাস দিয়ে দেন। কিন্তু কিছু দিন পর
আবারও তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়
এবং এই হাজিরার নম্বর ছিল ৫০১তম।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, ৫০০তম
হাজিরা উৎযাপন করছিলেন তিনি। তাঁকে
৫০ পেনি ফাইন করা হয়।


বিচারক : আপনি বলেছেন- আপনার বন্ধুর
সঙ্গে অবৈধ প্রণয় চলছিল বলে বউকে খুন
করেছেন। কিন্তু আপনি আপনার বন্ধুকে খুন
না করে বউকে খুন করলেন কেন?
আসামি : হুজুর আমার অনেক বন্ধু। সপ্তায়
একজন করে বন্ধুকে মারার চেয়ে বউকে
মারাই সহজ মনে হল তাই।


বিচারক : তোমার বয়স কত?
আসামি : সাত বছর
বিচারক : এটুকু বয়সেই পকেটমার শুরু করেছ?
আসামি : তা হলে আপনিই বলে দিন কত
বছর বয়স থেকে শুরু করব?


জেলার : তোমার শেষ ইচ্ছে কী?
আসামি : আমার স্ত্রীর হাতের রান্না
খেতে চাই।
জেলার : তাতে মৃত্যুর আগে তৃপ্তি পাবে
তুমি?
আসামি : না, তৃপ্তি পাব না। তবে ওর
হাতের রান্না খেলেই মরতে ইচ্ছে হবে
আমার।


জেলারকে ঘুষ দিয়ে এক ভদ্রলোক এক
ফাঁসির আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।
ভদ্রলোক এবং আসামির মধ্যে অনেকক্ষণ
ধরে নিচুস্বরে আলাপ হল। শেষে
আসামিটি বলল, মনে রাখবেন, আমার
ছেলেকে এ জন্য এক লাখ টাকা দিতে
হবে। ভদ্রলোক টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
দিয়ে চলে গেলেন।
ফাঁসির দিন লোকে লোকারণ্য। ফাঁসিতে
ঝোলাবার পূর্বে আসামিকে তার কোনো
বক্তব্য থাকলে বলতে বলা হয়। আসামি
বিপুল জনতার দিকে তাকিয়ে বলল, পৃথিবী
ছেড়ে যাবার আগে আমি একটি কথাই
বলতে চাই, জীবন বড় অনিশ্চিত। কিন্তু
একটি বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকতে
পারেন- তা হল এই কোলন কোম্পানির
সাবান পৃথিবীর সেরা সাবান।



বিচারক : তুমি পকেট মারতে গিয়ে ধরা
পড়েছে। তোমার দোষ স্বীকারে আপত্তি
আছে?
আসামি : আমি নিরপরাধ হুজুর। ধরা পড়ার
জন্য আমি দায়ী নই। লোকটার পকেট এত
ছোট ছিল যে, হাতটা টুকিয়ে আর বের
করতে পারি না।


ম্যাজিস্ট্রেট : গতবারেও তোমাকে
বলেছিলাম আমি চাই না তুমি পুনরায়
এখানে আস।
পকেটমার : স্যার, ঠিক এই কথাই আমিও
পুলিশকে বলেছিলাম, বিশ্বাস করল না।


জেলসুপার : এবারে তুমি কেন এলে?
কয়েদি : একটা বিশ্রী কাশির জন্য।
লোকটা জেগে উঠেছিল।


: আমার চাচা তাঁর মরবার দিনক্ষণ ঠিক এক
মাস আগে জানতে পেরেছিলেন।
: জ্যোতিষশাস্ত্রে তাঁর বুঝি খুব দখল
ছিল?
: না
: সূক্ষ্ণ-বোধশক্তিতে অনেক সময় এমন
হওয়া বিচিত্র নয়। তাঁর মনই তাঁকে আগে
থেকেই নিশ্চত এ কথা জানিয়ে
দিয়েছিল?
: না মন নয়, জানিয়ে দিয়েছিল বিচারক।


বিচারক : রাত বারটার সময় খিড়কি দরজা
দিয়ে তুমি এই মহিলার বাড়িতে
ঢুকেছিলে কেন?
আসামি : ভেবেছিলাম, ওটা আমার
নিজের বাড়ি।
বিচারক : বেশ, যদি তাই হয়, তা হলে এই
মহিলাকে দেখে জানালা টপকে
চৌবাচ্চার আড়ালে লুকাতে গেলে কেন?
আসামি : ভেবেছিলাম, ইনি আমার
স্ত্রী।



বিচারক : এই নিয়ে তোমাকে ছয় বার
আমার কোর্টে আসতে হল। লজ্জায়
তোমার মরে যাওয়া উচিত। কতখানি
জানোয়ার হলে মানুষ এত শাস্তি পাওয়ার
পরও আবার মদ খায়! গলায় দড়ি দিয়ে
তোমার আত্মহত্যা করা উচিত।
আসামি : স্যার, কথাটা সত্যি। তবে
আমিও তো আপনাকে এই আদালতে ছয় বার
দেখেছি, কিন্তু সেজন্য আমি তো
আপনাকে কোনোদিন এভাবে গালাগাল
করি নি।


বিচারক: তুমি কেন গাড়িটি চুরি
করেছিলে?
আসামি: আমি দেখেছিলাম গাড়িটি
একটি কবরখানার বাইরে দাঁড় করানো।
তাই ভেবেছিলাম গাড়ির মালিকের আর
এটা হয়তো দরকার নেই।



কোর্ট থেকে বের করে দেওয়া
হবে
জজ: একদম চুপ! এরপর কেউ টুঁ শব্দটি করলে
কোর্ট থেকে বের করে দেওয়া হবে।
সঙ্গে সঙ্গে আসামি বিকট সুরে চেঁচাতে
লাগল।


জাজ : তুমি বলছ তুমি ক্ষুধার্ত ছিলে বলে
হোটেল থেকে ক্যাশ ডাকাতি করেছ।
কিন্তু হোটেলের খাবার ডাকাতি
করাটাই স্বাভাবিক ছিল না?
ডাকাত : খেয়ে পয়সা না দেওয়াটা আমার
জন্য অপমানজনক …. মহামান্য আদালত।



রাস্তায় এক বুড়ো লোক এক মেয়ের
সাথে ধাক্কা লাগার পর,
বুড়ো :- I'm Sorry!!!!!
মেয়ে :- যত্তসব অন্ধ নাকি?
চোখে দেখো না?
মেয়েটি কিছুদূর যেতেই এক স্মার্ট
ছেলের
সাথে ধাক্কা
লাগে।
ছেলে উফফফ I'm Sorry! আপনার
লাগেনি তো?
মেয়ে :- it's okay.
না আমি ঠিক আছি।
ছেলে :- আমরা বন্ধু হতে পারি?
মেয়ে :- অবশ্যই।
ছেলে :- তাহলে, এক কাপ চা হয়ে যাক?
মেয়ে :- হ্যাঁ চলুন।
ছেলে আর মেয়ে চলে যাওয়ার সময়
বুড়ো বলল,
অই ফাজিল মাইয়া আমার sorry
তে কি spelling ভুল ছিলো!?


পর্বঃ এক, এখানে Click This Link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৩

একজন বেকার যুবক বলেছেন: ভাল লাগল

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ ৷

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

In2the Dark বলেছেন: ভাল লাগলো :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.