নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোড়া টাকা

০৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫১

লালখান বাজার থেকে বায়জিদ আসার পথে বাস ড্রাইভারকে একখানা ১০০ টাকার কিছুটা পোড়া নোট দিলাম
.
সে কোন রকমে নিবে ই না, তাকে অনেক যুক্তি দেখিয়ে বুঝালাম, এগ্লা না চলার কোন কারণ দেখছি না! যতক্ষণ টাকার সংখ্যা দেখা যাবে ততক্ষণ সেটা চলতে বাধ্য ব্লা ব্লা!
.
আরেকবার এমন একটা টাকা পেলাম যেটার ১০০ সংখ্যার শেষ শূন্য কে যেনো মুচে দিয়ে ১০ টাকা বানিয়ে দিয়েছে!
.
কিছুটা যুক্তি তর্কের পর সে টাকাটা নিয়ে তার হাতে থাকা এক গুচ্ছ টাকা থেকে সবচেয়ে যে দুর্বল ৫০ টাকা আছে সেটাসহ ৮ টাকা ভাড়া রেখে ৯২ টাকা ফেরত দিলো,
.
আমি তখনি বুঝলাম এই টাকা চালাতে খবর হয়ে যাবে কিন্তু নিজের কলে নিজেই পরলাম! তাকে কিছু বলতেও পারছি না,
.
তারপর সেটা দিলাম হলারের কন্টাকদারকে, সে নেড়েচেড়ে কি যেনো ভেবে বললো এটা পরিবর্তন করে দেন, বড্ড দুর্বল! ওকে কলিকাতা হার্বাল খাওয়ালেও কাজ হবে না,
.
এসব টাকা চালানোর একটা ই কৌশল, এক বার না চলিলে চালানোর চেষ্টা করো শতবার! কখনো আশা ছাড়বেন না!
.
অতপর এই টাকা অক্সিজেন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আসার পথে পাবলিক বাসের কন্টাকদারকে দিলাম, সে হাতে নিয়ে অপলক নয়নে নোটটির দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবতে লাগলো,
.
এদিকে মজার চলে বললাম সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ টাকা বেশী কচলাবেন না, আপনারা এসব টাকায় থুথু মিশিয়ে, কচলিয়ে টচলিয়ে হাতের আঙ্গুলের ফাকে টাকে রেখে দুর্বল করে ফেলেন পরে নিজেরাই এগুলো নিতে চান না,
.
কি যেনো চিন্তা করে সে টাকাটা হাতে নিয়ে ২০ টাকা রেখে ৩০ টাকা ফেরত দিলো,
.
আমার মুখে তখন বিজয়ের হাসি, মনে মনে একবার না পারিলে দেখো শতবার বলে চিল্লায় উঠবো এমন সময় দেখলাম কন্টাকদার এবং পেছনের যাত্রী মিলে ঝগড়া লেগে গেছে!
.
কারণ কন্টাকদার আমার থেকে নেওয়া দুর্বল টাকাটি তাকে ভাংতি হিসেবে দিয়েছিলো,
.
যাত্রী থেকে টাকা ফেরত নিয়ে কন্টাকদার আমার দিকে তাকালো, আমিও তার চোখ থেকে চোখ সরিয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম, খাইছে আমারে...!
.
কিন্তু না, সে আমাকে টাকাটা ফেরত দিলো না!
.
চিন্তা করলাম, কন্টাকদার বেচারা বুড়ো মানুষ, মতিভ্রম হয়েছে, কার থেকে টাকাটা নিয়েছে বোধহয় ভুলে গেছেন,
.
কিন্তু না, টাকাটা আলাদা করে পকেটে নিয়ে সে বিড়বিড় করে একটু কেঁপে কেঁপে বলতেছিলো, 'বুড়ো হয়ে গেলে টাকা কিংবা মানুষ কোনটা ই চলেনা তবুও মান কিন্তু ঠিকি থাকে, আমরাও মানুষ!'

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
টাকা যদিওবা চালানো যায়
মানুষ কিন্তু কভু্ই নয় !!

বুড়ো হয়ে দেখেন!!
চাকুরী থেকে তাড়িয়ে দেবে,
বাসা থেকে বের করে বৃদ্ধাশ্রেমে দিবে।
বুড়োর কথার কেই দামই দিবেনা
বলবে বুড়া আর গুড়া সমান !

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ইদানীং পোড়া নোট বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ১০/২০ টাকার নোট।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০২

সানহিমেল বলেছেন: পোড়া নোট তো নিতেই চায়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.