নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার স্ত্রী কাজে যাবে কামে না ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫০

ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের একটা পোস্ট ভাইরাল, “স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।”

আমি মনে করি, যদি স্ত্রী চাকরি করে তাহলে একজন স্বামীকে রান্নাবান্না কিংবা সন্তান লালন পালন থেকে শুরু করে দুধ খাওয়ানো, সব করা দরকার ঘরে থেকেই । তাতে পরিবারে একটা ভারসাম্য থাকবে ।

সত্যি বলতে সব স্ত্রী চাকরি করে তবে তা বাসায় । এরচেয়ে বড় চাকরি আর কিছু হতে পারে না । একটা সংসার সামলানো কয়েকটা চাকরি সামলানোর চেয়ে কঠিন কাজ । পরিবারের চেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানও নেই । যেসব দেশে পরিবার ভেঙ্গেছে সেসব দেশ আজ ধ্বংসের পথে ।

তাহলে এতো সমালোচনা কেনো? কারণ দোচানীর ভাইয়েরা আমাদের বউকে চাকরি করাতে ইচ্ছুক না বরং তাকে ঘর থেকে বের করিয়ে পণ্য বানানো ই তাদের মূখ্য এবং একমাত্র উদ্দেশ্য তা একটু চোখ কান খোলা রাখলে উদাহরণ পেয়ে যাবেন ।

তাদের বস কিংবা ম্যানেজমেন্টের শয্যা সঙ্গী করা অন্যতম এজেন্ডা কিছু নারীবাদীদের । মঞ্চে নিয়ে এসে লোলুপ দৃষ্টিতে সিলেক্ট করে রাতে তাঁরাই আবার সুন্দরী মেয়েগুলোকে পাওয়ার পায়তারা করতে থাকে ।

নারী তুমি পারবে । দেখিয়ে দাও বলে তারা ই নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বুঝাতে থাকে সব খুলে একাকী হও । যদি তা না করে তাহলে তার ক্যারিয়ার শুদ্ধ নষ্ট করতে পিছপা হয় না ।

স্ত্রী মা বোন কিংবা শালী, চাকরি করতে দিতে কারো আপত্তি নেই তবে তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা দরকার । সেই পরিবেশ যাতে শেয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেওয়ার মতো না হয় ।

কে কার স্ত্রীকে চাকরি করাবে কিংবা করাবে না এসব বাদ দিয়ে তুমি বরং তোমার NONO কন্ট্রোল করতে শিখো । তাহলে এমনিই পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যাবে কাজের । কামের পরিবেশ না আবার । বুঝছো?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২২

কলাবাগান১ বলেছেন: অশিক্ষিত নারীকেই লোলুপ দৃস্টিতে ধর্ষন করা হয়.। শিক্ষিত নারী স্ট্রং, মার্জিত, লোভ-লালসার উর্দ্ধে, তার দিকে এসমস্ত লোলুপ দৃস্টির লোকজন চোখ তুলে তাকাতে পারে না ...। চোখ পুড়ে ভস্ম হয়...। তাই আপনারা চান নারী অশিক্ষিত হয়েই ঘরে সাংসার এর ঘানী টানুক। লাকী যে আমাদের মেয়েকে কেউ কোনদিন জিজ্ঞেস করার সাহস পাবে না তোমার বাবা কি করে প্রশ্ন করার, জিভ টেনে ধরবে....তোমার পেরেন্টস কি করে, সে প্রশ্নের উত্তর দিবে সুন্দর করে। তার সন্তান কে ভবিষ্যতে এই সমস্ত লোকের সামনে আসতে হবে না..সেটাই যে সমাজে বাস করি তা শিখিয়েছে.....

তানজিম এর দরকার 'কমনীয়' নারীর জন্য আফগানিস্হানে হিজরত করা...ক্রিকেট খেলা তো হারাম.......

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: তানজিমরা কওমি জেনারেশন। তাই এরা বুঝ-বিবেচনার বাইরে। যে কারণে মাদ্রাসায় ধর্ষন বা বলাৎকারের বৈধতা দিতে এরা প্রস্তুত।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই দেশটাই জংলিতে ভরপুর রাস্তা, ঘাট, অফিস, আদালত, বাস, লঞ্চ কোথাও নারী নিরাপদ নয়, প্রতি পদে পদে যৌন হেনেস্তার শিকার হতে হয়। এই দেশের জংলিদের মনোভাবটা হচ্ছে এমন- নারী তুমি ঘরেই বন্দি থেকে দাসীগিরি করো, যদি কোন নারী ঘর থেকে বের হয় তাহলেই তাকে ধর্ষণ করো। এই দেশের অলমোস্ট ১০০ পারসেন্ট পুরুষ নারীদের ঘরে বন্দি থাকার প্রাণী মনে করে, যে কারণে ঘরের বাইরে নারী দেখলেই এরা লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায় এবং এদের দন্ড খাঁড়া হয়ে যায়, আর এর মূল কারণ হচ্ছে ছোট সময় থেকেই এদের শিক্ষা দেয়া হয় নারী হচ্ছে ঘরে থাকার ভোগ্য পণ্য এরা বাইরে থাকার জিনিস নয় আর দৈবক্রমে ঘরের বাইরে যদি তুমি কোন নারী দেখতে পাও তাহলে তোমার দন্ড যদি খাড়া না হয় তখন তুমি সু-পুরুষ নও। এই জঘন্য চিন্তাধারার কারণে আমাদের দেশে ঘরের বাইরে আজ কোন নারীই নিরাপদ নয়। X((

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যতদিন পর্যন্ত এই দেশে ঘরের বাইরে কোন নারী নিরাপদ নয় ততদিন পর্যন্ত এর পুরো দায়ভার পুরুষদের।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

শার্দূল ২২ বলেছেন: এখানে আমার খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে কিন্তু আমি এটার পক্ষে বিপক্ষে যেতে পারছিনা, এমন হবার কারণ বলছি।

প্রথমত আপনি যেভাবে নারীর স্বনির্ভর হবার মত গুরুত্ব পুর্ন বিষয়টাকে পদধলিত করলেন তা মোটেও মেনে নেবার নয়। বাংলাদেশ সামাজিক প্রক্ষাপটে নারী সন্মান নিয়ে কাজ করা একটু কঠিন আর এটা কঠিন হয় পুরুষদের কারনেই। কিছু নারী এই পুরুষের অনৈতিক চাহিদার মুখ থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনা । এই নারী পুরুষের চাওয়া পাওয়া দুই রকম,একটা দীর্ঘ সময়ের ভালো কিছু পাওয়া আর একটা সাময়িক, এখন নারীর মেধা দিয়ে বুঝতে হবে যে চাচ্ছে সে কেন চাচ্ছে। যা পেতে যাচ্ছে তা কি তার বর্তমান পাওয়া থেকে বেটার কিনা, সবাই চলমান খারাপ থেকে বেড়িয়ে আসতে চায় আগামির সুন্দরের জন্য। সেই আগামিটা কতটা লম্বা নারী তার মেধা দিয়ে বের করতে হবে। একটা পুরুষের কাম নজর থেকে বেড়িয়ে আসার মত মেধা ধর্য্য নারীর থাকতে হবে। এবং পুরুষের নানা ছলনার ইঙ্গিত নারীকে বুঝে ফেলে তা সেই মুহুর্তেই সুরাহ করে নিতে হবে যে আমি মোটেও এসব পছন্দ করিনা, আপনি আমাকে নিয়ে যা ভাবছেন আমি সেসবে কখনোই যাবোনা, নারী যদি নিজের স্বার্থে কালো চোখ ভালো করার চিন্তা না করে সে বিপদে পড়বেই।

একটা উদাহারণ দেই-
থাইল্যান্ড সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। ব্যাংককের সুকুম্ভি হলো পুরুষের স্বর্গ। আমি এই স্বর্গকে উপেক্ষা করে উঠি পাউলাতের মত বিজনেস এরিয়ায় একটা হোটেলে। রাত ১ টায় আমার কফি খেতে ইচ্চে হলে আমি ফোনে অর্ডার দেই, একটু পরেই একটা মেয়ে কফি হাতে আমার রুমে আসলো, আমি তার সৌন্দর্যতায় অবাক,তার চেয়ে বেশি অবাক এত রাতে এমন মেয়ের রুম সার্ভিস দেখে। মেয়েটি কফি কাপ রেখে অনুমতি নিয়ে সোফায় বসতে চাইলে। আমি আবার যত দেশেই যাই সেই দেশ মানুষ নিয়ে আমার নানা প্রশ্ন থাকে। এক পর্যায়ে আমি জানতে চাইলাম তুমি কি এমন পেশায় কোন বিড়ম্ভনার শিকার হওনা? বিশেষ করে এত রাতে এভাবে রুম সার্ভিস। সে বললো হুম হই , তবে সেসব সামাল দেয়ার জন্য আমাদের শেখানো হয়, যেমন কেউ যদি আমার হাত ধরে ফেলে আমি রেগে যাইনা, কিংবা হুট করে হাত ছেড়ে আনিনা, আমিও তার হাত বা তার আরো কাছে গিয়ে শান্তভাবে বলি তুমি যা চাচ্ছো আমি এই পেশায় নেই। যদি তুমি চাও আমি তোমাকে ঠিকানা দিতে পারি তুমি সেটা সেখানে পাবে। আমার ব্যবহারে সে যতই খারাপ হোকনা কেন আমার উপর কোন জোর করতে ইচ্ছে করবেনা।

এবার আসি অন্য কথায়। একটা নারীকে শিক্ষিত হতেই হবে, তার বিকল্প নেই, বাবাদের টাকা আর মায়ের শিক্ষা থাকতেই হবে। প্রজন্মের সকল প্রশ্ন মায়ের কাছে বেশি আসে এবং তার সঠিক জবাব মাকেই দিতে হয় । এখন সেই শিক্ষিত নারীকে থাকতে হবে পরিবারের রেডি সৈনিকের মত, সংসারের যে কোনো দুঃসময়ে নারী এগিয়ে আসবে, যেমন খেলার মাঠে রেডি হয়ে অতিরিক্তি খেলোয়াড় বসে থাকে যদি খেলায় রত কেউ ইনজুরিতে পড়ে তার পরিবর্তে। যদি আমি মনে করি আমার উপার্জন গোটা পরিবারের জন্য যথেষ্ট তাহলে ১১ জনের খেলোয়াড় যেখানে আছেই সেখানে তাদের মধ্যে আরেকজন গিয়ে ১২ জন হয়ে নিজেকে খেলোয়াড় দেখানোর কি দরকার? আমরা মানুষ যাই করি ভালো বা হ্যাপি থাকার জন্যই করি। আর ঘরের নারীর ভুমিকা পুরুষের চেয়ে বেশি, এটা অনেক কঠিন কাজ, জাতি. গঠন বাবা করেনা, নারী তথা মা করে। এটাকে যারা ছোট চোখে দেখে তারা বড় কাকে বলে সেটাই জানেনা।

আপনার লেখা দৃষ্টি কুটু।

ধন্যবাদ

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২১

কিরকুট বলেছেন: উনি একজন ভালো ক্রিকেটার আশাকরি তিনি তাতেই মনযোগ দেবেন।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: পোস্ট পড়লাম। মন্তব্য গুলোও পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.