নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;/ আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।/ উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,/ আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।_কাজী নজরুল ইসলাম
যতদিন অন্তত কিছু মুসলিমের চরিত্র নিন্মের দুটো ঘটনার মতো হবে না ততদিন বিজয় আসার সম্ভবনা নেই। অন্তত ইসলামের ইতিহাস তা বলে।
.
রূপ ও সৌন্দর্য, মাধুর্য ও কমনীয়তার মূর্ত প্রতীক ছিলেন ইউসুফ আ. । চেহারা ছিল চন্দ্র ও সূর্যের মতো দীপ্তিমান। বলা হয়ে থাকে মহানবী স. এর অর্ধেক সৌন্দর্য তার ছিলো।
.
সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের রূপে আকৃষ্ট হয়ে তাকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন। ইউসুফকে একা ঘরে পেয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পাপের দিকে আহ্বান করল। একমাত্র আল্লাহর ভয়ে জুলেখার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন।
.
পরে জোর করে ইউসুফকে নিয়ে কামনা চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে তিনি দৌড় দেন। অনেক কাহিনী, পরবর্তীতে উল্টো থাকে অপবাদ দিয়ে বিচারের সম্মুখীন করা হলো। সত্যতা যাচাইয়ে ছিঁড়া জামার প্রমাণ পেশ করা হলো। জামার পেছন দিক ছিঁড়া থাকায় জুলেখা অপরাধী সাব্যস্ত হলো। তবুও জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
.
প্রথম পয়েন্ট হলো, যতদিন মুসলিমদের চরিত্র পরনারী লোভ থেকে দূরে থাকার সামর্থ্য লাভ করবে, নারীদের দেখলে আল্লাহর ভয়ে এমনকি গোপনেও চোখ নামিয়ে ফেলবে সেদিন বিজয়ের অর্ধেক প্রত্যাশা করা যায়। গোপনে কিংবা প্রকাশ্য নারী সে যত রূপবতী কিংবা সমৃদ্ধশালী হোক না কেনো।
.
দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো, আবু তালিব মোহাম্মাদ সা.কে তার গোত্রের বাপ দাদার ধর্মে অবিচল থাকার ব্যাপারে গোত্রের নেতাদের মতামত বারংবার বোঝানোর চেষ্টা করলেন। তাদের অভিযোগ ব্যাখ্যা করলেন। সাথে দেব দেবীর উপাসনার বিরুদ্ধে অবস্থান না করার জন্য অনুরোধ করলেন। বিনিময়ে কুরাইশরা নবীর যা যা চাওয়া তা তা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিলেন। তার সব কথা শোনার পর রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, ‘হে চাচা, আল্লাহর কসম, তারা যদি আমার ডান হাতে সূর্য এবং বাম হাতে চাঁদ এনে দেয়—এ শর্তে যে, আমি ইসলামকে ছেড়ে দেব, যতক্ষণ না আল্লাহ তাকে বিজয়ী করেন কিংবা এ পথে আমার জীবনের যবনিকাপাত হয়, তবুও আমি কিছুতেই তাকে পরিত্যাগ করব না।’ এ কথা বলে রাসুলুল্লাহ সা. কেঁদে ফেললেন।
.
বর্তমানে আমাদের মুসলিম শাসকরা নারী এবং টাকা/ক্ষমতার কাছে জিম্মী। যতদিন না ইউসুফ কিংবা মহানবী স. এর মতো চরিত্র ধারণ করতে পারবে না ততদিন বিজয় অসম্ভব অসম্ভব এবং অসম্ভব। ইসলামের ইতিহাস তা ই বলে।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কে টাকা এবং নারী লোভী নয়?
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬
ধুলো মেঘ বলেছেন: @সৈয়দ কুতুব, তিন বেলা খাবার, একটা বাড়ি আর একটা গাড়ি হলে আর কিছুই চাওয়া উচিত নয়। এর বেশি সবকিছুই বাহুল্য। সবচেয়ে লোভ করা উচিত কর্তব্য পালনে। যে মুত্তাকী - সে সবসময়েই কর্তব্য সঠিকভাবে পালনের ব্যাপারে সিরিয়াস থাকে।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬
পুরানমানব বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কে টাকা এবং নারী লোভী নয়?
আপনার দেখার মত চোখ নাই।
আপনাকে আগেও এক মন্তব্যে বলিয়াছি আপনার প্রতিটি মন্তব্য এবং লেখা সব পক্ষেই থাকে। নিজস্ব কোনো স্বকীয়তা আপনার ভেতর নাই। ইহা ডেভেলপ করার চেষ্টা করুন।
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পুরানমানব@আপনি আগে নিজে থেকে রেগুলার নয় সপ্তাহে ২টি ব্লগ লিখুন। আপনার ব্লগ থেকে আমি তাহলে শিখতে পারতাম। কমেন্ট করে কাউকে শিখানো যায় না। আর আমি কখনো কারো পক্ষে বা বিপক্ষে লিখি না। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি তাই লেখার চেষ্টা করি। কারো মনোরঞ্জন আমার উদ্দেশ্য নয়।
ধন্যবাদ।
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধুলো মেঘ@আপনার এসব কথা বহু কাল আগে থেকেই সবাই জানে। কিন্তু এসব থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পায় না। কারণ মহা মানবরা বাদে কেউ লোভ, রিপু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নি।
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: বিবেকটাকে জাগ্রত রাখতে পারলেই মানুষ সমস্ত রকম মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারবে। ধর্ম দিয়ে, ধর্মীয় গ্রন্থ দিয়ে মানুষকে সঠিক পথে আনা যায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
নবী ইউসুফ নিজেকে সামলে ইউসুফ হয়েছে, এখন কি কীভাবে সামলাবে?