![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হলাম তারকাঁটা, নই রক্তজবা ফুল //// আমি সেই পথের মাঝে, তুই করবি যেথায় ভুল।।
“অপ-রাজনীতিতে বলি হবেনা কোন আদর্শ অথবা কোন সূর্য সন্তান এই প্রত্যাশায়”
সম্পর্ক সবসময় মধুর হোক এটাই আমাদের চাওয়া থাকে। কিন্তু প্রকৃতির বিধানে হয়তো সেটা লেখা নাই তাই সবসময় হয় না। তবুও আশায় থাকি ভাল থাকুক সকল মাতা-পিতা আর সকল সম্পর্ক।
আমি এখনো একজন ছাত্র। একজন শিক্ষকও (প্রাইভেট টিওটর)। যাই হোক সতের বছর ধরে পড়াশুনা করছি। স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি জায়গাতেই পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আর সব সম্ভব হয়েছে আমার সম্মানিত শিক্ষকদের কারনেই। তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা কোনদিনই কম ছিল না। ভবিষ্যতেও কমবে না (কিছু শিক্ষক ছাড়া)।
মুদ্রার দুই পিঠ দুই রকম। সবখানেই ভাল-মন্দ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শিক্ষক এমন একটা চরিত্র, এমন একটা স্থান যার খারাপ কোন দিক কোনভাবেই কাম্য নয়। কারণ শিক্ষা জাতির মেরূদন্ড। আর তার নির্মাতা হচ্ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের মাঝে একটু দুর্বলতা মানেই জাতির ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যাওয়া। সকল লোভ-লালসার ঊর্ধে থাকবেন তারা। পিতা মাতার পরেই তাদের স্থান হবে। তাদের তৈরী সু-সন্তানরাই দিবে তাদের সম্মান। তাদের আচরনে গর্বিত হবেন শিক্ষকরা। উভয়ের মাঝে তৈরী হবে এক ভালবাসার সেতু বন্ধন। এমনটাই জেনে, দেখে আর শিখে আসছি স্কুল আর কলেজ জীবন থেকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিখেছি আর দেখেছি বাস্তব কিছু দিক যা হয়তো বাস্তবতার কারনেই দেখতে হয়েছে কিন্তু তবুও তা কাম্য ছিল না।
স্কুল আর কলেজে শিক্ষকদের খুব ভয় পাইতাম। তাদের সাথে খারাপ ভাবে কথা বলা, খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো, পিছনে পিছনে গালি দেয়া, অভিশাপ দেওয়া, পরে পামুনি (সুযোগ পাইলে প্রতিশোধ নেয়া) ইত্যাদি ইত্যাদি এসব চিন্তা ভাবনা কখনই আসতো না। আসতো না মানে তাদের যে এই ভাবে বকা দেয়া যায় কিংবা বকা দেয়ার মতো কাজ তারা করছে কিনা তাই বুঝতাম না। সম্মান মানে সম্মান। বাবা-মায়ের পরের স্থান মানে তাইইই যা বুঝায়। কিন্তু এখন (ভার্সিটিতে সাড়ে চার বছর কাটানোর পর) কেন জানি আমি বেদ্দপ (বেয়াদপ) হয়ে গেছি। আগের সংগা মতো সব কিছু পারি না মানতে। মনে হচ্ছে শিক্ষিত হয়ে আমি পাগল হয়ে গেছি। এর থেকে স্কুল আর কলেজে পড়ে শিক্ষিত হয়ে থাকাটাই ভাল হতো। সব কিছু ঠিকঠাক থাকতো।
বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিশ্বমানের জায়গা। এখানকার শিক্ষক আর ছাত্ররা হবে বিশ্বমানের। অনেকেই হয়। কিন্তু আমি পারিনি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার এক বছর ছয় মাস পরেই আমাকে দেখতে হয়েছে শিক্ষক রাজনীতি। যেখানে সেমিষ্টার ফি, ভর্তি ফি, ছাত্রছাত্রিদের ভাল ভাবে শিক্ষা আদায়ের আন্দোলনে কিছু শিক্ষকের আচরন। আমায় দেখতে হয়েছে, যেখানে আমার মতো কিছু ছাত্রদের শার্টের কলার ধরে, মারতে মারতে রক্তপাত করানো, থাপ্পর মারা, ছাত্রীদের সাথে অশ্লিল ব্যবহার করা আর সর্বশেষ সেই সব শিক্ষকদের ক্যাম্পাসের টাকায় বিদেশ পাঠান।
আমায় দেখতে হয়েছে শিক্ষকদের (কিছু) সেই কঠোরতা, যেখানে মাস্টার্স করা একজন ছাত্রকে তার রুম থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া। আমার সহ্য করতে হয়েছে সত্য কথা বলার কারনেও তাদের ধমক খাওয়া। আমায় সইতে হয়েছে নিজ হলে থাকার দাবির কারনে তাদের ইচ্ছাতেই জেলে যাওয়া। আমায় দেখতে হয়েছে আমার বন্ধুর হত্যাকারীদের তাদের ছায়ায় মুক্ত হওয়া। আমার ভাইয়ের মৃত্যুতে তাদের বলা “এমন দুই একটা লাশ বেপার না” কথাও সহ্য করতে হয়েছে আমায়।
তারপরও শিক্ষক মানে তিনিই যিনি আমার বাবা মায়ের পরের স্থানেই অবস্থান করেন। তাদের অধিকার আছে সম্মান পাওয়ার। তাই যখন ক্যাম্পাসে কোন শিক্ষককে আদর্শ শিক্ষক মনে হয় তখন মনে হয় আমার সব চিন্তা-ভাবনা ভুল। আমি ভুল। সিরিয়াসলি আমিইইই ভুল। কিন্তু তাদের সংখ্যা সিরিয়াসলিই কম। আর আশায়ও থাকি একদিন সিরিয়াসলি তাদের সংখ্যা বাড়বে। অন্তত যারা এইসব কিছু ফেস করে শিক্ষক হয়েছেন তারা অবশ্যই হবেন সেই সব আদর্শ শিক্ষক।।আর এজন্যে গঠনমুলক রাজনীতি আর একান্তই নিজস্ব মতামত জরুরী।
সম্মানটা জোরের বিষয় না। আদর্শের বিষয়। আদর্শের বলি হতে দেয়া কোন শিক্ষকই আদর্শ শিক্ষক হতে পারে না। একজন ভাল মানুষ তৈরী করার সাথে সাথে নিজের চরিত্রকেও সঠিক পথে ধরে রাখার বিষয়। শ্রদ্ধা জানাই সেই সব শিক্ষকদের যাদের কারনে আমার মতো বেদপ আজও বলেনি ভার্সিটির সকল শিক্ষক খারাপ।
(একান্তই নিজস্ব মতামত। যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে ক্ষমাপার্থী)
©somewhere in net ltd.