![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্বভালবাসা দিবস।
এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্বভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরুহয় সাম্প্রতিক কালেই। দুই শত সত্তর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা। তখন রোমের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সে সময় ভ্যালেন্টাইন নামে একজন সাধু, তরুণ প্রেমিকদের কে গোপন পরিণয়- মন্ত্রে দীক্ষা দিত।
এ অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। তার এ ভ্যালেন্টাইন নাম থেকেই এদিনটির নাম করণ করা হয়‘ ভ্যালেন্টাইন ডে’ যা আজকের ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’।
বাংলাদেশে এ দিবসটি পালনকরা শুরু হয় ১৯৯৩ইং সালে। যায়যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান নামের এক বুইড়া খাটাশ। আমাদের দেশে এই দিবসের আমদানি কারক। তার ব্যাপক ক্যাম্পেইনের ফলে টি,এস,সির কিছু ছাত্রদের সহায়তায় এটি প্রথম চালু হয়।
অপরিণাম দর্শী মিডিয়া কর্মীরা এরব্যাপক কভারেজ দেয়।
আর যায় কোথায় ! লুফে নেয় বাংলার তরুণ-তরুণীরা। এরপর থেকে ঈমানের ঘরে ভালবাসার পরিবর্তে ভুলের বাসা বেঁধে দেয়ারকাজটা যথারীতি চলছে।
আর এর ঠিক পিছনেই মানব জাতির আজন্ম শত্রু শয়তান। এইডস নামক মরণ-পেয়ালা হাতে নিয়ে দাঁত বেরকরে হাসছে। মানুষ যখন বিশ্বভালবাসা দিবস সম্পর্কে জানত না, তখন পৃথিবীতে ভালবাসার অভাব ছিলনা।
আজ পৃথিবীতে ভালবাসার বড় অভাব। তাই দিবস পালনকরে ভালবাসার কথা স্মরণকরিয়ে দিতে হয়! আর হবেইনা কেন! অপবিত্রতা নোংরামি আর শঠতার মাঝে তো আর ভালবাসা নামক ভালো বস্তু থাকতে পারে না।
তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হৃদয়থেকে ভালবাসা উঠিয়ে নিয়েছেন। বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে চেনারজন্য আরও কিছু বাস্তব নমুনা পেশ করা দরকার।
দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা বিশেষকরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো একেবারে বেসামাল হয়ে উঠে।
নিজেদের রূপা-সৌন্দর্য উজাড় করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে।
শুধুই কি তাই !
অঙ্কন পটীয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে। তাদের সামনে তরুণীরা পিঠ, বাহু আর হস্ত দ্বয় মেলে ধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেয়ার জন্য।
তার পর রাত পর্যন্ত নীরবে- নিবৃতে প্রেমিকবা প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প।
এহলো বিশ্ব ভালবাসা দিবসের কর্মসূচি!
বিশ্ব ভালবাসা দিবস না বলে বিশ্ব বেহায়াপনা দিবসবললে অন্তত নামকরণটি যথার্থ হতো।
©somewhere in net ltd.