![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে কর্মগুলো সম্পাদনের মাধ্যমে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যায় এবং জাহান্নাম হয়ে যায় তার স্থায়ী ঠিকানা, তার একটি হলো আল্লাহ, তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), তাঁর কিতাব (কুরআন শরীফ) অথবা মুমিনদের বিদ্রূপ করা। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য প্রয়োজন সুপরিসর জায়গা এবং দীর্ঘ সময়। তাই আমরা নিচের কয়েকটি উপশিরোনামে ভাগ করে বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
১. বিদ্রূপের সংজ্ঞা এবং এর কিছু দৃষ্টান্ত।
২. বিদ্রূপের বিধান, বিদ্রূপকারীর কুফরের প্রমাণ এবং এ ব্যাপারে আলেমদের অভিমত।
৩. বিদ্রূপকারীর তাওবার বিধান, তা কবুল হবে কি হবে না?
৪. বর্তমান যুগের বিদ্রূপের কিছু চিত্র।
বিদ্রূপের সংজ্ঞা :
আরবী যে ইস্তিহযা’ শব্দের অর্থ করা হয়েছে বিদ্রূপ, তার উদ্ভব استهزأ يستهزئ শব্দ থেকে। আরবী এ শব্দের ধাতুমূল হলো (ه- ز-ء), শব্দটি বরাবরই ব্যবহৃত হয় ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ও খেল-তামাশা অর্থে। [ইবন ফারেস, মাকায়ীস : ৬/৫২; রাগেব ইসফাহানী, মুফরাদাত : ৫৪০]
কতিপয় আলেমের মতে বিদ্রূপ দুই প্রকার। যথা :
১. প্রত্যক্ষ বিদ্রূপ :
যেমন ওই ব্যঙ্গোক্তি যে সম্পর্কে আয়াত নাযিল হয়েছিল। আর তা হলো, মুনাফিকদের বাক্য : ‘আমাদের এই পাঠকদের মতো আর দেখি নি, এরা সবচে বড় পেটুক। কিংবা এই ধরনের যে কোনো কথা যা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ হিসেবেই বলা হয়ে থাকে। যেমন কেউ বলল, তোমাদের এ ধর্ম হলো পঞ্চম ধর্ম। অথবা কেউ বলল, তোমাদের ধর্ম কদাকার। কিংবা সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধকারীকে দেখে কেউ বলল, দেখ তোমাদের সামনে এক জব্বর পরহেযগার এসেছে। এককথায় উপহাস ও বিদ্রূপের হেন বাক্য নেই যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়। [মাজমু‘আতুত তাওহীদ, পৃষ্ঠা : ৪০৯]
শায়েখ ফাওযান রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এসব কথার মতোই অভিন্ন হুকুম সেই কথাগুলোর বর্তমানে যা অনেকে উচ্চারণ করে থাকেন। যেমন : ‘আরে এই একবিংশ শতাব্দীতে ইসলাম অচল’, ‘ইসলাম এক মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা’, ‘ইসলাম মানে পশ্চাৎপদতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা’, ‘ইসলামের দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি বিধিতে রয়েছে বর্বরতা ও অমানবিকতা’, ‘তালাক বৈধ করে এবং একাধিক বিয়ের অনুমতি দিয়ে ইসলাম নারীর ওপর জুলুম করেছে’ ইত্যাকার উক্তি। এসবের সঙ্গে আরও যোগ করা যায় নিচের উক্তিগুলোকে :
‘শরীয়া ব্যবস্থার চেয়ে মানব রচিত ব্যবস্থায়ই আমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর’। কেউ শিরক ও কবরপূজা পরিহার করে তাওহীদের প্রতি সমর্পিত হবার আহ্বান জানালে তাকে এমন বলা, ‘সে একজন চরমপন্থী’, ‘সে মুসলিম জামাতে বিভক্তি সৃষ্ট করতে চাইছে’, ‘সে ওহাবী’, ‘সে দেখছি পঞ্চম মাজহাব প্রবর্তন করতে চাইছে’। এককথায় ইসলাম, মুসলিম ও বিশুদ্ধ আকীদার প্রতি বিদ্রুপাত্মক সব কথাই এর অন্তর্ভুক্ত। [কিতাবুত তাওহীদ, পৃষ্ঠা : ৪৭]
২. পরোক্ষ বিদ্রূপ :
পরোক্ষ বিদ্রূপ বা কটাক্ষের কোনো নির্ধারিত সীমা বা বাক্য নেই। যেমন : পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের সময় কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস চর্চা বা সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করতে দেখে চোখ টিপে দেয়া, জিভ বের করা, ঠোঁট প্রলম্বিত করা কিংবা হাতে ইশারা করে ভেংচি কাটা ইত্যাদি। [মাজমু‘আতুত তাওহীদ, পৃষ্ঠা : ৪০৯]
ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপের পরিণাম :
ইসলামকে বিদ্রূপ করা, ব্যঙ্গ বা কটাক্ষ করা সরাসরি কুফরের নামান্তর। যে দশটি কাজের মাধ্যমে মানুষ ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায় তার অন্যতম এ বিদ্রূপ। তাছাড়া এটি মুনাফিকদের সবচে বড় বৈশিষ্ট্য। এ ব্যাপারে অনেক প্রমাণ বিদ্যমান। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥﴾ [التوبة: 65]
‘আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমরা আলাপচারিতা ও খেল-তামাশা করছিলাম। বল, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলের সাথে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে’ ? {সূরা আত-তাওবা, আয়াত : ৬৫}
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,
﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ أَجۡرَمُواْ كَانُواْ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ يَضۡحَكُونَ ٢٩ وَإِذَا مَرُّواْ بِهِمۡ يَتَغَامَزُونَ ٣٠ وَإِذَا ٱنقَلَبُوٓاْ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِمُ ٱنقَلَبُواْ فَكِهِينَ ٣١ وَإِذَا رَأَوۡهُمۡ قَالُوٓاْ إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَضَآلُّونَ ٣٢ ﴾ [المطففين: ٢٩، ٣٢]
‘নিশ্চয় যারা অপরাধ করেছে তারা মুমিনদেরকে নিয়ে হাসত। আর যখন তারা মুমিনদের পাশ দিয়ে যেত তখন তারা তাদেরকে নিয়ে চোখ টিপে বিদ্রূপ করত। আর যখন তারা পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে আসত তখন তারা উৎফুল্ল হয়ে ফিরে আসত। আর যখন তারা মুমিনদের দেখত তখন বলত, ‘নিশ্চয় এরা পথভ্রষ্ট’। {সূরা আল-মুতাফফিফীন, আয়াত : ২৯-৩২}
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অন্যত্র ইরশাদ করেন,
﴿ يَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ مَا قَالُواْ وَلَقَدۡ قَالُواْ كَلِمَةَ ٱلۡكُفۡرِ وَكَفَرُواْ بَعۡدَ إِسۡلَٰمِهِمۡ وَهَمُّواْ بِمَا لَمۡ يَنَالُواْۚ ﴾ [التوبة: 74]
‘তারা আল্লাহর কসম করে যে, তারা (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের জড়িয়ে ব্যঙ্গাত্মক কিছু) বলেনি, অথচ তারা কুফরী বাক্য বলেছে এবং ইসলাম গ্রহণের পর কুফরী করেছে। আর মনস্থ করেছে এমন কিছুর যা তারা পায়নি।’ {সূরা আত-তাওবা, আয়াত : ৭৪}
এসব আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট :
ইবন উমর, মুহাম্মদ ইবন কা‘ব, যায়েদ ইবন আসলাম ও কাতাদা প্রমূখ রাদিআল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
قال رجل في غزوة تبوك ما رأينا مثل قرائنا هؤلاء أرغب بطونا ولا أكذب ألسنا ولا أجبن عند اللقاء يعني رسول الله صلى الله عليه و سلم وأصحابه القراء فقال له عوف بن مالك كذبت ولكنك منافق لأخبرن رسول الله صلى الله عليه و سلم فذهب عوف الى رسول الله صلى الله عليه و سلم ليخبره فوجد القرآن قد سبقه فجاء ذلك الرجل إلى رسول الله صلى الله عليه و سلم وقد ارتحل وركب ناقته فقال يا رسول الله إنما كنا نخوض ونلعب ونتحدث حديث الركب نقطع به عنا الطريق قال ابن عمر كأني أنظر إليه متعلقا بنسعة ناقة رسول الله صلى الله عليه و سلم وإن الحجارة لتنكب رجليه وهو يقول إنما كنا نخوض ونلعب فيقول له رسول الله صلى الله عليه و سلم أبالله وآياته ورسوله كنتم تستهزؤن ما يلتفت اليه وما يزيد عليه
এক ব্যক্তি গাযওয়ায়ে তাবূকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিল। সে বলল, ‘আমাদের এই পাঠকদের চেয়ে বড় পেটুক, এদের চেয়ে অধিক মিথ্যাভাষী দেখিনি এবং যুদ্ধের সময় এদের চেয়ে ভীরু আর কাউকে দেখিনি’। সে তার কথার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পাঠক সাহাবীদের দিকে ইঙ্গিত করছিল। এ কথা শুনে আবদুর রহমান ইবন আউফ রাদিআল্লাহু আনহু গেলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে। দেখলেন কুরআন তাঁর চেয়ে আগ্রবর্তী হয়েছে (তিনি বলার আগেই সে বিষয়ে কুরআনের ওহী নাযিল হয়েছে)।
অতপর ওই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মুখে এলো। ততক্ষণে তিনি পথ চলতে শুরু করেছেন এবং তাঁর উটনীর পিঠে উঠে বসেছেন। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা আলাপচারিতা ও খেল-তামাশা করছিলাম। আর দশজন আরোহীর মতো আমরা গল্প-গুজবের মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলাম। ইবন রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, আমি যেন তার সে দৃশ্য অবলোকন করছি, সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উটনীর জিনের বেল্টের সঙ্গে লেপ্টে আছে আর তার দু পায়ের সাথে পাথরের ঘেঁষা লাগছে। সে বলছে, আমরা আলাপচারিতা ও খেল-তামাশা করছিলাম।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উদ্দেশে বললেন,
﴿ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥﴾ [التوبة: 65]
‘আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলের সাথে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে’ ? {সূরা আত-তাওবা, আয়াত : ৬৫}
তিনি আর কথা বাড়ালেন না। তার প্রতি ভ্রুক্ষেপও করলেন না। [তাফসীর ইবন জারীর : ১৬৯৭০, পৃষ্ঠা নং ৪০৩৬/৫]
শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া রহ. বলেন,
আল্লাহ, তাঁর কুরআনের আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে কটাক্ষ করা কুফুরী। এর মাধ্যমে একজন মানুষ ঈমান আনার পরও কাফের হয়ে যায়। [মাজমু‘ ফাতাওয়া : ২৭৩/৭]
ইমাম নাববী রহ. বলেন,
যদি কেউ মদের পাত্র আদান-প্রদানের সময় কিংবা ব্যভিচারে লিপ্ত হবার প্রাক্কালে আল্লাহকে তাচ্ছিল্য করে বিসমিল্লাহ বলে, তবে সে কাফের হয়ে যাবে। [রাওদাতুত তালিবীন : ৬৭/১০]
শায়খ মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব রহ. তদীয় গ্রন্থ ‘আত-তাওহীদ’ এ বলেন,
‘এ অধ্যায় তার আলোচনায় যে আল্লাহর যিকর বা কুরআন অথবা রাসূলকে তাচ্ছিল্য করে’ : প্রথম হলো আর সেটিই সবচে বেশি ভয়াবহ : যে এসবকে বিদ্রূপ করবে সে কাফের। [আত-তাওহীদ : ৫৮]
শায়খ সুলায়ইমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন আবদুল ওয়াহাব বলেন,
যে এ ধরনের কিছু বলবে তার কাফের হওয়ার ব্যাপারে সকল আলেম একমত। অতএব যে আল্লাহ, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূল অথবা তাঁর দীনকে বিদ্রূপ করবে, প্রকৃতই ঠাট্টাচ্ছলে এমন বললে সবার ঐকমত্যে সে কাফের হয়ে যাবে। [তাইসীরুল আযীযিল হামীদ : ৬১৭]
শায়খ মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম রহ. কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,
যে দাড়িকে ঘৃণা করবে এবং বলবে এটি আবর্জনা, সে কি মুরতাদ হয়ে যাবে? উত্তরে তিনি বলেন, যদি সে জানে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক দাড়ি প্রমাণিত, তাহলে তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনীত দীনকে অস্বীকার করার শামিল হবে। ফলে তাকে মুরতাদ আখ্যা দেয়াই হবে যুক্তিযুক্ত। [ফাতাওয়া শায়খ মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম : ১৯৫/১১]
সেই বাক্যগুলোর মাধ্যমেও মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় যে কুফরী বাক্যগুলো মুসলিম সন্তানেরা বেখেয়ালে অহরহই উচ্চারণ করে থাকেন। ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহিমাহুমাল্লার একটি হাদীস এখানে তুলে ধরা যায়। আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
« إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مَا يَتَبَيَّنُ مَا فِيهَا يَهْوِى بِهَا فِى النَّارِ أَبْعَدَ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ ».
‘নিশ্চয় বান্দা অনেক সময় এমন বাক্য উচ্চারণ করে যার অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে ভেবে দেখা হয় না। অথচ তা তাকে জাহান্নামের এত নিচে নিক্ষেপ করে যার দূরত্ব পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝের দূরত্ব থেকেও বেশি।’ [বুখারী : ৬৪৭৭; মুসলিম : ৭৬৭৩]
বিদ্রূপকারীর তাওবা :
বিদ্রূপকারীর তাওবা সম্পর্কে শায়খ ইবন উসাইমীন রহ. তদীয় ‘আল-কাওলুল মুফীদ ফী শারহি কিতাবি আত-তাওহীদ’ গ্রন্থে বলেন,
ثم اعلم أن العلماء اختلفوا فيمن سب الله أو رسوله أو كتابه: هل تقبل توبته؟ على قولين:
القول الأول: أنها لا تقبل، وهو المشهور عند الحنابلة، بل يقتل كافرا، ولا يصلى عليه، ولا يدعى له بالرحمة، ويدفن في محل بعيد عن قبور المسلمين، ولو قال: إنه تاب أو إنه أخطأ; لأنهم يقولون: إن هذه الردة أمرها عظيم، وكبير، لا تنفع فيها التوبة.
وقال بعض أهل العلم: إنها تقبل؛ إذا علمنا صدق توبته إلى الله، وأقر على نفسه بالخطأ، ووصف الله تعالى بما يستحق من صفات التعظيم، وذلك لعموم الأدلة الدالة على قبول التوبة; كقوله تعالى: {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعاً} [الزمر: من الآية53]،
‘অতপর জেনে রাখুন, আল্লাহ, রাসূল ও কুরআনকে কটাক্ষকারীর তাওবা গ্রহণযোগ্য কি-না এ সম্পর্কে আলেমগণের দুই রকম মত ব্যক্ত হয়েছে :
প্রথম. তার তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়। হাম্বলীদের মাঝে এ মতটি অধিক প্রসিদ্ধ। তাকে কাফির হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হবে। তার জানাযা পড়া হবে না আর তার জন্য দু‘আও করা হবে না। মুসলিমদের কবরস্থান থেকে দূরে কোথাও তাকে কবর দেওয়া হবে। যদিও বলা হয় সে তওবা করেছে অথবা ভুল করেছে। কারণ, তাঁরা বলেন, এই ধর্মত্যাগ বা খোদাদ্রোহীতার ব্যাপারটি বড় ভয়াবহ। এর তাওবাও কার্যকর হয় না।
দ্বিতীয়. তবে অপর একদল আলেমের মতে, তার তাওবা কবুল করা হবে যখন আমরা জানব যে সে আন্তরিকভাবে তাওবা করেছে, হৃদয় থেকে ভুল স্বীকার করেছে এবং আল্লাহকে তাঁর যথাযোগ্য বিশেষণে বিশেষিত করেছে। আর তাঁরা তা বলেছেন তাওবা কবুলের ঘোষণা সম্বলিত আয়াতটি ব্যাপক হবার যুক্তিতে। আল্লাহ যেমন বলেছেন,
﴿ ۞قُلۡ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسۡرَفُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُواْ مِن رَّحۡمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ ٥٣ ﴾ [الزمر: ٥٢]
‘বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। {সূরা আয-যুমার, আয়াত : ৫২}
[‘আল-কাওলুল মুফীদ ফী শারহি কিতাবি আত-তাওহীদ : ২৬৮/২]
ইদানীং ইসলামকে বিদ্রূপ ও কটাক্ষের যেসব রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করি তার মধ্যে রয়েছে ওই সব কটুক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে মুদ্রিত হয়। তথাকথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এসব প্রকাশ করা হলেও এসবের পশ্চাতে থাকে দীন বিমুখতা ও ইসলাম থেকে বিদ্রোহের মানসিকতা।
একজন এঁকেছে একটি মোরগ আর তার অনুসরণ করছে চারটি মুরগী। এর মাধ্যমে সে একাধিক বিয়েকে ব্যঙ্গ করেছে। আরেকজন একটি প্রবন্ধ লিখেছে, যাতে হিজাব ও পর্দা বিধানের ওপর ন্যাক্কার হামলা চালানো হয়েছে। সে বলছে এটি হলো পশ্চাৎপদতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রকাশ। আরেক জনকে দেখা গেছে সে পবিত্র কুরআনকে কবিতা বানিয়ে গানের মতো বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সুর দিয়ে পড়ছে। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন।
আমাদের জেনে রাখা দরকার যারা এসব ব্যঙ্গচিত্র ও কটুক্তির সাথে জড়িত তীব্রভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। এ কাজের ভয়াবহ অশুভ পরিণতি সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করতে হবে। ঘৃণায় তাদের সঙ্গে উঠাবসাও ত্যাগ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَقَدۡ نَزَّلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلۡكِتَٰبِ أَنۡ إِذَا سَمِعۡتُمۡ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ يُكۡفَرُ بِهَا وَيُسۡتَهۡزَأُ بِهَا فَلَا تَقۡعُدُواْ مَعَهُمۡ حَتَّىٰ يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيۡرِهِۦٓ إِنَّكُمۡ إِذٗا مِّثۡلُهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ جَامِعُ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱلۡكَٰفِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا ١٤٠ ﴾ [النساء : ١٤٠]
‘আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকে জাহান্নামে একত্রকারী।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৪০}
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: পোস্ট অনেক উপকারী। আল্লাহ সকল মুসলিমকে ইসলাম বুঝে চলার তৌফিক দান করুন।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
কে বা কারা বলেছেন: এখনো কিছু লোক বলতে চায় থাবা বাবা ব্লগ তৈরি হয়েছে সম্প্রতি অথচ যে কেউ গুগলে গিয়ে inurl:http://nuranichapa.wordpress.com লিখলেই জানতে পারে সব।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
বিপদ সংকেত! বলেছেন: প্রচার ও প্রসার চায় না এমন একটি ধর্মের নাম বলুন? যে দিন এই প্রচার ও প্রসার বন্ধ হবে সেই দিন হয়তো পৃথিবীর সব ধর্মের মানুষ একত্রে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল বর্ণের মানুষ শান্তিতে থাকুক।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ বিপদ সংকেত, আল্লাহতালা ইসলাম প্রচারের তাগিদ দিছেন। কিন্তু কে ইসলাম গ্রহণ করবে না করবে সেটা বেশীর ভাগই ব্যাক্তির ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। বাকী হেদায়েতের মালিক আল্লাহ। মুসলমানের সংখ্যা বাড়ল অথবা না বাড়ল তাতে আল্লাহর কিছুই যায় আসে না। কারণ তিনি স্বয়ং সম্পূর্ণ। তাই মুসলমানদের এই নিয়ে কোন জোর জবরদস্তিতো দূর কাউকে বিরক্ত করারও অধিকার নাই। ১৪০০ বছরের পুরোনো ইসলামকে সবচেয়ে বেশী বদনাম করছে ওহাবী মতবাদ।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
দিশার বলেছেন: ভাই ইসলাম ও শান্তির ধর্ম, আর সাগল ও আকাশে ওরে . ইতিহাস পরা আসে নাকি, জ্ঞান পাপী জানি না। "শান্তির" ইসলাম যখন আরবের মরুভূমি ছাড়ায়ে , ইরান , ইরাক , সিরেয়ার , স্পেন এর উপর "জিহাদ " রূপে ঝাপিয়ে পরে তখন "শান্তির" ধর্ম কই ছিল ? সরিয়াহ আইন বাস্তবায়িত একটা "শান্তির" দেশ এর নাম দেন, আমি দেই?, পাকিস্তান, মালি, সুদান, আফগানিস্তান . ইসলামের নবী ঘোষণা দেয় নাই? যুদ্ধ লব্ধ মালামাল তার জন্য জায়েজ , যা পূর্ব বর্তী নবীদের জন্য ছিল না জায়েজ .
আপনারা সামান্য কার্টুন আকা সহ্য করতে পারেন না , অথচ দাবি করেন শান্তির ধর্ম।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
মুহাম্মদ যিয়ান ইলাহী বলেছেন: ফেরাওন, আবু জাহলরা তাদের "যোগ্যতা" অনুযায়ীই শাস্তি পাবে ইনশাআল্লাহ।
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র...
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমিন।
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ দিশার, ইসলাম প্রচারে বাধা আসায় পার্সিয়ান ও ইউরোপীয়ানদের সাথে যুদ্ধ বাধে। স্পেনে ইসলাম যাওয়ার আগে পরে সেখানে বহু ইহুদীদের উপর নির্যাতন করা হত। অনেককে হত্যা, জোর পূর্বক খ্রীষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হত। অনেক মুসলমানকেও তখন জোর পূর্বক খ্রীষ্টান বানানো হয়। আর যারা হয়নি তাদেরকে স্পেন থেকে বহিস্কার করাও হয়;
The Tribunal of the Holy Office of the Inquisition (Spanish: Tribunal del Santo Oficio de la Inquisición), commonly known as the Spanish Inquisition (Inquisición española), was a tribunal established in 1480 by Catholic Monarchs, Ferdinand II of Aragon and Isabella I of Castile. It was intended to maintain Catholic orthodoxy in their kingdoms, and to replace the Medieval Inquisition which was under Papal control. It became the most substantive of the three different manifestations of the wider Christian Inquisition along with the Roman Inquisition and Portuguese Inquisition.
The Inquisition was originally intended in large part to ensure the orthodoxy of those who converted from Judaism and Islam. This regulation of the faith of the newly converted was intensified after the royal decrees issued in 1492 and 1501 ordering Jews and Muslims to convert or leave.
Click This Link
রাসুল(সাঃ) এর সময় তার সাহাবারা ও মুসলমানগণ যুদ্ধে হারলে শত্রুপক্ষও মুসলমানদের মালামাল কব্জা করে নিত। এটাই ছিল আরবের যুদ্ধরীতি। মনে রাখবেন একদিনে যেমন এই সমস্ত অন্যায় আসেনি তেমনি রাতারাতিও যাবে না।
শরীয়া আইন তখনই সম্ভব যখন মেজরিটি মুসলিম এটাকে সমর্থন করবে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে রাসুল(সাঃ) বিদায় হজ্জের ভাষণে বলে গেছেন। তারপরও কেউ এমন করলে সেটা তার ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর দোষ ইসলামের নয়।
আমাদের কাছে রাসুল(সাঃ) অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান। তাকে নিয়ে কার্টূন মানে ইসলামকেই ঘৃণার শামিল। খোজ নিয়ে দেখেন ইউরোপে এত স্বাধীনতা থাকলেও এন্টি-সেমেটিক ও বর্ণবাদী মন্তব্য হলেই তাকে শাস্তি পেতে হয়। তেমনি মুসলমানদের কাছেও তাদের নবীকে নিয়ে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ ও অশোভন মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য।
১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ‘আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকে জাহান্নামে একত্রকারী।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৪০}
আজকে আমাদের মুসলমানদের র্দূভাগ্য এই বাংলাদেশে ইসলাম ও রাসুল(সাঃ)কে কটাক্ষ ও নোংরা মন্তব্যকারীদেরকে কেউ কেউ জাতির বিবেক ও শহীদ বলে আখ্যায়িত করে। তাই তারা মুসলমান নামধারী হওয়া সত্ত্বেও এরা মোনাফেক।
ধন্যবাদ।
++++++++++++++
১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০
দিশার বলেছেন: @বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। জি ভাই ধন্য বাদ দেখিয়ে দেয়ার জন্য যে ইসলাম "শান্তির" ধর্ম। "বাধা" আশায় সেনাবাহিনী নিয়ে ঝাপায়ে পড়তে হয়েছে . তারমানে জায়েজ বানাইলেন, অজুহাত দিয়ে। তাহলে এখন ও তো অনেক বাধা আসে , হরহামেশা, ইসলাম নিয়ে বঙ্গ বিদ্রুপ হয় , প্রচারে বাধা হয় , মুসলিম মেরে শেষ করে দিল, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন যে, ঝাপায়ে পরে না কেন মুসলিম বিশ্ব? কারণ এখন আর কোমরে সেই জোর নাই . জোর থাকলে আবার আপনারা "শান্তি"র মার কাস থেকে বিদায় নিয়ে " জিহাদ" এর আয়েত গুলা পরবেন .
মৌলবাদী , বা যে কোনো অন্ধ বিসসাস মানে যে খারাপ তার একটা উদাহরণ ইন্কুইজিসন . মানব জাতির কলঙ্কময় অধ্যায় .
সরিয়া আইন ময় শান্তির দেশ এর উদাহরণ আমি দিলাম, আপনে কেমনে যুক্তি খন্ডন করলেন মাতার উপর দিয়া গেল!! নাকি বলেবন এরা কেব "ট্রু " ইসলাম ফলো করতেসেনা !
আপনার লজিক তা মাঠে মারা গেল, কারণ ইউরোপ আমেরিকা তে , কোনো মুসলিম কে নিয়ে হাসাহাসি করা হয় না, জাস্ট কারণ সে মুসলিম! তার বিলিফ নিয়ে রঙ্গ করা হয়, ঠিক যেমনি ইহুদি দের, বা কালো দের বিলিফ নিয়ে হাসাহাসি, রঙ্গ সিনেমা , কমিদী শো সব করা হয় . কিন্তু "কালো " বা ইহুদি বা মুসলিম দের নিয়ে না . আশা করি দিফেরেন্চে তা বুঝতে পারসী . ইউরোপ আমেরিকায় ঘুরে বলতেসি।
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮
দিশার বলেছেন: " বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ বিপদ সংকেত, আল্লাহতালা ইসলাম প্রচারের তাগিদ দিছেন। কিন্তু কে ইসলাম গ্রহণ করবে না করবে সেটা বেশীর ভাগই ব্যাক্তির ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। বাকী হেদায়েতের মালিক আল্লাহ। মুসলমানের সংখ্যা বাড়ল অথবা না বাড়ল তাতে আল্লাহর কিছুই যায় আসে না। কারণ তিনি স্বয়ং সম্পূর্ণ। তাই মুসলমানদের এই নিয়ে কোন জোর জবরদস্তিতো দূর কাউকে বিরক্ত করারও অধিকার নাই। "
ভাই আপনের এই কথার সাথে ১০ নম্বর কমেন্ট য়ে করা কথার কোনো মিল আসে? ইসলামে বাড়াবাড়ি নাই এক মুখে বলে, হাতে তলোয়ার হাতে একটা দেশ এর উপর ঝাপায়ে পরবেন , মশকরা নাকি! তাইলে তো মঙ্গল রা ঠিক করসিলো কি বলেন?
১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ দিশার, আপনের বিবেচনা একতরফা। আপনি প্রথমে ইউরোপে সেই সময় মুসলমানদের আক্রমণের কথা তুললেন এখন যখন আমি পুরো বিষয়টার সমন্ধে ইংগিত করলাম তখন সেটা আপনি সঠিক মনে করেন না। এটা কোন ধরণের সুবিচার? জিহাদ মানে আক্রমণাত্নক নয়। জিহাদ মানে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া। কিছু আছে পরিস্থিতি সাপেক্ষে কিছু সাথে সাথে জিহাদ করতে হয়। জিহাদ এই পোষ্টের বক্তব্য না।
আজকের ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান কম-বেশী অতীতের ইসলামী দুনিয়া হতে অনেকটাই আলাদা। কারণ এখানে মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ক্ষমতা লোভ সহ নানা পরিপার্শ্বিক কারণ আছে। এরা কেউই পুরোপুরি ইসলামী আদর্শ মোতাবেক চলত না। ইসলাম যেখানে মুসলমান একজাতি বলে সেখানে তারা আরব, তুর্কী, কুর্দী সহ নানান আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদ নিয়ে ব্যাস্ত ছিল। খোলাফায়ে রাশেদীনের পরে অনেক মুসলিম শাসকেরই ভুল-ভ্রান্তি ও অন্যায় আছে। সেটা ভিন্ন বিষয়। পোষ্টের প্রসঙ্গেই থাকা উচিত।
শরীয়া সহ ইসলামের যেকোন বিষয়ই অহেতুক কারো উপর চাপিয়ে দেওয়ার বস্তু নয়। দেশের সিংহভাগ মুসলমান যদি না চায় এটা নিয়ে অশান্তি করা ঠিক নয়। কেউ প্রচার করলে করুক এই সমন্ধে কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হতে হবে। কে মানল না মানল সেটা আল্লাহ দেখবেন। এটা অবশ্য আপনার বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনার ব্যাপার। আমার যে বিশ্বাস সেটা আপনার নাও থাকতে পারে। তাই সহজে বুঝা হয়ে উঠবে না।
কারো বিশ্বাস বা ধর্ম একজনের নাও ভাল লাগতে পারে তাই বলে তাকে বিদ্রুপ করা মানে একই ধর্মে বিশ্বাসী সকলকে অপমান করা। এটা ঘৃণাবোধ থেকেই বেশী হয়। ইসলাম যদি অন্য শান্তিপূর্ণ ধর্ম বা বিশ্বাসকে নিয়ে ঘৃণা না করে তবে কেন অন্যরা খামাখা ইসলাম ও তার নবীকে নিয়ে বিদ্রুপ করবে? ইসলাম কি অন্যের ধর্ম পালনে বাধা দেয়? অন্যের ধর্মকে নিয়ে ঢালাও ভাবে কোন সূনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সমালোচনা, ব্যাঙ্গ এই সব কোন সুস্থ মনের লক্ষণ নয়। তারা সিক ম্যান্টালিটির। তারপরেও বলব সব অমুসলিম ও নাস্তিক যেমন ইসলাম নিয়ে বিদ্রুপ করে না তেমনি সব মুসলমানই এই বিদ্রুপের প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে উঠে না।
আপনি যতই নিজেকে মনো সান্তনা দেন প্রকৃতপক্ষে ইসলাম পৃথিবীর সবচেয়ে বর্ধনশীল ধর্ম। অবশ্য আপনি যদি নিজেকে খুব চালাক ভাবেন তবে তারা আপনার কাছে বোকা হতেই পারে।
১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ দিশার, ইসলামের বিধান ও কিছু মুসলমানের ভুলকে আপনি এক করে ফেলছেন। এই সমন্ধে পবিত্র কোরআন কি বলে দেখেন;
ধর্মে কোন জোর জবরদস্তি নাই। সত্য, মিথ্যা থেকে সুস্পষ্টরূপে পৃথক হয়েছে। যে কেউ মন্দকে ত্যাগ করবে এবং আল্লাহতে ঈমান আনবে, সে এমন এক মজবুত হাতল ধরবে যা কখনও ভাঙ্গবে না এবং আল্লাহ্ সকল কিছুই শোনেন এবং জানেন।(সুরা বাকারাহ, আয়াত ২৫৬)
এ ছাড়াও;
এই কারণে বণী ইসরাঈলীদের এই বিধান দিলাম যে নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করার কারণ ব্যতীত যদি কেহ কাউকে হত্যা করে, সে যেনো দুনিয়ার সকল মানুষকেই হত্যা করলো এবং যদি কেউ একটি প্রাণ রক্ষা করে সে যেনো সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করলো। অতঃপর যদিও তাদের নিকট আমার রাসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণসহ এসেছিলো, এরপরও তাদের মধ্যে অনেকেই সীমালংঘনকারীই থেকে গেলো।(সুরা মায়েদা, আয়াত ৩২)
কাজেই কোন মুসলমানের এর বাইরে গিয়ে অন্যায় করলে ইসলামের বিধান তার দায় দায়িত্ব নিবে না। কিন্তু সে এই অন্যায়ের জন্য আখেরাতেতো বটেই দুনিয়াতেও শাস্তি পাওয়ারযোগ্য।
১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
দিশার বলেছেন: @বাংলাদেশ ভাই , দেখসেন আপনে ওই একই কুমিরের বাচ্চা দেখাইলেন , ১৩০ কোটি মুসলমান এর ভিতর কে তাইলে, আপনের ভাষায় সত্যিকার এর ইসলাম ফলো করতেসে বলেন ,ইরাক ম আফগানিস্ত, মালি, সুদান, পাকিস্তান, সৌদি কোথায় ই কথিত "শান্তির" ইসলাম ফলো করা হচ্ছে বলেন .
আপনাদের হাতে কি তাইলে ওই ১৪০০ বসর আগের ছাড়া আর কোনো উদাহরণ নাই? যেটা কিনা অন্য জাতি/দেশ এর উপর একের পর এক আক্রমন এর উদাহরণ য়ে ভরা! যেটাকে আপনারা শান্তি পূর্ণ ইসলাম প্রচার বলে চালাতে চান।
আপনে জবাব দিলেন না, সরিয়াহ আইন সহ শান্তির দেশ কোনটা?
আপনার যেমন "অধিকার" আসে যা খুসি বিসসাস করা, আমার ও অধিকার তা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা . সুনির্দিষ্ট কারণ নিয়ে করা হয় , নাইলে তো চুটকি হবে না। যেমন নুহ এর নৌকা , সৃষ্টির কাহিনী , দাস প্রথা, যুদ্ধ দাসী , বহু বিবাহ , জিহাদ , কালো জিরা , আলাক , এজল এমন বহু "বিসসাস" নিয়ে হাসি তামাশা করা যেতে পারে .
আপনি যেমন রাক্ষস খোক্কস য়ে বিসসাস করা মানুষ কে হাসাহাসি করতে পারেন, তেমন য়ে আমি "জিজ্ন . পরি" বিসসাস করা কাওকে নিয়ে হাসাহাসি করতে পারি।
ডিফারেন্স হলো , আপনারা জবাই দেন , চাপাটি দিয়ে কোপান ভিন্ন মতের কাউকে , আর আমরা খুব বেশি হলে একটা দুইটা গল্প কবিতা লিখি। এবার দেখেন কে শান্তির পক্ষে।
আর জিহাদ এর আয়াত দিব ? কয়টা লাগবে বলেন
১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ দিশার ভাই, অ হতে চন্দ্রবিন্দু বর্ণ পড়াকে যদি কুমিরের ছানা বলেন তাইলে আর কি করার? ইসলামের ভিত্তিই হল কোরআন। এটা যে মানবে সঠিক ইসলাম অনুসরণ করে নতুবা সেটা ইসলামী হবে না। এই সহজ বিষয়টাকে জটিল করছেন কেন?
আমিতো বলছিই সবাই যেমন ইসলাম নিয়ে ঠাট্টা করে না তেমনি সব মুসলমানই অসহিষ্ণু হয়ে উঠে না। বরং বেছে বেছে কৌশলে ইসলামকে নিয়ে নোংরা কথা বলা জ্ঞানপাপীর মতই কথা। এটা বুদ্ধিবৃত্তিক অপরাধ।
দেখান জিহাদ নিয়ে আপনার কোথায় আপত্তি আছে(সুরা আয়াত নাম্বার সহ), চেষ্টা করি ব্যাখ্যা করার।
১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ দিশার, মনে রাখবেন পবিত্র কোরআনের কিছু বুঝার বিষয় জটিল হলেও বাকী গুলো সহজ। সে যাই হৌক আমি ইসলামের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবে। মানবেন না মানবেন সেটা আপনার ব্যাপার।
১৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৯
দিশার বলেছেন: ভাই বেক্ষা শুনতে শুনতে এত বড় হইসি , থামেন আর বেক্ষা দরকার নাই . সব জায়েজ আপনাদের জন্য .
"শান্তি" প্রচারে জিহাদ ও জায়েজ, জিহাদ শেষ যে দাসী সহবত ও জায়েজ , মানুষ রে বুঝানোর লাইগা , পালক পুত্র বধুরে বিয়ে ও জায়েজ . সপ্ন মোতাবেক বন্ধুর ৬ বসর এর বাচ্চা মেয়ে ও বিয়ে করা জায়েজ . সুমহান ধর্মের , মহান মহান সব কীর্তি কারবার চলতেসে তো, পাকিস্তান, মালি, সুদান, আফগানিস্তান, কঙ্গো তে। চলে যান ঐখানে . শান্তি মত সরিয়াহ পালন করেন .
২০| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:০৪
দিশার বলেছেন: আল কোরআন ১৬:৬৯
তারা কি পাখীদের প্রতি লক্ষ্য করেনি যে, তারা শুন্যমণ্ডলে নিয়ন্ত্রিত রয়েছে?
আল্লাহ ছাড়া কেউ এদেরকে ধরে রাখে না
এয়ার প্রেসার সম্পর্কে ধারণা না থাকলে যা হয় . ( আবার বৈলেন না যে আল্লায় এয়ার প্রেসার দিসে , ঐটা মিন করা হইসে হাহা )
২১| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:১৪
দিশার বলেছেন: আল কোরআন ৮:৬৫,৬৬
যদি তোমাদের মধ্যে ২০ জন দৃঢ়পদ লোক থাকে, তবে তারা ২০০ জনের উপর জয়লাভ করবে।... যদি তোমাদের মধ্যে ১০০ জন দৃঢ়পদ লোক থাকে, তবে তারা ২০০ জনের উপর জয়লাভ করবে
উপরের আয়াত বুঝায়ে দেন পারলে , বহুত দিন ধৈরা ইটা বুঝার চেষ্টা করতেসি। অঙ্ক আমিও কাচা , কিন্তু এমন ভুল মনে হয় ক্লাস ৬ এর বাচ্চা রাও করবে না .
৬৫ নম্বর আয়াত যে ratio তা হইলো (মুমিন:কাফের ) ১০ গুন সুত্রুর সাথে জয়ী হবে।
৬৬ নম্বর আয়াত যে , বোঝা হালকা করে দেয়ার পর , সংখা কমল কিন্তু ratio বেড়ে গেল!! হয়ে গেল (মুমিন:কাফের) ২ গুন শত্রুর সাথে জয়ী !
২২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: @ দিশার
আপনি তো অনেক ভুলই ধরলেন। পুরানো এলিয়েনে বেইল পায়না নতুন এলিয়েনের আমদানি। এখন আপনার ল্যান্জাটা ক্লিয়ার করেন তো। আপনি কি নাস্তিক নাকি হিন্দু? নাস্তিক হলে করুনা রইলো আর হিন্দু হলে কথা আছে।
২৩| ০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ‘আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকে জাহান্নামে একত্রকারী।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৪০}
আজকে আমাদের মুসলমানদের র্দূভাগ্য এই বাংলাদেশে ইসলাম ও রাসুল(সাঃ)কে কটাক্ষ ও নোংরা মন্তব্যকারীদেরকে কেউ কেউ জাতির বিবেক ও শহীদ বলে আখ্যায়িত করে। তাই তারা মুসলমান নামধারী হওয়া সত্ত্বেও এরা মোনাফেক।
ধন্যবাদ।