![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝুরিটা তার নুয়ে পড়েছে নিচে সর্ব-বিনাশী মানুষের
ভার বয়ে বয়ে। ছায়ায় তার ছেয়ে আছে চারপাশটা -
নদীর জলে ঝরে যাওয়া পাতা বয়ে যেতে যেতে
খাচ্ছে দোল সর্বক্ষণ। মানুষ জনা দশ সমূলে উৎপাটন
করবে তাকে, শতবর্ষ প্রাচীন চির অমলিন এই বটবৃক্ষটাকে।
এ কথা সাপের নেই জানা; মানুষের সাড়া পেয়ে তাই সে
উঠছে বেয়ে ক্রমে মগডালে হতে চায়না সে বাস্তুচ্যুত আশ্রয়হারা।
বেজির দল বেধেঁছিল বাসা কোটরে তার। আজ সব বিনষ্ট।
নিরীহ চোখে তারা দূরে দাড়িয়ে দেখছে
নির্বোধ মানুষের বিবেকহীন কর্মকা-।
ভোরের পাখিরা বটের ছায়া ছেড়ে গিয়েছিল আহারের খোঁজে,
বেলা বাড়ার সাথে এসে ফিরে তারা রীতিমত অবাক।
বিস্ময় অপমান বিবেকে তাদের দেয় নাড়া, ‘আমাদের বাসস্থান
বিনষ্ট করার অধিকার কোথায় পেল তারা’?
পক্ষিকূলের আলোচনা শেষ না হতে আশ্রয়হীন এক
অনাথ রাখাল গরু ছাগল তার ছেড়ে দিয়ে এসে
দাড়াল এইখানে। আকশে সূর্যের তেজ তুমুল উত্তাপ ছড়ায়
এ ঘোর দুঃসময়ে ছায়া সে পাবে কোথায়? কোথায় নিতে
পারবে সে এক দ- বিশ্রাম! একটু অবসর!
কি বা হবে তার কাঠবিড়ালীটার? যার সাথে সে করত খেলা
সময়ে সময়ে চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদে কী জ্যৈষ্ঠের ঘূর্ণিপাকে!
সার কথা জীবনের জানা নেই মানুষের, বুঝবে কি করে সে
অন্য জীবনের ব্যথা! কোন এক অনাথ বড়িতে প্রতিপালিত
এক টিয়ে চলে যেতে যেতে দূরের পথে
বাদ বাকি পাখিদের বলে ওঠে ডেকে, ‘আমরা আর সব
জীব মিলে ত্যাজ্য করি চলো মানব জাতিকে’!
মানুষের কানে পৌছয় কিনা বাক্য তার জানতে পারেনা
বাদ বাকি আর পাখিরা। বেলা শেষে দেখে তারা
শতবর্ষ প্রাচীন বটবৃক্ষটাকে ভাগ-বাটোয়ারা করে মানুষ
নিয়ে যাচ্ছে ঘরে যেন নিহত ও খুন হওয়া উদ্ভিদটির
হাত পা মাথা বেচে কিনে কিংবা অগ্নিদগ্ধ করে
বাদ বাকি জীবন তার সে কর্মবিহীন আলস্যে পার করে দেবে।
১২ আশ্বিন ১৪২০
২৭ সেপ্টম্বর ২০১৩
©somewhere in net ltd.