নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফের গল্পগুচ্ছ

মন নামের ডাকবাক্সে বদ্ধতালা ঝুলিয়ে, একা পথে হেঁটে চলা মরুভূমির খোঁজে

অদিতি মৃণ্ময়ী

যুগ যুগান্তরে চলে এসেছি প্রথার বিপ্রতীপে, বসবাস তাই আগুনের বিপরীতে।।

অদিতি মৃণ্ময়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিজোফ্রেনিয়া

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০২

অরিনের আজকাল ঘুম হয়না ঠিক মত। ঘুম হলেও মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। দিনে ঘুম আসে , মাঝে মাঝে আবার সন্ধ্যেয়। পড়ালেখা সব লাটে উঠেছে। কেমন জেন গুঁটিয়ে রাখে নিজেকে। কারো সাথে মিশতে চাই না। নিজেকে খুব আলাদা মনে হয় সবার থেকে। শেষ রাতে বুক চেপে কান্না পায়। খুব কষ্ট। সব দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দেবে জেন।

দিবার সাথে ওর সম্পর্ক আজকাল ভালো যাচ্ছে না। আমি জানি এর কারণ কি। দিবা মেয়েটা ওকে পাগলের মত ভালোবাসে। দু;মাস আগে অরিনও নাকি ওকে এক মিনিট কাছে পাওয়ার জন্য পাগলের মত চিৎকার করত! এখন দিবা ফিরে এসেছে, সব সম্পর্ক জোড়া লাগান হল সুপারগ্লুর মত আবেগগুলো দিয়ে। কিন্তু এর মাঝে বাঁধা হয়ে দাড়ান কাঁটাটা আমি। অরিন যখন আমাকে বলে " নীলা আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না" তখন মাথার ভেতরটা চক্কর দেই, পড়ে যাব মনে হয়। কেননা, এটা তো অসম্ভব! দিবা অরিন কে পাগলের মত ভালোবাসে। আমি অরিনের হাত থেকে প্রতিবারই আমার হাতটা ছুটিয়ে নিয়ে দূরে দৌড়ে পালায়। তবু বারবার ফিরে আসি ওর কাছে।



অরিনের উপর দিবার খুব রাগ, দিবাকে আজকাল অ্যাভোয়েড করে চলছে । অরিন ওর সামনে বসেও পাগলের মত একা একা কি যেন আঁকাআঁকি করে। পার্ক বেঞ্চে, রেস্টুরেন্টের মেনু কার্ডে! কি অদ্ভুত! দিবার ধারণা, অরিনকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল বলে এখন ফিরে আসার পর ওর সাথে এমন করে! দিবাটা কি বোকা! কিচ্ছুই জানলনা এখনো!



অরিনের চুল উস্কো খুস্কো, গায়ে আজকাল মরীচা মত পড়ে গেছে। ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলের বাড়িতে বকার মত কেউ নেই ব্যাপারটা অস্বাভাবিক কিছু না! বাবাও কিছু বলে না, আর অরিনও তার কোন কিছুই বাবাকে বলে না।

আলো সহ্য করতে পারে না অরিন। চোখে লাগে নাকি! অন্ধকারকে খুব ভালোবাসে আজকাল। নিঝুম আজকাল বেশ ফেডাফ তার বেস্ট ফ্রেন্ডটার উপর। গায়ে হাত দিতে দেই না। মাঝে মাঝে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। "অরিন , এই অরিন" বললেও ডাক শোনে না! একটু পর আবার একা একা ঠিক হয়ে যাই!



অরিন সপ্তাহে একদিন আমার সাথে দেখা করতে আসে, সেদিন ঝুম বৃষ্টি হয়। আমাকে প্রতিবারই নীল শাড়িতে আসতে হয়। সাজগোজ অরিনের খুব পছন্দ। আমার চোখে হালকা কাজলের দিকে অপলক চেয়ে থাকে অরিন। মাঝে মাঝে চুমু খায় আমার পাতলা ঠোঁটে! প্রতি রাতে ফোনালাপের সময়, গল্পের ঝুলি খুলে বসে।





২।



ইদানিং অরিন আমার দেখা পায় না খুব একটা। ডাক্তার আঙ্কেলের ওষুধ গুলো, বাবা আর দিবার যত্ন অরিনের কাছ থেকে আমাকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে বলে ওর ধারণা! ডাক্তার আঙ্কেল যে কি সব বুঝায় না! ধুর। অরিন সেলফোনে আজকাল আমার নাম্বারখানাও খুঁজে পায় না! কি অদ্ভুত! তাই না? আমি এখন দূরে সরে যাচ্ছি অরিনের অস্তিত্ব থেকে।



আমি কে? আমি নীলা। অরিনের ডিলিউশন। ভ্রান্ত ধারণা! আমার অস্তিত্ব একটা হ্যালুশিনেশন ! ওর অবচেতন মনের তৈরী প্রেমিকা!



ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলে অরিনের ছোটবেলা ওর উপর বাজে ভাবে ইফেক্ট করে। কৈশরের প্রেমিকা দিবার চলে যাওয়া কোন ভাবে মানতে পারেনি অরিন। দিবা ফিরে আসতে দেরী করে ফেলেছে। ওর ফেরার আগে থেকেই অরিনের মাঝে বীজ বুনতে থাকে "সিজোফ্রেনিয়া" , জার বদৌলতে অরিন আবিস্কার করে আমাকে! আমার ফোন নাম্বার, ঝুলি খানেক কথা, প্রতিটা বর্ষা, উষ্ণ চুম্বন সবকিছু ডিলিউশন! সব সব সব!



দিবা অরিনের ব্যাপারটা নিয়ে টেনশড না হলে আমি ওকে ছাড়তাম না। নিঝুম আর দিবার চেষ্টায় বাবা ওকে সাইকোলজিস্ট আঙ্কেলের কাছে নিয়ে যাই। ওর সীমটোম দেখে উনি বুঝে যাই যে অরিন ছেলেটা "সিজোফ্রেনিয়াক" !



অরিনের ট্রিটমেন্ট চলছে। আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছি আমি! আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা আর। অরিন মুক্ত হতে চলেছে...





(পরিশেষেঃ সিজোফ্রেনিয়া এমন একটা রোগ যা মানুষের চিন্তা শক্তি , আবেগ সবকিছুর সাথে বাস্তবতার একটা বিশাল ফারাক তৈরি করে। এটাকে নিরব ঘাতক বলা যেতে পারে। প্রথম অংশে, আমি আমার জানা কিছু সিমটোম আর কিছু কারন এর বর্ণনা দিয়েছি গল্পাকারে। রোগটার ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে। রোগীর এসময় হ্যালুসিনেশন হয়, ডিলিউশনে বিশ্বাস করে। সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা কিছুটা দীর্ঘ মেয়াদী, তবে, ওষুধ , দেখাশোনা, চিকিৎসাই পারে একজন সিজোফ্রেনিক রোগীকে সুস্থ করে তুলতে। এ ব্যাপারে লেখিকা ন্যান্সি অ্যানড্রেমন এর " দি ব্রোকেন ব্রেণ" বইটিতে বেশ ভালো তথ্য পাবেন। আমার জানা খুব কম, তবে এর কিছু সিমটোম নিজের মধ্যে আবিস্কার করেছি বলে ব্যাপারটা শেয়ার করলাম। আই উইশ, নেট এবং বিভিন্ন বই থেকে বেশ কিছু ভালো ও উন্নত তথ্য পাবেন।)

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
শব্দটা 'সিজোফ্রেনিক'।

সিজোফ্রেনিয়া আরো অনেক বেশি ভয়াবহ।

ভাল লাগল।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৮

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: আপি ঘুম চোখে অনেক কিছুই ভুল লিখসি। আবার পড়তে পড়তে অনেকগুলা পাইলাম। ঠিক কথা লাগবে।

এনিওয়ে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে :) ভালো থাকবেন।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

নিজাম বলেছেন: ভাই, আমার ভাগ্নের এই রোগ হয়েছে। সে অতি মেধাবী ছাত্র ছিল। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় প্রায় বোর্ড স্টান্ড করে ফেলেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফর্মেসীতে ভাল রেজাল্ট করেছিল। ছোটবেলা থেকেই কম কথা বলত, মানুষের সাথে মোটেও মিশত না। সবাই বলত ভাল ছাত্র বলে এই অব্স্থা, সে যে অসুস্থ একথা কেউ আন্দাজ করতে পারেনি। ডাক্তাররা প্রথম এই অসুখ আবিস্কার করে, ওষুধ দেয়। সে ওষুধ খেত না, বলত আমার এই রোগ নেই, তার মা-বাবাও তাই মনে করত। এরপর যখন তার অবস্থা একেবারে মরণের কাছাকাছি চলে যায়, অর্থাৎ ওজন পঁচিশ কেজিতে নেমে আসে তখন ও এবং ওর মা-বাবা স্বীকার করে নেয় যে, সে এই রোগে আক্রান্ত। এখন সে সুস্থ্য, চাকরি করছে কিন্তু ওষুধ সেবন চলছে, চলবে দীর্ঘদিন। আপনার কোন পরামর্শ থাকলে বলুন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের মেন্টাল সাপোর্ট এর উপ্রে কোন মেডিশিন কাজ করে না রে ভাই। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসার দরকার। আর সেটা কিন্তু বেশ দীর্ঘমেয়াদীও বটে।


আর সত্যি বলতে এই ব্যাপারে পড়লাম কেননা, আমার নিজেরো কিঞ্চিৎ সমস্যা আছে। আমার মধ্যে সিমটোম গুলাও দেখা যাই কিছু কিছু। -_-

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
@িনজ+আম,

অবশ্যই নিয়মিত ডক্টর দেখাতে হবে ও ওষুধ কন্টিনিউ করতে হবে। ওষুধের পরিমাণ সময়ের সাথে সাথে কমার কথা।

আমার দেখা একজন ৬/৭ বছর পর ওষুধ ছেড়ে দিয়েছে, এখন সুস্থ। কিন্তু এই রোগের ওষুধ কখনও ছাড়া উচিত না, যেকোন সময় ফিরে আসতে পারে। কিন্তু ওষুধে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: :)

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ভালো লাগা রইল।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :) ভালো থাকবেন।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

তওসীফ সাদাত বলেছেন: :D

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: :)

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সুমন কর বলেছেন: একটু অগোছানো লাগল। তবে ভাল হয়েছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ভালো লাগলো, তবে আরো ভালো হতে পারতো। লিখায় সামান্য বলিষ্ঠতা দরকার। ব্যপার টা অনেক টা এয়ারটেলের ইম্পসিবল ফাইভ মার্কা হয়ে গেছে। সামান্য অন্য রকম ও হতে পারতো। যাই হোক ওভার অল ভালো লিখা।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: হা হা হা :p বাই দ্যা ওয়ে, এত্তগুলা ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: এ অসুখটি খুবই ভয়াবহ। এ অসুখ পরিবারের কর্তার হলে সে পরিবারের সকল সম্ভবানা ধুলায় মিসে জায়। এ রুগি পরিবারের অন্য সদস্যদের যে কি পরিমান ক্ষতি করে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। এ ক্ষতিটা প্রথম প্রথম দেখা যায় না বুঝা যায় না, বুঝা যায় সর্বনাশ হওয়ার পরে।
তাই প্রিয় পাঠক পাঠিকা সাবধান, সময় থাকতে বুঝার বিকল্প নাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: সময় থাকতেই চেকাপ করান উচিৎ

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব তাড়াতাড়ি শেষ হ​য়ে গেসে, আরেকটু ডেপথ এক্সপেক্টেড ছিল ॥

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: আমি আসলে ডিটেইলসে কিছু লিখার জন্য এটা লিখি নাই , আসলে এইরকম সমস্যা নিজেরও খেয়াল করসি, তাই হালকার উপর দিয়ে লেখার চেষ্টা করসি সংক্ষেপে।

নেক্সট টাইম ব্যাপারটা মাথায় রাখব :) ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

রোহান খান বলেছেন: কিছু কিছু মুক্তি আনন্দকে দুরে সরিয়ে দেয়..ভেতর থেকে লিখেছেন। ভালো লেগেছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :) আশা করি, এমন ভাবে আপনি কখনো মুক্তি পাবেন না যা আনন্দকে দূরে সরিয়ে দেবে আপনার থেকে।

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

রোহান খান বলেছেন: মুক্তি কোন পাওয়ার জিনিস নয়.... এটা দেবার জিনিস। কখনো কুপি বাতি দেখেছেন। গ্রামে গেলে দেখতে পাবেন। কুপিবাতির সলতে থাকে, আগুন লাগালে পুরতে পুরতে যখন শেষটা এসে যায় সেই আগুনটা মুক্তি পেয়ে যায়। এভাবে আনন্দ গুলোও এক সময় পুরতে পুরতে মুক্তি চেয়ে নিয়ে দুরে চলে যায়।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: হুম। তবে রোগ থেকে মুক্তিটা অনেক বড় পাওয়া। কল্পনা ডিলিউশন সাময়িক শান্তি ্দেই, স্থায়ীনা

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩১

আকিব আরিয়ান বলেছেন: পড়ার শুরুতে গল্প আশা করেছিলাম!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: গল্প না। গল্পের মত করে একটা অসুস্থতা নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম। হালকার উপর ঝাপসা।

এনিওয়ে। ভালো থাকবেন। :)

১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫২

লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনি আপনার মতো লিখুন তো?
লিখতে লিখতে বলিষ্ঠতা আসবেই।


ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৬

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: :) মন্তব্য করলেন না প্রশ্ন করলেন ঠিক পরিষ্কার নয়। তবে ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১০

কাব্যপ্রেমী রিফাত বলেছেন: পাইছি তোরে ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: :)

১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৬

মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: মানসিক রোগের মধ্যে সবচাইতে ভংয়কর রোগ হচ্ছে এটা। আমার খুব আদরের একজন একবার মাদকাসক্ত হয়ে যায়। তখন খুব নামকরা এবং অসাদুপায় অবলম্বণকারী এক ডাক্তার কেবলমাত্র নিজের লাভের জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেয় যে, আমার ঐ আত্মীয় সিজফ্রেনিক এবং দিনের পর দিন সিজোফ্রেন নামক এক ওষুধ খেতে দেয়। তখন আমি এই রোগ নিয়ে অনেক পড়াশুনা করেছিলাম ৬/৭ বছর আগে। আমার স্মৃতি থেকে যদি বলি, তবে এই রোগের অনেকগুলো লক্ষণ আছে [৬০+] এবং যেগুলোর অনেকগুলো (কমবেশী ৬-১০টা ) আবার মোটামুটি সব স্বাভাবিক মানুষের থাকেই। তাই অযথা আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নাই। যেকোন মানুষকে "সিজফ্রেনিক" ঘোষণা দেয়া বাংলাদেশে অনেক সহজ হলেও উন্নত বিশ্বে ব্যাপারটি এত সহজ নয়। দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণের পরেই কেবল কাউকে এরকম বলা যায়। যাই হোক পরম করূণাময়ের কাছে সবসময় প্রত্যাশা করি পরম শত্রু যে, তাকে ও যেন কখনও এই রোগ এর জ্বালা না বইতে হয়, ব্যক্তিগতভাবে বা পারিবারিকভাবে কাউকে। তবে ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা এবং পরিবারের সবার সহযোগিতার কোন বিকল্প নাই। আপনাদের দোয়ায় আমার ঐ আত্মীয় সম্পূর্ণ সুস্থ আছে এখন। শুভকামনা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: :) সুস্থ্য থাকুন। শুভকামনা

১৬| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ৩:৫০

হিংস্র ঈগল বলেছেন: আমারও দিনে ঘুম আসে, ক্লাস রুমে সামনের সিটে বসেও ঘুম ঠেকাতে পারি না। আর কত রাত যে ফেবু আর ব্লগে বসে ভোর হয়ে গেলো টেরই পাইনি। যখন বেকার টাইম পার করি তখন দেশ, জাতি সমাজ নিয়ে হাই থট সব চিন্তা আসে। তাইলে কি আমারও এই প্রবলেম নাকি। ডাক্তারের কাছে যেতে লজ্জা লাগে যদি কেউ দেখে ফেলে মানসিক রোগের ডাক্তারের চেম্বারে যাচ্ছি :!> :!> :!> তবে নীলা বা অরিনের মত কেউ আসেনি কিংবা আমি এরকম কারো কাছে যাওয়ার সাহস পাইনি। :-B :-B :-B

বেশি কথা লিখে ফেললাম। লেখা ভালো লেগেছে। +++

০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১২:২৯

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: আপনি নরমাল ইনসমোনিয়াক। আমার মত। -_-

ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

১৭| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ৭:২২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ওয়ান রেকমেন্ডেশান ফর ইউ। রিড অ্যাবাউট দ্যা মেডিক্যাল স্টুডেন্ট সিন্ড্রোম।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১২:৩০

অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: ওকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.