নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা ইচ্ছে তাই

কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভেতরে সবারই সমান রাঙা

আফসিন তৃষা

সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, যারা পরিপূর্ণ মিথ্যাবাদী হওয়ার পথে দড়কচ্চা মেরে গেলেন তারাই পরবর্তীতে লেখক হন। আমি মিথ্যেবাদী হওয়ার পথে দড়কচ্চা মেরেছি বটে কিন্তু লেখক আর হতে পারলাম না। আফসুস :(

আফসিন তৃষা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাপ্তাহিক (অনিয়মিত) খাবার পত্র, সংখ্যা-৬

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৩

যাহা খাইব সত্য খাইব



‘কি বললি!!!’

বন্ধুর আর্তচিৎকার হিন্দি সিরিয়ালের মত দূরে কাছে করে দুই তিনবার শুনিতে পাইলাম। কানের মধ্যে বিটিভির টিউনিং এর মত নিচু এবং তীক্ষ্ণ আওয়াজ বাজিতে থাকিলো। মাথা ঝাঁকাইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম- ‘কি হইয়াছে?’

বন্ধু আগের মত রাগতস্বরে বলিলো- তুই লক্ষ্মীপুরের নাতনি এবং আমার বন্ধু হইয়াও সত্যনারায়ণের মিষ্টি খাস নাই? ব্লগে রসগোল্লার কথা লিখিতে লজ্জা করেনা?

আমি সানন্দে বন্ধুর কথা উড়াইয়া দিলাম কিন্তু মনের মধ্যে ভাঙা রেকর্ডের মত বাজিতে থাকিলো- সত্যনারায়ণের মিষ্টি……সত্য মিষ্টি………মিষ্টি!! কালক্রমে আমি সত্যনারায়ণের নাম ভুলিয়া গেলেও লক্ষ্মীপুরে গেলে যে আমাকে কোন এক বিখ্যাত দোকানের মিষ্টি খাইতে হবে এই কর্তব্য ভুলিলাম না। (আহা! বাংলাদেশের সকলেই যদি আমার মতন কর্তব্যপরায়ণ হইতো!!)

অসহিষ্ণু পাঠক, আইসো তোমাকে ঘটনার আদি, বর্তমান সম্পর্কে ওয়াকেফহাল করি। আমার নানাবাড়ি এবং আমার বন্ধুর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। বন্ধু তখন লক্ষ্মীপুর ছুটি কাটাইতে গিয়াছিল আর আমাকে ফোন করিয়া আহ্লাদে আটখানা হইয়া সত্যনারায়ণের মিষ্টি খাওয়ার কথা শুনাইতেছিল। আমার উৎসাহের কমতি দেখিয়া সে জিজ্ঞাসা করিল- আমি যে একলা একলা সত্যনারায়ণের মিষ্টি খাইতেছি তোর হিংসা লাগিতেছেনা? আমি উত্তর করিলাম- এ আর কি এমন মিষ্টি হইবে! তখনই বন্ধুর আর্তচিৎকার এবং উক্ত কথোপকথন।

তার অনেককাল পর আমি বাপজানের সহিত নানাবাড়ি যাইতেছিলাম। বাপজানকে জিজ্ঞাস করিলাম লক্ষ্মীপুরের কোন বিখ্যাত মিষ্টান্নভান্ডার চেনা আছে কিনা। বাপজান বিভিন্ন নাম বলিলেন কিন্তু একটাও বন্ধুর বলা নামের সাথে মিলিলো না। বন্ধু আবার তখন খুলনায় বন্য বাঘ না থুক্কু সিনিয়রদের সহিত খাতির করিবার চেষ্টা করিতেছিল। তাই আমার বারংবার মুঠোফোনে ডাকাডাকি করা স্বত্বেও কোন তথ্য মিলিলো না। আমি মনঃক্ষুণ্ণ হইয়া নানাবাড়িতে পৌঁছাইলাম। বাপজান আমাকে পৌঁছাইয়া দিয়া যাইবার সময় পই পই করিয়া বলিয়া গেলেন, এলাকা চিনিবো না এবং আরো নানাবিধ সমস্যার কারণে আমি যাতে বাড়ির বাইরে বেশি না যাই।

নানাবাড়িতে ছিল আমার প্রিয় মামাতো বোন। আমি করুণ স্বরে তাহাকে ঘটনা বর্ণনা করিলাম। সে বলিলো- ও আচ্ছা সত্যনারায়ণের মিষ্টি! তোকে কালকেই নিয়া যাব। আহা কি আনন্দ! সেদিন রাত্রে মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখিতে দেখিতে ঘুমাইলাম।

সকালে তড়িঘড়ি করিয়া উঠিয়া আপুকে ঝাঁকাইতে থাকিলাম। আপু ভূমিকম্পের আশংকায় লাফাইয়া উঠিল এবং বুঝিতে পারিল কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নহে বরং আমার মধ্যে মিষ্টি খাওয়ার প্রবল উৎসাহের দরুণ এই ঝাঁকাঝাঁকি।

মামাবাড়িতে আসিলেই যে মামী লাঠি নিয়া আসিবে এই কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করিয়া (অবশ্য যতদিন থাকিলে মামীর লাঠি নিয়া আসার সম্ভাবনা তত দীর্ঘদিন আমি কখনোই নানাবাড়িতে কাটাইনাই) মামী গরম গরম পরোটা আনিয়া দিলেন। পরোটার সদ্ব্যবহার করিয়া আমি আর আপু লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হইলাম। প্রায় একশো টাকার রিকশা ও সিএনজি ভাড়া ব্যয় করিয়া কেন আমাদের মিষ্টি খাইতে যাওয়া প্রয়োজন তাহা মামীকে বুঝাইতে অবশ্য একটু বেগ পাইতে হইয়াছিল।

আমি ‘মিষ্টি...মিষ্টি...’ আর আপু ‘আসিতেছে……আসিতেছে’ জপিতে জপিতে লক্ষ্মীপুর সদরে উপস্থিত হইলাম। রিকশায় করিয়া নানা গলি ঘুপচি পার হইয়া, তিন চারবার পথ হারাইয়া অবশেষে সত্যনারায়ণে উপস্থিত হইলাম। এতকাল পরে বুঝিতে পারিলাম আর্কিমিডিস কেন ইউরেকা বলিয়া চেঁচাইয়া উঠিয়াছিলেন। আমরা অবশ্য সেদিকে না গিয়া সত্যনারায়ণের ছোট্ট দোকানের ভিতর পদার্পণ করিলাম এবং একখানা টেবিলে জাঁকাইয়া বসিলাম। হঠাৎ মনে পড়াতে ফিসফিস করিয়া আপুকে বলিলাম, ‘আপু আমি তো মিষ্টি বেশি খাইতে পারিনা। তীব্র মিষ্টি খাইলে একটু কেমন কেমন যেন লাগে। (পাঠক, এইবেলা তোমার অবিশ্বাসে কপালে তোলা চোখ নিচে নামাইয়া আনো। আমি একটু খাদক প্রকৃতির বলিয়া যে সকল জিনিস বেশি বেশি খাইবো তাহা কোনো শাস্ত্রে লেখা নাই)

যত যাই হোক আমারই তো বোন! সেও মাথা নাড়িয়া সম্মতি জ্ঞাপন করিল। আহা এই দুর্দিনে যদি বন্ধু থাকিত!! সে দেখাইয়া দিত মিষ্টি খাওয়া কাহাকে বলে! বন্ধুকে মুঠোফোনে ডাকিলাম। বন্ধু সত্যনারায়ণে আসিয়াছি, কি মিষ্টি খাইবো বল তো। বন্ধু তখন খুবই কষ্টকর ভ্রমণ করিয়া খুলনা থেকে ঢাকা আসিতেছিল। আমার কথা শুনে তার মেজাজ বিগড়াইয়া গেল। যা ইচ্ছা তা খা, আমার মাথা খা ইত্যাদি বিবিধ উপদেশ দেয়া শুরু করিল। অনেক কষ্টে তাহাকে ঠান্ডা করিবার পর এক শব্দে বলিলো- ‘ক্ষীরভোগ’। বলিয়াই লাপাত্তা। মুঠোফোন হইতে আজব আজব শব্দ শোনা যাইতে থাকিল।

এরই মধ্যে দোকানের পিচ্চি আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল ‘আপা কি খাইবেন?’

আমি বলিলাম- যা যা আছে নিয়া আসো।

পিচ্চি অবাক হইয়া বলিল- পরোটার সহিত খাইবেন?

আমি মনে মনে বলিলাম- do i look like আমি পরোটার সহিত মিষ্টি খাইবো!!

মুখে বলিলাম- না না। খালি মিষ্টি আনো।

পিচ্চি প্রথমে বিরাট বড় দুইটা রসগোল্লা নিয়া আসিলো। আমি ভাবিলাম, এতদিন কোথায় ছিলে গো!!

আস্তে আস্তে বড় রসগোল্লা সাবাড় করিলাম। এখনো মুখে সেই প্রথম স্বাদ পাইতেছি। মিষ্টির একেবারে সঠিক পরিমাণ। আহা, একেই বুঝি অমৃত বলে!

পাঠক জানো তো? মুজতবা আলী বলিয়াছিলেন, স্বর্গে যদি ইলিশ মাছের ব্যবস্থা থাকে তবে তিনি নিশ্চিন্তে স্বর্গে যাইতে রাজি আছেন। তাহার ভাবশিষ্য হিসাবে আমি আরেকটু যোগ করিলাম, ইলিশ মাছ আর এই রসগোল্লা থাকিলে এতদিনের পুঞ্জিত পাপ কাটান দেয়ার চেষ্টা করিয়া দেখিতে পারি।

তারপর আসিলো সন্দেশ। এইটাও আমার অতি পছন্দের মিষ্টি। খাইতে খাইতে আপুর সহিত গালগল্প করিতে থাকিলাম। আপু দুঃখ করিতেছিল, তাহার জন্য কেহ কোনদিন ফুল নিয়া দাঁড়াইয়া থাকিলো না!!

আমি তাহাকে সান্ত্বনা দিলাম- আপু কোন চিন্তা করিও না। আমি তোমার জন্য এমন দোয়া করিতেছি যে বাবাজী একেবারে ফুলকপি নিয়া হাজির হইবে। আপু কিছুক্ষণ হাসাহাসি করিয়া সেই অদেখা বাবাজীর কথা মনে করিয়া উদাস হইয়া পড়িল। আমি ক্ষীরভোগ ভোগে মনোযোগী হইলাম। চামচে করিয়া একটুখানি মুখে দিতেই আমার সমস্ত শরীর ঝনঝন করিয়া উঠিলো। এমন তীব্র মিষ্টি আমি কখনোই খাইনাই। প্রতি কামড়ে কেমন নেশা ধরিতে থাকিল। গুনগুন করিয়া গান ধরিলাম, নেশা লাগিলো রে......

আপুর অবস্থাও তদ্বৎ। পিচ্চিকে আর মিষ্টি আনিতে মানা করিলাম। একেকখানা মিষ্টান্নতে মিষ্টির পরিমাণ যে হারে বাড়িতেছে তাতে ক্ষীরভোগের পর কি আসিবে তাহা চিন্তা করিয়াও ভয়ে জড়োসড়ো হইলাম। তাই মিষ্টি খাওয়ার এইখানেই সমাপ্তি।

ফিরিবার সময় আপুকে জিজ্ঞাসা করিলাম- আপু কেমন লাগিয়াছে বলো? আপু বলিল- দাঁড়া মাথা ঘুরাঘুরি বন্ধ করিলে বলবো নে। আমার আর আপুর সেই মাথা ঘুরাঘুরি কবে বন্ধ হইয়াছিল তাহা আর এতদিন পর মনে নাই।

শুধু মনে আছে এই যে, রাতের বেলা বন্ধু জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, সত্যনারায়ণে কি কি খাইলি? আমার বর্ণনা শুনিয়া বন্ধু বিশ্রী গলায় খ্যাক খ্যাক করিয়া হাসিয়া উঠিল। এই খাইয়া তুমি খাবার পত্র লিখিবা!!! আমি অভিমান করিয়া বলিলাম, তাহা আর তোমাকে বলিতে হইবে না। আমার খাদক পাঠকেরাই ইহার বিচার করিবে।

প্রিয় পাঠক, এইবার বিচার করো তো।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
প্রথম প্লাস!
পরে পড়বো :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৮

আফসিন তৃষা বলেছেন: এইটা কি হইলো! লেখা যদি ভালো না লাগে তাহলে কি প্লাস ফেরত নিবেন!!!

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভালৈ তবে আগের পর্বগুলায় বেশী মজা পাইসিলাম।
খাবার পত্র গুলা পড়ে আপনাকে দেখার বড়োই খায়েশ জাগসে মনে :| ||

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

আফসিন তৃষা বলেছেন: হাহাহা
দেখা হবে বন্ধু............

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৩

বোকামন বলেছেন: অতি উত্তম অতি উত্তম
আগের সংখ্যাগুলো পড়তে ইচ্ছে হল ....

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

আফসিন তৃষা বলেছেন: পড়ে কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু :)

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৪

সোহাগ সকাল বলেছেন: পাঠ্য সাধন করিয়া ব্যাফুক মজ্জা পেলুম। :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

আফসিন তৃষা বলেছেন: আম্মো আপনাকে দেখে মজা পেলুম :)

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সেরকমই ইচ্ছা আছে।
এখন উপায় খুজেন, প্রয়োজনে কেমনে প্লাস ফেরত দেয় :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০০

আফসিন তৃষা বলেছেন: স্যার, আপনি কি এখনো লেখাটা পড়েন নাই?? :||

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
তৈলাক্ত রুটির (পরোটার ) সহিত রসগোল্লা আমার অতি প্রিয় খাদ্য ! ইহা মনে করাইয়া দিয়া আমার এ হেন দুরাবস্থা করিয়াছো যে এখন আমি নিদ্রা যাইতে পারিবো না বলিয়া মনে হইতেছে ।

প্রিয়তমার বিরহেও আমি এ হেন বেদনানুভব করি নাই :(


ভালো লিখিয়াছো , পোষ্ট প্লাসায়ীত করিলাম , সদা ভালো থেকো ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০১

আফসিন তৃষা বলেছেন: আমিও বিরহে আছি। কতদিন রসগোল্লা খাইনা :((
ভালো থাকবেন ভাই :)

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০১

কালোপরী বলেছেন: :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০২

আফসিন তৃষা বলেছেন: :)

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৬

একজন আরমান বলেছেন:
ওহে বালিকা আমি কিন্তু বড়ই সহিষ্ণু পাঠক। অন্তত তোমার হাতের মিস্টি লেখা পড়িবার জন্য। কারণ উহার মধ্যে বড়ই রসবোধ আমি অবলোকন করিতে পারি। যাহা এই ব্যাস্ততা আর হাজারো চিন্তার মাঝেও আমাকে ব্যাপক আনন্দ দানে সক্ষম হয়। তোমার এহেন কর্মযজ্ঞ মনোযোগের সহিত পড়িবার নিমিত্তে আমি হাতে চা-সিগারেট হাতে লইয়াই সামনের দিকে অগ্রসর হইয়াছি। :)

কি কথা মনে করাইয়া দিলা, যে এই মুহূর্তেই নাকে মিস্টির তীব্র গন্ধ অনুভব করিতে লাগিলাম। আহা !

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

আফসিন তৃষা বলেছেন: হাহাহা
তবেই লেখা সার্থক :)

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
ব্লগে কি একটু নিয়মিত হওয়া যায় না?
পাঠকের বিনীত অনুরোধ, কিংবা কিঞ্চিত জোরালো আবদারও বলা চলে ! :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৬

আফসিন তৃষা বলেছেন: ওরে বাবা! নিয়মিত লিখলে বেশি বেশি যন্ত্রণা হয়ে যায় না!!
যাই হোক, আমি কিন্তু নিয়মিত ব্লগ পড়ি :)

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বিচার করিলাম, সুন্দর হইছে।
ফুলকপি-বাধাকপি কি বোন পাইছিলো?
কিংবা লেখক :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৬

আফসিন তৃষা বলেছেন: ধইন্না
নাহ। এখনো পাইনাই :'(

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওরে! আন্নে চাই আনগো দেশের নাতনিই না!!!
এই মিষ্টি একবার খাইয়া ছিলাম।তবে একাধিক মিষ্টি খাইলে, নেশা নেশা লাগে!!!

অনেকদিন পর ফিরে এলেন। ছবি ছাড়া দেয়ার জন্য মাইনাস!
আর অনেকদিন পর ফেয়ার কারনে প্লাস। :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

আফসিন তৃষা বলেছেন: ছবির কথা আর মনে করায় দিয়েন না। ছবি তুলসিলাম আমার পসা মুবাইলখানাতে। সেবার ঢাকায় আসার পথে আমার সাধের মুবাইলখানা হানিত হড়ি গেসে :(( :((

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হুম। খুব ভালো। দিন দিন আপনার লেখনী খুব চমৎকার হচ্ছে। তবে এবার বেশ লম্বা বিরতির পর আপনার সাপ্তাহিক খাবার পত্র পেলাম। দোয়া করি যেন ঘন ঘন এরকম খাবার পত্র লেখার উপলক্ষ আসে। আর একটা অনুরোধ, সাধু ভাষায় লেখাটা ছাড়বেন না। ওতে আলাদা একটা ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

আফসিন তৃষা বলেছেন: হুম। গোপন কথা বলি- ভালো খাবার নিয়ে বলতে গেলেই আমার কেমন সাধু ভাষা চলে আসে। একে আর অন্য কোন ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভবই না :D
আর আমি ঘন ঘন খাবার খেলেও খাবার পত্রটা ঠিক লেখা হয়ে ওঠেনা। এর জন্য ফাঁকিবাজি এবং আলসেমিকে দায়ী করছি। তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।
আর আমার লেখা কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং বিপুল উৎসাহ জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করলাম :P

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আমি মানুষটা এমনিতেই খুব একটা লম্বা না :( তার উপর আমাকে এহেন খাটো বানানোর অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তেব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত কামনা করছি :P :P


আলসেমী না করে একটু কষ্ট করে পোস্ট দিলে আমরা খুব আনন্দিত হই। যদিও আমি নিজেও বিশাল অলস :!> :!>

সামুতে আমার প্রথম পোস্টটি ছিল সাধু ভাষায়। যদি সময় হয়,আর বিরক্ত না হন তবে পড়ে আসতে পারেন।

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: উপরের লিঙ্ক বোধহয় কাজ করছে না।এখানে দেখুন

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

আফসিন তৃষা বলেছেন: ভালো লিঙ্ক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি কিউবির গুষ্টিকে বেশ আদর যত্ন করে ফেলছিলাম #:-S
লেখায় মন্তব্য দ্রষ্টব্য :)

১৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৭

তাসজিদ বলেছেন: আমি আপনাকে নিয়ে চিন্তিত আছি।



কারন আমার ধারণা diabetis অতি দ্রুত আপনার সাথে সাক্ষাৎ করবে।

১৬| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: খাবার পত্রের নিয়মিত পাঠক হয়ে গেলাম ।সাধু ভাষার ব্যাবহার খুব ভাল লেগেছে ।
এমনিতেই রসগোল্লা প্রিয় , তার উপর এত চমৎকার বর্ণনা । ইস কতদিন রসগোল্লা খাইনা !

ফাঁকিবাজি এবং আলসেমি বাদ দিয়ে খাবার পত্র নিয়মিত করা যায় না আপু ? :D

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২১

আফসিন তৃষা বলেছেন: ফাঁকিবাজি এবং আলসেমি বাদ দেয়ার চেষ্টায় আছি। দোয়া করবেন :)

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্লগার কাল্পনিক_ভালোবাসার রেকমেন্ডেশন পেয়ে আপনার খাদ্য রিভিউ পড়তে এলাম।

ভালো লেগেছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

আফসিন তৃষা বলেছেন: ওরে বাবা! কাভা ভাই তো দারুণ!!
উনাকে আমার পক্ষ থেকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েন :)
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.