নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষকে ভালোবাসো, ঈশ্বরের দরকার নেই।

আমি আমার সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। আমি চাই সবাই আমার সাথে মিশুক এবং আমাকে বুঝুক। :)

আহারে আমি

আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

আহারে আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ ব্লগার গ্রেফতার, আমাদের হিন্দু সমাজ এবং আহারে আমি

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

আমি কোন ব্লগার নই। কিন্তু অনেক ইচ্ছা ছিল ব্লগার হওয়ার। হয়ত হয়েও যেতে পারতাম ব্লগার। হয়ত লিখে ফেলতে পারতাম আমার মনের জমান যত কথা যত ক্ষোভ। হয়ত লিখতাম দেশের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে বা লিখতাম সকল অন্যায়-অবিচার, ধর্মান্ধতা-মউলবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু লিখা হয়ে ওঠেনি। হয়ত মহাআলোচিত বা মহাসমালোচিত কোন ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতাম।

অনেকবার চেষ্টা করেছি ব্লগে কিছু লেখার- কত কথা, কত ক্ষোভ চাপা পড়ে আছে মনের ভিতর! কিন্তু লেখনী আমার মধ্যে নেই। লিখতে গিয়েছি বটে, লেখা সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার ক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি। অখাদ্য কিছু লেখার চেয়ে না লেখাই ভালো। একই বিষয়ে লেখার জন্য অনেক মানুষ আছেন, তারাই লেখুক।



মঙ্গলবার সকালের কথা। মা কল করলেন। রিসীভ করতে ইচ্ছা করছিল না। ঘুম জড়ানো কন্ঠ শুনলেই শুরু হবে মা'র বিখ্যাত বাণীসমূহ- ৯ টা বাজে এখনো ঘুমাইতেসিস কেন? কাল রাতে কয়টায় ঘুমাইছিস? ব্লা ব্লা ব্লা। এসব কথা চিন্তা করে অনেকটা শঙ্কিত হয়েই ফোন রিসিভ করলাম। শুনলাম মা'র শঙ্কিত কণ্ঠ- “তুই কোথায়? আজকে বাসা থেকে বের হস না বাবা, হিন্দু ছেলেদের পুলিশ ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।” জামাত-শিবির হিন্দুদের ঘর-বাড়ি-মন্দির জ্বালিয়ে দিবে, পুলিশ হিন্দুদের ধরে নিয়ে যাবে, তাতে অবাক বা শঙ্কিত হওয়ার কি আছে? ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই মা'র সাবধানবাণী শুনে আসছি। "আমি আচ্ছা ঠিকাছে, বের হব না" বলে ফোন রেখে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।

আমি টিভি দেখি না। সকল খবরাখবর জানার একমাত্র মাধ্যম ফেসবুক। ঘুম থেকে উঠে ফেসবুক খুলে তব্দা খেয়ে গেলাম। আগের দিন রাত থেকে তিন ব্লগার নিখোঁজ। ডিবি নাকি ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্যের সুব্রত শুভ'র নাম বারবার চোখে পড়ছিল। বিকালে আমার বড় ভাই কল করে বললেন,

"খবর শুনছিস কিছু?"

"হুম শুনসি, মা বলছে সকালে"

"হ, সুব্রতরে পুলিশ ধরে নিয়ে গ্যাছে"

"সুব্রত মানে সুব্রত শুভ, মানে সুব্রত দা!!! ও মাই গড!!!!"

"হ্যাঁ, তুই ব্লগ-টগে লেখিস নাকি?"

"আরে নাহ, আমি লেখব ব্লগ? আর কাজ নাই?"

"সাবধান! সুব্রত কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পরেও সেফ না, তারে লুকায়ে লুকায়ে থাকতে হবে, যে এখন জামাত-শিবিরের টার্গেট আর শাহবাগে যাইস না, বোমা টোমা ফুটাইতে পারে তারা"

"আচ্ছা ঠিকাছে, শাহবাগ যাব না"



সুব্রত দা হচ্ছেন আমার বড় ভাইয়ের ফ্রেন্ড, একই ক্লাসে পড়তেন তারা। লক্ষ্মীপুর আমাদের বাসার পাশেই উনার বাসা। উনার কথা শুনে খারাপ লাগলো। সুব্রত শুভর ফেসবুক-ব্লগ ঘাটাঘাটি করতে লাগলাম। ব্লগে উনার সবগুলো নিক আমার জানা নেই, যেগুলো খুঁজে পেলাম আর তার ফেসবুক ঘেঁটে অবাক হয়ে গেলাম। সুব্রত দা- একদম ছোট বেলা থেকে চিনি, উনি যে এমন উৎকৃষ্ট মানের লেখা লেখতে পারেন এমন ধারণা আমার কখনোই হয় নাই। হয়ত পাশের বাড়ির বড় ভাই বলেই কখনোই কোন গুরুত্ব দিইনি। এত মেধা, এত শিল্প যে তার মধ্যে লুকিয়ে ছিল সেটাও বুঝতে পারিনি। কখনো চিন্তা করিনি এই ব্লগার সুব্রত শুভ ছোটবেলায় আমাদের সাথে দৌড় ঝাঁপ করা সুব্রত দা।



সুব্রত দা আমার পরিচিত বড় ভাই, উনি ছোট বেলায় তাদের সাথে মাঝে মাঝে আমাকে খেলায় নিতেন বলে বলছিনা উনাকে পুলিশের এরেস্ট করা ঠিক হয়নি। আমি উনার লেখা উনাকে চেনার আগ থেকেই পড়তাম। কখনোই আমি এমন কিছু পাইনি যেখানে ইসলাম ধর্মকে কটূক্তি করে কিছু বলা হয়েছে। আমি আসলে জানি না উনি আসলেই নাস্তিক কিনা, তবে তার লেখায় উগ্র মৌলবাদ বা ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কটু ভাষাতেই লেখা হয়েছে বটে। এর জন্য কারো ধর্মানুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চুরমার হয়ে যাবে আর এজন্য ডিবি রাতের আঁধারে সাদা মাইক্রোতে করে ধরে নিয়ে যাবে, ভাবা যায় না।



সুব্রত শুভ, রাসেল পারভেজ, মশিউর রাহমান বিপ্লবকে গ্রেফতার করায় ব্লগার সমাজ যতটা শঙ্কিত, আমার মনে হয় তার চেয়ে বেশি শঙ্কিত আমাদের মেরুদন্ডহীন হিন্দু সমাজ। ব্লগারদের বাক স্বাধীনতায় হাত দেয়ায় আমাদের হিন্দু সমাজের চিন্তা নেই, সরকারের উপর তাদের কোন ক্ষোভ নেই, তাদের চিন্তা নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে। হিন্দু হয়ে ব্লগিং করাটা তাদের কাছে ভয়ের ব্যাপার। মা প্রতিদিন কয়েকবার করে ফোন দিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন আমি ব্লগিং করছি কিনা। আমার দাদু-ঠাকুরমা আমাকে অনুরোধ করছেন বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য। সবাইকে নিশ্চিন্ত করলাম যে আমাকে নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই, আমি “এই ধরণের” কোন কাজ করি না। এখন চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছা করে “এত কাপুরুষ কেন তোমরা? ব্লগিং নিয়ে তোমাদের এত কিসের চিন্তা, কি বুঝ ব্লগিংয়ের? সরকার আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাবে কেন? এই অধিকার তাদের কে দিয়েছে? কিসের গণতান্ত্রিক দেশ হল এটা?” এ ধরণের ভারী কথা আমার পরিবার বুঝবে না, তা না, অবশ্যই বুঝে। কিন্তু তারা বুঝতে চায় না, তারা খেলার পুতুল হয়েই থাকতে চায়।



মফস্বলের হিন্দু পরিবারগুলোকে নিয়ে সত্যিই চিন্তা হয়। তারা হয়ত জানেও না ব্লগিং কি, কিন্তু এটা জানে ডিবি তাদের ধরেছে। “রাতের অন্ধকারে, ঢাকার ‘বিভিন্ন’ জায়গা” থেকে তাদের ধরেছে। ডিবিগুলা টিভিতে যা বলছে তাই শুনে বিশ্বাস করছে আমাদের পরিবারগুলো।



ভয় হয় কবে কার ব্যক্তিগত ডায়েরী পড়ে কাকে গ্রেফতার করবে, মা আমাকে ফোন দিয়ে বলবে “বাবা, তোর কোন ডায়েরী থাকলে ছিরে ফেল, ডায়েরী রাখার কোন দরকার নাই” মামা ফোন দিয়ে বলবে “তুই কি ডায়েরী-টায়েরী লেখিস নাকি? সাবধান, এধরণের কাজ করিস না” দাদু-ঠাকুরমা আরো এক ধাপ এগিয়ে বলবে “ভাই, তোর ঢাকায় থেকে লেখা-পড়া করার দরকার নাই, তুই বাড়ি চলে আয়। দেশের পরিস্থিতি ভালো না”। এদিকে তরুণরা মাথা কুটে মরে যাবে প্রতিবাদ করতে গিয়ে, এর এক বর্ণও আমাদের পরিবারগুলোতে গিয়ে পৌছবে না।



মা, তোমার ছেলের ব্লগার হওয়ার সামান্য প্রতিভাও নাই, তোমার তো তোমার অপদার্থ ছেলেকে নিয়ে গর্ব করা উচিৎ!

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: ব্লগারদে আটক করা হয়নি। নাস্তিকদেরও আটক করা হয়নি। ব্লগারদের আটক করা হলে আপনি আমি ব্লগিং করছি কিভাবে।


মুসলিম ধর্মানুভূতিতে আঘাতকারী হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

আহারে আমি বলেছেন: আমি সুব্রত শুভ এবং রাসের পারভেজের এমন কয়েকটি লেখার লিঙ্ক চাই যার মাধ্যমে তাদেরকে মুসলিম ধর্মানুভূতিতে আঘাতকারী বলা যায় এবং এজন্য তাদের রাতের আঁধারে গ্রেফতার করতে হবে।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: উগ্র নাস্তিকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন । তাই বলে অযথা হয়রানি তো হবার কথা না.।.।.।.।।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

আহারে আমি বলেছেন: ইসলামকে হেফাজত করার দায়িত্ব বোধ হয় সরকার নিজেও খানিকটা নিয়েছেন।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

নিকষ বলেছেন: পাশার দান আজকে উল্টা হত, যদি হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গা অথবা হিন্দুদের পরমপূজ্য দেবদেবীদের নিয়ে কুৎসিৎ রচনার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হত – যারা আজকে ধর্মবিদ্বেষের অভিযোগে আটকৃত কতিপয় কুলাঙ্গারদের নিয়ে মরাকান্না জুড়িয়েছে, তারাই তখন উল্লাসে ফেটে পড়ত। কিন্তু যেহেতু তারা মুসলিমদের ধর্ম নিয়ে কূতসিত বাক্যালাপ করেছে তাই তারা নিরপরাধ।

তারা এখন প্রচার করছে, এই গ্রেফতার ধর্ম বিদ্বেষের জন্য নয় – সেকুলারিজমের উপরে আঘাত হানার জন্য (মুক্তমনার ইংরেজী ব্লগটা দেখেন)।

আসলেই কি তাই? বাংলার হিন্দু সমাজ সাথে সাধারণ মুসলিম সমাজও সবসময়ই দাবী করে আসছে যে হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গার অপরাধে দোষী ব্যক্তিদের (সেটা যদি মুসলিমও হয়) গ্রেপ্তার করা হোক। কেন করা হয় নাই – সেটার জবাব হয়ত নাই, কিন্তু সাধারণ মুসলিমদের দাবীর কোন ব্যাতয় ছিল না। কিন্তু আজকে যখন, মুসলিমদের ধর্ম নিয়ে কূৎসাগীত গাওয়ার অপরাধে কিছু অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তখন কেন অভিযুক্তদের একজনের ধর্ম পরিচয়কে ঢাল করে – তাদের গ্রেপ্তারের মূল কারণটাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে, একটা সফট কর্ণার তৈরী করার চেষ্টা করা হচ্ছে (হিন্দুরা প্যানিকে আছে – এটা প্রমান করতে পারলেই, কেল্লা ফতে। আঘাত সেকুলারিজমের উপরে)। কেন মিথ্যা প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে বিভিন্ন ব্লগসাইট, আন্তর্জাতিক মাধ্যমগুলিতে।

নাস্তিকতা একটা ফিলোসফিকাল ভিউপয়েন্ট, এই জিনিষকে ঢাল বানিয়ে ধর্মীয় বিষেদ্গার চালানো (যা পরবর্তীতে সাম্প্রদায়িকতাকেও উষ্কে দিতে পারে) – নিঃসন্দেহে একটা অপরাধ। নাস্তিকতাতে কোন ক্ষতি নাই, ক্ষতি আছে বিষবাষ্পে।
তাদের যদি শুধু নাস্তিকতার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়, নিঃসন্দেহে আমরা সবাই এর বিরোধিতা করি এবং আমরা তাদের পাশেই আছি। কিন্তু যদি কূৎসাগীত আর বিষবাষ্প ছড়ানোর জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়, তবে তাতে আমাদের পূর্ন সমর্থন আছে।
তবে এটা ঠিক, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা চুনোপুটিই, এটাও একটা শঙ্কার জায়গা – অভিজিৎ রায়, বিপ্লব পাল, চিন্তিত তাপস পাল, আরিফুর রহমান, দাড়িপাল্লা, টেলি সামাদ (আরো আছে নাম এখন মনে নাই); এগুলিরেই সর্ব প্রথম গ্রেফতারের আওতায় আনা উচিত ছিল।

ইসলামরে হেফাজত করার দায়িত্ব সরকার নিসে কিনা জানি না, তবে এতটুকু চাই – শুয়োরগুলিরে খোয়াড়ে আটকে সাধারন মানুষকে শান্তিতে সহ অবস্থানের সুযোগ করে দিক। না হলে এগুলির হেইট স্পীচ বিরাট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

আহারে আমি বলেছেন: দেশটা মুসলিম প্রধান দেশ। এদেশে যারা নাস্তিক হয় তারা বেশির ভাগ মুসলিম পরিবারের ছেলেপুলে। এদের জ্ঞান তাই ইসলাম ধর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তাই কোন ধরণের বিদ্বেষ ছড়ালে তারা ইসলাম ধর্মের বিদ্বেষই ছড়ায়।

এরপর হিন্দু ফ্যামিলি থেকে যারা নাস্তিক হয় তারাও সংখ্যাগুরুদের উচিৎ জবাব দিতে হিন্দু ধর্মের চেয়ে ইসলাম ধর্মের নানা সমস্যা খুঁজতেই ব্যস্ত থাকে। সংখ্যালঘুদের চেয়ে সংখ্যাগুরুদের সাথেই তাদের জ্ঞান-বিনিময় বেশি করতে হয়।

আমি আমার এই লেখায় মূলত মফস্বলের হিন্দু পরিবারগুলোর মানসিকতা কেমন হয় তার আলোকপাত করতে চেয়েছি। ইসলাম ধর্মের বা মুসলমানদের কোন বিরোধিতা করতে চাইনি। গ্রেফতারকৃত ব্লগারদের মধ্যে দুইজনের সাফাই গেয়েছিও বটে, তারা আমার কাছে এখনো নাস্তিক প্রমাণ হয়নি। তারা যদি নাস্তিকও হয় তাও আমি তাদের সাফাই গাইব। কারণ "নাস্তিকতা একটা ফিলোসফিকাল ভিউপয়েন্ট", "কুৎসাগীত আর বিষবাষ্প ছড়াতে দেখিনি"

আপনি বলেছেন "তারা এখন প্রচার করছে, এই গ্রেফতার ধর্ম বিদ্বেষের জন্য নয় – সেকুলারিজমের উপরে আঘাত হানার জন্য"

তাই নয় কি?

আপনি বলেছেন- "হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গার অপরাধে দোষী ব্যক্তিদের (সেটা যদি মুসলিমও হয়) গ্রেপ্তার করা হোক। কেন করা হয় নাই – সেটার জবাব হয়ত নাই" জবাব নাই কেন?

কাদের চাপে পড়ে, কাদের খুশি করার জন্য এ গ্রেফতার? কারা হিন্দুদের মন্দির ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভেঙ্গে চুড়ে পার পেয়ে যায়? একদল উগ্র মৌলবাদী ইস্লামিস্ট।

আরেকটা কথা- ব্লগ একজন মানুষের নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা কোন প্রচার মাধ্যম নয়। এই শুয়োরগুলি যা ইচ্ছা তাই করুক, এটা তাদের নিজের ব্যপার। শুয়োরগুলি কাউকে রিকোয়েস্ট করছে না তাদের হেইট স্পীচ দেখার জন্য বা পড়ার জন্য। এই হেইট স্পীচ কোন ধরণের হুমকি বহন করে না। এ হেইট স্পীচ শুধু ধর্মের বিরোধিতা করে। আর কিচ্ছু না।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

নিকষ বলেছেন: মজার বিষয় হল যে পৃথিবীর তাবত নাস্তিক ধর্ম নিয়া গুতাগুতিতেই নাই। তাদের আগ্রহ হল; যেহেতু কোন ঈশ্বর নাই তাই মানুষের জীবনযাপনের ধরণ কি হতে পারে, যেহেতু ঈশ্বর নাই সৃষ্টির কি ব্যাখ্যা হইতে পারে। স্টিফেন হকিংয়ের কোন আগ্রহই নাই – যে মুসলিম কি করল, হিন্দু ধর্মে কি কইল, খৃষ্টান ধর্মে কি আছে। কিন্তু বাংলার কথিত নাস্তিকদের (!) কেন এই চুলকানি; কেন অযথাই একটা সম্প্রদায় যেটা আবার দেশের বৃহৎ সম্প্রদায় সেটারে উষ্কানি দেয়ার জন্য এত আগ্রহ। কেন? কেন? কেন?

এত যখন চুলকানি, তাহলে প্রপার ওষুধ দেয়া উচিত।

সংজ্ঞা ঠিক করেন, সেকুলারিজমের সংজ্ঞা ঠিক ঠাক জানেন বইলা মনে হয় না। বাংলাদেশে ওয়ান ফাইন মর্নিং সব কোর্ট কাচারি শরীয়া আইনে পরিচালিত হওয়া শুরু হয় নাই, পুলিশও আসমান থেকে টপকাইয়া পড়ে নাই। সরকার নামক প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এখনও আলাদা। নিশ্চয় কতিপয় অপরাধী ধরার মাধ্যমে নিশ্চয় সরকার ও ধর্মকে একীভূতকরণ করা হয়ে যাই নাই; এটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার। এখনও দুইটা আলাদা, রাষ্ট এখনও ধর্ম নিরপেক্ষ। যদি সত্যবাদী হইয়া থাকেন, যদি বিবেক থাকে – একবার নিজেরেই জিজ্ঞাসা করেন।

সরকার এটা নিয়া রাজনীতি করছে কিনা – সেটার জবাব সময়েই পাওয়া যাবে। তবে আমি যেটা জানি, আড়াই লাখ ব্লগারের অধিকাংশ ব্লগারই চাই শুয়োরদের ব্যান করা হোক, বয়কট করা হোক। কয়েকদিন আগের স্টিকি পোস্টটাতেই এটার প্রমান পাবেন। যারা উগ্র ইসলামিস্ট হয়ত না, সাধারণ ব্লগার – জেনিফার লোপেজের গানও শুনে, সানি লিওনের মুভিও দেখে আবার জাকির নায়েকের লেকচারও শুনে। সারাদেশ থেকে আড়াই লাখ ব্লগার কম না; মোটা দাগে ধরা যায়, এটা বাংলাদেশের মুসলমানদেরও ইচ্ছা।

সাধারণ ব্লগ আর ব্লগোস্ফিয়ারের এবং সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মধ্যে সুক্ষ একটা তফাত আছে। একটা সিঙ্গেল, একটা কমিউনাল। একটার জন্য নীতিমালা নাই; আপনি ১৮+ লেখেন, ব্যঙ্গ ছড়ান, বিদ্রুপ করেন; অধিকাংশের হয়ত নজরেই আসবে না। আর একটার জন্য আছে কঠিন নীতিমালা, যেটা আপনারে মেনে চলতে হবে কারণ ঐটা পাবলিক প্লেস। সীমানা বুঝেন, সীমানা চিনেন। সীমানা না চিনা ক্ষতিকারক; এটা শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতিই করে না, আরো অনেকের ক্ষতি করে। আজকে যদি ব্লগের উপরে সরকারের খগড় নেমে আসে; তাহলে ঐটার দায়ভার তথাকথিত নাস্তিকেরা (!) এড়াইতে পারবে না। তথাকথিত নাস্তিকেরাই সরকাররে এই সুযোগটা হাতে তুলে দিসে।

বিদায়।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪০

আহারে আমি বলেছেন: মন্তব্য করতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত। গত দুই দিন ধরেই শাহবাগ আছি, কম্পিউটার চালানোর কোন সুযোগ ছিল না।

আমি আগেই বলেছি, আমি ব্লগার নই। ব্লগ বা ব্লগীয় নীতিমালা সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা নেই। যদি আপনি বা অন্য কেউ আমাকে কিছু ব্যাপারে ক্লিয়ার করলে ভালো হয়।

"সাধারণ ব্লগ আর ব্লগোস্ফিয়ার আর সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মধ্যে সুক্ষ একটা তফাত আছে। ........ "
- অর্থাৎ ব্লগে কোন নীতিমালা নাই? সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটস লাইক ফেসবুক-এ কঠিন নীতিমালা? ব্লগের কোন নীতিমালা না থাকলে কি ইস্যুতে পুলিশ তিন ব্লগার বা আসিফ মহিউদ্দিনের মত ব্লগাররে ধরছে? ধরলে ব্লগ যে বানাইসে তারে ধরা উচিৎ! সে কেন তার ব্লগে নীতিমালা রাখে নাই! নাকি আমিই উলটা পালটা কিছু বুইঝা ফেলসি। ওকে প্রতিটা ব্লগ সাইটের নিজস্ব নীতিমালা আছে, তাই তো! এই নীতিমালা বা রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন্স ভঙ্গ করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ আছে, তারা অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। তারা ইচ্ছা করলে পোস্ট ডিলিট করবে ইচ্ছা করলে নিক ব্যান করে দিবে, সম্পূর্ণ দায়িত্ব ব্লগ কর্তৃপক্ষের। পুলিশ কেনো? ব্লগ নীতিমালা কি সরকার তার লেটেস্ট সংবিধানে ঢুকাইয়া দিসে অলরেডি?

সীমানা জানতে চাই, সীমানা বুঝতে চাই। আমার জানার বা বুঝার ভুল থাকতেই পারে, সেক্ষেত্রে আমি আপনার সাহায্য কামনা করছি।

"সংজ্ঞা ঠিক করেন.......... একবার নিজেরেই জিজ্ঞাসা করেন"
- সেকুলারিজমের সংজ্ঞা জানায় আমার ভুল থাকতে পারে তবে আমার লেখায় কোন সংজ্ঞা কি আমি দিয়েছি যেটা ঠিক করা দরকার? আমার মনে পড়ছে না, একটু কোট করে দিবেন?
আপনার এর পরের কথাগুলো পড়ে কেমন যেন মনে হল দেশটা "এখনো" সেক্যুলার রয়ে গেছে বলে আপনি আক্ষেপ করছেন, যদি তা না হয় তাহলে আক্ষেপ করার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছেন। জি ভাই, দেশটা "এখনো" সেক্যুলার বটে, কিন্তু সরকার যেসব লীলা দেখাচ্ছে তাতে দেরী করে ফেললে আর "এখনো" থাকবে না। "এখনো" হয়নি বলে হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা কি বোকামি নয়?

"সরকার এটা নিয়া রাজনীতি করছে কিনা – সেটার জবাব সময়েই পাওয়া যাবে"
তাহলে অপেক্ষাই করতে থাকেন।

আজকে যদি ব্লগের উপরে সরকারের খগড় নেমে আসে; তাহলে ঐটার দায়ভার আপনাদের মত তথাকথিত আস্তিকেরা এড়াইতে পারবে না। তথাকথিত বেশি বুঝা আস্তিকেরাই সরকাররে এই সুযোগটা হাতে তুলে দিসে। নাস্তিক হওয়াটা যদি অপরাধ হয় তাহলে সেটা ব্লগ অথোরিটি বুঝবে, সরকার নয়। আপনারা যদি সে সুযোগটা সরকারকে দিয়ে দেন........

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

বিস্কুট বলেছেন: এটা হল সুব্রতর লেখা। এখন বল সে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানেনি।

হারামজাদা। কিছু হলেই সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু বলে মরাকান্না জুড়ে দেয়।

Click This Link

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

আহারে আমি বলেছেন: সুব্রত শুভ'র এই লেখাটা পড়লাম। এখন আপনারে জিগাই, আপনার ইমানদন্ডের ঠিক কোনজায়গায় এই লেখাটা আঘাত হানসে একটু জানতে পারি?

বলেন যে, আপনার মত ইমানদার মানুষের সত্য সহ্য করার ক্ষমতাটা সৃষ্টিকর্তা দিয়া পাঠায় নাই।

এইটা যে সুব্রত শুভ'র ব্লগ আপনি জানেন ক্যামনে? অন্য কারও তো হইতে পারে!

ওহ ইয়েস, একটা আঁকা পিকচার ছিলো, মেবি! পিকচারটা কি ছিল? (কানে কানে বলেন)

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

অচিন.... বলেছেন: কিছু হইলেই যারা সংখ্যালঘুদের মাইরা সাফ কইরা ফালাইলো গো কইয়্যা চিল্লায় ওদের ঠাডায়ে একটা চটকানা মারন দরকার।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

আহারে আমি বলেছেন: যাগো কিছুত্তেকিছু হইলে সেই বিশেষ অনুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাগোরে কি করা উচিৎ সেটাও বলেন, পিলিজ!

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

পরিযায়ী বলেছেন: ১ জন হিন্দুরে গ্রেফতার করছে তাতেই গুজব উঠসে হিন্দুদের গ্রেফতার করা হচ্ছে!!!! হিন্দুদের গায়ে টোকাও দেয়া যাবে না হোক সে ভালো অথবা খারাপ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৩

আহারে আমি বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে আমার মা শুধু খবর পাইসে সুব্রত শুভ এরেস্ট হইসে, মা সকালে আমাকে পুরা কথাটা বলে নাই শুধু বলসে "হিন্দুদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে"। মা'র হয়ত ধারণা ছিল আমি ঘটনাটা জানি, সুব্রত দা'র নাম বলেননি। "হিন্দুদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে" একথা বলার কারণ হচ্ছে মা'র সুব্রত দা'র উপর একটা অন্য রকম বিশ্বাস ছিল। ভালো স্টুডেন্ট, সে কি আর এমন করবে যে পুলিশ তাকে আটঘাট করে ধরে নিয়ে যাবে!

হিন্দুদের গায়ে টোকাও দেয়া যাবে না কে বলল! আপনাদের মান-অপমানবোধ আছে, হিন্দুদের নাই? এখনই "সংখ্যালঘু" শব্দটা আসে। সংখ্যালঘু বলে তাদের মান-অপমানবোধ থাকবে না? কবে কাকে বলতে শুনসেন যে একটা অপরাধ করার পর কোন হিন্দুকে পুলিশ ধরে নেয়ার পর হিন্দুদের "ধর্মানুভূতিতে" আঘাত লাগসে বলে ঘ্যান ঘ্যান করসে? ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিবে, উপাসনালয় ভেঙ্গে দিবে আর কেউ কিচ্ছু বলবে না। সত্যি কথা কি জানেন, এই আবাল হিন্দুগুলা আসলেই কিচ্ছু বলে না। এরা নিজেরা নিজেরা সাবধান থাকে কখন জানি কোনদিক থেকে আক্রমন আসে। রাতে পালা করে পাহারা দিতে হয়। সুব্রত শুভ'র মত ব্লগাররা ঘ্যান ঘ্যান করে দেখেই আপনারা কিছু শুনতে পান আর মহাবিরক্ত হন!

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল বলেছেন: হনুবাদ জিন্দা হোতা হ্যায়

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

ক্রাইম রিপোর্টার রাসেল বলেছেন: বিস্কুটের কমেন্টই যথেষ্ট এখানে

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৫

আহারে আমি বলেছেন: বিস্কুটরে বিস্কুট খাইতে দিসি, আপনেও খানিকটা খান, বইয়ের পোকারেও খানিকটা দিয়েন।

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বইয়ের পোকা বলেছেন: হারামজাদা। কিছু হলেই সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু বলে মরাকান্না জুড়ে দেয়।

বিস্কুটের শেয়ার করা লেখা পড়েন।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২০

বিস্কুট বলেছেন: পরিযায়ী বলেছেন: ১ জন হিন্দুরে গ্রেফতার করছে তাতেই গুজব উঠসে হিন্দুদের গ্রেফতার করা হচ্ছে!!!! হিন্দুদের গায়ে টোকাও দেয়া যাবে না হোক সে ভালো অথবা খারাপ।

১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৮

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: চউক্ষে পানি আয়া পড়ল... :((

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৬

আহারে আমি বলেছেন: ভাই, থাক কাইন্দেন না!! :((

১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৭

আহারে আমি বলেছেন: আমার ব্লগে প্রত্যেক মন্তব্যকারীদেরকেই ধন্যবাদ জানাই আমার সাথে মত-বিনিময় করার জন্য। আপনারা অনেক রেগুলার এবং নামকরা ব্লগার। আমি মাঝে মাঝে নিজের কিছু কথা বলার থাকলে হয়ত ব্লগে লিখে প্রকাশ করার চেষ্টা করি। কেউ যখন আমার লেখা পড়ে এবং তার প্রতিক্রিয়া জানায় তখন সত্যি ভালো লাগে। কিন্তু কমেন্টগুলো ব্লগের মূল বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক হলে ভালো হয়। আমার লেখার মূল বিষয় ছিল মূলত মফস্বলগুলোর সাধারণ হিন্দু পরিবার নিয়ে। আমার মনে হয় তারা সবসময় একটা প্যানিকের মধ্যে থাকে। থাকার কারণ আছে, সংখ্যালঘু বলেই হয়ত......

যাই হোক, কয়েকজনকে দেখলাম নানা ভারী ভারী বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। অনেক বিষয় আছে আমি জানিও না। অল্প বিদ্যা জাহির করতে গিয়ে ভয়ংকর কিছু করে ফেলি বা অলরেডি করে ফেলসি কিনা এসব বিষয় ভাবতে হয়। আপনাদের তো আর ভাবতে হয় না আপনারা প্রচুর জানেন, প্রচুর বুঝেন।

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৮

নিকষ বলেছেন: হায়! আপচুস। খালি ঘোরেই পাব্লিকে।

যাউজ্ঞা ভাই, আপনে বিরাট জ্ঞানী। তালগাছ আপনের। আমি মুখ্যু মানুষ একটা পরামর্শ দিয়া যাই - দয়া কইরা বাংলাদেশের পেনাল কোড, আর আইটি অ্যাক্ট ২০০৬ টা পইড়েন।

সমবেদনা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫০

আহারে আমি বলেছেন: ধন্যবাদ। সংগ্রহ করে পড়ে দেখব।

১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৬

যুক্তিপ্রাজ্ঞ বলেছেন: হিন্দু ছেলেদের পুলিশ ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে

একটাও এমন কিছু ঘটেছে? জামাত-শিবির ধরে নিয়ে যাচ্ছে বললেও একটা বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল... শুধু শুধু, বানিয়ে বানিয়ে জুজুবুড়ির গল্প শুনতে কেমন লাগে!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫১

আহারে আমি বলেছেন: একটু উপরে দেখেন "পরিযায়ী"'র কমেন্ট ঐখানে খানিকটা ব্যাখ্যা করা হইসে " হিন্দু ছেলেদের পুলিশ ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে" বলার কারণ। সুব্রত শুভ এরেস্ট হওয়ার পর মা ভয় পেয়েই কথাটা বলেছিলেন অত্যুক্তি বা অন্য কোন কারণ ছিল না। মা তখনো জানে না ব্লগ কি বা কেন সুব্রতকে ধরা হইসে। সুব্রত শুভ'র মত "ভালো" ছেলেকে যখন "হুদাই" পুলিশ ধরসে তাহলে মনে হয় হিন্দুদের ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
**ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।

আরো প্রশ্ন থাকলে করবেন, উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব!

১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৭

নরাধম বলেছেন:
সংখ্যালঘুদের অনেক সময়ই অত্যাচার হয়েছে, হয়। বেশিরভাগ অনুন্নত দেশেই হয়। কিন্তু সুব্রতকে গ্রেফতার সংখ্যালঘু অত্যাচারের কিছু নয়, সেটা আপনিও জানেন। এভাবে সংখ্যালঘু অত্যাচারের ইস্যুটাকে ট্রিভিয়ালাইজ করে ফেলবেন না। এরকম হলে পরিমলকেও সবাই সংখ্যালঘু হিসেবে ধরে নেবে, অপরাধীর কোন জাত থাকেনা।

সাদা মুখোশ নিকটা সুব্রতর, আমারব্লগে সুশান্তদার সাথেই যোগাযোগ করে দেখেন। এবং সুব্রত মিথ্যাবাদী। তার কমেন্টে লিখেছে সে নাকি ছোটকাল থেকে আরবীতে কোরান পড়েছে, যেটা ডাহা মিথ্যা, সে সনাতন ধর্মাবলম্বী, ছোটকাল থেকে আরবীতে কোরান পড়ার কোন কারন নাই।।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৩

আহারে আমি বলেছেন: জল অনেক দূর গড়িয়ে গেছে। নরাধম ভাই, আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু সুব্রত না, সুব্রতকে "সংখ্যালঘু"র দলে ফেলে তার জন্য সিম্প্যাথি আদায় করার জন্য এই ব্লগ পোস্ট না। সুব্রত কে কেন্দ্রীয় চরিত্র করে আমি আমাদের হিন্দু পরিবারগুলোর সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি। আপনি বা আমি জানি সুব্রত নাস্তিক বা উগ্র নাস্তিক। কিন্তু আমার বা সুব্রত'র পরিবার কিন্তু ঐদিন সকালেও জানত না তার এই ব্যাপারটা। তারা ঐদিন সকালেও জানত না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে এলাকায় কি রকম হই চই ফেলে দেয়া ছেলেটা ব্লগ নামক কি একটায় "ভয়ংকর" কিছু একটা করতেসে। তারা কিছুদিন জা-শি'র হাতে ধোলাই খাইসে, এখনো ধাক্কাটা কেউই সামলে উঠতে পারে নাই।

সুব্রতর সমালোচনা না বরং একজন ব্লগার হিসেবে সুব্রত প্রশংসা করে ব্লগ শুরু করে ছিলাম, আমি তার সুপারিশই করব!
বাংলাদেশের "হিন্দু" নাস্তিকরা আমার দৃষ্টিতে বড় অসহায়। এরা হয়ত একটা নির্দিষ্ট "ধর্মের" গন্ডিতে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চায় না বলেই "নাস্তিক" হয়ে গেছে। নাস্তিক হওয়ার পর ভেজাল বাঁধে। "মুসলিম" নাস্তিকগুলা হুটহাট বলে দেয় আমি "ছোটবেলায় আল-কুর'আন পড়েছি, এই বইটা আমার কাছে অবাস্তব লাগে। যেমন এত নম্বর সুরার এত নম্বর আয়াতে বলা হইসে এই এই কারণে নাকি এই এই হইসে, অযৌক্তিক।" এইরকম নানা যুক্তি আছে। কিন্তু একটা "হিন্দু" নাস্তিকের এই জায়গায় সীমাবদ্ধতা। তাকে যদি তর্ক করতে হয় করতে হবে বাংলার "মুসলমান"দের সাথেই। এই জন্য তার দরকার জ্ঞান, প্রচুর পড়াশোনা। একটা সময় সে জ্ঞান কিছু অর্জন করে। কিন্তু স্টিল সমস্যা বাংলাদেশে হিন্দু হয়ে মুসলিমদের সমালোচনা করা যাবে না।

সো.... সত্যবাদী হিন্দু নাস্তিক হয়ে ইসলামের সমালোচনা করার চেয়ে মিথ্যাবাদী মুসলিম নাস্তিক হয়ে ইসলামের সমালোচনা করাটা অধিকতর সহনীয়।

নাস্তিক হইলেই ধর্মের সমালোচনা করতে হইব ক্যান? আজিব! নাস্তিক হইয়া চুপচাপ বইসা থাকলে হয় না?

১৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

নরাধম বলেছেন: না, আপনি আমার কথা হয়ত বুঝতে পারেন নাই। সে যদি বলত "আমি কোরান পড়েছি, সেটা আমার কাছে আবজাব মনে হয়েছে" সেটা মানতে আমার আপত্তি নাই, প্রত্যেকের নিজস্ব আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে, তার আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ আবাজাব মনে হতেই পারে। কিন্তু সে বলেছে সে "আরবীতে কোরান পড়েছে" এটা ডাহা মিথ্যা, তার পয়েন্ট বুঝানোর জন্য, সে কেন নাস্তিক এসব বুঝানোর জন্য সে মিথ্যা বলবে কেন? এটা সে হিন্দু নাস্তিক না মুসলিম নাস্তিক সেটার সাথে কোনমতেই যায় না, এটা পিয়র সত্যমিথ্যা ইস্যু। যাই হোক, এসব গুরুত্বপূর্ণ না, আমি আগে কখনও তার নিক লালু কসাই বা সাদা মুখোশের লেখা পড়িনি, আপনার লেখার পর তার আমুতএ একটা লেখা পড়লাম, আমার কাছে তাকে যথেষ্ট উগ্রবাদী মনে হয়েছে। দেখুন নাস্তিক অনেকেই আছে ব্লগে, সবাই কিন্তু উগ্র না। আস্তিক অনেক আছে ব্লগে, সবাই তেমনি উগ্র না। উগ্রবাদী আস্তিকদেকে কিন্তু ব্লগাররা সমানে দৌড়ের উপর রাখে, তেমনি উগ্রবাদী নাস্তিকদেরকেও কেউ পছন্দ করে না। বাঙালি মধ্যপন্থি জাতি, তারা কোন উগ্রতাই পছন্দ করে না। এসব উগ্রবাদিরা শেষপর্যন্ত মধ্যপন্থীদেরও বিপদের কারন হয়, এক লাদেনের জন্য সারা বিশ্বের মুসলমানদের কত সমস্যা হয়। তেমনি এসব উগ্রবাদী নাস্তিকদের জন্য সাধারণ মডারেট নাস্তিকদেরকেও মূল্য দিতে হবে, এটাই স্বাভাবিক, এটাকে ইকনমিকসে এডভার্স সিলেকশান বলে।

আর তাছাড়া সমালোচনা করে কোন লাভ কোনদিন হয় না। বিদ্যাসাগর যদি নিজে সিনসিয়ার হয়ে কাজ করে হিন্দু সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য চেষ্টা না করে নাস্তিক হয়ে যেত আর সব হিন্দুদেরকে গালিগালাজ করত, তাদের দেবদেবীদের নিয়ে অশ্লীল কথা লিখত, তিনি কোনদিনই সে সমাজের কোন পরিবর্তন আনতে পারতেন না। পরিবর্তন আনার জন্য সমাজের মানুষের প্রতি অসম্ভব ভালবাসা থাকা লাগে, তাদেরকে ভিতর থেকে বুঝতে হয়।


সে যতই উগ্রই হোক, আমি তার গ্রেফতার সমর্থন করিনা। তার মা আর আমার মায়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। তার মায়ের কত কষ্ট হচ্ছে সেটা বুঝাও সম্ভব না। আমি ডটু রাসেল, শয়তান বা সুব্রত, কারো গ্রেফতারই সমর্থন করিনা।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

আহারে আমি বলেছেন: আপনার সুন্দর করে লেখা মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। কিছু বলার নাই আমার। :)

১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

বিস্কুট বলেছেন: সুব্রত এবং তার জাতের সবগুলো মিথ্যাবাদী। চোরে চোরে মাসতুতো ভাইয়ের মত এক চোর আরেকটাকে বাঁচাতে এসেছে। এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সুব্রত শুভ 'আজাদ', 'সাদা মুখোশ', 'লালু কসাই' নিকে ইসলামবিদ্বেষী কাজকর্ম করে গিয়েছে গত বেশ কয়েকবছর ধরে।

লেখক যে তাদের দলভুক্ত তা তার ৫নং কমেন্টের রিপ্লাইতে স্পষ্ট।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

আহারে আমি বলেছেন: আহারে ধরা খাইয়া গেলাম গা রে!!!! =p~ =p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.