নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিশুসাহিত্যিক ও কল্পবিজ্ঞান লেখক.www.m.twitter.com/WriterKibria3

আহমেদ কিবরিয়া

আহমেদ কিবরিয়া

আহমেদ কিবরিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্নতে খৎনা বনাম লিঙ্গাগ্রচর্ম পূনর্বাসনঃ সময় হয়েছে নতুন করে ভাবার

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

সুন্নতে খৎনা 'ধর্মীয় প্রথা' নাকি 'সামাজিক কুপ্রথা'? : এর উপকারী দিক আবার অপকারী দিক, এটি কখন করাবেন আবার কখন করাবেন নাঃ

প্রাক কথনঃ
সময়মত ছেলে শিশুর খৎনা করানো বা না করানো নিয়ে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। আবার অনেকের শিশুর ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, প্রসাব করতে সমস্যা হয়। আগে সুন্নতে খৎনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করিঃ
ইসলাম ধর্মে ছেলে শিশুর খৎনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামে এটি ফরজ বা বাধ্যতামুলক নয়। এটি নবী আব্রাহাম বা ইব্রাহিম ( আঃ) চর্চা। তাই মুসলীম ও ইহুদী ধর্মালম্বীরা করে থাকে। তবে ইহুদী ধর্মের ওল্ডটেস্টামেন্ট এ এটি ফরজ ও বাধ্যতামুলক। আর বাইবেল এর নিউ ভার্সন বা নিউটেস্টামেন্ট এ এটি অপ্রয়োজনীয়। তাই ক্যাথলিক, প্রোটেসেন্ট খ্রিষ্টানরা এটি করেনা। শুধু কপটিক খ্রিষ্টানরা আংশিক করে। তবে পবিত্র কোরআনে কোথাও খৎনা সম্পর্কিত কোন আয়াত বা নির্দেশনা নেই। তাই এটি নিয়ে বিতর্ক করার কোনো কারন নেই। পৃথিবীতে একমাত্র আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে খৎনা (Curcumcision) স্বাস্থ্যগত কারনে বাধ্যতামুলক, ধর্মীয় কারনে নয়। ইসলামে স্বাস্থ্যগত কারনেই এটি করতে বলা হয়, বাধ্য করা হয়না। যদিও বেশিরভাগ মুসলিম দেশে এটা ধর্মের নামে সামাজিক প্রথা ও অনুষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। এর কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারীতা রয়েছে। যথাঃ
১/ পুরুষের ফাইমোসিস রোগ প্রতিরোধ করে
২/ নারীদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
(সবচেয়ে বেশি)
৩/ যৌনসংক্রমিত রোগ প্রতিরোধ করে।
৪/ শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে
৫/ পরিষ্কার থাকে।
৬/ পেনাইল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে( কম পরিমান)
তাই সময়মত ছেলে শিশুর খৎনা করান। মনে রাখবে, ৫ বছরের নিচের শিশুকে খৎনা করাবেন না। কারন, এসময় শিশুর লিঙ্গমুণ্ড খুব নাজুক থাকে। তাই ৫ বছর এর পর খৎনা করান। বয়স হয়ে খৎনা করানো নিরাপদ নয়। তবে তথাকথিত হাজাম বা ওস্তাদ দিয়ে এ কাজ করা ঝুকিপুর্ন। আপনি জানেন কি প্রতি বছর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এ ১০ জন শিশু মারা যায়?যার জন্য ভুল পদ্ধতি দায়ী। খৎনা অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ সার্জন ও ইউরোলজিস্ট দিয়ে করান।
৭/ কখন খৎনা করাবেন নাঃ
নিচের কিছু বিষয় খৎনার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয়।
যথাঃ
১/ খৎনা এইচ আইভি এইডস প্রতিরোধ করতে কোনো ভুমিকা রাখেনা।
২/ খৎনার ফলে পুরুষাঙ্গ টান টান হয় ফলে এর আকৃতি খাটো দেখায়। পিছনের মোটা রগটি ফ্রিলেনাম যা কিনা প্রসারনের সময় চাপ পেয়ে ব্যাথা বা রক্তপাত হতে পারে।
৩/ খৎনার ফলে লিঙ্গমুণ্ড শুষ্ক হয়ে এর উজ্জলতা ও কমনীয়তা হারিয়ে ফলে। ফলে যৌনমিলনে কম ওর্গাজম হয়।
৪/ খৎনা করার পরও লিঙ্গ অপরিষ্কার থাকতে পারে যেখানে খৎনা না করেও পরিষ্কার থাকা যায়।
৫/ আমরা জানি চর্মের মাধ্যমে আমরা অনুভব করি। চর্মে কতগুলো নার্ভচেইন থাকে যেগুলো মস্তিষ্কে সংকেত দেয়। এগুলো কে বলে, Cutaneous Nerve Net Works.খৎনার ফলে এগুলো বাদ পরে। তাছারা ফোরস্কিন বা লিঙ্গাগ্র চর্ম প্রচুর এন্টিবডি উৎপন্ন করে, যা শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও বাইরের যে কোনো আঘাত থেকে গ্লান্ডস পেনিস কে রক্ষা করে
তাই খৎনা করে উপকার যেমন পাওয়া যায় তেমনি না করেও ভালো থাকা যায়। আপনি জানেন কি পৃথিবীর ৮০% সভ্য জনগোষ্ঠী খৎনা না করেও ভালো আছে আর মাত্র ২০% জনগোষ্ঠী ধর্মীয় ও কিছু সমস্যার জন্য খৎনা করে। যেমনঃ
লিঙ্গাগ্র চর্ম বেশি ঝুলে থাকার ফলে প্রসাব করতে সমস্যা হয়া, টাইট ফোরস্কিনের কারনে লিঙ্গমুণ্ড পুরো সজা না হয়া অনেক সময় রক্তপাত পর্যন্ত হয়।
তাই, আমরা বলতে পারি, খৎনা সবার জন্য উপকারী হলেও কারও কারও সমস্যা হলে তাদের ক্ষেত্রে না করাও উত্তম। অর্থাৎ একজন সার্জন ভালো বলতে পারবেন, কোন শিশুটির খৎনা হবে আর কোনটির প্রয়োজন নেই। লিঙ্গাগ্র চর্মের পরিমান বলে দেবে, খৎনা করতে হবে নাকি হবেনা। অর্থাৎ এটিকে মেডিক্যালে CI - Coverage Index, CL- Circumcision Limit বলে। এদুটো বিষয় জানলে আপনি কখনও বিষয়টির পক্ষে বা বিপক্ষে যাবেন না। কারন, এটা সম্পুর্ন বায়োলজিকাল ও পারসোনাল। একটি সহজ উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি ক্লিয়ার করছি। আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এ্যাপেনডিক্স। শিশু মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় এটি শিশুকে সাপোর্ট দেয়। শিশু বড় হয়ার সাথে সাথে এটি আর কাজ করে না। শরীরের ভিতরেই থেকে যায়। আমরা কিন্তু ঢালাওভাবে এপেন্ডিক্সটি কেটে ফেলে দেইনা। কখন এপেন্ডিক্স অপারেশন করি? যখন এতে ইনফেকশন হয় তখন মেডিক্যাল এর ভাষায় একে এপেন্ডিসাইটিস বলে। তখন এটি কেটে ফেলা হয়। সবার কিন্তু এপেন্ডিসাইটিস হয় না যদিও আমাদের প্রত্যেকের শরীরের ভিতর এটি থাকে। মনে রাখবেন, আপনি চাইলে যেমন আপনার কানটি কেটে ফেলে দিবেন না কারন এটি বডির পার্মানেন্ট ড্যামেজ যা কখনও ফেরত পাবেন না তেমনি আপনার ফোরস্কিনও তাই। শুধুমাত্র যাদের ফাইমোসিস, প্রসাবের ইনফেকশন, কিডনি ফেইলিউরের ঝুঁকি, গ্লান্ডস পেনিস ওপেন না হয়া, ব্যাথা হয়া এসবের জন্যই তো খৎনা করবেন। সমস্যা না হলে থাকনা ইসলাম এ নিয়ে আপনাকে চাপ দেয়নি। ইসলামের শর্ত হলো নাপাক থেকে বিরত থাকা তাইনা। খৎনার সাথে মুসলমান হয়া না হয়ার কোনো মৌলিক সম্পর্ক নেই। বিষয়টি একদম প্রথাগত। যা হোক, এটা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমরা শুধু সত্য তুলে ধরছি। এখন কথা হলো অনেকের খৎনা হয়ার ফলে তারা পার্মানেন্ট ড্যামেজের স্বীকার হয়েছেন তারা এখন কি করবেন। বিজ্ঞান কখনও থেমে নেই। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা বিজ্ঞান করে। এরও সমাধান অবশেষে বের হলো। এটি হচ্ছে, লিঙ্গাগ্র চর্ম পুনঃস্থাপন। আসুন এটি জেনে নেইঃ

লিঙাগ্রচর্ম পূণর্উদ্ধার একটি জটিল ও ধৈর্য সাপেক্ষ ব্যাপার। গত কয়েক দশকে বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। বর্তমান তারা সফল। বর্তমান দু'ভাবে আপনি রেস্টোরেশন করতে পারেন। সার্জিক্যাল ও ননসার্জিক্যাল। সার্জিক্যাল পদ্ধতি ব্যয়বহুল ও সব দেশের মেডিক্যাল কলেজে এখনও এই অপারেশন চালু হয় নি। তবে, ব্যায় বহুল হলেও এর ফলাফল দ্রুত। খৎনা করা একজন পুরুষ আবার নিজেকে পুর্বের অবস্থায় ফিরে পান এবং লিঙাগ্রচর্মের ১০০ ভাগই ফেরত পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সাধারণের নাগালের বাইরে হয়ায় ননসার্জিক্যাল পদ্ধতি বর্তমান বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা সফলভাবে পুনর্উদ্ধার যন্ত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি ব্যবহারে একটু সময় বেশি লাগে। তবে ফলাফল ১০০ ভাগ। একজন ব্যক্তির ১০০ ভাগ চর্ম পুনর্উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সর্বোচ্চ ৪ বছর সময় লাগে। তবে, এ যন্ত্রটি এশিয়ার সব দেশের মেডিক্যাল সপে পাওয়া যায় না। তাই বিজ্ঞানীরা বাসায় এটি তৈরির পদ্ধতি বের করেছেন। ২০১৪ সালে আমি প্রথম ইন্টারনেট ও বিজ্ঞান জার্নাল গুলোতে বিষয়টি নিয়ে প্রথম পড়াশোনা করি। আমার এটি বুঝতে গোটা বছর লেগে যায়। কিন্তু ২০১৫ সালে " Foreskin Restoration " এর সদস্য হই। আমেরিকার TLC কোম্পানির প্রধান ড. রোন ল এর সাথে নিয়মিত ফোনো ও মেসেঞ্জারে পরামর্শ নেয়ার পর আমিও রেসটোরেশন শুরু করি এবং বাসায় এই মেডিক্যাল ডিভাইসটি বানাতে সক্ষম হই। প্রথম প্রথম খুব বিরক্তিকর লাগতো। ওতো ভালো ফলাফল পাই না। কিছু মাস বন্ধ থাকে। তবে আবার নতুন উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করি। ১ বছরে আমি আমার ২০ ভাগ চর্ম পুনর্গঠন করতে সক্ষম হই। বর্তমান আমি এটি চালিয়ে যাচ্ছি। ঠিকমত চললে আমার বাকি ৮০ ভাগ চর্ম পুনর্গঠন করতে সমর্থ্য হবো। আসলে বিষয়টি Tissue Engeniaring এর একটি জটিল বিষয়। আর এটি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার পরিবেশ এখনও আমাদের দেশে তৈরি হয়নি। তাই, NORM জার্নালে শুধু এ বিষয়ে লেখছি। আশার কথা অনেক বাংলাদশী গবেষক এবার পেয়েছি যারা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। আমি সেই দিনের স্বপ্ন দেখি যেদিন বিশ্বের সব দেশের মানুষ Genital Mutilation এর কুফল বুঝতে পারবে। আসুন জেনে নেই এটি মূলত কি ও কেমন।

লিঙ্গাগ্রচর্ম বা লিঙ্গাগ্রত্বক পুনঃস্থাপন হচ্ছে ত্বকচ্ছেদের কারণে হারানো লিঙ্গাগ্রচর্ম ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়া যেখানে লিঙ্গের চামড়াকে টেনে সামনের দিকে আনা হয়, যা অনেকটা লিঙ্গাগ্রচর্মের মতই দেখতে লাগে। তবে এই প্রক্রিয়াটি করা হয় সাধারানত কোন অস্ত্রোপচার ছাড়াই, লিঙ্গের অবশিষ্ট চামড়াকে টেনে এনে সম্পন্ন করা হয়, যদিও এর অস্ত্রোপচার-পদ্ধতিও বর্তমান।

অস্ত্রোপচারহীন পদ্ধতিঃ এটি হলো একটি
কলা সম্প্রসারণ পদ্ধতি
দ্বৈত টানে পুনরুদ্ধার DTR, এই যন্ত্রটি অস্ত্রোপচারহীন পদ্ধতিতে লিঙ্গত্বক পুনঃস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়
এই পদ্ধতি কলা-বিভাজনের নিয়ম অনুসরণ করে এবং এ পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। লিঙ্গের অবশিষ্ট চামড়া, যদি ত্বকচ্ছেদ/ খৎনার পর অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তা সম্প্রসারিত করা হয়। কোষ-বিভাজনের নিয়ম অনুসারে লিঙ্গাগ্রচর্ম পুনঃস্থাপন করতে হয় লিঙ্গের অবশিষ্ট ত্বককে সামনের দিকে টেনে শিশ্নের অগ্রভাগের ওপর নিয়ে আস্তে হবে।
অস্ত্রোপচার পদ্ধতিঃ
অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে লিঙ্গের শেষ প্রান্তের চামড়াকে কেটে এনে লাগানোর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়। এটি ব্যয়বহুল তবে ৭২সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যা সমাধান হয়। ইউরোপ,আমেরিকার দেশগুলোতে এবং চীন, সিংগাপুর ও মালয়েশিয়ায় এই সার্জারী হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের চেন্নাইয়ের ডক্টররা এই অপারেশন সফল ও স্বল্পমূল্যে করছেন।

অস্ত্রোপচারহীন পদ্ধতির প্রয়োজনীয় সময়ঃ
এই পদ্ধতিতে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই সময় নির্ভর করে লিঙ্গে কি পরিমাণ চামড়া অবশিষ্ট আছে এবং কি ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুনঃস্থাপনের ফলাফল তাৎক্ষণিক, তবে তা সন্তোষজনক নয় এবং পুনঃস্থাপনের পক্ষের ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ অস্ত্রোপচার না করাই ভাল। তবে এখন অবশ্য এটির সীমাবদ্ধতাগুলো দূর হয়ায় এটিই বেশি কার্যকর।
প্রাকৃতিক লিঙ্গত্বকের তিনটি প্রধান উপাদান রক্ত ধমনী, স্নায়ু এবং যোজক কলা ছাড়াও রয়েছে, ত্বক যার বহির্মুখ উন্মুক্ত করা থাকে; রয়েছে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী যার পৃষ্ঠের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে শিশ্নাগ্রের , যখন লিঙ্গ বীর্যহীন ও কোমল থাকে; এবং আরও আছে একদল মাংসপেশি যা লিঙ্গত্বকের আগায় থাকে। সাধারণত, যদি লিঙ্গত্বকের চামড়া ও মাংস উভয়কে প্রসারণ করা হয় অর্থাৎ টেনে ধরা হয়, লিঙ্গত্বকের চামড়া শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর তুলায় বেশ সহজে গজায়। লিঙ্গের চারপাশের চামড়ার গোলক যা লিঙ্গত্বক-কে লিঙ্গের কাছাকাছি ধরে রাখে, খৎনার সময় সেটিকে পুরোপুরি অপসারণ করা হয়।স্বাভাবিক-উপস্থিত পুং-জননেন্দ্রিয় আবরক ত্বক বা Foreskin বলে একে।

কিছু পুরুষের খৎনার যেসব সমস্যা হয় বলে তারা নিজেরা মনে করেন, তা লিঙ্গত্বক পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এই ধরনের কিছু সমস্যা হচ্ছে ক্ষতস্থানের দাগ থাকা(৩৩%), আরামদায়ক লিঙ্গ-উত্থানের জন্য পর্যাপ্ত লিঙ্গত্বক না থাকা(২৭%), অসমান লিঙ্গত্বক অপসারণ করা হলে লিঙ্গ বাঁকা হয়ে যাওয়া(১৬%), লিঙ্গ-উত্থানের কিংবা হস্তমৈথুনের সময় ব্যথা করা ও রক্তপাত হওয়া(১৭%)। এই জরিপে অংশগ্রাহকদেরকে লিঙ্গত্বক পুনঃস্থাপন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হয় এবং তাদের জন্য মতামত প্রদানের একটি কমেন্ট বক্স খোলা হয়।অনেক উত্তরদাতা ও তাদের স্ত্রীরা জবাব দিয়েছেন "ত্বক-পুনঃস্থাপন, খৎনা-করা লিঙ্গের অস্বাভাবিক শুষ্কতা দূর করেছে; যে শুষ্কতার কারণে সঙ্গমের সময় ঘর্ষণ, ব্যথা ও রক্তপাত হয়ে থাকে, এবং এই পুনঃস্থাপনের ফলে পাওয়া যায় এক অনন্য আনন্দ, যা যৌন অন্তরঙ্গতা বাড়ায়।
❤❤
তথ্যসূত্রঃ

১/Cold CJ, Taylor J.. The prepuce. BJU Int. 1999;83
২/Goodwin WE. Uncircumcision: a technique for plastic reconstruction of a prepuce after circumcision. J Urol. 1990;144(5):1203–5.

হুবহু আর্টিকেলটির লিংকঃ
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Foreskin_restoration

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন।

২| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনি কি ডাক্তার?

৩| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কিবরিয়া ভাই
খতনা করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এটি শিআরে ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের মৌলিক নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।
। হযরত ইব্রাহিম আ. জামানা থেকে এই সুন্নাত আমাদের পর্যন্ত চলে আসা ইসলামের অন্যতম
একটি বিধান।আমাদের মুসলিম সমাজে এ সংস্কৃতি শত শত বছর ধরে চলে আসছে।
এটি একটি মহান সুন্নাত। যুগে যুগে বড় বড় নবী-রাসুলও এ সুন্নাত পালন করেছেন।
সর্বপ্রথম এ সুন্নাত পালন করেছেন হজরত ইবরাহিম (আ.)। হজরত সাইদ ইবনে
মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবরাহিম (আ.) হলেন খৎনার সুন্নাত পালনকারী
সর্বপ্রথম ব্যক্তি। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৬৪৬৭)

খতনা নবীদের সুন্নত। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর পর সব নবী-রাসুল খৎনা করিয়েছিলেন।
অনেক হাদিস শরিফে এ সুন্নাত পালনের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
ফিতরাত (তথা নবীগণের সুন্নত) পাঁচটি যথাঃ খতনা করা, নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করা,
বগলের পশম উঠানো, মোঁচ ছোট করা এবং নখ কাটা। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬২৯৭]

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫০

আহমেদ কিবরিয়া বলেছেন: ভাই, আমি কিন্তু সেটিও উল্লেখ করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.