ভেবে দেখুন ়়়়়!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

.
এই এক্ষুণি একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটবে,
দ্যাখো!
.
স্ক্রীণ থেকে এইমাত্র তোমার চোখে আলো
গেলো। সেনসরি নিউরন বেয়ে সাঁই করে ব্রেইনে
উদ্দীপনাটা চলে গেলো। ব্রেইন অত্যন্ত
দ্রুতগতিতে প্রসেস করলো। বুঝতে পারলো তুমি এই
স্ট্যাটাসটার পাঁচ নং বাক্যটার সিগন্যাল
পাঠাচ্ছো এখন। ঘটনাটা বুঝার কারণে তোমার
মুখে এখন সুন্দর একটা মুচকি হাসি। পুরো লেখাটা
না পড়েই আর দশজন ফাঁকিবাজের মতো শুধুশুধু
“লাইক”এ চাপ দিয়ে, নীচের দিকে হাবলার মতো
স্ক্রল করে এই বিশাল রচনা না পড়ে পালানোর
ফন্দি আঁটছো এখন। হেহেহেঃ বেকুবের
মতো হাসছো কেনো, হ্যাঁ?
.
সামান্য কিছুক্ষণের এই মজার ঘটনাটার জন্যে
দরকার ছিলো চোখের সক্ষমতা। সেনসরি নিউরনের
কার্যক্ষমতা। ব্রেইনের সুস্থতা। সিগন্যালকে
প্রসেস করার জন্যে এই গিফটগুলো দিয়ে অর্জিত
এতোদিনের জ্ঞান। স্ক্রল করার জন্য, বা লাইকে
চাপ দিয়ে পালানোর জন্যে সুস্থ মোটর নিউরন।
কর্মক্ষম সুস্থ মাংসপেশি। মুচকি হাসার জন্যে
মুখের মাংসপেশিতে ব্রেইন হতে মোটর নিউরন
বেয়ে আসা সিগন্যাল। আর সেনস অফ হিউমারের
জটিলতায় নাই বা গেলাম!
.
এই গিফটগুলো তুমি নাও পেতে পারতে। কিছুই বলার
ছিলো না তোমার। কয় বিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনতে
তখন এইগুলো? কেনা যায় এগুলো? প্রতি মূহুর্তে কয়
বিলিয়ন ডলারের গিফট উপভোগ করছো তুমি? আমি
কি এখনও তোমার ফুসফুস, হৃদপিন্ড কিংবা মাথার
উপরের ছাদ, আব্বুম্মুর আদর আর দুপুরের খাবারের
কথা বলেছি? এখনও কয়েক লক্ষ উপহারের কথা
বলিনি আমি। বললে বই লিখতে হবে, স্ট্যাটাস না।
.
কেনো পাচ্ছো এতো গিফট?
তোমাকে পরীক্ষার হলেও এতো এতো গিফট
পাঠাচ্ছেন উনি!
কেনো?
কে তুমি?
.
সমগ্র সৃষ্টির তুলনায়, এই মহাবিশ্বের বিশালতার
তুলনায় তুমিতো একটা বালুকণার সমানও না।
চোখেই দেখা যায় না তোমাকে এতোই তুচ্ছ আর
ক্ষুদ্র তুমি! সেই তোমাকে উনি এতো ভালোবাসেন
কেনো? কেনো এতো কেয়ার করেন? কেনো এতো
আদর করেন? কেনো শুধু ক্ষমা করে দেন? কেনো
তোমাকে অনন্তের ক্যারিয়ার চেনাতে চান,
সেইখানে সফল হিসেবে দেখতে চান? কেনো? কি
দরকার উনার? কি লাভ উনার? কি সুবিধেটা হবে
উনার তুমি এতো গিফট পেলে, পরীক্ষায় পাশ
করলে, ওই ক্যারিয়ারে ভালো করলে?
.
কোন লাভ হবে না, সুবিধেও না। উনার এসবের
দরকারও নেই।
তবুও এতো ভালোবাসেন তোমাকে উনি!
এত্তোওওওও!!!!
.
উনি শুধু চান যে তুমি উনার কাছে ফিরে যাও। উনার
কাছে থাকো। ভালোভাবে পাশ করে আরো আরো
উপহার নিয়ে নাও উনার কাছ থেকে। যেনো তুমি
আরো ভালো থাকো, আরো খুশি হও, আনন্দে
থাকো! এখানকার আনন্দগুলোতো কোন আনন্দই না।
উনি তোমাকে সবচাইতে তীব্র আর অনন্তের
আনন্দের সুখে ভাসিয়ে দিতে চান।
.
উনিতো সারাক্ষণ তোমাকে দেখছেন,
ভালোবাসছেন, ভালোবাসা আর আদর দিয়ে তোমার
কাছেই আছেন উনি।
.
তুমি কবে উনাকে দেখবে?
প্রাণভরে ভালোবাসবে?
উনার কাছে ফিরবে?
উনাকে চিনবে, বুঝবে?
.
অনুভব করতে পারছো এই অপার অতলস্পর্শী
ভালোবাসাকে?
বুকের গভীরে কোথাও কি তোমার জন্যে এই অনন্ত
অসীম নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে চিনতে পারছো?
কপালটা মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে এখুনি উনার কাছে
ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে তোমার।
ঠিক না?

০ টি +০/-০