ব্রেইনওয়াশ ়়়়

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

নারীদের ক্যারিয়ারের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে
জনৈকা স্কার্ফি আপুর নাসিহাঃ
“অমুখ ভাবি তমুখ ভালো চাকরি করে নিয়মিত
হিসেব করে যাকাত আদায় করেন, গরিবদেরকেও
নিয়মিত দান করেন। চাকরি না করলে কি তিনি
পারতেন?”
লজিকটা হল অনেকটা পুরুষ হয়েও মা হওয়ার
আকাঙ্ক্ষা করার মতো বা ধনীদের কাছ থেকে
চুরি করে গরিবদের দান করার মতো। ইসলাম
নারীর ভরণপোষণের দায়িত্ব অর্পণ করেছে
পুরুষদের উপর। বিয়ের আগে বাবার উপর এবং
বিয়ের পরে স্বামীর উপর এই দায়িত্ব ন্যস্ত হয়।
এখন তাকে জাহেলি যুগের মতো ঘরের বাইরে বের
হয়ে নিজের ভরণপোষণ ম্যানেজ করার দরকার
নেই। এই ক্যারিয়ারিস্ট রোগের মূল কারণ হল
দ্বীন না বুঝা, আল্লাহর দেয়া বিধানের উপর
যুক্তি দিয়ে নিজের নফসকে প্রাধান্য দেয়া,
পশ্চিমাদের জাতে উঠার চেষ্টা করা। সেক্যুলার
শিক্ষাব্যবস্থা তাকে শিখিয়েছে পুরুষের যে কাজ
তা তোমাকেও করতে হবে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে “মর্ডান ইসলাম”
তথা “অ্যামেরিকান ইসলাম” এর প্রবক্তা কিছু
সেলিব্রিটি দাঈ শারিয়ার অপব্যাখ্যা করে
তাদেরকেও তথাকথিত পর্দা করে ক্যারিয়ারিস্ট
হতে উৎসাহ দেয়। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা
ইল্লা বিল্লাহ। এইসব তথাকথিত সুশীল
স্কলারের চেয়ে ইসলামকে যারা ভালভাবে
বুঝেছেন সেই সালাফ আস সালেহিন তথা শ্রেষ্ঠ
তিনযুগের ফক্বিহ, মুহাদ্দিস, আলিমরা কী বলে
গিয়েছেন তা আমাদের কাছে অধিক গুরুত্বের
দাবি রাখে। ক্যারিয়ারিস্ট হওয়ার মাঝে তার
সম্মান আছে বলে যাকে ছোটবেলা থেকে
ব্রেইনওয়াশ করে বড় করে তোলা হয় তার কাছে
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত নারীদের আদর্শ
কীভাবে ভালো লাগবে। যে পুরুষ তার স্ত্রীকে
রোজগার করার জন্য ঘরের বাইরে পাঠায় সে
স্রেফ আত্মমর্যাদাহীন এক জীব।
এক ভাই যথার্থই বলেছেন, “নিচে যে পদবির নাম
বুয়া, আকাশে ওই পদবির নাম এয়ার হোস্টেস!”
এই উদাহরণটা কর্পোরেট হাউজগুলোর ব্যাপারেও
খাটে। পার্থক্য হল সেখানে তাদের ভূমিকা স্রেফ
চিয়ারলিডার। শুনতে খারাপ খারাপ লাগলেও
এটাই বাস্তবতা।

১ টি +০/-০