নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন

I am a man with too many dreams; I know all of them could not come to the light but my process are continuous.

আহমেদ রিজভী

I am a man with too many dreams; I know all of them could not come to the light but my process are continuous.

আহমেদ রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসালামী আন্দোলনে সামরিক প্রশিক্ষণ সময়ের দাবী

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৮



ইসলামের জন্মলগ্ন থেকে আল্লাহর রাসুলের প্রায় প্রত্যেক সাহাবী ছিলেন তত্‍কালীন সময়ে প্রচলিত সমর বিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী সৈনিক । এসব সাহাবীদের কেউ ছিলেন দুর্ধর্ষ অশ্বারোহী, কেউ ছিলেন লক্ষ্যভেদী তীরন্দাজ অবার কেউবা ছিলেন বল্লম ও তরবারী চালনায় সুনিপুন দক্ষ্যতার অধিকারী । এসবের পাশাপাশি তারা প্রত্যেকেই ছিলেন একেকজন দা'য়ী ইলাল্লাহ । অর্থাত্‍ আধ্যাত্মিক ও জাগতি...ক সকল দিক থেকে তারা ছিলেন পরিপূর্ণ । অথচ আজকের জমানায় যারা ইসলামী জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জড়িত তারা এক হাত বিশিষ্ঠ ব্যক্তির মত । তারা অধ্যাত্মিকতায় বলিয়ান হলেও জাগতিক অনেক ক্ষেত্রেই দূর্বল বা ক্ষেত্রবিশেষে অক্ষম । এখন এ প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে উঠেছে যেখানে আল্লাহর রাসুলের প্রায় প্রত্যেক সাহাবী তত্‍কালীন সময়ের উপযোগী সমরবিদ্যা ও সমরকৌশলে ছিলেন অপরাজেয় সেখানে আজ তাদেরই অনুসারী দাবীদাররা যুগোপযোগী যুদ্ধবিদ্যায় কতটা পারদর্শী ?

বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় এখন আর এটা গোপন নেই যে আল্লাহর দ্বীন ইসলামের দুশমনরাই এখন সমগ্র বিশ্ব ও বিশ্বের প্রতিটা মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার ও সামরিক বাহিনীকে মোনাফিকদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করছে । তাই অবস্থার প্রেক্ষিত বিবেচনায় ইসলামী দলগুলোর উচিত রাষ্ট্রের প্রচলিত সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে নিজেদের প্রতিটি সামর্থবান কর্মীর জন্য প্রাথমিক সামরিক জ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং এদের মধ্য থেকে বাছাইকৃতদের নিয়ে শক্তিশালী গোপন সামরিক ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা ও এর যত্ন নেয়া । পাশাপাশি রাষ্টীয় বাহিনীতে যতবেশী সম্ভব নিজেদের লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে সবরকম সাহায্য সহযোগীতা নিশ্চিত করা । যার লক্ষ্য হবে বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে এর ব্যবহার এবং বিজয় আসা মাত্রই প্রচলিত সামরিক বাহিনীকে ভেঙ্গে দিয়ে তদস্থলে ইসলামী আদর্শে দীক্ষীত বাহিনীটিকে প্রতিস্থাপন করা ও প্রচলিত বাহিনীতে অবস্থানরত ইসলামী মতার্দশে বিশ্বাসীদেরকে সম্মানের সাথে নতুন বাহিনীতে একিভূত করা । কেননা বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় কেবল মাত্র জনসমর্থন নিয়ে কোন ইসলামী সংগঠন ক্ষমতায় আরোহন করলে তাকে বা তাদেরকে আলজেরিয়ার ইসলামিক সালভেশন ফ্রন্ট, মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিন ও ফিলিস্তিনের হামাসের পরিণতি ভোগ করতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই ।

প্রচলিত সামরিক বাহিনী ভেঙ্গে দিয়ে তদস্থলে রাজনৈতিক আদর্শে দীক্ষীত ও সমর বিদ্যায় প্রশিক্ষিত বাহিনীর প্রতিস্থাপন ইতিহাসে নতুন কিছু নয় । ষাট ও সত্তরের দশক জুড়ে বিশ্বব্যাপী চলমান কমিউনিষ্ট আন্দোলন প্রথম দিকে ছিল সসশ্র কিন্তু রাশিয়ার পতন ও পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থার কারনে কমিউনিষ্টরা বাধ্য হয়ে গতানুগতিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহনের পাশাপাশি স্বীয় মতাদর্শে বিশ্বাসী সামরিক শাখাকে গোপনে ঠিকি লালন পালন অব্যাহত রাখে । উদাহরণ স্বরুপ বাংলাদেশে জাসদের গণবাহিনী ও প্রচলিত সামরিক বাহিনীতে সক্রিয় বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার নাম উল্লেখযোগ্য । এটা তারা এজন্য করত যে বিজয় অর্জনে অথবা বিজয়ী হলে প্রচলিত সামরিক বাহিনীকে ভেঙ্গে দিয়ে তদস্থলে যেন তাদের মিলিটারী ইউনিটকে প্রতিস্থাপন করা যায় পাশাপাশি সামরিক বাহিনীতে ইতিপূর্বে অনুপ্রবেশকৃত ও তাদের আদর্শের সমর্থক লোকদের একই বাহিনীতে একিভূত করা সহজ হয় । চীন ও উত্তর কোরিয়ার গণবাহিনী বা পিপলস আর্মি, রাশিয়া ও কিউবার সামরিক বাহিনী কিন্তু সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে । যারা ক্ষমতারোহনের পরপরই পূর্বের বাহিনীকে দেশ এবং ক্ষমতার সকল স্তর থেকে নির্দয় ভাবে নির্মূল ও বিতাড়িত করেছে ।

কমিউনিষ্ট মাও সেতুওং বলেছিলেন বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উত্‍স । এ মন্তব্য থেকে আন্দোলনের সফলতা ও ব্যর্থতার ক্ষেত্রে স্বীয় মতাদর্শে বিশ্বাসী সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কমিউনিষ্টদের বিশ্বাস যে কতটা মজবুত তা সহজেই বোধগম্য । তাছাড়া মিশর, পাকিস্তান, আলজেরিয়া, সিরিয়া ও এক এগার এর মইন উদ্দীন ফখর উদ্দীন সরকার শাসিত বাংলাদেশের দিকে তাকালে যে সত্য দিনের আলোর মত পরিস্কার হয়ে উঠে তা হল বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উত্‍স । তবে ইসলামী দলে এরুপ বিশ্বাস কুফুরী কেননা সকল ক্ষমতার উত্‍স কেবল আল্লাহ তবে জাগতিক ক্ষেত্রে বন্দুকের নল উসিলা মাত্র এদিক থেকে মাও এর তত্ত্বটিকে কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা যাবে না ।

ক্ষমতার ভরকেন্দ্রেগুলোর নিয়ন্ত্রণ যদি ইসলামপন্থীদের হাতে না আসে তবে তাদের পক্ষে সমগ্র দেশবাসীর সমর্থন নিয়েও কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হওয়া সম্ভব হবে না আর যদি কদাচিত সম্ভব হয় তবে তা ধরে রাখাটা হবে অসম্ভব । কেননা বর্তমানে রাষ্ট্র ক্ষমতার প্রতিটি স্তরে অবস্থানকারী মোনাফেক ও সাম্রাজ্যবাদের পদলেহী শক্তি পদে পদে বাধার সৃষ্টি করবেই । তুরস্ক, মিশর, আলজেরিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ প্রতিটি মুসলিম দেশের দিকে তাকালে এর সত্যাসত্য খালি চোখে ধরা পড়ে । এজন্য সব সমস্যা থেকে উত্তরণে এবং বিপ্লব সাধনে এবং তা ধরে রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক ও সামরিক জ্ঞান অর্জনের কোন বিকল্প নাই ।

তাই বলে ইসলামী দলগুলো যে কেবল মিলিটারী শক্তির দিকে অধিক নজর দিবে আর অন্যসকল ক্ষেত্রকে অবহেলা করবে তা কিন্তু ঠিক নয় বরং বাতিল শক্তির মোকাবেলায় তাদেরক আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক ও সামরিক জ্ঞানের পাশাপাশি জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় সমান পারদর্শীতা ও উত্‍কর্ষতা অর্জন করতে হবে । তবে জাগতিক ব্যাপারে অগ্রাধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে সামরিক খাতের উত্‍কর্সকে সবার উপরে স্থান দিতে হবে ।

পরিশেষে "নাসরুম মিনাল্লাহে ওয়া ফাতহুন কারিব" ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: যাক জিহাদের ডাক দিয়েছেন, এইবারে আল্লাহ থেকে সাহায্য এনশাল্লাহ চলে আসবে। [ পুরাতন বিখ্যাত সব কিতাবে এনশাল্লাহ পেয়েছি, তাই গালমন্দ করবেন না আশাকরি ]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.