![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a man with too many dreams; I know all of them could not come to the light but my process are continuous.
ফেসবুক, টুইটার ও ব্লগ এসময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে নিজেদের অবস্থানকে করেছে সুসংহত । যোগাযোগের এই মাধ্যমগুলোর প্রতি কিশোর, তরুন ও যুবকদের আশক্তি এবং অংশগ্রহনের মাত্রা সুপারসনিক গতিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে । দেশে দেশে ইন্টারনেটের ব্যাপ্তি ও সহজ লভ্যতা এবং সেল ফোন দিয়ে অতি সহজে ব্যবহার উপযোগীতা এইসব যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তাকে নিয়ে গেছে অন্যরকম এক উচ্চতায় যা দিন দিন ক্রমবর্ধমান গতিতে উর্ধ্বমুখে ছুটে চলছে ।
দেশে দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে জনগণের অংশগ্রহন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে । উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনুন্নত দেশ সমুহে এইসব মাধ্যমের জনপ্রিয়তা অনেক অনেক গুন বেশি । তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বিরাজমান স্বৈরতান্ত্রিক ও নিষ্পেশন মূলক সরকার ব্যবস্থা, প্রচলিত গণমাধ্যমের উপর সরকার কর্তৃক কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রনের কারনে মুক্তমত প্রকাশে উপযুক্ত প্লাটফর্মের অভাব, প্রকাশ্যে মতামত ব্যক্তকারীর নিরাপত্তাহীনতাসহ নানাবিদ কারনে স্বাধীন মত প্রকাশের সহজ ও নিরাপদ প্লাটফর্ম হিসেবে, সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতাকে জন সম্মুখে তুলে ধরার মাধ্যম হিসেবে এবং সর্বোপরি পারস্পরিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে এখানে জনগনের অংশগ্রহন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা এসব গণমাধ্যমের জনপ্রিয়তার পারদকে উর্ধ্বমুখী করছে ।
জনমত সৃষ্টিতে এইসব গণমাধ্যম এখন অপ্রতিদ্ধন্দী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে । চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে প্রচলিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতি । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আবির্ভাবের ফলে সময় বদলে গেছে আগে যেখানে প্রচলিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো জনমতকে নিয়ন্ত্রণ করত এখন সেখানে জনমতই প্রচলিত গণমাধ্যমের লাগামকে নিয়ন্ত্রণ করছে ।
দুনিয়া কাঁপানো “আরব বসন্ত” সংগঠনে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা কারো অজানা নয় । মিশরের এপ্রিল সিক্স মুভমেণ্ট আজ বিশ্ব ইতিহাসের অংশে পরিণত হয়েছে যা মূলত ফেসবুক ভিত্তিক একটি গ্রুপ । মিশর বিপ্লব আরবের অন্যান্য দেশে বিদ্যমান স্বৈরাচারী সরকারগুলির উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করেছে যার পেছনে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর শক্তিশালী ভূমিকা ।
বাংলাদেশের সরকার ও সেকুলার শ্রেণীর সমর্থন পুষ্ট বিতর্কিত শাহবাগ আন্দোলন ও এর বিপরীতে আপামর জনগুষ্ঠির অংশগ্রহনে গড়ে উঠা হেফাজত আন্দোলনের পেছনেও রয়েছে সামজিক মাধ্যমগুলির অসামান্য অবদান । এই দুই আন্দোলন বাংলাদেশের জনগুষ্ঠিকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে । পরিস্থিতির বাধ্যবাদকতায় বর্তমানে আগ্নীয়গিরির তীব্রতা স্থিমিত মনে হলেও ছাইয়ের নীচে উদ্দত লাভা এখনো প্রবাহমান । বড় নদীর স্রোতের তীব্রতা থাকে তার গভীরে ঠিক তেমনিভাবে হেফাযত আন্দোলনের প্রভাব এদেশের তৃণমূলে বিপুল শক্তি নিয়ে প্রবাহমান বিপরীতে শাহবাগ আন্দোলন তার বিতর্কিত নেতৃত্বের কারনে গণমানুষের কাছে ধিকৃত ও বিতর্কিত হয়ে আজ মৃতপ্রায় । নাস্তিকতার চর্চা ও প্রচার প্রসারের অভিযোগের পাশাপাশি আল্লাহ, মহানবী, উম্মুল মুমীনীন, কুরআন-হাদীস ও ইসলামি শরীয়ার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরচারের অভিযোগে শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্ব অভিযুক্ত হয়েছে ।
বাংলাদেশের ভবিষ্যত গতিপথ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এই দুই আন্দোলন ও এর সাথে জড়িত পক্ষগুলো এখনো সক্রিয় ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যদিও একটি পক্ষ ইতিমধ্যে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে । এ থেকেই স্পষ্ট এই দুই পক্ষের কোন একটির বিজয়ের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত গন্তব্য । তাই বলা যায় আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি বরং এখন এটি স্নায়ু যুদ্ধের স্তর অতিক্রম করছে মাত্র । কোন একটি পক্ষের চূড়ান্ত পরাজয় ও ধ্বংসের মধ্য দিয়েই কেবল এর সমাপ্তি প্রত্যাশা করা যায় ।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
ডি মুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন
আমাদের নতুন করে ভেবে দেখার অবকাশ আছে বৈকি । আমরা কোন দিকে এগোচ্ছি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অত্যন্ত বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট। ব্লগ ,ফেসবুক এখন যথেষ্ট ভূমিকা রাখে সমাজরে দেশের প্রতিটি স্তরে। এসব জায়গায় পেশাদারী মনোবৃত্তি আসলে সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় একজন ব্লগার স্বাধীন সত্তা নিয়ে সববিষয় শুধুমাত্র সত্যটা প্রকাশ করলে। ব্লগিং হবে দেশের স্বার্থে দশের স্বার্থে।কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে মিথ্যাচার নয় সত্য প্রকাশ করার মাধ্যমে। চমৎকার পোস্ট+