নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন স্বপ্নচারী

আহসান ০০১

সাধারণ একজন যে অসাধারণ সাধারণ হতে চায় ।প্রাচীন ইতিহাস , আন্তর্জাতিক রাজনীতি , সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি , বিশ্ব সাহিত্য আগ্রহের বিষয় । ভাল লাগে চারপাশের প্রকৃতি দেখতে এবং চারপাশের মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে

আহসান ০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সব প্রান্তে বাংলাদেশ - কাবাঘরে বাংলাদেশী নারী খাদেম

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০

পৃথিবীর এমন কোন প্রান্ত নেই যেখানে কোন না কোন বাংলাদেশি নেই , তেমনি পৃথিবীর সব ধরনের কাজেই বাংলাদেশির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, এবার তেমন ই একটা খবর ।

মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র মসজিদ কাবাঘর ২৪ ঘণ্টাই থাকে ইবাদতকারীদের ভিড়ে মুখর। কখনোই কাবা চত্বর খালি থাকে না। সব সময়ই দেখা যায়, কেউ তাওয়াফ করছেন, কেউ নফল নামাজ আদায় করছেন, কেউ কোরআন তেলাওয়াত করছেন ইত্যাদি।সূত্র ইন্টারনেট।





এত ভিড় যেখানে, সেই জায়গা ময়লা হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু পবিত্র কাবা সব সময়ই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে। এখানে তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টাই খাদেমরা কাজ করেন। কাবাঘরে আগত নারী-পুরুষ-শিশুদের কেউ কিছু খেয়ে উচ্ছিষ্ট ফেললে সঙ্গে সঙ্গে খাদেম এসে তা পরিষ্কার করেন। তাছাড়া নিয়মিত ধোয়ামোছার কাজ তো সব সময় চলছেই।



এসব খাদেমদের মধ্যে বাংলাদেশী নারীরাও রয়েছেন। ২০ বছর ধরে এখানে কাজ করছেন বরিশালের মাসুদা বেগম ও জাহানারা এবং খুলনার সুলতানা। তাদের সঙ্গে আরো চার বাংলাদেশী নারী আছেন। তবে তারা বাংলাদেশ থেকে আসেননি। তারা সৌদি প্রবাসী বাবা-মার সন্তান হিসেবে এখানেই বড় হয়েছেন। কজন বাংলাদেশী নারী ২০ বছর ধরে পবিত্র কাবায় কাজ করছেন, তাদের কিছু কথা তুলে ধরা হলো।





বরিশালের মাসুদা ও জাহানারা এবং খুলনার সুলতানা ১৯৯২ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে কাবাঘরে খাদেম হিসেবে আসার জন্য আবেদন করেন। নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৩ সালে পবিত্র কাবার সেবায় তারা আসেন। সেই থেকে আজও তারা কাবাঘরের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এ কাজ করতে পেরে তারা খুব আনন্দিত ও গর্বিত। নিরাপদ পরিবেশে কাবাঘরের মতো পবিত্র মসজিদে কাজ করতে পারাকে তারা নিজেদের সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন।





বাংলাদেশ থেকে সৌদি সরকার আরও নারী খাদেম নেয়ার আগ্রহ দেখালেও বাংলাদেশ সরকার নানা কারণে নারী খাদেম দেশ থেকে পাঠায়নি। কিন্তু মাসুদা ও জাহানারা বললেন, এখানে কাজের পরিবেশ খুবই ভালো ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই আরো নারী কর্মী দেশ থেকে আসা উচিত। বেতন-বোনাস ছাড়াও রমজান মাস ও হজের সময় হাজিদের কাছ থেকে টাকা ও অন্যান্য উপহার যা পান, তাতে তারা খুশি। সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দেশে পাঠাতে পেরে তারা সন্তুষ্ট। রোজ আট ঘণ্টা কাজ করতে হয়। নারীদের নামাজ আদায়ের জায়গা ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা, অজুখানা সাফ রাখা, বিভিন্ন বুক সেলফে কোরআন মুছে গুছিয়ে রাখা, কার্পেট সাফ রাখা ইত্যাদি নানা কাজ করতে হয় এখানে।





মাসুদা বলেন, এখানে অনেক কড়াকড়ি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোথাও যাওয়া যায় না; একাকী কারও কোথাও যাওয়ার নিয়ম নেই। বেতন পাওয়ার দিন কর্তৃপক্ষ সবাইকে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বাজারে নিয়ে যায় প্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য। প্রতি বছর একবার ছুটি পেলেও খরচ বাঁচানোর জন্য মাসুদা দুই বছর পর পর দেশে যান। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য মাসুদাকে ২০০৫ সালে কর্তৃপক্ষ পুরস্কৃত করে। মাসুদা স্বামীর সঙ্গে আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকেন।





জাহানারা বেগমের (৪২) স্বামী ও তিন মেয়ে দেশে থাকেন। তিন মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে। তিনিও দুই বছর পরপর দেশে যান। জাহানারা এখানে থাকতে পেরে খুবই খুশি। সংসারের সব খরচ তিনিই পাঠান। তাছাড়া মোট তিনবার হজ করেছেন। দেশে থাকলে হজ করার সৌভাগ্য হতো না। তিনি এখানে অন্য নারী খাদেমদের সঙ্গে হোস্টেলে থাকেন। কর্তৃপক্ষের দেয়া গাড়িতে করে কাবাঘরে আসা-যাওয়া করেন।





সুলতানার এক ছেলে দেশে নানা-নানির কাছে থাকে। দেশী-বিদেশী খাদেমদের সঙ্গে থাকতে থাকতে তারা সবাই নানা দেশের ভাষা বুঝতে পারেন, কাজ চালানোর মতো বলতেও পারেন।



মুসলমানদের পবিত্রতম মসজিদে যেহেতু মেয়েদের নিরাপত্তার কোনও অভাব নেই, তাই আগামীতে আরও নারী খাদেম এখানে পাঠানো যায় কিনা, তা সরকার ভেবে দেখবে আশা করি।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর সচেতন পোস্ট

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৫

আহসান ০০১ বলেছেন: ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৬

মুনতাসির মুহাম্মদ হামিদ সজীব বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৬

আহসান ০০১ বলেছেন: মানেটা?

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০

রইসউদ্দিন গায়েন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ!খুব ভাল লাগলো পোস্টটি পড়ে!পবিত্র কাবার পরিচর্যার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করার অর্থ পরম করুণাময় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাকের পবিত্র সান্নিধ্য লাভ করা!....এমন একটি সুন্দর বিষয় প্রকাশ করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭

আহসান ০০১ বলেছেন: আপনার এই কথাগুলো তখন কেন যে মনে আস্লনা, এইগুলা দিলে লেখাটা আর ভাল হত :) ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ফারমার বলেছেন: আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে দেখে ওখানে নোয়াখালীর এক লোক মুদি দোকান খুলে বসে আছে!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮

আহসান ০০১ বলেছেন: ;)

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

ফারমার বলেছেন: বেহেস্তের প্রহরীর কাজে কিছু বাংলাদেশীকে ঢোকাতে পারেন কি না দেখেন; তা'হলে আমাদের প্ সমান্য ঘুষেই কাজ হয়ে যাবে!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৪

আহসান ০০১ বলেছেন: ভাই এটা বেসি হয়ে গেল, আমরা মজা করাটাকে একটা লিমিট এর মধ্যে রাখি যাতে সেটা কার মনে আঘাত না দেয়

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

নি্লীমা বলেছেন: ভাল লাগলো

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯

আহসান ০০১ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু উৎসাহিত করার জন্য

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২

এম আর ইকবাল বলেছেন: ভাল লাগলো ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯

আহসান ০০১ বলেছেন: ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩০

মোঃ ওমর শরীফ বলেছেন: ভালো লাগলো।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩১

আহসান ০০১ বলেছেন: ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য

৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

রইসউদ্দিন গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ,লেখক ভাই!আমি খুব খুশি হলাম আমার মন্তব্যের কথাগুলি আপনার ভাল লেগেছে জেনে!..আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থ-সুন্দর রাখুন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.