| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আহসান ০০১
সাধারণ একজন যে অসাধারণ সাধারণ হতে চায় ।প্রাচীন ইতিহাস , আন্তর্জাতিক রাজনীতি , সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি , বিশ্ব সাহিত্য আগ্রহের বিষয় । ভাল লাগে চারপাশের প্রকৃতি দেখতে এবং চারপাশের মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে
আমার সবচেয়ে বেশি আগ্রহ প্রাচীন ইতিহাসে , পেপার বই ইন্টারনেটে ইতিহাসের কিছু পাইলেই পড়ি । আজ প্রথম আলো তে প্রাচীন বাংলা বিষয়ক ২টা প্রবন্ধ পাইলাম , ১টা একটু আগে শেয়ার দিসি এখন এইটাও নয়া দিয়া পারলাম নয়া, ভাল লাগার মত জিনিস যাদের ইতিহাসে আগ্রহ আছে ।
বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস রচনার যে উৎস হাতে পাওয়া যায়, তার ওপর ভিত্তি করে ইতিহাস রচনা করা খুবই কঠিন। অনেক অধ্যায়-পর্বের বিন্যাসে, তথ্য-উপাদানের অভাবে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।
প্রাচীন বাংলার নৃপতিদের স্থাপিত রাজধানী নিয়ে এমন অসম্পূর্ণতা ও বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। বরেন্দ্রভূমির পাল শাসকদের রাজধানী ‘রামাবতী নগরী’ কোথায় ছিল? কোথায় ছিল সেন নৃপতি বিজয় সেনের রাজধানী ‘বিজয়নগর’ কিংবা তাঁর পৌত্রের রাজধানী মিনহাজ-ই-সিরাজ উল্লিখিত ‘নওদিহ’?
১৩১৯ বঙ্গাব্দে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির উদ্যোগে ঐতিহাসিক অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ রমাপ্রসাদ চন্দ প্রণীত গৌড়রাজমালা গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজশাহী শহরের ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের রাজাবাড়ি নামক স্থানই ছিল বিজয় সেনের রাজধানী বিজয়নগর। সেন রাজসভার অন্যতম কবি ধোয়ী রচিত পবনদূত কাব্যেও এই রাজধানীর কথা আছে। সেখানে বিজয়পুর হিসেবে কোথাও কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঐতিহাসিকেরা একমত হয়েছেন যে কবি ধোয়ীর ‘বিজয়পুর’ ও ‘বিজয়নগর’ এক ও অভিন্ন।
অপর দিকে সেন নৃপতি বিজয় সেনের ছেলে বল্লাল সেনের সংস্কৃত ভাষায় লেখা দানসাগর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বিজয় সেনের আগমনস্থানই বিজয়নগর। এর কিছু দূরেই বর্তমান কদমশহরে প্রদ্যুশ্বর মন্দির এবং প্রকাণ্ড দিঘি খনন করেছিলেন। পরমশৈব বিজয় সেন এখানকার মন্দিরে পারিবারিক ইষ্টদেবতা সদাশিবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে ইতিহাসে উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রদ্যুশ্বর মন্দিরের দিঘির পূর্বপাড় থেকে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ সিভিলিয়ন সি.টি. মেটকাফ সাহেব একটি শিলালিপি উদ্ধার করেন। ‘দেওপাড়া প্রশস্তি’ নামে পরিচিত ওই শিলালিপিতে উল্লেখ আছে, সেন নৃপতি বিজয় সেন জনহিতার্থে এখানে একটি প্রকাণ্ড দিঘি ও সুউচ্চ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দিঘির পূর্বপাড়ে ধানখেতের মধ্যে তাঁর নির্মিত মন্দিরের একটি স্তম্ভ এখনো পড়ে রয়েছে।
এ কথা সুস্পষ্টভাবেই বলা যায় যে প্রাচীন বাংলায় বিজয় সেনের রাজত্বকাল এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে আছে। কারণ, পাল শাসনের শেষের দিকে বাংলার রাজনৈতিক একতা বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। ছোট ছোট সামন্তরাজ নিজেদের মধ্যে পরস্পর কলহে লিপ্ত হয়ে পড়েছিলেন। জাতীয় স্বার্থের কথা বিস্মৃত হয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। রামপাল কিছুতেই এদের নিজের প্রয়োজনে কাছে পাননি। এই সুযোগে বিজয় সেন বাংলায় অখণ্ড রাজশক্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এখন বিজয়নগরের বৃহদংশ গ্রাস করেছে এককালের কীর্তিনাশা—পদ্মা নদী। বিজয়নগর নামে ক্ষুদ্র জনপদ রয়েছে মাত্র, তবে এর পূর্বদিকে বিশাল এলাকা নিয়ে অর্ধশতাব্দী আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারের গবাদিপশু খামার। এসব স্থান থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও উৎখননে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ প্রত্ননিদর্শন। এই নিদর্শনের সিংহভাগই রক্ষিত হয়েছে দেশের সর্বপ্রাচীন সংগ্রহশালা বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে। প্রত্ননিদর্শনের মধ্যে রয়েছে প্রস্তরনির্মিত গঙ্গা, সূর্য, বিষ্ণু, গণেশ, সরস্বতী, মনসা, কামদেব, চামুণ্ডা, যক্ষী, দুর্গা, মহত্তরী তারা প্রভৃতি ভাস্কর্য এবং রাজপ্রাসাদ ও মন্দিরে ব্যবহূত স্থাপত্যের অংশবিশেষ। এখানে পাওয়া গঙ্গামূর্তিটি বঙ্গীয় শিল্পকলার অসাধারণ শিল্পকর্ম হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়ে আছে। বিজয় সেনের রাজধানীর প্রাচীনতার স্মারক হয়ে এখনো আছে ‘উপরবাড়ি ঢিবি’, ‘কুমারপুর ঢিবি’, ‘প্রদ্যুশ্বর দিঘি’ প্রভৃতি। ‘উপরবাড়ি ঢিবি’ এখন পদ্মার চরাঞ্চল থেকে আসা মানুষের দখলে চলে গেছে। তারা ঢিবি কেটে কেটে এখন ঘরবাড়ি বানাচ্ছে। ‘কুমারপুর ঢিবির’ মাটির দুর্গেরও বেহাল অবস্থা। বিজয় সেনের প্রদ্যুশ্বর দিঘি আছে। আছে দিঘির পাড়ে ছড়ানো-ছিটানো ইট, পাথর। প্রায় শতাব্দীকাল আগে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে বিজয়নগর এবং তার আশপাশে আংশিক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ করা হয়েছিল। ঐতিহাসিকদের ধারণা, বিজয়নগর, কুমারপুর, কদমশহর, পালপুর, ধরমপুর প্রভৃতি স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও বৈজ্ঞানিক খনন চালালে পাওয়া যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ননিদর্শন।
Click This Link
২|
২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
রওনক বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪২
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ১ নং ভাল লাগা