![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ একজন যে অসাধারণ সাধারণ হতে চায় ।প্রাচীন ইতিহাস , আন্তর্জাতিক রাজনীতি , সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি , বিশ্ব সাহিত্য আগ্রহের বিষয় । ভাল লাগে চারপাশের প্রকৃতি দেখতে এবং চারপাশের মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে
ঘটনাটা ফেসবুক পড়ে এত ভাল লাগসে যে শেয়ার না দিলে শান্তি পাইতেসিলাম না । মূল পোস্ট যিজি দিসিলেন তিনি নাম দিয়েছিলেন "বৃষ্টিভেজা বিকেল ও একটি ছোট্ট ঘটনা " আমার কাছে মনে হল গল্পের নামটা এমন হইলে বেসি ভাল হয় । গল্পটা শুধু পড়ে গেলে হবেনা , নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে যে আমরা কি করতেসি । একটু ভাবতে হবে
আমার নানার বাসা বাংলা মোটর আর মগবাজার মোড়ের ঠিক মাঝামঝি একটি গলিতে। মাগরিবের নামাজের আগে বৃষ্টি পড়ছে গুড়ি গুড়ি। নানুর ওষুধ লাগবে, তাই বের হলাম। ওষুধ কিনে নামাজ পড়ে বাসায় যাব। কিন্তু বের হয়ে আশেপাশে ওষুধের কোন দোকান খুজে পাই না। অনেকখানি হাটতে হল, ভিজেও গেলাম। ফিরে এসে দেখি জামাত শেষ। একা একাই নামাজ পড়ে নিলাম।
আমার লেখার উদ্দেশ্য এর পরের ঘটনাটুকু। নামাজ পড়ে যখন বের হচ্ছি, ছোট্ট মসজিদটি প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। বের হতেই গেটের সামনে একটি রিকশা, সাথে রিকশাওালাও দাঁড়ান। আমাকে দেখেই বলল, বাবা রিকশায় তালা নাই। আমার রিকশাটা দেখবেন? আমি একটু তিন রাকাত নামায পড়তাম! (আঞ্চলিক ভাষায়)
মনের ভেতর লুকায়িত অহঙ্কার এখনি প্রকাশ পেয়ে যেত। এই সামান্য রিকশাওয়ালার কত বড় সাহস! আমাকে বলে কিনা, তার রিকশা পাহাড়া দিতে। ধমক দিয়েই দিতাম হয়তোবা। কিন্তু চেহারার দিকে তাকিয়ে পুরো দমে গেলাম। বৃষ্টিতে সারা শরির, জামা কাপড় সব ভেজা। থুরথুরে বৃদ্ধ একজন মানুষ। রাগ, অহঙ্কার সব মুহূর্তে মিশে গেল।
চাচা ! আপনি যান, নামায পড়ে আসেন। আমি দেখছি।
ধীরে ধীরে অযু করলেন, নামায পড়লেন । তিন রাকাত নামায শেষ করে বললেন, বাবা! আর দুই রাকাত পড়ি ? এমন ভাবে বললেন, আমি অনুমতি দিলেই কেবল পড়বেন। অবাক হয়ে গেলাম, একটা মানুষ এতটা বিনয়ী কিভাবে হয়!
চাচা পড়েন, কোন সমস্যা নাই।
নামায শেষে সংক্ষিপ্ত দোয়া করলেন। বের হয়ে আমার গায়ে একটু হাত বুলিয়ে দিয়ে রিকশা নিয়ে চলে গেলেন।
ছোট্ট একটি ঘটনা, কিন্তু হৃদয়ে দাগ কাটার মত। আমাদের দৈনন্দিন হাত খরচের সমপরিমান টাকা এক সপ্তাহ রিকশা চালিয়েও হয়তো তারা কামাতে পারেন না। বৃদ্ধ বয়সেও রিকশা নিয়ে নামতে হয়। বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, রোদে পুড়তে হয়। অথচ এত কষ্টের পরও আল্লাহর পক্ষ থেকে আরোপিত দায়িত্বগুলো তারা যথাযথভাবে পালন করে চলছেন। এনাদের ফেস নাই, ফেইসবুকও নাই। সমাজে তাঁদের কোন মর্যাদাও নাই। কিন্তু হয়ত তারা আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়।
সম্ভবত এদের সম্পর্কেই আল্লাহর রাসুল (স) বলেছেন,
সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, উশখুস্ক চুল, মলিন বস্ত্র পরিহিত। কারো কাছে গেলে মুখ ফিরিয়ে কেউ তাকিয়েও দেখে না। কিন্তু তারা আল্লাহর কাছে এতটা প্রিয়, কোন বিষয়ে কসম করে ফেললে, আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেন। ( তিরমিযি )
Collected From
Rizwanul Kabir Sanin
আল্লাহ এঁর কাছে প্রিয় হওয়া সবচেয়ে সহজ কারণ আল্লাহ যা যা বলসেন সেইমত চললেই এটা সম্ভব সেখানে কোন ধনী গরিব এঁর ব্যাপার নাই যে সে পথে চলবে সেই আল্লাহ এঁর অনুগ্রহ পাবে । ,আবার আল্লাহ এঁর কাছে প্রিয় হওয়া খুব কঠিন কারণ আমরা সেইমত চলতে পারিনা , আমাদের খুব অনিহা আমাদের খুব কষ্ট হয় ছোট ছোট ব্যাপার যেমন নামায পড়া রোজা রাখা মিথ্যা না বলা খারাপ কাজ না করা এসব করতে, এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য
২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ++++++++++
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, উশখুস্ক চুল, মলিন বস্ত্র পরিহিত। কারো কাছে গেলে মুখ ফিরিয়ে কেউ তাকিয়েও দেখে না। কিন্তু তারা আল্লাহর কাছে এতটা প্রিয়, কোন বিষয়ে কসম করে ফেললে, আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেন।
আমরা কি পারব আল্লাহর এত প্রিয় হতে?
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
আহসান ০০১ বলেছেন: আল্লাহ এঁর কাছে প্রিয় হওয়া সবচেয়ে সহজ কারণ আল্লাহ যা যা বলসেন সেইমত চললেই এটা সম্ভব , আবার আল্লাহ এঁর কাছে প্রিয় হওয়া খুব কথিন কারণ আমরা সেইমত চলতে পারিনা , আমাদের খুব অনিহা, এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
আহলান বলেছেন: হুম, ভাই আপনে যে চান্স মতো সোয়াব কামায়া নিলেন, তা কিন্তু আমি ঠিকই বুঝছি, আপনিও সৌভাগ্যবান যে এমন একটা কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন।
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
আহসান ০০১ বলেছেন: ভাই ঘটনাটা আরেকজনের , আমি শুধু শেয়ার দিসি আমরা সবাই যাতে জানি আর নিজেরা কি করতেসি এটা নিয়ে একটু চিন্তা করি
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
মশিকুর বলেছেন: ++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০০
কালোপরী বলেছেন: