নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন স্বপ্নচারী

আহসান ০০১

সাধারণ একজন যে অসাধারণ সাধারণ হতে চায় ।প্রাচীন ইতিহাস , আন্তর্জাতিক রাজনীতি , সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি , বিশ্ব সাহিত্য আগ্রহের বিষয় । ভাল লাগে চারপাশের প্রকৃতি দেখতে এবং চারপাশের মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে

আহসান ০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তার আলোয় পড়া এ যুগের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

রাস্তার আলোতে ফুটপাতে বসে লেখাপড়া করছে একটি শিশু নাম রাজু ।



রাজু তার তিন ভাইবোন ও মা সহ থাকে ঢাকার উত্তরার সোনারগাঁ জনপথ রোডের পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে৷ গুগল ম্যাপের সহায়তা নিয়ে তাদের ঘরের আসল জায়গাটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন পোস্ট দাতারা৷ আরও জানা গেল, রাজুরা আসলে ছিল সাত ভাইবোন৷ এর মধ্যে একজন মারা গেছে৷ বাকি বড় দুই ভাই বিয়ে করে আলাদা থাকছে৷ তারা পরিবারের খোঁজখবর নেন না৷ রাজুর বাবা বছর চারেক আগে মারা গেছেন সম্ভবত ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে৷





রাজু ও তার পরিবার

সাক্ষাৎকারে রাজু জানালো সে পড়ে স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে৷ সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত ক্লাস করার পর সে চলে যায় ওয়ার্কশপে কাজ করতে৷ সেখানে থাকে রাত আটটা পর্যন্ত৷ মাঝে দুপুর দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মসজিদে যায় আরবি শিখতে৷ এরপর রাত আটটায় ঘরে ফিরে পড়াশোনা করে৷ কিন্তু ঘরে শুধু একটা আলোর ব্যবস্থা থাকায় মা সেটাতে কাজ করেন৷ তাই পড়ালেখা করতে তাকে চলে যেতে হয় ফুটপাতে, যেখানে রাস্তার লাইটের আলো আছে৷ রাজুর সঙ্গে পড়ে তার বোন বৃষ্টি ও ছোট ভাই ভান্ডারি৷ বৃষ্টি একই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে৷

কথা প্রসঙ্গে রাজু জানালো, রাস্তার পাশে পড়ার সময় ধুলাবালির কারণে তার সমস্যা হয়৷ যে ওয়ার্কশপে সে কাজ করে সেখান থেকে কোনো টাকা পয়সা দেয় না৷



রাজু ও তার পরিবারের সাক্ষাৎকার

শুধু ঈদে জামাকাপড়, জুতা দেয়৷ এ প্রসঙ্গে রাজুর মা জানালেন, ‘‘আমি অসুস্থ৷ না জানি কখন কি হয়৷ তখন ছেলেমেয়েদের কি হবে৷ আমার তো জমিজমা, ঘরবাড়ি নাই৷ তাই কাজ শিখুক৷ যদি কাজে লাগে?'' এরপর এই অশিক্ষিত মা বললেন, ‘‘কাজ না করলে সেই সময়টা দুষ্টু ছেলেপিলের সঙ্গে মিশে খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে৷''

রাজুর মা জানালেন তাঁর কানের নীচে টিউমারের মতো হয়েছে৷ তিনি হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাচ্ছেন৷ কিন্তু অর্থের অভাবে নিয়মিত খেতে পারছেন না৷ ইটভাঙার কাজ করে পাঁচজনের সংসার চালান রাজুর মা৷

রাজু তার মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী পড়ালেখা করে ভবিষ্যতে জজ হতে চান৷ আর বৃষ্টি ও ভান্ডারি ডাক্তার হয়ে মায়ের চিকিৎসা করতে চায়৷

কিন্তু তাদের এই স্বপ্নগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে? আশার কথা, যাঁরা ফেসবুকে ছবি দিয়ে বিষয়টি অনেকের নজরে এনেছেন তাঁরাই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ এ নিয়ে তাঁরা ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছেন৷ সেখানে অনেকে আশার কথাও শুনিয়েছেন৷





সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক



Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এসব দেখলে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে সাধ জাগে।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

স্বপনচারিণী বলেছেন: ধন্য সেই মা যিনি এমন সন্তানদের গর্ভে ধারণ করেছেন।এইসব মা আর সন্তানদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.