![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ একজন যে অসাধারণ সাধারণ হতে চায় ।প্রাচীন ইতিহাস , আন্তর্জাতিক রাজনীতি , সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি , বিশ্ব সাহিত্য আগ্রহের বিষয় । ভাল লাগে চারপাশের প্রকৃতি দেখতে এবং চারপাশের মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে
মেডিকেলে পরীক্ষা দিয়েও চান্স পাইনাই , কত কঠিন ভালমতই জানি । খুব কষ্টের মধ্যে পড়াশোনা করেও শুধু মেডিকেল এই না , স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল এঁর মত জায়গায় চান্স পাইসে এই ছেলে । তারপরও টাকার চিন্তা ঘিরে ধরেছে পরিবারকে ।
পান বিক্রেতা ফজলুল হকের চোখেমুখে আনন্দ। কারণ, তাঁর একমাত্র ছেলে আলম হোসেন এবার মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর পড়াশোনার খরচ চালানোর বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের ভালুখালী গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক। তাঁর এক ছেলে ও তিন মেয়ে। তাঁদের মধ্যে আলম দ্বিতীয়। তিনি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ফজলুল হকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুটি ছাপরাঘরে চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ফজলুল। ঈদের পর হাটবাজারে তেমন বেচাকেনা হয় না বলে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। স্ত্রী গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত। ছেলে আলমের চোখেমুখে ছিল বিষণ্নতার ছাপ।
আলম হোসেন জানান, যেদিন মেডিকেলে ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল, সেদিন তিনি বগুড়ায় ছিলেন। অনলাইনে ফল দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। অনেক কষ্ট ও অধ্যবসায়ের পর এ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে এক আত্মীয়র বাসায় থেকে মেডিকেলে ভর্তির কোচিং করেছেন। এখন ঢাকায় থেকে মেডিকেলে পড়ার খরচ কোথায় পাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত তিনি। তিনি অষ্টম শ্রেণীতে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
ফজলুল হক বলেন, ‘আগে হামি ভ্যান চল্যা সংসার খরচ চলাছি। তিন বছর আগে এক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়্যা গেছি। হাটবাজারে ফেরি কর্যা পান বিক্রির ট্যাকা দিয়্যা কোনো রকমে সংসার চলাই। বাড়ির সামান্য ভিটা ছাড়া আর কোনো বিষয়সম্পত্তি ন্যাই। ছোলক কছি (বলেছি) তোর পড়াশুনার খরচ চলাতে মানুষের বাড়িত ভিক্ষা কর্যা ট্যাকা জোগার করমো। তার পরও বাপ হয়্যা বসা থাকমো না।’
পিরব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবদুস সোবহান বলেন, ‘হামরা গ্রামের মানুষ হলেও আলমের পড়ালেখার খরচের একটা ব্যবস্থা করমোই।’
আলম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর : ০১৭৪৮৯৮৪৫২২
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০
খেয়া ঘাট বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্ণরের ক্যাডেট কলেজের ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য পরার মতো প্যান্ট ছিলোনা। স্কুলের দপ্তরীর কাছ থেকে ধার করে প্যান্ট পরে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন।
উনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। দারিদ্র উনার সাফল্যকে আটকাতে পারবেনা।