![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)
[পর্ব- ৮ এর আগের অংশের সারাংশঃ উদ্দীপিত ঢাকা থেকে যশোর এসেছে বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে। যশোর এয়ারপোর্ট নেমেই সে দেখতে পায় তাঁর বাবা-মা আর ড্রাইভার জন্য অপেক্ষা করছে। সে তাঁর বাবা-মা জন্য নিয়ে আসে উপহার। বাবার জন্য ঘড়ি আর মায়ের জন্য লকেট। উদ্দীপিত যশোর এসে একটু বিপদেই পড়ে যাই বাবা-মায়ের খুনসুটি নিয়ে। আর শান্ত উদ্দীপিত বারবার ডিফেন্স করতে থাকে দুই পক্ষের হয়ে। ]
সন্ধ্যার একটু পর উদ্দীপিত বাড়ির ছাদে উঠলো। তার ছাদে ওঠার একটু পর আস্তে আস্তে সবাই ছাদে চলে এলো, উদ্দেশ্য তাকে কেন্দ্র করে গল্প করা। তার সাথে সবার সময় কাটাতে চাই। বাড়ির কাজের মেয়ে তা পর্যন্ত বাদ গেল না। এক কথায় বাড়িতে চলছে এখন রমরমা উৎসবের পরিবেশ। বাসার ছাদে পাটি বিছানো হল আমার জন্য বালিশ ও চলে আসলো, না চাইতেই। বাবা যেন কোন ভাবেই আমাকে ছাড়তে চাইছেন না। সে আগেই আমাকে বলে রেখেছেন; মা ঘুমিয়ে পড়লে তার পর আমার কাছে এসে ঘুমাবে। রাতে কি খাবার খেতে চাই মা জানতে চাইলো। আমি বললাম পরোটা আর গরুর মাংস। মা তখনই সেই সব তৈরি করতে যাবে কাজের মেয়েটাকে নিয়ে। খুব কষ্টে বুঝাতে পারলাম যে, এখন রান্না করতে হবে না আজ আমরা সবাই বাইরের খাবার খাবো।
ড্রাইভার ছেলেটায় বাইরে থেকে খাবার আনার দায়িক্ত নিলো। আমি ও চাই ছিলাম কিছুটা সময় বাবা মার সাথে কাটাতে। এক সময় মায়ের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লাম আমি, আর বাবা অনেক আগে থেকেই আমার পেটের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছেন। আমারা সবাই আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম। আকাশে তখন মেঘ আর চাঁদের মাঝে চলছে শুধুই লুকো-চুরি খেলা আর সেটায় আমরা সবাই দেখছিলাম মুগ্ধ হয়ে - আমি, বাবা আর মা।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আর বাবা কে পাশে দেখলো না উদ্দীপিত । বুঝতে পারলো, মা ঘুম থেকে ওঠার আগেই তিনি ছেলের বিছানা ছেড়েছেন। মা চাই আমি যেন একটু আরাম করে ঘুমায়। বিদেশে কিভাবে থাকি না থাকি তাই, আর বাবা চাই সে আমার সাথে রাতে ঘুমাবে, মাঝ রাত পর্যন্ত আমার সাথে গল্প করবো। অনেক দিন হয়ে গেছে তার ছেলে মেয়েরা তার কাছে নেই আর হয়তো সেই জন্য তার এই আবদার।
সকালের নাস্তা শেষ করেই উদ্দীপিত তার মাকে বললো
-মা আমি একটু বাইরে যাই ?"
মা উত্তর দিল - এত রোদের মধ্য কোথায় যাবি ? বিকালে বাইরে যাস। তার পর ও উদ্দীপিত বললো না একটু যাই। মা একটু অখুশি হয়ে মত দিলেন। আর বললেন "একটু দাঁড়া আমি আসছি"। একটু পর মা হাতে করে কিছু খুচরা টাকা নিয়ে এলেন আর বললেন - এই নে টাকা, তাড়াতাড়ি ফিরবি আর আসার সময় বাদাম আর ছোলা ভাজা নিয়ে আসবি।
ঠিক তখনও উদ্দীপিতের ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। মা প্রতিদিন তাকে এই ভাবে যাবার সময় হাতে করে টাকা দিতেন আর মাঝে মাঝে বলতেন বাদাম আর ছোলা ভাজা আনতে। এটা আবার তার খুব পছন্দ। বাবাকে বললে তার মনে থাকতো না , তাই আমাকে আনতে বলতেন তিনি সব সময়। উদ্দীপিত একগাল হেসে উঠলো মায়ের কথায়। তার কাছে টাকা আছে কিন্তু তার পর ও সে মায়ের দেওয়া টাকা ফিরিয়ে দিলো না। খুব কম মানুষেরই এমন বাবা মা পায় এই পৃথিবীতে।
মায়ের কথার মাঝে বাবা পিছন থেকে টিপ্পনী কেটে বললেন - ছেলে ইনকাম করে ডলার আর তুমি দিচ্ছো তাকে খুচরা টাকা। তোমাকে নিয়ে আর পারা গেল না !
- তুমি একটু চুপ করবে দয়া করে।
- আচ্ছা করলাম।
উদ্দীপিত কে তার বড় বাবা এবার প্রশ্ন করলো
- বাপ আর কত দিন লাগবো তোর ? আর কবে থেকে পিএইচডি টা শুরু করতে পারবি ?
- এখন থেকে গিয়ে ফাইনাল প্রপোজাল টা সাবমিট করবো। তার পর পিএইচডির ব্যাপার টা আসবে ।
উদ্দীপিতের বড় বাবা খুব উষ্ণ গলাই বলে উঠলেন
- যাক ভাল । আর কাওকে দিয়ে তো হল না। তুই যদি আমার ইচ্ছাটা পুরণ করতে পারিস। তবে বাপ আমার...... টাকা লাগলে কিন্তু আমাকে জানাতে ভুলবি না। ভাল ভাবে পিএইচডি টা কর আমি সেটায় চাই। খুব যদি কষ্ট হয় তবে যে চাকরিটা করিস সেটা না ছেড়ে দিবি। আর যা টাকা লাগবে আমি পাঠাবো। তারপর ও ভাল ভাবে পড়াটা শেষ কর। এখন মনে হচ্ছে তোর ভাইয়া তোকে যে এইচ.এস. সির পর বিদেশে পাঠিয়ে দিতে বলেছি সেই সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল।
উদ্দীপিত এতখন তার বাবার কথা শুনছিল। কথা শেষ হবার পর বলে উঠলো
- ঠিক আছে কোন সমস্যা হলে আমি তোমাকে জানাবো। আর ভাইয়াকে বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে তোমাদের নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
উদ্দীপিতের কথা শেষ হবার পর তার বাবা-মা কোন উত্তর করলো না। আর সেটাতেই সে বুঝতে পারলো তাদের আর এইখানে থাকার ইচ্ছা নেই।
উদ্দীপিত বাসা থেকে বের হবার পর প্রথমেই মনে পড়লো তটিনীর কথা। তটিনীদের সেই বাসাটা পার হবার পর আপন মনেই হাসি পেল উদ্দীপিতের। আর যাই হোক এইবার এই ব্যাপারটার সমাধান করতেই হবে তার। মনে মনে এক প্রকার প্রতিঙ্গাই করে ফেললো উদ্দীপিত। ঢাকা ফিরে ওর সাথে দেখা করার চেষ্টা করবে আবার। তারপর তাকে ফিরতে হবে দুই-তিন দিনের মধেই কানাডায়। আর গিয়েই তাকে সব কিছু ফাইনালি সাবমিট করতে হবে। কত কাজ যে ফেলে রেখে এসেছে এটা মনে করতেই উদ্দীপিতের নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো।
N.B: [আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৯)- পরের পোস্টে]
N.B: [ যদি কোন বানান ভুল করে থাকি তবে আশা করি বানান টা ধরিয়ে দেবেন। আমি সেটা আমি ঠিক করে নিবো ]
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
কাবিল বলেছেন: ভাল হচ্ছে চলতে থাক
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়
N.B: [সকালে ঘুম থেকে উঠে আর বাবা কে পাশে পেলা না উদ্দীপিত]
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: "ভাল হচ্ছে চলতে থাক
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় "
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
আর অনেক ধন্যবাদ ভুল টা ধরিয়ে দেবার জন্য। এখনই ঠিক করে দিচ্ছি।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: আড়ালের অনুভুতি খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ বোন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামািনক ভাই
পাশে থাকার জন্য কৃত্নগ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: আড়ালের অনুভূতি +++++++