নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাড়ত্যাড়া আমি।\nনাম যদি আজগুবী হয় তাহলে আমার সম্পর্কে আর কি বলা যায়।

আজগুবী

নাম যদি আজগুবী হয়, পরিচয় আর কি হবে? আমি আজগুবী!

আজগুবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আজগুবী কাণ্ড।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

- দাদা! পুজো দেখতে যাবেন না?

- না ভাই, সেটাতে আমার ধর্মে মানা আছে।

- কেন?

- আমরা যখন গরু কুরবানি করি, সেই জায়গায় আপনাদের যাওয়া নিষেধ না?

- হ্যাঁ নিষেধ! সে স্থানে ভগবানের অভিশাপ পরে।

- ঠিক তেমনি, অন্য ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জায়গায় যাওয়া আমাদের জন্য ও নিষেধ। আমার ধর্ম মতে পুজোর স্থানে আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে।

হজরত উমর (রা) বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের উপসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করোনা। কারন সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে"। (বায়হাক্বী)

যে স্থানে আল্লাহর গজব নাজিল হয় আমার ধর্ম মতে, সেখানে যাই কি করে?

- ঠিক আছে, পুজো উপলক্ষ্যে প্রসাদ খেতে তো পারবেন ?

- আপনার বাসায় অন্য যেকোনো সময় দাওয়াত খেতে যেতে পারব। এ বিষয়ে মানা নেই। কিন্তু পুজো উপলক্ষ্যে কিছু খেতে পারব না।

- ব্যাপারটা একটু অন্য রকম হয়ে গেল না?

- ধরুন, কুরবানি ঈদের দাওয়াত দিয়ে আমি আপনাকে গরুর মাংস খেতে বললাম। আপনি কি খাবেন?

- না, অবশ্যই খাব না।

- ঠিক তেমনি কিছু কিছু জিনিস আমাদের জন্যও ধর্ম মতে খাওয়া নিষিদ্ধ (হারাম)। যেমন- মদ, শুকুরের গোশত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবেহ করা গোশত, অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের খাবার ইত্যাদি। সব ধর্মেরই নিষিদ্ধ কিছু বিষয় থাকে যা মানতে হয়।

- কিন্তু ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

- ওটা হয়তো অন্যদের জন্য হতে পারে, কিন্তু আমাদের জন্য না। অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে গেলে যেখানে আমার নিজেরই ধর্ম থাকছে না, সেখানে যার যার ধর্ম কথাটা নিয়ে কি করব?

- বুঝিনি, একটু বুঝিয়ে বলুন।

- মানে হল, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি অনুযায়ী অন্য কারো ধর্মের উৎসবে স্বেচ্ছায় আনন্দের সাথে যোগদান করার অর্থই হল আল্লাহর সাথে শিরকের কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা। আর আল্লাহ সব গুনাহই মাফ করে দিবেন, একমাত্র শিরকের গুনাহ ছাড়া।

আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।” (সুরা নিসা: ৪৮)

- তাহলে আপনি কি অন্যদের অপছন্দ করেন?

- অবশ্যই না! সেটা করব কেন? যার ধর্ম তার কাছে। আর ইসলাম এটাও শিক্ষা দেয়, অন্যদেরকে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে কোন প্রকার বাধা না দিতে। আমি প্রয়োজনে আপনাদের নিরাপত্তা দিব, পাহারা দিব, কেউ বিপদগ্রস্থ হলে তাকে সাহায্য করার জন্য ঝাঁপিয়ে পরব, অসুস্থ হলে চিকিৎসা দিব। রক্ত দিতেও দ্বিধা বোধ করবো না। এতে আমার আপত্তি নেই।
কিন্তু সব ধর্মেরই কিছু বিধি নিষেধ থাকে।
যা আমরা সবাই ই মেনে চলা উচিৎ।
তাই "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" কথাটা ঠিক নয়।

ধর্ম যার, ধর্মীয় উৎসব তার।

{সংগৃহীত এবং কিঞ্চিৎ পরিমার্জিত}

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.