নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাঁদ

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

বিঃ দ্রঃ ১৮+ নয়, একেবারে সচিত্র ১৮+++ পোস্ট



আরেফিন আর তাবাসসুম এর আ্যফেয়ার এর বয়স এক মাস। প্রেমটা প্লেটনিক নয়, টাইম পাসিং এণ্ড ফিজিকাল এমিউজিং টাইপের। এ পর্যন্ত টাইম পাসিং চলছে ঠিকমতই তবে ফিজিকাল এমিউজিং পুরোপুরি হয়ে ওঠেনি। প্রেমের কাঙ্খিত গন্তব্যটি জানা আছে দুজনেরই, তারপরও গন্তব্যে পৌছাতে পারেনি। কেননা গন্তব্যটি আদিম, সময় এবং রোমান্টিকতার প্রলেপ না দিলে তার কদর্যতা বেরিয়ে পড়বে। দুজন অতি আধুনিক তরুন, তরুনির কাছে সেটা কাম্য না। তাই টাইম পাসিং চলে আজ লেকের পাড়ে তো কাল কে, এফ, সি তে পরশু হয়তো ভূতে। কখনও কখনও আরেফিন বলে, "তুমি না একটা হট ডগ, ইচ্ছা করে খাইয়া ফেলতে"। তাবাসসুম এর প্রতিবাদে কিছু একটা বলে তবে ভাষাটা প্রতিবাদের হলেও ভঙ্গিটা থাকে প্রশ্রয়ের।

এভাবে চলে আরো কিছুদিন। কিন্তু শুধু শিল্প দিয়ে পেট, শরীর কোনটায় ভরে না, এগুলো ভরার জন্য চায় মেটেরিয়াল কিছু। মাঝে মাঝে আরেফিন বলে, "মাম্মি , পাপা কবে থেকে দেশের বাইরে, একা একা বাসায় থাকতে আর ভাল লাগেনা"। এ কথার অর্থ এবং উদ্দেশ্য দুটোই তাবাসসুম বোঝে, তবে সেটা বুঝাতে চায়না। এতে করে নিজের অবস্থানটা একটু উপরে রাখা যায়। একাদিন ধৈর্য হারিয়ে আরেফিন বলেই বসে, " চলো যাই বাসায়, আজ না একটা দারুন রোমান্টিক মুভি নামাইসি দুজনে দেখবো আর আড্ডা দিবো"।
"অসম্ভব" একটু জোর গলাই উত্তর দেয় তাবাসসুম। গলায় জোর থাকলেও মনের জোরে একবারেই নাই।
সেটা বুঝতে পেরে আরেফিন একটু ভাব নেই , "ঠিক আছে যাও, তোমারে আর বাসায় যাওয়ার কথা কোন দিন বলবো না"
তাবাসসুম জানে যাঁচা ভাত আর কাচা কাপড় হেলায় হারাতে হয়না তাই কৃত্রিম রাগ দেখিয়ে বলে, "তুমি জোর করলা দেইখা শুধু........."। কিন্তু তারপর..... তারপর নিচেই মুল ঘটনা...



আমরা শরীর ঢাকার জন্য যেমন কাপড় পরি, তেমনি নিজের স্বভাব ঢাকার জন্য একটা মুখোশ পরে সমাজে চলাফেরা করি। কারও মুখোশ থাকে মোটা তা ভেদ করে ভেতরের প্রকৃত চেহারার কিছুই দেখা যায়না, আবার কারও বা মুখোশ থাকে পাতলা। এই সমাজে চাইল্ড এ্যবুউজের ঘটনা ঘটে নিত্য নৈমিত্তিক , পত্রিকাতে ধর্ষনের ঘটনা পড়ে পুলকিত হওয়ার ব্যক্তির সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু আপনি আমি খুঁজতে গেলে তাদের খুঁজে পাবনা, কারণ সবাই থাকে মুখোশের আড়ালে।

বেশ কিছুদিন হল ব্লগে আছি, খেয়াল করে দেখেছি ১৮+ পোস্ট বা রসালো পোস্ট গুলোতে কমেন্ট/হিট রেশিও খুব কম হয় অর্থাৎ এ ধরণের পোস্টে হিট এর তুলনায় কমেন্ট হয় অনেক কম। এর ভাল কারণও থাকতে পারে, তবে আমার কাছে মনে হয় এর প্রধানতম কারণ হচ্ছে মুখোশ। ব্লগে ঢুকলাম মজা নিয়ে চলে গেলাম, কমেন্ট করলাম না, মুখোশও খুলে পড়লো না!!! বাহঃ কি সুন্দর মানসিকতা!!!

"১৮+ নয়, একেবারে সচিত্র ১৮+++ পোস্ট" দেখে আমার এ পোস্টে কে কি উদ্দেশ্য ঢুকবেন জানিনা, তাদের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করাও আমার উদ্দেশ্য নয়, আমার উদ্দেশ্য হল আপন দর্পনে আপনার আসল মুখোচ্ছবিটা একবার দেখিয়ে দেয়া। মুখোচ্ছবি দেখে যদি প্রফুল্ল হন তবে সেটা আপনার প্রাপ‌্য পুরুষ্কার, আর যদি বিমর্ষ হন তবে সেটা আপনার প্রায়শ্চিত্ত। আশা করি এবং কামনাও করি যেন নিজের আসল মুখোচ্ছবিটা দেখে শেষ পর্যন্ত সবাই নিজের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে পারেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

কানিজ রিনা বলেছেন: দারুন বলেছেন মুখোশটা খুল্লে বল্গে থাকা
কঠিন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

বিষাদ সময় বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকুন সব সময়।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিষাদ সময় ,



গল্পের নামটি দেখেই ঢুকেছিলুম । "বিঃ দ্রঃ ১৮+ নয়, একেবারে সচিত্র ১৮+++ পোস্ট" এটা দেখে নয় কারন পোস্ট হিটের জন্যে এটা একটা " এ্যাপেটাইজার " আসল খাবার হয় ডাল-ভাত । অনেকেই এটা করে থাকেন ।
যাই হোক , মুখোশের কথা বলেছেন । এর উত্তরে অনেকেই অনেক কথা বলবেন, তাও আবার মুখোশেরই আড়ালে । এমন কি আমিও ।
তবে আশা করেছেন , নিজের আসল মুখোচ্ছবিটা দেখে শেষ পর্যন্ত সবাই যেন নিজের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে পারেন।
কিন্তু সত্যটা হলো , মানুষ নিজের মুখোচ্ছবিটা দেখার সময় চোখের কেমেষ্ট্রি বদলে যায় । সে কেমেষ্ট্রিতে মানুষ জলকে "জল"ই দেখে, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কে দেখেনা ।

আপনার উদ্দেশ্য যা-ই থাক , ভালো লাগলো এমন আত্মজাগরণমূলক লেখাটি ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগে এসে আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্য করায় কৃতজ্ঞতা।
আপনার লেখা এবং রুচিবোধের সাথে যেহেতু সামান্য পরচিয় আছে তাই আপনি না বললেও এটা বুঝতে আমার কষ্ট হতনা যে "বিঃ দ্রঃ ১৮+ নয়, একেবারে সচিত্র ১৮+++ পোস্ট" এ রকম কোন বক্তব্য আপনাকে আকৃষ্ট করবে না।

”আপনার উদ্দেশ্য যা-ই থাক ”
উদ্দেশ্যটা বলার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু বললাম না কারণ হয়তো সেটাও মুখোশে ঢাকা কথা মনে হবে।

”মানুষ নিজের মুখোচ্ছবিটা দেখার সময় চোখের কেমেষ্ট্রি বদলে যায় ।”
কথাটি সত্যি, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে কেমিস্ট্রি পাল্টাতে কিছুটা সময় নেয়, আর সে সময়ের মধ্যে যদি তার স্বরূপটা দেখিয়ে দেওয়া যায় তাহলে হয়তো কেউ কেউ জলকে শুধু "জল" না দেখে, অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনকেও দেখতে পারে, এটা সে রকমই একটি প্রচেষ্টা । নিরন্তর শুভকামনা এবং নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৮+ পড়লে ১৮+ মন্তব্য করবো, সবকিছু ঘটছে, সবকিছুই জীবনের, সমাজের অংশ

২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৯

বিষাদ সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগে এসে উৎসাহ প্রদানের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.