নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজ বা রাষ্ট্র যে ক্রমেই নৈতিকতা বা সভ্যতার পথ ছেড়ে ভোগবাদিতার পথে ঢুকে পড়েছে তা মনে হয় কারও চোখ এড়ায়নি।
কিন্তু এই পরিবর্তনের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে যে সুক্ষ পরিবর্তন গুলো হয়েছে তা কি আমরা সবাই খেয়াল করেছি। আমার মনে হয়ে না। অনেকদিন ধরেই এ রকম একটা পরিবর্তন আমাকে ভাবায়। আজ সেদিকটা নিয়েই আলোচনা করবো।
কয়েক যুগ আগেও চোখে পড়তো এখনও পেপার পড়তে গেলে প্রায়ই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে। তবে যুগে যুগে প্রার্থির কোয়লিফিকেশন এর ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তাদের চাহিদা এর ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। এ ভিন্নতার একটি দিক হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতা যা যুগের দাবী। তার বাইরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির একটি মৌলিক বিষয় পরিবর্তিত হয়েছে। এ বিষয়টি কারও চোখে পড়েছে কিনা জানিনা। সেটা হচ্ছে ইথিকাল দিক।
আগে নিয়োগ প্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বাইরে অন্যতম দুটি যোগ্যতার কথা উল্লেখ করা হতো সেটা হলো সততা এবং কর্মঠ হওয়া । এখন এ দুটি যোগ্যতা রিপ্লেস হয়েছে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা এবং উচ্চভিলাষ দ্বারা। আগের দুটি যোগ্যতা ছিল ইথিকাল আর এখনকার দুটির মূল দিক হচ্ছে ইকোনোমিকাল।
এখনকার নিয়োগ কর্তাদের মূল কথা হচ্ছে তোমার সৎ হওয়া জরুরী না । অসৎ কর্মী যদি সৎ কর্মীর চেয়ে কোম্পানীর ৪ টাকা বেশি আয় করে ২ টাকা চুরি করে তাও কোম্পানীর ২ টাকা বেশি আয় হয় তাছাড়া অসৎ কর্মী কোম্পানীর অসততা নিয়েও প্রশ্ন তুলে না। কাজেই সততা গুণটি এখন তিরোহিত। সততার পরিবর্তে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যে দিকটি যুক্ত হয়েছে তা মূলতঃ একটি শক্তি এর সাথে ইথিক বিষয়টি সম্পৃক্ত না । এই শক্তি ইতিবাচক বা নেতিবাচক যে কোন ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। এক্ষেত্রে মূল টার্গেট থাকে যে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যাওয়া। অনেকটা যুদ্ধের মত সেক্রপিয়রের ভাষায় যেখানে "Nothing is wrong ........"।
আর উচ্চভিলাষ হচ্ছে ক্যাপিটালিজম এর অন্যতম টুলস যার যাদুকরি ছোয়ায় ক্যাপিটালিজম সারা পৃথিবীতে জেকে বসেছে। এখানেও ইথিকের কোন বালাই নেই। নিজে উপরে উঠার জন্য যা প্রয়োজন তাই করবো। প্রয়োজন হলে মানুষকে জিম্মি করবো বা পণ্যদাসে রূপন্তরিত করবো। উপরে উঠতে গিয়ে কতজনের মাথায় পা রাখলাম সেটা দেখার বিষয় না, মূল কথা হলো উপরে উঠতে হবে, পয়সা কামাতে হবে। আর একজন কর্মী যত উন্নতি করবে বা যত বেশি আয় করবে নিয়োগ কর্তার উন্নতি বা আয় বাড়বে ঠিক তার গুণিতক হারে।
তাই নিয়োগ কর্তার স্বার্থ রক্ষার জন্য এখন একজন কর্মীর সৎ বা কর্মঠ হওয়ার চেয়ে অনেক কার্যকরী উপাদান হচ্ছে চ্যালেঞ্জ মোকবেলার সক্ষমতা এবং উচ্চভিলাষ।
ছবি সূত্র
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বিষাদ সময় বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগত।
কালো কে কালো সাদাকে সাদা বলতে আমার কোন দ্বিধা নেই।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ইলনের ইন্টারভিউতে দেখেছিলাম উনি স্বীকার করেছিলেন যে, সৎ থেকেও অতিমেধাবী কর্মী প্রাধান্য দিয়ে ভুল করেছিলো।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
বিষাদ সময় বলেছেন: তার এ স্বীকারোক্তি আন্তরিক, না মিডিয়া ভিত্তিক জানিনা। যদি আন্তরিকও হয় তারা মানে তিনি ইথিকের চর্চা করেননি ঠেকে শিখেছেন। শুভ কামনা।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
সেরকম হলে বিষয়টা দুঃখজনক।
নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে যে সফলতা, এটা কি আসলেও জয়? নাকি পরাজয়!
শুধু সততা আর কর্মঠ না, আমি আরও একটা যোগ করবো, জবাবদিহিতা।
I still believe hard work, integrity & accountability can lead someone to success.
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০১
বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগ বাড়িতে স্বাগত। আমি বিষয়গুলো দেখেছি দেখেই আলোচনা করা। তবে বিশ্লষণটা আমার নিজস্ব।
সফলতার সংজ্ঞাই যে এখন অনেক মানুষের কাছে পাল্টে গেছে। আমার আপনার কাছে যেটা পরাজয় তাদের কাছে সেটাই জয়।
অবশ্যই জবাবদিহিতাও একটা প্রয়োজনীয় উপাদান।
I still believe hard work, integrity & accountability can lead someone to success.
in the long run এটাই সত্য । কিন্তু আমাদের যে বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো।
অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পুঁজিবাদী সমাজে এমনটাই হবার কথা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৩
বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগে স্বাগত।
ঠিকই বলেছেন। তবে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থারও কিছু মেরিট আছে।
শুভেচ্ছা।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪২
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: সবাই সব ভাল বলে ফেলেছে। পোষ্ট ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ!
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগে স্বাগত।
শুধু ভাল বলতে হবে তাতো নয়। গঠনমূলক সমালোচনাও করতে পারেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতাবান মামা চাচা থাকলে আর কিছু লাগে না।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
বিষাদ সময় বলেছেন: সবার তো মামা চাচা নাই। আর যদি কেউ একবারে অযোগ্য হয় মামা চাচা থাকলে তার চাকুরী হবে কিন্তু চাকুরী টিকিয়ে রাখতে পারবে না। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই কথাগুলো অনেকেই মানতে চায় না । আপনি সত্য কথাগুলোই তুলে ধরেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে !!