নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল রাত থেকে চোখে ঘুম নাই। মাথার ব্যাথায় মনে হচ্ছে মাথার রগগুলো ছিঁড়ে যাবে। এমনিতেই ভাল ঘুম হয়না। তার উপর গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে এক ছাগলের আর্তনাদ। ভ্যা ভ্যা না বলে কেন আর্তনাদ বলছি সেটা মনে হয় একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। প্রতি কুরবানী ঈদের আগে ছাগলের ভ্যা ভ্যা চিৎকারে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। কখনও বিরক্ত লাগে, কখনও বা লাগে মায়া।
কিন্তু এ ছাগলটার ডাকের প্রকৃতি একেবারে ভিন্ন রকম। কুকুরের করুণ সুরের কান্না ছাগলের গলায় বসিয়ে দিলে যেমন হয় অনেকটা সে রকম। ভ্যাউউউ উ উ উয়া। এ আর্তনাদে যেমন মাথার ব্যাথা বাড়ছে তেমনি হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ। আমার ধারণা বাচ্চা রেখে মা ছাগলটাকে কেউ বিক্রি করে দিয়েছে। সম্ভবতঃ বাচ্চাগুলের জন্যই মায়ের এই আহাজারি।
এভাবে হয়তো কেঁদেই চলবে কাল পর্যন্ত। তারপর স্তব্ধ হয়ে যাবে সব। নিকটস্থ মানুষ নামের দু`পেয়ে প্রাণী বা সুউচ্চে অধিিষ্ঠিত সৃষ্টিকর্তা কারও কর্ণকুহরেই এ আর্তনাদ প্রবিষ্ট হবে না। তোর আর্তনাদের চিহ্নটুকু নাহয় ব্লগের কোনেই থেকে যাক।
১৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
বিষাদ সময় বলেছেন: আমার আব্বার ধর্ম কর্ম নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা ছিলনা, কিন্তু আম্মা ছিলেন প্রচণ্ড ধর্ম ভীরু। তবে কুরবানীর ব্যপারে দুজনের কারই আগ্রহ ছিলনা। যে কয়বার কুরবানী হয়েছে তা আমার দুলাভাই এর তোড়জোড়ে। জীবেনের শেষ দিকে আম্মা খুব দুর্বল হয়ে গেছিলেন। সে সময় নিয়মিত কবুতরের স্যুপ করে দিতাম। একদিন স্যুপ খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলেন এটা কি? আমি বললাম কবুতরের স্যুপ। আমার মা আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বললেন- বাবা আর কবুতরের স্যুপ দিসনা। একটা বুড়ো মানুষের জন্য ছোট ছোট বাচ্চাগুলো আর মারিস না।
ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪৩
তানভির জুমার বলেছেন: "কুরবানি যারা দেয় তারা অমানবিক"
---kfc থেকে নাহিদ বলছ।
১৮ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২
বিষাদ সময় বলেছেন: মোটা দাগে বিচার করলে কথাটা বেমানান।
কিন্তু এখানে বিচার্য অনেক কিছুই বিহাইণ্ড দা সিন আছে।
ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:০৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমারও সকাল থেকে হঠাৎ প্রচণ্ড মাথাব্যথা। ওষুধ-মলমে সারছে না।
১৮ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
বিষাদ সময় বলেছেন: আজও আমার মাথা ধরা যায়নি।
আশা করি আপনি এখন কিছুটা ভাল আছেন।
ধন্যবাদ।
৪| ১৭ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪
নাহল তরকারি বলেছেন: মিনিমায় ছয় মাস আগে থেকে যদি পালতেন তাহলে কোন সমস্যা হতো না। এতে এই পরিবেশে থাকতে ছাগল অভস্থ্য হয়ে যেতো। ও আপনিও ছাগল পালনে পন্ডিত হয়ে যেতেন। ঈদের দুই তিন আগে কুরবানীর গরু খরিদ করলে সমস্যা। ক্রেতার পশু পালন অভিজ্ঞতা না থাকায় সঠিক ভাবে পশু পালন করতে পারে না। এতে পশুর সমস্যা হয়। অসুস্থ হয়।
ক্রেতা যদ ছয় মাস আগে থেকে পশু ক্রয় করে লালন পালন করে তাহলে এই ছয় মাসে সে পশু পালনে পন্ডিত হয়ে যায়। এতে করে আর তার পাশু পালনে তার সমস্যা হয় না।
১৮ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
বিষাদ সময় বলেছেন: নাহল তরকারি ওটা আমাদের ছাগল না, আর বেশির ভাগ নগরবাসীর দীর্ঘ্যদিন পশুপালনের সুযোগ নাই বললেই চলে।
ঈদমুবারক। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: আমি নিজে কোরবানির পক্ষে না।তার পরও একবার কোরবানী দিয়ে ছিলাম।আমার তিন মেয়ের আবেদনে।যশোর থেকে একটা বড়শর ছাগল নিয়ে আসলাম ঈদের ২০/২৫ দিন আগে।তখন আমরা এজিবি কলোনিতে থাকি।ছাগল নিয়ে তুললাম দোতালায়।তিন মেয়ে সারা দিন এটা সেটা খাওয়ায়।গুগলের সাথে তাদের বেশ ভাব হয়ে গেলো।ডাকলেই কাছে আসে।আদর করলে চুপ করে উপভোগ করে।ঈদের দিন যখন ছাগল কাটা হলো তাদের সে কি কাঁন্না।তার পর থেকে আর কখনো কুরবানী দেই না।