নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনপ্রোমোটেড স্ত্রী

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪২

আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রুজি রোজগারের দায়ীত্ব স্বামীর আর স্ত্রী ঘর সামলান। আমি আমার পরিচিত অনেক শিক্ষিত/ ডাক্তার /ইঞ্জিনিয়ার মেয়ে দেখলাম, বিয়ের পর প্রায় সবাই গৃহবধু। এই যে মেয়েগুলোর পিছনে তাার বাবা-মা, সরকারের অর্থ ব্যয় হলো তার প্রায় সবটাই গিয়ে পানিতে পড়লো। এই দোষ যে শুধু সেই মেয়েদের তা না, সমাগ্রীক ভাবে সমাজের সবার। অনেকে বলবেন একজন শিক্ষিত মা পরিবারের জন্যও জরুরী। সে কথা আমিও মানি কিন্তু তার জন্য কতখানি শিক্ষার প্রয়ােজন, ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার অনার্স/ মাস্টার্স পর্যন্ত নিশ্চয় না। কাজেই আমাদের দেশের মেয়েদের এসব ডিগ্রির বেশীর ভাগটাই শেষ পর্যন্ত অপচয় হয়।

যা হোক মূল বিষয় সেটা না । আমাদের দেশে বিয়ের বাজারে বিসিএস ক্যাডার/ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/ ব্যাংকার পাত্রদের অনেক ডিমান্ড। যদি একজন বিসিএস ক্যাডার এর কথা ধরি তাহলে তার জীবনের শুরু সহকারী সচিব হিসাবে ( ক্যাটগরি ভেদে পদবীর ভিন্ন নাম)। সহকারী সচিব হতে না হতেই তার বিয়ের বাজারে দারুণ চাহিদা তৈরী হয়ে যায়। অবিবাহিত কন্যা এবং তার আত্মীয় স্বজন তার চারপাশে ভিড় করেন। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকে দেখে শুনে বেছে তিনি একজন স্ত্রী নির্বাচন করেন। তার জন্য সেই মেয়েটিই তখন সবচেয়ে সেরা। বিয়ে হয়ে এসে স্ত্রী হয়ে যান গৃহিনী এবং মৃত্যুর্যন্ত তিনি সেই একই পোস্টে অর্থাৎ গৃহিনী'ই থেকে জান, বাড়ার মধ্য স্ত্রীটির শুধু বয়সটি বাড়ে ।

অপর দিকে কর্তা ব্যাক্তিটি প্রোমোশন পেতে পেতে সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপ সচিব, যুগ্ম সচিব, থেকে অনেকে অতিরিক্ত সচিব , সচিব পর্যন্ত হয়ে যান। প্রতি পদোন্নতির সাথে সাথে তার অর্থ, বিত্ত্ব, রুচি, আভিজাত্য অনেক ক্ষেত্রে প্রলোভন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আর ঘরের স্ত্রীটি আন প্রোমোটেড গৃহিনীই থেকে যান। স্বামী -স্ত্রীর পারষ্পরিক বন্ধনটা দৃঢ এবং চরিত্র উত্তম না হলে আস্তে আস্তে সম্পর্কে ফাটল ধরে। উত্তর উত্তর পদোন্নতি এবং প্রলোভনের ফলে ঘরের স্ত্রীটি তখন কর্তার কাছে পানশে হয়ে যায়। এখান থেকেই শুরু হয় সংসারের নানা টানাপোড়ন। কর্তাটি সামাজিক ভয়ে তার আনপ্রোমোটেড স্ত্রীটিকে ত্যাগ করতে পারেন না। কিন্তু তার বিচরণ শুরু হয় প্রোমোটেড আপার ক্লাসের রমনীদের সাথে। এ অবস্থায় প্রথম দিকে সংসারে অশান্তি এর পর কারও কারও ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ। যাদের সংসার টিকে থাকে তাদের বেশীর ভাগ সংসারে স্বামী- স্ত্রী কেউ কারও পারসোনাল লাইফ নিয়ে ইন্টারফেয়ার না করার এক অলিখিত চুক্তিতে উপনিত হন। আন প্রোমোটেড স্ত্রীটি বিত্ত্ব বৈভবে ডুবে নিজের কষ্টটা ভুলিয়ে রাখেন আর কর্তা ব্যক্তিটি জড়িয়ে পড়েন একট্রাম্যারিটাল এক্টিভিটিজে।

***আমাদের দেশের এ ধরণের সংসারে সবার যে একই পরিণতি হয় তা না, তবে এই সংখ্যাটি আশঙ্কাজনক।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মেয়েরা বেশি শিক্ষিত হলে পাত্র পাওয়া কঠিন। সাথে কিছু বিতর্কিত পাবলিক ভার্সিটি আছে যেগুলো তে পড়লে অনেকে সন্দেহের চোখে দেখে। আমার বুবু জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি থেকে মাইক্রোবায়োলজি তে ফাস্ট ক্লাস সেকেন্ড হয়েছিল। সে খুব ত্যারা মার্কা মানুষ। তার জীবনে পড়া এবং রিসার্চ পেপার প্রস্তুত করা ছাড়া আর কোন কাজ ছিলো না। প্রথম জব এনবিআরে এবং দ্বিতীয় জব নন ক্যাডারে। পরে তার জন্য পাত্র খুজে পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। বিসিএস ক্যাডার হইলে খুজে কমবয়সী মেয়ে। যাক পড়ে আল্লাহ মিলায় দিয়েছেন একজন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১২

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার কথা গুলেই ঠিকই আছে। এর জন্য দায়ী মূলত আমাদের সমাজ। আমরা এক ডাইলেমার মধ্যে আছি। নরীদের বেশি শিক্ষিত করা এক রকম সমস্যা আবার দেশের অর্ধেক জনগোষ্টীকে পিছিয়ে রেখে দেশ এগিয়ে যেত পারবে না। অবশ্য সমাজ ধীরে ধীরে পরবর্তিত হ্চ্ছ আগমীতে হয়তো এ সমস্য আরো কমে আসবে।

আপনার বুবুর একটি সুখী সংসার সেই সাথে পেশাগত সাফল্য কামনা করি। ধন্যবাদ।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




কাজেই আমাদের দেশের মেয়েদের এসব ডিগ্রির বেশীর ভাগটাই শেষ পর্যন্ত অপচয় হয়।

অপচয় না সাশ্রয় এভাবে চিন্তা করিনা, তবে একটা মেয়ে যখন হায়ার স্টাডি করে তখন তার মনে একটা স্বপ্ন থাকে।
স্টাডি শেষ করে সে কিছু একটা করবে, সেলফ ডিপেন্ডেন্ট হবে। যেসব পরিবারে বিয়ের পর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে শুধুই সংসার করতে হয়, বাইরে কাজ করতে দেয়া হয়না, এতে তার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। এটা অবশ্যই তার সাথে অন্যায় করা হয়।

যদি কেউ স্বেচ্ছায় করতে না চায়, that's a different story.
আমি এমন অনেককে চিনি যারা পড়ালেখা শেষে জব করেছে কিন্তু বিয়ের পর সংসার আর বাচ্চা টেইক কেয়ার করাটা প্রাধান্য দিয়ে কাজ থেকে বিরতি নিয়েছে। হয়তো ইন ফিউচার আবার কাজে ব্যাক করবে যদি ইচ্ছে হয়। তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন।

কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাজ করতে চাইলেও জোর পূর্বক কাজ করতে না দেয়া, আটকে রাখা এটা খুবই অন্যায়।
কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।


২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের দেশের নারীরা উভয় সংকটে আছেন। একদিকে তারা খুব ইমোশনাল অন্য দিকে ইকোনোমিকালি ইনসিকিউরড। এ দুটির একটি দেখতে গেলে অন্য দিক রক্ষা করা যায় না। স্বামী, সন্তান আমাদের দেশের অনেক নারীর নিজের জীবনের চেয়ে প্রিয়। তাদের সামন্যতম সমস্যা সৃষ্টি করে বেশির ভাগ নারী কিছু করতে চাননা আবার অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত থাকলে এদিকে কিছুটা সমস্যা হবেই। আমাদের দেশের স্বচ্ছল বেশির ভাগ পুরুষও চান না তার ম্ত্রী কোন জব করুক।
তবে আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো মেয়েদের শিক্ষাটা একেবারে অপচয় না। জব না করলেও এটা তাদের একটা রিজার্ভ যা তাদের জীবনকে ক্ষেত্র বিশেষে সিকিউরড করে।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:





উত্তর উত্তর পদোন্নতি এবং প্রলোভনের ফলে ঘরের স্ত্রীটি তখন কর্তার কাছে পানশে হয়ে যায়।

Sorry to say, হাজব্যান্ডের যদি পদোন্নতি নাও হয়, ওয়াইফ যদি কোনো ভালো পজিশনে জব করে, তারপরও অনেক হাজব্যান্ডের একটা সময়ের পর বৌকে পানশে লাগে। অন্যের বউকে সুইট লাগে।

একই ঘটনা অনেক মেয়ের ক্ষেত্রেও হচ্ছে, ভালো হাজব্যান্ড হলেও একসময় আর ভালো লাগে না।
অন্য কেউ সেখানে চলে আসে।
মানুষের মন এখন অশান্ত, কেউ এখন আর একজনে হ্যাপি না।

আমার মনে হয়, একটা কাপল যখন একসাথে আর হ্যাপি থাকেনা, সম্পর্কে রেস্পেক্ট নেই, মায়া ভালোবাসা নেই,
তাহলে এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুক। একটা ব্রেক নিয়ে পরবর্তীতে মুভ অন করুক। অনৈতিক সম্পর্কে যাবার চেয়ে এটা বেটার।

একজনের জীবনে একাধিক প্রেম বা বিয়ে হতে পারে, but it has to be one after another, not at a time.
নারী পুরুষ দুজনের ক্ষেত্রেই বলবো, একসাথে একাধিক রিলেশনে যাওয়া মানে কোন একজনকে হার্ট করা, প্রতারণা করা।
this is unhealthy and unethical.


২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

বিষাদ সময় বলেছেন: Sorry to say, হাজব্যান্ডের যদি পদোন্নতি নাও হয়, ওয়াইফ যদি কোনো ভালো পজিশনে জব করে, তারপরও অনেক হাজব্যান্ডের একটা সময়ের পর বৌকে পানশে লাগে। অন্যের বউকে সুইট লাগে।

ঠিক কথাই বলেছেন। তবে পদোন্নতি হতে থাকলে হাতের কাছে আনেক অপশন থাকে। জগৎ অনেক বড় হয়ে যায়।

এক সময় শুনতাম Love Is Forever সে রকম ভালাবাসা হয়তো শরৎ বাবুর আমলে ছিল। এখন বলছেন but it has to be one after another, not at a time. যুগ পার হলে হয়তো বলবো it has to be at a time. হাঃ হাঃ

ভাল থাকবেন।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১১

মিরোরডডল বলেছেন:




এক সময় শুনতাম Love Is Forever সে রকম ভালাবাসা হয়তো শরৎ বাবুর আমলে ছিল। এখন বলছেন but it has to be one after another, not at a time. যুগ পার হলে হয়তো বলবো it has to be at a time. হাঃ হাঃ


এখনো বলবো Love Is Forever, সত্যিকারের ভালোবাসা এক জায়গায় আটকে যায়।
আমি তাদের জন্য বলেছি যারা একসাথে একাধিক সম্পর্কে থাকে। যে সম্পর্ক ভালো লাগে না সেটা না রাখুক। একটা সম্পর্ক রাখবে, আবার সেটায় থেকে আরেকটা একইসাথে, এগুলো ঠিক না। এক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসলে, পরবর্তীতে অন্য রিলেশন হতেই পারে। এটা নতুন কিছুনা, যুগ যুগ ধরে এটা চলে এসেছে।



২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩১

বিষাদ সময় বলেছেন: আমি শুধু রসিকতা করে কথাটা বলেছি। তবে রিলেশন এর বিষয়টিকে এখনকার অনেক ছেলে-মেয়ে আপনার, আমার মতো সিরিয়াসলি দেখেনা। অনেকের কাছে Love is a matter of time passing and amusement (ইংরেজী ভুলও হতে পারে হাঃ হাঃ)। এরা ইথিক এর এত ধার ধারেনা।

আমরা মনে হয় সেকেলে রয়ে গেছি।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: একদিকে তারা খুব ইমোশনাল অন্য দিকে ইকোনোমিকালি ইনসিকিউরড। এ দুটির একটি দেখতে গেলে অন্য দিক রক্ষা করা যায় না। অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত থাকলে এদিকে কিছুটা সমস্যা হবেই।

Well, this is not always true.
বাংলাদেশে হাজার হাজার মেয়ে আছে যারা কোন সমস্যা ছাড়াই কর্মজীবন এবং ব্যক্তিজীবন, হাজব্যান্ড বাচ্চা ইন ল' সবকিছু ব্যালান্স করে খুব ভালো আছে। তবে এই হাজারের সংখ্যাটা কোটি কোটি নারীর তুলনায় অবশ্যই খুব কম।

আশা করি সময়ের সাথে এই সংখ্যাটা বাড়বে। পরিবারের মানুষের সামান্য সাপোর্ট পেলে সবকিছুই সম্ভব।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

বিষাদ সময় বলেছেন: বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী দেখার সময় থেকে এ সমস্যার শুরু। আমাদের পরিচিত একজন পাত্রীর জন্য যখন পাত্র দেখতে যাই শুরুতেই কতগুলো শর্ত থাকে। যেমন ১) ছেলেকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে ২) মেয়ের চেয়ে শিক্ষিত হতে হবে ৩) মেয়ের চেয়ে বয়সে বড় হতে হবে এবং ৪) মেয়ের চেয়ে লম্বা হতে হবে। অর্থাৎ পাত্রকে প্রায় সব দিক দিয়ে পাত্রির চেয়ে সুপারিয়র হতে হবে। এ রকম বিয়ের পর খুব স্বাভাবিক ভাবে সেই হাজবেন্ড, ওয়াইফ এর উপর ডমিনেট করবে।
এখন পর্যন্ত মেয়ে চাকুরী করবে আর ছেলে ঘর সামলাবে এরকম যুগল আমরা চিন্তা'ই করতে পারিনা।
যতদিন এ রকম চিন্তা থেকে বের হয়ে না আসতো পারবো ততদিন সমাজ খুব বেশি আগাবে না।

তবে সমাজ ধীরে ধীরে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তীত হচ্ছে , যুগের প্রয়োজনেই হচ্ছে।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:





আমাদের দেশের স্বচ্ছল বেশির ভাগ পুরুষও চান না তার ম্ত্রী কোন জব করুক।

সমস্যাটা এখানেই।
একটা পরিবারে পুরুষ উপার্জন করবে, এটা কিন্তু কেউ নির্ধারণ করে দেয়না, এটা অবধারিত।
সেভাবে একটা মেয়েও উপার্জন করবে, এটা স্বাভাবিকভাবে নেয়া উচিত।
পারমিশন দেয়া নেয়ার প্রশ্ন আসে, which is not right.
মেয়েটা কাজ করবে কিনা এটা তার সিদ্ধান্ত।
এই যে কর্তার ইচ্ছাই কর্ম, এটা থেকে বের হয়ে আসা দরকার।
শুধু অর্থের জন্য কাজ করেনা, Self-esteem, self-identity is also matter.

তবে আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো মেয়েদের শিক্ষাটা একেবারে অপচয় না।

শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, এটা নারী পুরুষ সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
উপার্জনের সাথে শিক্ষা সম্পৃক্ত, কিন্তু শুধু উপার্জনের জন্যই শিক্ষা না, মানুষ হিসেবে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য শিক্ষা আবশ্যক।

প্রত্যেককে অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে, শিক্ষা যদি নাও থাকে।
যে পুরুষ রিকশা চালায় বা যে মেয়েটা গার্মেন্টসে কাজ করে, তাদের শিক্ষা নেই কিন্তু আত্মনির্ভরশীল।
সেখানে নারী পুরুষ সকল শিক্ষিত মানুষও কাজ করতে চাইবে বা করবে এটাই স্বাভাবিক।
তাই যদি কোন নারী কাজ করতে চায়, সেখানে যেন কোন পুরুষ তার চলার পথে বাঁধা না হয়ে দাঁড়ায় সেটাই কাম্য।

থ্যাংকস বিষাদ, ভালো থাকবে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যের উত্তর মনে হয়ে এর আগের মন্তব্যের উত্তর এর সাথে অনেকখানি প্রাসঙ্গিক। আসলে আমাদের পারিবারিক আইনগুলো ধর্মীয় আইনকে মেনে চলে। ধর্মীয় আইনে স্ত্রী, সন্তান, পিতা-মাতার ভরন পোষণের দায়িত্ব একজন পুরুষের। আমাদের সমাজও (মধ্যবিত্ত্ব) স্ত্রীর আয়ে সংসার চলাটা ভালো চোখে দেখে না। সে কারণেই স্ত্রীর উপার্জনের বিষয়ে সমাজ এখনো উদাসীন।

যে পুরুষ রিকশা চালায় বা যে মেয়েটা গার্মেন্টসে কাজ করে, তাদের শিক্ষা নেই কিন্তু আত্মনির্ভরশীল।

আমি তাদের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি - সমাজের এ শ্রেণীর বেশিরভাগ মানুষই বস্তিবাসি। এদের সমাজের চিত্রটা আবার একটু ভিন্ন। এখানে অনেক পুরুষই আছে একাধিক বিয়ে করে স্ত্রীর অর্থে নেশা/ভাম খেয়ে জীবন পার করে দিচ্ছে। তাই এ সমাজের নারীদের চিত্র আরো করুণ।
অনেক অনেক শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.