| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলমগীর সরকার লিটন
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
অন্তদহন এই ঘর বাড়ি
পোড়ে যাচ্ছে বিরহে নদী;
অভিনয়ের মধ্যে পথত্যাগ
ভীতরে ভীতরে অন্তহীন
প্রণয়ের উষ্ণ কাঁথা লেপ।
তবু বাতাস মেঘের ঘর্ষণে
উরে বৃষ্টি বাউর একাকার
ভিজে যাওয়া টিনের চাল
শুধুই নৈঃশব্দ রাতের ঘুম-
এভাবে সমাপ্তি নাই দ্বীপ্তি;
২২-১০-২৫
চারিদিকে শুধু দেখছি অন্তর্ঘাত
কোথাও আগুন আবার কোথাও
মানুষে মানুষ খুন গুজব ছড়াছড়ি-
দেশমাতৃক প্রেমত্ব থাকল কোথায়?
তবু ভেসে আসছে- ভেসে যাচ্ছে-
বিরল বহুল ষড়যন্ত্রের রঙিন অন্তর্ঘাত!
কেউ জনসমুদ্রহীন ভাবে একাকার-
কেউ বা ভণ্ডামীর ওজুহাতে স্বপ্নচার;
এভাবে...
চোখের চাহনিতে শুধু এপার
ওপার হেমন্ত ঝরে ক্লান্তিহীন চোখ;
গোলাপের গন্ধ বাতাস কাঁদে-
এখানেই ঠিক হরিণ কান্নার মতো
চোখের উষ্ণ ভাষা উড়ে যাচ্ছে-
পথের ধূলির মোড়ে- মোড়ে-
তবু হেমন্ত ঘ্রাণে রাত পুহায় না
সূর্যের চঞ্চল...
শরৎ আমার চোখের মধ্যে হেঁটে-
হেঁটে যাচ্ছে; আমি কিছুতেই ছুঁইতে
পারি না- সেই আগের মতো করে;
তবু শরতের কাশফুল ভেসে নিয়ে যায়
সাদা সাদা মেঘের ঢেউয়ে, চঞ্চল গায়;
শরৎ লজ্জায় দিয়েছিল যমুনার ভেজা জল
আর একুল...
শয়তান আর মিথ্যাবাদীর
মধ্যে বেশ খুনশুটির সম্পর্ক;
সাধু আর সত্যবাদীরা এখন
ঘর কোণে থেকে আলাদা-
তবে উভয় যাত্রাটা একই
আকাশ মাটি- গন্ধ বাতাস
ভিন্ন নয়, রক্ত সব লাল-তবু
কোথায় জানি সত্য মিথ্যার
যুদ্ধ-এ ক্ষীণ মৃত্যুকাল, অথচ
নিজেই...
তুমি বুঝো না, কেনো দেখো না
ওই আলোক বাতিঘর- কি আলো
জ্বলছে- ভীতরটা কে- কি ভাবছো?
যখন পাতিল শূন্য খাদ্র থাকবে না-
তখন কি হবে এ সব ভণ্ডামি ছাড়ো;
বলো- বৃষ্টি ছুঁইতে...
সেদিন ঘরসকাল আকাশের চাঁদ ছুঁইলাম
চাঁদ বললো আমাকে- আমি নাকি বামন;
অথচ মাটির চারপাশ অবলকন করছে
প্রকৃতিময়,বুঝলো না দুটোই শূন্যতে বাস
আমি আর মধ্যোকর্ষণের গন্ধ পাই না-
কেমন জানি ধু ধু মরুময় হেঁটে যাচ্ছি
কোথায়-...
নুন খেতে ভাত লাগে না,
তয় তরকারী তাও লাগে না
লাগে না সিন্ধু- সিন্ধু পানি;
জ্বাল খেতে মরিচ লাগে না
লাগে না তয় তরকারী, পানি;
শুধু একটা মানুষ হলেই হয়
তারপর আর কি খেতে...
সূর্যটা কেনো সকাল হয় না
ওখানেই করে জল থৈ থৈ;
রাতটাতে থাকে না আর চাঁদ
জোনাক ডাকে বৈ- বৈ- বৈ!
তবু তারার হাসি- কে বলে
ভালবাসি, এই দেখ উনিশ
আশি- কুড়িতে বলে রে বুড়ি;
তার চেয়ে ভাল,...
তুমি হইতো জানো না
আমার স্বপ্নগুলো বারান্দায়
হেঁটে - হেঁটে যাচ্ছে;
ঐ দেখো ভেঙ্গে দিয়েছিলে
চোখের আলো বিন্দু-
তবু অন্ধ চোখ চাঁদ দেখে;
স্পর্শ নেয় হাত জল-
অথচ রোমান্টিকগুলো এই
বনোহাঁস সাঁতার কাটে;
জল নেই- স্থল নেই-
শুধু এখানে কষ্ট...
একটা স্বাদ যেটা আমাকে তোমাকে
নিতে হবে কিন্তু সেই স্বাদের কথা
কেউ বাস্তবতার রূপ বলতে পারেনি
সব কাল্পনিক বর্ণনা মাত্র; সেই স্বাদ
এতোটাই নির্দয় কাল্পনিক বা সুদূঢ়
স্বচক্ষে দেখলে খানিটা অনুভব সৃষ্টি হয়;
তারপর মোহ...
এখন সময়টা কইতর পাখির মতো বুঝতে শিখছে
দেহের চমড়া কেমন জানি ভাজ ভাজ পরে যাচ্ছে-
কি বাপু তার মানে হলো বয়স,আয়না দেখার মুখ;
কথায় কথায় আর বেঁচে থাকবো না রে- মরেই যাবো;
কি অনুভব...
সাদা বকের ডানা ভেবে উড়েনি
প্রেমের আঁকা বাঁকা স্মৃতির বাঁধ;
দৃষ্টির আড়ালে ধান শীষের মাঠ
আইলপাথারগুলো ডেকেই যায়-
এক আর্তনাদ ভরা যমুনার জল;
তবু সাদা বকের হয়নি কোন ফাঁদে
আটকানো রঙিন ছুঁয়া, পা জুড়া
ক্রাশড রাস্তার মোড়ে...
সেই দিনের সকালটা এক অদ্ভুত রঙের ছিল
মেঘলা আকাশ বিকালটা আনন্দ ক্ষণ দুবলা ঘাস
ছুঁয়ে গিয়েছিল সন্ধ্যার ধোয়া উড়ানো কিছু সময়;
অথচ পরেরদিন সকালটা বেশ বেদনাময় হাসি-
এভাবেই কয়ক যুগ পার হলো কিন্তু অদ্ভুতের
রঙটা...
স্বপ্নটা আকাশ ছুঁয়ার হাত থাকা ভাল-
কিন্তু মাটির বিড়ম্বনা খুবি কষ্টকর
কখনো ধুলি হতে চাই- কখনো ছাই;
তবু স্বপ্নের পিছু ছুটতে- ছুটতে
একটুও ক্লান্তি বোধ করিনি না- যাহা
যমুনার জল কিংবা স্বপ্ন ভাঙ্গনের
কষ্ট এই মাটিকেই...
©somewhere in net ltd.