নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল

মোঃ আল মামুন শাহ্

মোঃ আল মামুন শাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অশ্রাব্য ও অশ্লীল

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৬


আলহামদু লিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ
পুলিশ চো** র টাইম নাই
কোন এক ছুটির দিনে পড়ন্ত বিকেলে আপনি আর আপনার ছেলে বাড়িতে বসে ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন। হঠাৎ আপনার ছেলেটি এরকম একটি সংলাপ শুনতে পেল। তার সহজাত কৌতুহলী প্রবণতা থেকে সে জিজ্ঞাসা করলো বাবা, চো** মানে কি? তার উত্তরে আপনি কি বলবেন?
আমার এক ছোট্ট ভাই একদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করল, ভাইয়া বেশ্যা মানে কি? তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি একথা শুনলে কার কাছ থেকে? সে জবাব দিল পাশের বাড়ির মনির আমাকে এ বলে গালি দিয়েছে। তখন পুনরায় আবার সে জিজ্ঞাসা করল বেশ্যা মানে কি? আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম । কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। অনেকক্ষণ পর জবাব দিলাম এটা একটা গালি ভাইয়া। আমার কাছে এর বেশি কিছু বলার ভাষা ছিল না।
এরকম খান**র পোলা, তোর **কে আমি চু**। বা**,ধো**, শা**য়া, এরকম আরো অশ্রাব্য, জঘন্য ভাষাগুলো প্রতিনিয়ত যাওয়ার পথে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে অহরহ শুনতে পাই।
আগে এক সময় কুকুরের বাচ্চা (কুত্তার বাচ্চা), শুয়োরের বাচ্চা এসবের মধ্যেই গালি সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা খুবই শোচনীয়। প্রথমদিকে মাঝে মাঝে যখন অটো স্ট্যান্ড বা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াতাম তখন এসব অশ্রাব্য শব্দ কানে ভেসে উঠতো। লজ্জা ও ঘৃণায় ওখানে বেশীক্ষন দাঁড়াতে পারতাম না। কিন্তু এখন সচরাচর রাস্তাঘাটে, অফিসে,স্কুলে সব জায়গাতেই এসব অশ্রাব্য শব্দের প্রতিধ্বনি ভেসে আসে। গোটা সমাজটাই যেন এ ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করেছে। আজকাল এসব অশ্রাব্য শব্দগুলো ব্যবহার করেই মানুষ কথার গুরুত্ব বুঝায়। বর্তমানকালে বিভিন্ন ইউ টিউব চ্যানেলে তাদের ভিডিওগুলো যেন জমেই না এসব অশ্রাব্য ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার না করলে।
যার ফলশ্রুতিতে সমাজে ঘটেছে বিশাল পরিবর্তন। আজ নতুন প্রজন্ম এসব শব্দ কে যেন আপন করে নিয়েছে। তাদের বন্ধুবান্ধব দের নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা গুলা এতটাই অশ্লীল অশ্রাব্য হয়ে পড়েছে যে সামাজিক বিকারগ্রস্থ তার আর কিছু বাকি থাকে না। আজকাল ক্লাস নাইন টেন পড়ুয়া ছেলেদের মেসেঞ্জার গুলো অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় ভর্তি। কিছু ফেসবুক গ্রুপের কিছু কিছু পোস্ট এ কমেন্টগুলো যেন নোংরামির পাল্লা দিচ্ছে।
আরো একটা ঘটনা উল্লেখ করছি, এক রিক্সার সারাই মিস্ত্রির দোকানের সামনে দিয়ে আমি চাচ্ছিলাম। সারাই মিস্ত্রি একজন রিকশাওয়ালা কে উপরে উল্লেখিত কিছু অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। কিছুটা শান্ত হওয়ার পর যখন আমি তাকে বললাম ভাই এগুলো কি বললেন, এসব এগুলো ব্যবহার না করেও তো একজনকে রাগ দেখানো যায়। আপনার প্রত্যেকটি কথার জন্য এক দিন আল্লাহর দরবারে জবাব দিতে না এবং এ জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। সে আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে উত্তর দিল, ভাই এইগুলোই আমাগো ভাষা। এগুলা তো দোষের কিছুই না। তার কথার উত্তরে আমি আর কিছুই বলতে পারিনি। এরকম অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষা গুলো আমাদের সমাজে আজ স্বাভাবিকতার জায়গা দখল করেছে।
কিছুদিন আগে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ছোট্ট ছোট্ট কিশোর-কিশোরীদের বিপ্লবী ও প্রতিবাদী রূপ যেরকম প্রকাশিত হয়েছে, তেমনি আরো একটা বিকট ভয়ঙ্কর রূপ প্রকাশ পেয়েছে। অশ্রাব্য ও অশ্লীল ভাষা গুলো যেন পেল তার সামাজিক স্বীকৃতি।
আমাদের দেশটা, আমাদের সমাজটা আমরা নতুন প্রজন্মের জন্য আরও সুন্দর করতে চাই। সেই সমাজে, সেই দেশে ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা এসব অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষা নিয়ে মাথা ঘামাবে না। তারা পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ পাবে। অশ্লীলতার ছোঁয়া থেকে মুক্তি পাবে। এটাই হোক আমাদের স্বপ্ন। আর তার জন্য প্রয়োজন নতুন একটা আন্দোলন। সে আন্দোলন নিচ থেকেই শুরু করতে হবে। অশ্লীল ভাষা অশ্রাব্য ভাষা নিজে পরিহার করতে হবে অন্যকে পরিহার করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। তাহলেই আমাদের নতুন প্রজন্ম পাবে একটা সুন্দর পরিবেশ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ, বিষয়টা খুবই উদ্বেগের।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১২

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: কিছুতেই এগুলো রোধ করা যাচ্ছে না বরং দিন দিন সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাচ্ছে। সত্যি অনেক উদ্বেগের। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১০

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
একমত।

পরিবারের গোড়া থেকেই অশ্লিল ভাষাভাষী আসে। যা আগে পরিবার থেকে সচেতন হতে হবে।

সুন্দর পোস্ট, ভাল লাগল

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৫

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: : ঠিক বলেছেন । স্রাঞ্জি ভাই। পরিবারের গোড়া থেকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। শিশুরা শুনতে শুনতে শিখে ফেলে। তাই সুন্দর শ্রবণ পরিবেশ চাই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি। গালিগালাজ নতুন কিছু নয়, তবে সেটাকে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াটা বেশ ভাবনার বিষয়। সময়োপোযোগী লিখার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। ভালো থাকুন।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৬

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: ইফতেখার ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ সাপোর্ট ও কমেন্ট করার জন্য।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৭

রাকু হাসান বলেছেন:



আমি একটা প্রায়শই মনে মনে ভাবি ‘‘তুমি কেমন ,তোমার পরিবেশ যেমন’’
ভাল বলেছেন । আমাদের গোঁড়ায় পানি ঢালা প্রয়োজন । বাংলাদেশের একটি অঞ্চলে কিছু দিন ছিলাম ,সেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই বিশেষ কিছু অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করতো ,এভাবে সারা দেশেই আছে । আমাদের সচেনতার বিকল্প নেই ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:১৪

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাখো হাসান ভাই। মন্তব্য ও সাপোর্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আছে মধ্যবিত্তের গৃহিণীরা। স্টার জলসা আছে। টেনশন ফ্রি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: হা হা হা। স্টার জলসায় অন্তত অশ্রাব্য বাক্যের ছড়াছড়ি কম। যদিও আরো অন্য অনেক সমাজবিধ্বংসী ব্যাপার স্টার জলসায় বিদ্যমান। ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

একাল-সেকাল বলেছেন: ..এখানে যদি নেতা নেত্রীদের উদাহরণ দিই, অবশ্যই বলবেন ব্যাটা সব কিছুতেই রাজনীতি খুঁজে। সংসদ অধীবেশনে যে সব গালিগালাজ জাতি শুনেছে তা ভুলতে কয়েক প্রজন্ম লাগবে। ছাত্রদের আন্দোলনে পুলিশের পু*কি দিয়া ভইরা দিমু সংলাপ এখন ও মুছে যায় নাই। সর্বোপরি আমরা অশ্লিলতা সমাজে রাষ্ট্রে খুব ভাল করেই রপ্ত করেছি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: সংসদ আমাদের দেশের বাইরের কোনো সেক্টর না। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অশ্রাব্য ও অশ্লীলতার ব্যবহার খুবই ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার দাবী হল সকল পর্যায়ে এর ব্যবহার বন্ধ করা। যাতে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর শ্রবণ পরিবেশ তৈরি করা যায়। আপনার সাথে একমত। ধন্যবাদ মতামত জানানোর জন্য।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

কেতন বলেছেন: আপনি যা আশা করছেন, তা কোন অবস্থায়ই সম্ভব নয়। ছোটবেলায় শিবির করতাম, মতিঝিল মডেল স্কুলে পড়তাম এবং মুগদা এলাকার ছেলেপেলেদের সাথে বেশ সখ্যতা ছিল। শুধুমাত্র শিবিরের ছেলেপেলে বাদে এই বয়েসী এমন কোন ছেলেপেলের দল দেখিনি, যারা অশ্লীল গালাগালি এবং কথাবার্তাকে বিনোদন মনে না করত। একটা মাদরাসায় আমি শিবিরের টি সি তে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রায় ৫০/৬০ জন কিশোরের সাথে মিশেছি। তারাও বিনোদনমূলক ফান মাস্তি করেছে। কিন্তু কোন অবস্থায় কেউ একটাও অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করেনি। কিন্তু স্কুলের ছেলেপেলেরা ৫টা শব্দ বললে একটা তার মধ্যে অশ্রাব্য থাকবেই।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।ধর্মীয় চেতনা অশ্লীল বাক্য পরিহারে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এখানে স্কুল বা মাদ্রাসা বা কোন রাজনৈতিক দল ফ্যাক্ট না। আপনার মতামত টি যথেষ্ট মূল্যবান। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সপ্তাহ দুয়েক আগের কথা। শুক্রবার। আমি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে হেটে হেটে আসছি।
দেখি বাসস্টপেজে ৩/৪ টি বাংলাদেশী ছেলে দাড়িয়ে হা পিত্যেশ করছে। এদের মধ্যে একটি ছেলে আবার খুব জোরে জোরে বলছে: মালয়েশিয়ার মা-- -- চু---।

সেখানে কোন মালয়েশিয়ান ছিল না। থাকলেও হয়তো তারা এর অর্থ বুঝতে পারত না। কিন্তু আমাদের রুচিবোধে আসলেই সমস্যা আছে। দিনে দিনে তা আরো প্রকট আকার ধারণ করছে।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০১

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে। ঠিক বলেছেন ভাই অশ্লীলতা দিনে দিনে প্রকট আকার ধারণ করছে। আমি একমত। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনি গাছের গোড়াতে যে পোকা সেটাই তুলে এনেছেন! ধন্যবাদ!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: অভিনন্দন আমার ব্লগে আসার জন্য এবং আমার লেখাটি পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.