![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিয়ত করে কবর বা মাজার শরীফ জিয়ারত সুন্নত! এর প্রতি উত্তরঃ- আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বেশী বেশী কবর জিয়ারত করতে বলেছেন, বলেছেন অধিক হারে মৃত্যু কে স্বরণ করার জন্য ।
কিন্তু বর্তমানে কবর জিয়ারতকে উপলক্ষে যে মাজার প্রচলন করা হয়েছে তা করতে বলেন নি।
আল্লাহর রাসুল সা: আলী রা: কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সকল উচু কবর ধ্বংস করার জন্য। আমাদেরও এখন একই কাজ সকল উচু কবর, মাজার নামের ব্যবসা ধ্বংস করে দেওয়া, মাটির সাথে সমান। আফসোসের বিষয় সেই আলী রা: এর কবরই এখন মাজারে পরিনত করছে।
মাজার শব্দের অর্থ হলো দর্শনীয় স্থান। যেটা দেখলে মন ভাল হয়। যেমন সমুদ্র সৈকত একটা মাজার বা দর্শনীয় স্থান।
সহীহ হাদিসগুলোতে আছে, কবর পাকা করা নিষেধ, কবরে বাতি দেওয়া নিষেধ, কবরের উপর ঘর নির্মাণ নিষেধ, কবরকে উৎসরেব স্থান বানানো নিষেধ, কবরে গিলাফ লাগানো নিষেধ। কিন্তু আমাদের মুসলমান নামধারীরা সবগুলো নিষেধ করা কাজই বেশী করে করে।
বলতে পারে সেগুলো পীরদের মাজার। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই পীরগুলার অস্তিত্ব কেন সাহাবাদের যুগে নাই, কেন তাবেয়ীদের যুগে নাই। কারণ এটা একটা ব্যবসা যা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন
সূরা ফাতির-২২> হে নবী, তুমি কবরে শায়িতদের কথা শুনাতে সক্ষম না।
আর আমাদের কবরগুলোতে এমনই আক্বিদাহ পোষন করে যে কবর বাসী শুনে।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন
সূরা আহকাফ-৯> হে নবী, বল, আমি জানি না আমার সাথে আল্লাহ কি ব্যবহার করবেন এবং আমি জানি না আল্লাহ তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করবেন।
বুঝার চেষ্টা করুন, নবী নিজেই যেখানে জানেন না তার সাথে কি ব্যবহার হবে, সেখানে আমাদের দেশের অনেক মূর্খ মানুষরা মনে করে আব্দুল কাদের জিলানী, শাহ জালাল, শাহ পরান (র রা জান্নাতি। তারা জান্নাতের সার্টিফিকেটই দিয়া দেয়।
অনেকে তাদের মুখে জান্নাতি না বললেও মনে মনে সেটা বিশ্বাস করে। আর ঈমান হলো সেটাই যা অন্তরে বিশ্বাস করা হয়, মুখে স্বীকার করা হয় এবং কার্য দ্বারা সম্পাদন করা হয়।
কবরপুজারী, মাজারপুজারীরা মুখে অস্বীকার করলেও তাদের অন্তর এই স্বাক্ষ্যই দেয় যে তারা জান্নাতি।
আল্লাহ আমাদের কবর পুজা, মাজার পুজা ইত্যাদি থেকে বাচার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ এই পীর পুজারী, কবর পুজারীদের হেদায়েত দান করুন।
সম্মানিত (?) পীরগণ ও তাদের মুরিদগণ কোরআন থেকে দলিল দেন যে আদম আ: কে সিজদাহ করতে বলা হইছিল ফেরেশতাদের। কারণ কি? কারণ তিনি তাদের চেয়ে বেশী জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন। পাশাপাশি আদম আ: ও ফেরেশতাদের মধ্যে জ্ঞান এর প্রতিযোগীতায় তিনি জয়লাভ করেছিলেন।
তো আদম আ: এর যদি জ্ঞান বেশী থাকার কারণে ফেরেশতারা তাকে সিজদাহ করে। তাহলে পীরের জ্ঞান বেশী থাকার কারণে কেন মুরীদরা তার সিজদাহ করতে পারবে না?
শয়তান যেহেতু আদম আ: কে সিজদাহ করেনি, তাই সে জাহান্নামী। তেমনি বর্তমানে যে পীরদের সিজদাহ করবে না তারাও শয়তান, জাহান্নামী।
তাদের এই দলিল এক কথাতেই খন্ডন করা যায় যে,
জ্ঞান বেশী থাকার কারণে যদি কাউকে সিজদা করা যেত তাহলে বিশ্ব নবী, সর্বশেষ ও চুড়ান্ত নবী, আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মোহাম্মদ সা: ছিলেন সেই সিজদাহ পাওয়ার সর্বপ্রথম দাবীদার এবং সবচেয়ে যোগ্য। সকল পীরের থেকেও যোগ্য।
=> কিন্তু সাহাবাগণ কি তাকে সিজদাহ করেছিলেন?
=> মহানবী সা: কি তাদের সিজদাহ করতে বলেছিলেন তাকে। নাকি এক আল্লাহকে?
আল্লাহু আকবার।
সিজদাহ একমাত্র আল্লাহর প্রাপ্য। পীর নামক শয়তানগুলো আল্লাহর এই অধিকারেও হাত দিয়েছে। তাদের মতে যারা পীরকে সিজদাহ করে না তারা শয়তানের মতো জাহান্নামী। মূলত যারা পীরকে সিজদাহ করে তারা আল্লাহর ইবাদাত কে খন্ড খন্ড করে আল্লাহর পাশাপাশি মানুষের ইবাদাত এ লিপ্ত যা শিরকে আকবর।
সত্য প্রকাশিত হওয়ার পরও এমনটি যে করে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
মূর্তি পূজা বনাম কবর বা মাজার পূজার সূচনা
হযরত আদম আঃ থেকে নূহ আঃ পযন্ত তৎকালীন পৃথিবীর সকল মানুষই মুসলিম ছিল, তাওহীদের উপর অটল ছিল , কোন ফেরক্বা বন্দী ছিলনা, এমন অবস্হা হযরত নূহ আঃ এর জমানা পযন্ত চলতে থাকে . ইমাম বভবী রঃ বলেন হযরত আদম আঃ ও নূহ আঃ এর মধ্যবর্তী সময়ে ৫ জন বিশিষ্ট মুত্তাকী ধমভীরু নেককার লোক ছিল, যার বননা সূরা নূহতে এ ভাবেই এসেছে , , وفالوا لا تذرن الهتكم ولا تذرن ودا ولاسواعا ولا يغوث ويعوق ونسرا الاية سورة نوح এ ৫ জন যথাক্রমে ওয়াদ,সূয়া , ইয়াগুছ, ইয়াউক, ও নসর , এরা প্রকৃত পক্ষে সে জামানার মুত্তাকী পরহেজগার লোক বা সে জমানার অলী , সবাই এদের সন্মন করত , তাদের কৃত নছিহত শুনতো আমল করত. ভক্তরা সূদীঘকাল পযন্ত তাদের পদান্ক অনূসরন করে সঠিক ও তাওহীদের উপর অটল ছিল . তাদের সকলের এন্তেকালের পর শয়তন মানুষবেশী জুব্বা পাগডী পরিধান করে ভক্তদের কাছে এসে পরোচনার জাল আঁটল এভাবে যে,
১৷ তোমরা যে সকল মহাপুরুষদের পদান্ক অনূসরন করছ তাদের ছবি এঁকে উপাসানলয়ে রেখে এবদত করলে. এবাদতে পূনতা লাভ করবে , মানুষবেশী শয়তানের পরামশে তাই করল , এ ভাবে অনেক দিন চলতে থাকে .
২৷ পরবর্তীতে এদের মৃত্যুর পর অন্য প্রজন্মের কাছে অন্য আর একটি পন্দী আঁটল এ ভাবে যে তোমাদের মুরুব্বীদের মূর্তী তৈরী করে তোমদের সামনে রেখে দাও তাহলে আল্লাহর এবাদতে একাগ্রতা ও পূনতা লাভ করবে , তারা শয়তানের ধোকা বুঝতে না পেরে প্রতিকৃতি উপাসনালয়ে রাখল , এদের সৃতি জাগরীত করে এবাদতে বিশেষ পুলক অনূভব করতে লাগল , এ ভাবে অনেক দিন চলতে লাগল ৷
তবে এখনও মূর্তি পুজা শুরু হয়নি সবে মাএ রং দিতে আছে
তৃতীয় ধাপে এসে পরবতী বংশধরদের কাছে এসে এমন ভাবে প্ররোচনা করল যে মালয়ূন
শয়তান কামীয়াব হয়ে গেল যে , আর ভক্তরা পথভ্রষ্ট হয়ে ইতিহাসের সবনিন্ম আস্তাকূডে নিক্ষিপ্ত হলো৷
৩৷ শয়তান বল্ ল যে তোমাদের পূরুষ রাই শুধু মাত্র এ সব মূর্তীর সন্মানই করেনী বরং এ সকল মূর্তীরই এবাদত করেছে , এগুলোই হচ্ছে ওদের উপাসক বা খোদা ,
সুতরাং তোমরা ও তোমাদের বাপ দাদার অনূসরন কল্পে এদেরই এবাদত কর . কাজেই শয়তানের পরামশে তাই করল
এ ভাবে পৃথিবীতে সব প্রথম মূর্তি পূজার সূচনা হয়.
এর ফলে তখনকার সময় প্রায় সকল মানুষই মুর্তি পূজায় লিপ্ত হয়ে এসকল মূর্তির কাছে মনোবসনা পূ্ন্যের কামনা করত . নজর- নেওয়াজ কোরবানী ইত্যাদী সব কিছুই করত .
কেউ কেউ এ সকল মূর্তিকেই সয়ং খোদা মনে করতো .কেউ বা খোদাকে পাওয়ার মাধ্যম মনে করতো ৷
এ ভাবে যখন গোটা জাতিই শিরকে লিপ্ত হলো চতুরদিকে কূফরীর অন্ধকার চেয়ে গেছে ঠিক তেমনি সে মূহুতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়েতের জন্য হযরত নূহ আঃ কে রসুল হিসাবে প্রেরন করলেন ৷
কিন্তু তিনি ৯৫০ বৎসর পযন্ত দাওয়াতের কাজ করার পর মাএ ৪০ জন বা ৪০ জোডা মহিলা পুরুষ মিলে তাঁর ধম গ্রহন করলেন .
অবশেষে তিনি ওহী মারফত জানতে পারলেন যে এ জাতি আর হেদায়েত পাবেনা তখনি আল্লাহর হুকুমে তিনি তাদের ধবংসের জন্য দোয়া করলেন ,
এবং আললাহ তায়ালা মহাপ্লাবন দারা সকল কাফেরদের ধবংস করে দিলেন
তেমনি ভাবেই আজকাল আমাদের দেশের স্বাথম্বেশী পেট পূজারী গূটি কয়েক আলেমের ছএ ছায়ায় কবর কেন্দ্রিক লাল -সালু কাপড , মুমবাতি আগর বাতি জালিয়ে গডে তুলছে শিরকের কারখনা , সেখানেই করা হচ্ছে ঈমান বিধংসী কমকান্ড,
বর্তমানে আমাদের দেশে কবর ে কে কেন্দ্র করে যা করা হচ্ছে , পূর্বেকার যূগে ও প্রাথমীক ভাবে
এমন কর্মকান্ড করা হতো যার ফলে গোটা জাতিকে কুফরের অন্ধকারে পেলিয়ে ধবংস হয়েছিল . এখন ও অদূর ভবিষ্যতের এ দেেশর আবস্হা এমন হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা .
মূর্তি পূজক দের অনূষ্ঠান
মূর্তি পূজকরা সাধারনত ৪ টি কাজ করে থাকে
[১] বাৎসরীক ২ টি বড অনূষ্ঠান দূর্গাপূজা ও কালীপূজা এ ছাডা আরও ছোট ছোট অনূষ্ঠান
[২] প্রতিমাদের সামনে প্রদীপ মূমবাতী আগরবাতী ইত্যাদী প্রজ্যলীত করে
[৩] এদের নামে পশূ / পাঁঠা কোরবনী [বলী] দিয়ে থাকে
[৪] প্রতিমাদের সামনে মাথা নত ও সেজদা করে থাকে
দুর্গার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র বলে, ‘আয়ুরারোগ্যং বিজয়ং দেহি দেবি নমস্তুতে। রূপং দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে। পুত্রান দেহি ধনং দেহি সর্ব্বকামাংশ্চ দেহি মে।।’ (হে ভগবতী, আপনাকে প্রণাম করি, আপনি আমাকে রোগমুক্ত করুন, বিজয়ী করুন, যশ ও সৌভাগ্য প্রদান করুন, পুত্র ও ধন দিন এবং আমার সকল কামনা পূর্ণ করুন।)
মাজার পন্থীদের অনূষ্ঠান
মাজার পন্থীদের ও ৪ টি কাজ
[১] বাৎসরীক ওরস ও মিলাদ মাহফিল
সহ আরও কত কি [২] কবরের সামনে মুমবতি আগরবাতি প্রজ্যলন করন
[৩] পীরের / মাজারের নামে পশু কোরবানী /মান্নত করন
[৪] কবর ওয়ালার কাছে কিছু চাওয়া ,মনোবাসনা পূন্যের জন্য কবর কেন্দ্রিক দোয়া করা ,ক্ষেএ বিশেষ কবর কে সেজদা করা ইত্যাদি /
আর মাজার পন্থীরা মাজার/কবর /বা পীরের কাছে ধন সম্পত্তী* /সন্তান /রোগমূক্তি/ মনোবাসনা পূন্যের দোয়া করে থাকে
পাঠক বৃন্দই পার্থক্য করূন
প্রতিমাপূজক ও বর্তমান মাজার পূজারীদের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি???????
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: সামুতে এত পন্ডিতের ছড়াছড়ি“!!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
পথ হারা নাবিক বলেছেন: আমরা কতো বড় গুনাহ্ এর মধ্যে ডুবে আছি!! আল্লাহ আনাদের ক্ষমা করুন!!