নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত পাখীর মন

মুক্ত পাখীর মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা মধু বয়াতির কাছেই মমতাজের গানে হাতেখড়ি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৫





'জন্মের পরেই দেখেছি একতারা, দোতারা, খোল, ঢোলসহ নানা বাদ্যযন্ত্র দেখে বেড়ে উঠেছি। এগুলো নিয়েই খেলতাম শৈশবে। স্পর্শের কথা বললে, বাবার মুখে গান শুনে শুনে গানের প্রতি আগ্রহ জন্মে। পরে বাবার গাওয়া গানগুলোই বিভিন্ন আসরে পরিবেশন করতাম। ক্রমান্বয়ে গানের প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনেছি।'



বাবা মধু বয়াতির কাছেই মমতাজের গানে হাতেখড়ি। তার সঙ্গে বিভিন্ন আসরে যেতেন। হাতে খমক নিয়ে বাবার গানে তাল মিলিয়েছেন। একসময় বাবা-মেয়ে দ্বৈত কণ্ঠে গান পরিবেশন করতে থাকেন। তখনও ঠিকমতো তাল-লয় আমি বুঝেনা মমতাজ। ওস্তাদ মাতাল রাজ্জাক দেওয়ানের কাছ থেকে পরিপূর্ণভাবে গান শেখেন তিনি। ততদিনে সুরের খেলা কিংবা তালের পরিবর্তন সম্পর্কে অনেকটাই জেনে গেছেন কিশোরি মমতাজ। শ্রোতাদের চাওয়া-পাওয়ার মধ্য দিয়েও গান শেখার চেষ্ঠা করেছেন তিনি। মঞ্চে বসেই মাঝে মধ্যে শ্রোতাদের চাহিদা অনুযায়ি গান বাধতেন বিভিন্ন আসরে। 'বাউল সাধকরা সাধকরা সব ধরনের গানই করে থাকেন। শিল্পী হিসেবে আমার আজকের অবস্থানে পেঁৗছতে সেইসব গানের অবদান আছে। গ্রাম-বাংলার সুর মনের মাঝে রেখে নিজেকে প্রতিনিয়ত তৈরি করেছি। আমার এক একটি গানের পেছনে জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। প্রতিটি গানই আমার জীবনের বাক বদলে দিয়েছে।' আগের মমতাজের জনপ্রিয়তা প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি ছিল। এখন শহরেও তা ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিবর্তনের আড়ালে কোনো রহস্য আছে? 'পালা গান নিয়ে আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছি। তখন পালায় নিজেকে উপস্থাপন করেছিলাম বাউল সাধকদের মতো। সেই সুবাদে গাঁয়ের মানুষের কাছে আমার পরিচিতি বাড়তে থাকে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক সময় গানে নতুন নতুন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করেছি। ফলে গানগুলোতে কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া এসেছে। যদি আমার গানগুলোতে হঠাৎ বড় কোনো পরিবর্তন আনা হতো, তাহলে শ্রোতাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারতো। তাই লোকজ গানে একটু পরিবর্তন এনেছি আধুনিকতার ছায়ায়। ১৯৯৮ সালে শ্রোতারা আমার কণ্ঠে প্রথম আধুনিকতার মিশেলে লোকজ গানগুলো শুনেছে। ফলে গ্রামের মানুষ পরিবর্তনটাকে আনন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি শহুরে মানুষদের মধ্যেও আমার পরিচিতি বাড়তে থাকে। আমার গান আগের মতোই আছে, শুধু স্বাদটা একটু ভিন্ন হয়েছে। ধরা যাক, পরিবারের লোকজন আমার হাতের রান্না খেয়ে অভ্যস্ত। এখন ঘরে মেহমান এলে তাদের জন্য আমিই রান্না করেছি। কিন্তু নতুন ফর্মূলায়।'



মমতাজের গানের কথায়ও আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন তার গানের কথা অনেক মার্জিত, পরিশীলিত। এটা কি সচেতনভাবেই, নাকি আধ্যাত্মিক গানে প্রেরণা খুঁজে পান? "গাঁয়ের মানুষ বড্ড সাদাসিধা। তখনও তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো খুব একটা ছিলো না। গাঁয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য তখন আমি নিয়মিত গানবাজনা করতাম, যা শহুরে মানুষের কাছে খুব বেমানান মনে হতো। আমার ভাবনাও ছিল গ্রামের মানুষকে ঘিরে, আমার আগের গানগুলোর কথায় সেটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও করেছি। তখন যদি গ্রামের মানুষদের শুদ্ধ ভাষায় গান শোনাতাম তাহলে তারা সেই গানগুলো আনন্দের সঙ্গে হয়তো গ্রহণ করত না। শুধু তা-ই নয়, হয়তো তারা আমার এ গানগুলো শুনতই না। পরিণতিতে আমি হয়তো আজকের এই মমতাজ হতে পারতাম না। ধরুন, 'বুকটা ফাইট্টা যায়' গানটি যদি আমি 'বুকটা ফেটে যায়' গাইতাম। তাহলে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবীরা বানান সমস্যায় এটি সহজে গাইতে পারতো না। তবে এখন গায়ের মানুষ শুদ্ধ ভাষার সঙ্গে অনেক পরিচিত। তারা এখন সব ধরনের গানই শোনে। তাই আমার এ পরির্বতন তারা আনন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করেছে।"

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৯

গাজী আলআমিন বলেছেন: ভালো হয়েছে।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১২

মুক্ত পাখীর মন বলেছেন: :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.