![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যীশুর জন্মের ত্রিশ বছর আগে রোমান কবি হোরেস লিখেছিলেন,
" সেই মানুষই সবার চেয়ে সুখী, যিনি আজকের দিনকে নিজের
বলতে পারেন; তিনিই শ্রেষ্ঠ, যিনি বলেন আগামীর দিনকে ভয়
করিনা কারন আমি আজ বেঁচেছি।" আমাদের সবথেকে দুঃখের
কথা হল, আমরা সবাই জীবনযুদ্ধ এড়িয়ে চলতে চাই। আমাদের
একটা স্বপ্ন পূরন না হলেই আমরা গভীরভাবে শোকাহত হই। প্রচন্ড
রকম ভেঙে পরি। কেউ কেউ জীবনের সব স্বপ্নই হারিয়ে ফেলি।
হ্যা, এটাই স্বাভাবিক। তবে স্বপ্ন দেখা ভুলে গেলে চলবে না।
মনে রাখতে হবে, মেঘের পরে মেঘ, সিঁড়ির পরে সিঁড়ি। ঠিক
তেমনি স্বপ্নের পরে স্বপ্ন। সফল হতে হলে স্বপ্ন দেখতেই হবে। '
যা ঘটে গেছে তাকে মেনে নাও... কারন যা ঘটে গেছে তা মেনে
নিলে তবেই দুর্ভাগ্য অতিক্রম করা যায়।' সবথেকে খারাপ কি হতে
পারে??? অবশ্যই মৃত্যু। তাহলে সেই মৃত্যুকেই মেনে নাও। মরতে তো
হবেই, আজ বা কাল। যখন যেখানে যে কাজ শুরু করবে তারই শেষ
দেখে তবে ছাড়বে। মনে কর, রহিম ও করিম দুজন ছাত্র। রহিম খুব
ভাল পড়ালেখা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেল। আর
করিম কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় যে, কার
ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল? সবাই বলবে রহিমের। হ্যা এটাই ঠিক। তবে যদি
এমন হয় যে, রহিম পাশ করে বের হয়ে কোন দুর্ঘটনায় পাগল হয়ে
গেল। আর অন্যদিকে করিম পাশ করে সামান্য বেতনে একটা
চাকরি করছে। তাহলে কার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল? অবশ্যই করিমের। এই
রহিম করিমের গল্পের মূল বিষয় হল, আমরা কেউ জানি না যে,
আমাদের ভবিষ্যৎে কি ঘটবে। তাই সেই চিন্তা করে সময় নষ্ট
করার কি দরকার? যে যেখানে আছ সে সেখান থেকেই সর্বোত্তম
চেষ্টা করে যাও। সফল হবেই।
জেলখানার অন্ধকার প্রকোষ্ঠে থেকে জানালার ফাঁক দিয়ে
কোন কয়েদী পাশের নোংরা ড্রেন দেখে। আবার কোন কয়েদী
সুন্দর প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়ে আস্তে আস্তে কবি হয়ে ওঠে। এটাই
হল বুদ্ধিমানের কাজ। যারা অল্পতে সন্তুষ্ট হয় তাদের জীবনে
কখনও না পাওয়ার কষ্ট উপলব্ধি করতে হয় না। তোমার চারদিকে
যা আছে তুমি সেটাই সঠিকভাবে ব্যবহার কর। সফলতা আসবেই। মন
খারাপ করে অলস হয়ে বসে থাকলে এক ধরনের শুন্যতা অনুভব
করবে। আর মনে রেখ, প্রকৃতি শুন্যতা ঘৃনা করে।
জলন্ত বাল্বের মধ্যে যে শূন্যতা, বাল্বটা ভেঙে গেলেই সেটা
থাকে না - প্রকৃতি তখন সেখানে বাতাস পূর্ন করে দেয়। প্রকৃতি
শূন্যমন ভরাট করতে চায়। কিন্তু কি দিয়ে? বাতাস? না আবেগ
দিয়ে। আর আবেগ হল - দুশ্চিন্তা, ভয়, ঘৃনা, ইর্ষা এইসব থেকেই
আসা। এগুলোর খুব খারাপ শক্তি থাকে। আর এই আবেগের এতইই
ক্ষমতা যে তা শান্তি আর সূখকে ঘরছাড়া করে দেয়।
তাই কখনও দুশ্চিন্তা করনা। যেখানে আছ সেটাকে নরক মনে করে
ঘৃনা করনা বরং ওই নরকটাকে সর্গ করে তোলো। তবেই তো তুমি
সফল।
লেখা: অ্যালেন সাইফুল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৮
অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: হুম গুড