![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাটু ভাঁজ করে নামাজের ভঙ্গিতে ছেলেটা বসে আছে। হাতের ডানদিকে
ছেলেটার মা। ছেলের কাছে যার প্রত্যাশা সব থেকে বেশি। এরপর একজন
বোকাসোকা মানুষ। ফেটে যাওয়া পুরোনো গ্লাসের চশমা আর অচল একটা
হাতঘড়ি পরে হাসিহাসি মুখ করে বসে আছে। অপেক্ষার দিন, কষ্টের দিন শেষ
হয়েছে ভেবে বড্ড খুশি আজকে এই লোকটা। এরপর বসে আছে
ছেলেটার একমাত্র আদরের মিষ্টি ছোট বোনটা। যে ভাইয়ের টাকায় ডাক্তারি
পড়বে বলে প্রতিদিন সাদা এ্যাপ্রন পড়ে লুকিয়ে লুকিয়ে গিয়ে আয়নার সামনে
দাড়িয়ে মুচকি হাসে। এরপর যারা আছে তারা সবাই ছেলেটার কাছের মানুষ।
ছেলেটাকে খুব পছন্দ করে, তাদের চাওয়া ছেলেটা তাদেরকে একটা ভাল খবর
শুনাবে।
----------
--------------
সবার চাহনি বলে দিচ্ছে ছেলেটার থেকে এখনই তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত খবরটা
শুনতে চাচ্ছে। ছেলেটা বুঝতে পারছে না কী করবে। ইচ্ছা করছে উঠে
দৌড়ে পালিয়ে যেতে। কিন্তু পালাবার পথ নেই। ছেলেটা ধীরে ধীরে
অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছে। যতই সময় যাচ্ছে ততই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচয়িত ছুটি
গল্পের ফটিকের মত নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে। কানের কাছে বসে বুঝি
ফটিক গুনগুন করে গেয়ে উঠছে সেই গান, "এক বাও মেলে না, দু বাও মেলে
না......."। না! ছেলেটা আর সহ্য করতে পারছে না। প্রচন্ড মানসিক চাপে মাথার বাম
পাশের একটা শিরা ছেলেটার সাথে বেইমানী করে ছিড়ে গেল। মাথাটা আস্তে
করে গড়িয়ে পড়ল বুকের উপড়। মুহূর্তেই অন্ধকার হয়ে গেল চারপাশ। মাটিয়ে
লুটিয়ে পড়ল ছেলেটার দেহ।
----------
---------------
গল্পাংশ: পরাজিত অভিনেতা।
লেখক: অ্যালেন সাইফুল।
[অনেকদিন পর আবার রাত জেগেছিলাম। জানিনা কি হয়েছে, তবে উপরোক্ত
লেখাটুকুর মধ্যে একটা রহস্য আছে। রহস্যটা তৈরি করেছি গল্পের জন্য।]
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: এর আগেও পড়েছি । চমৎকার একটি লেখা !
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
রিহান রাজা বলেছেন: ফাইনাল প্রফে ফেল !
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮
অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: ধন্যবাদ অবুঝ ব্লগার।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯
অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: হুম ফেরদৌস ভাইয়া। আর ফেবু আইডি জুকার আবার গায়েব করছে।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯
অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: কিছুটা এই রকম রিহান রাজা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
অবুঝ ব্লগার১ বলেছেন: সুন্দর তো