নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/allen.saiful

অ্যালেন সাইফুল

An inhuman never explain himself.

অ্যালেন সাইফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই রিভিউ ০১!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১


"হারিয়ে যাওয়া জগৎ" নামের বইয়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম।

সদ্য বিএসসি পাশ করা তরুণ মতিন। একা ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ তিনি কখনও পায়নি। তাই একবার জিদ করে একা একা বেরিয়ে পরে নানাবাড়ির পথে।
নানাবাড়ি যাবার পরেই মতিন বুঝতে পারে; জীবনের আসল উদ্দেশ্য অ্যাডভেঞ্চারে নেমে পরা। জীবনকে উপভোগ করতে মতিন অ্যাডভেঞ্চারে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর একদিন নানার সাথে গল্পে বসে মতিন তার সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে। তার নানা তাকে প্রফেসর আলম নামের এক কথিত পাগলের সন্ধান দেয়। কেননা তিনি মনে করে, প্রফেসর আলমের সাথে দেখা করাই এক বিশাল অ্যাডভেঞ্চার।

প্রফেসর আলম জুওলজির শিক্ষক। তার মতে তিনি এমন কিছু জানেন যা অমূল্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার কথা কেউ বিশ্বাস করেন না। উল্টো সবাই তাকে পাগল, জোচ্চোর ও ধাপ্পাবাজ বলে গালিগালাজ করে। মানুষের গালাগাল শুনতে শুনতে একপর্যায় আলম সাহেব কারো সাথে দেখা করা বন্ধ করে দেন।

মতিন নানা কৌশলে প্রফেসর আলমের সাথে দেখা করে। আলম সাহেব মতিনকে নিকটবর্তী এক বিজ্ঞান সেমিনারে যোগদান করতে বলে। সেই সেমিনারে প্রফেসর আলম এবং জুওলজির অপর এক প্রফেসর মফিজ সাহেব তর্কাতর্কি করেন। প্রফেসর আলম বলেন, "প্রাগৈতিহাসিক যুগের অনেক ভয়ঙ্কর প্রাণী এখনও বেঁচে আছে।" অপরদিকে প্রফেসর মফিজের বলেন, "প্রাগৈতিহাসিক যুগের সকল ভয়ঙ্কর প্রাণী মানুষ সৃষ্টির ১০০০ বছর পূর্বে বিলুপ্ত হয়েছে।"

অবশেষে, পাকিস্তান বিজ্ঞান সমিতি থেকে সিদ্ধান্ত হয়; সঠিক প্রমাণের জন্য প্রফেসর দুইজন সহ আরো কয়েকজনকে আমাজনে পাঠানো হবে। এই সুযোগ লুফে নিয়ে মতিন ও শহিদুল নামের এক ভদ্রলোক অভিযানে যোগ দেয়।
বাকি কাহিনী অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। লেখিকা প্রত্যেকটা জিনিসের এত নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছেন যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
মতিনদের সেই অ্যাডভেঞ্চারে কী হয়েছিল জানতে বইটা পড়ুন। (সব বলে দিলে মজা পাবেন না)

বইয়ের নাম : হারিয়ে যাওয়া জগৎ।
লেখিকা : নূরজাহান বেগম।
পৃষ্ঠা : ১৮৬
রেটিং : ৫/৫
প্রকাশকাল : ১৯৬২

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.