![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন খারাপের একেকটা দিন। নিকষ কালো মেঘলা লাগে। কেউ বোঝেনা এই আমাকে, আমারও যে একলা লাগে......।।
হাস্যকর ইসলামি রাজনীতি থেকে এদেশের মানুষের
বুক বুক করে আগলে রাখা ইসলামকে নিস্তার দিন
-----------------------------------------
দীর্ঘ একটা সময় পার হয়ে গেলো । ইসলামপন্থীরা ক্রসফায়ারে মারা পড়লো। একসময় গুটিকতক জেএমবি টাইপ জঙ্গি ছিলো দেশে, এখন হেফাজতের দুর্ঘটনার খেসারত দিতে গিয়ে কেবল আওয়ামী ঘরানার বাদে সবাই জঙ্গি খেতাব পেয়ে গেছে।
আমাদের দেশের ইসলামি রাজনীতিকেরা বোধহয় ক্ষমতা কিংবা পিটুনি খাওয়া- এর বাইরের কিছু আর বোঝে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে জোটে থাকার বদৌলতে তারাও ক্ষমতার আস্বাদ পাবে- এই আশায় দিন গুজরান করছে সবাই। নয়তো মরলে বিএনপির সঙ্গেই মরবে, বলা ভালো শহিদ হবে; আর দোষ চাপাবে আওয়ামীলীগের ঘাড়ে।
অথচ সাধারণ একজন মানুষও এতদিনে বুঝে গেছে যে, আওয়ামীলীগ ক্ষমতার আসার আগে থেকেই টের পেয়েছে- এদেশে মূলত আওয়ামী-বিএনপি কারোরই শক্ত জনপ্রিয়তা নেই, কেবল দরিদ্রতার কারণে তারা তোষামোদি পায় মাত্র। তো ক্ষমতা একবার আঁকড়ে ধরতে পারলে বিপরীত দল জনগণের দোহাই দিয়ে কিছুই করতে পারবে না, কারণ জনগণ বিরোধীদলের সঙ্গে নেই, যেমন নেই ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে। তবু ক্ষমতায় থাকলে ক্ষমতা তো থাকে ! বিরোধী দলে থাকলে তা-ও তো থাকে না।
এই সূত্রটা বুঝতে পারলে ইসলামী রাজনীতিকেরা একটা একক প্লাটফর্মে আসতে পারতো। দুই মেয়াদের নির্বাচনের টার্গেট নিয়ে অর্থাৎ ১০ বছর সময় মেহনত করলে শক্ত একটা অবস্থান তৈরি করা খুব কঠিন যে কিছু ছিলো না, হেফাজতের সমাবেশে যোগদানের মাধ্যমে সেই আশ্বাস মানুষ দিয়েছিলো। কিন্তু ভাবে মনে হচ্ছে বিএনপির উষ্ণতা গ্রহণ ছাড়া তারা রাজনীতিই চেনে না !
যদিও ইতোমধ্যে ৮ বছর পার হয়েছে। তবু বলা যায়, এখনো যদি বিএনপির লেজুড়বৃত্তি ছেড়ে ঐক্যের সূতোয় আবদ্ধ হতে পারে তারা সবাই, তবে খুব বেশি দেরি হয়ে যাবে না। ক্ষমতায়ই আসতে হবে, দেশ শাসন করতে হবে, সেই লক্ষ নিয়ে নয়, কেননা, বিশ্ব পরিস্থিতি বলে যে, ইসলামপন্থীদের এখন ক্ষমতার বাইরে থাকাই কল্যাণকর, বরং বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থান মজবুত করার প্রয়োজনেই ভিন্নমাত্রা যোগ করা উচিত।
প্রসঙ্গক্রমে বলি, হেফাজত যদি ‘অরাজনৈতিক’ রাজনীতিবাজিটা না করতো, তাহলে জঙ্গি ট্যাগটা অন্তত এড়িয়ে যেতে পারতো। আর ইসলামপন্থী রাজনীতিকদের বলি, রাজনীতির নামে এইসব কানামাছি খেলা বাদ দেন। মানুষের কাছে আমাদের আর কত হাসাবেন। হাজারো ছেলেরা যখন টুপি-দাড়ি নিয়ে চলতে গিয়ে অসহ্য টিজের শিকার হয়, তখন সেই বেদনা সহ্য করতে না পেরেই তারা পোশাক বদল করে। এর জন্যে দায়ি তো ইসলাম নয়, বরং আপনারা আমাদের যে পরিস্থিতি উপহার দিয়েছেন, সেটাই এর সবচে’ বড় কারণ। ‘বাদআল ইসলামু গরিবুন’- এই হাদিস এখানে খাটে না।
আওয়ামীলীগকে দোষ দিয়েন না, তারা যা করছে, সেটা তো তাদের মতে ঠিকই আছে, আপনারা কি আপনাদের ঠিক কাজটি করছেন ? ভাবেন তো, বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়ও, জাময়াত বাদে বাকি ইসলামি দলগুলোর সবাই মিলেও কি ৫ টা আসনের অধিকারী হবে ? হবে না তো। বরং আপনারা নিজস্ব প্লাটফর্মে আসেন, আমরা, বাংলাদেশের কওমি-আলিয়া-স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির অন্তত ৫০ লাখ ছাত্ররা আপনাদের নেতৃত্বে জীবনবাজি রেখে লড়ে যাবো। একবার নির্বাচন বর্জন করে পরের মেয়াদে দাঁড়ান, বেশি না অন্তত ৮০ টা নাহোক ৫০টা আসন আপনার পাবেন এবং এটাই আমাদের জন্যে যথেষ্ট।
আপনাদের দোহাই লাগে, গণতন্ত্র করেন না; ইসলাম করেন- এই হাস্যকর ‘ইসলামি দর্শন’ থেকে আমাদের মুক্তি দিন। আর নয়তো অপেক্ষা করুন, ধীরে ধীরে আরো অজস্র ছেলেরা ইসলামহারা বেয়াদব হওয়া পর্যন্ত, যারা হয়তো ‘বিডিআর বিদ্রোহের’ মতো আপনাদের বুজুর্গির ‘পিলখানায়’ হামলে পড়বে একসময়। নয়তো সবাই নিশ্চল নির্জীব ফ্যাসিবাদের দাস হয়ে জীবন কাটাবে অনাগত ভবিষ্যতে।
আবার বলছি, হাস্যকর ইসলামি রাজনীতি থেকে এদেশের মানুষের বুক বুক করে আগলে রাখা ইসলামকে নিস্তার দিন, প্লিজ.
©somewhere in net ltd.