|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতঃপর শুভ্র
মন খারাপের একেকটা দিন। নিকষ কালো মেঘলা লাগে। কেউ বোঝেনা এই আমাকে, আমারও যে একলা লাগে......।।
এক সময় নাস্তিকতার আদর্শ লালনকারী কবি আল মাহমুদ হঠাৎ করে কিভাবে ইসলামপন্থী হয়ে গেলেন? বিস্ময় জাগানিয়া এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একটি ইতিহাস। কবির নিজের ভাষায়-
"আমি এক বছর কারাগারে আটক থাকার সময় আমার স্ত্রী জেলখানায় আমাকে একখানা কুরআন দিয়ে এলে আমি তা অর্থসহ আদ্যোপ্রান্ত পাঠ করা শুরু করি। আর প্রথম পাঠেই আমার শরীর কেঁপে ওঠে। এর আগে কোনো গ্রন্থ পাঠে আমার মধ্যে এমন আলোড়ন সৃষ্টি হয়নি। যেন এক অলৌকিক নির্দেশে আমার মস্তক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।'
মূলত এরপরই কবি মার্ক্সবাদী দর্শন ত্যাগ করে ইসলামী জীবনদর্শনে উদ্বুদ্ধ হন। দীর্ঘ কয়েক যুগ যে বামপন্থী চিন্তাচেতনা আকড়ে ধরে ছিলেন সেটা ত্যাগ করে হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর ডানপন্থী! অকল্পনীয় পরিবর্তনই বটে। তবে তার এই পরিবর্তন দেশের সেক্যুলার সমাজ স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তারা আল মাহমুদকে বর্জন করতে লাগল। আর বামপন্থীদের বিরাদভাজন হয়ে কোন কবি-সাহিত্যিকই টিকে থাকতে পারেন না। অধিকাংশ সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেল বামপন্থী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ার কারনে মিডিয়াতে কবিকে দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাকলিস্টেড করে রাখা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যাতে তার সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্য পাঠ্যবই থেকেও তার কবিতা অপসারন করা হয়েছে।.
এক সময় সেক্যুলারপন্থী হওয়ার কারনেই সম্ভবত তার অধিকাংশ সাহিত্য অশ্লীলতা দোষে দুষ্ট। আর এগুলো লিখেই এক সময় তিনি নাস্তিকদের কাছে প্রচন্ড জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র বামপন্থা থেকে ডানপন্থায় কনভার্ট করার কারনে আজ তাকে বাতিলের খাতায় ছুড়ে ফেলা হয়েছে। আজ তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে, কিন্তু মিডিয়া দেখেও না দেখার ভান করছে। সচেতনভাবে তাকে বর্জন করা হচ্ছে, অযত্ন আর অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে। হয়তো এটাই তার প্রথম জীবনের ভুলের শাস্তি। তবে এটাও সত্য, শেষ ভাল যার, সব ভাল তার! ইসলামও অনেকটা এই নীতিতেই বিশ্বাসী। আর তাই জীবনেও শেষ মুহুর্তেও যদি কেউ সত্য পথের অনুসারী হয়ে মারা যায় তবে তাকে সফল বলা যায়। ইসলামপন্থীরা পৃথিবীতে অবহেলিত হবে, লাঞ্ছনার শিকার হবে, কষ্ট ভোগ করবে- অন্যদিকে অবিশ্বারীরা অর্থ-বিত্ত-খ্যাতি নিয়ে সুখ ও সাচ্ছ্বন্দের জীবন অতিবাহিত করবে এটা খোদ কুরআনের ভবিষ্যদ্বানী- যা সত্যে পরিণত হতে বাধ্য। আর তাই আল মাহমুদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তিনি যদি প্রকৃত ঈমানদার হন, তবে তার ভাল কাজের প্রতিদান পরকালে অবশ্যই পাবেন।
৯ টি 
+০/-০২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাম পাকলে মিষ্টি হয়, বাম পাকলে মৌলবাদী হয় ।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
ম.র.নি বলেছেন: টলষ্টয় নাকি নোবেল পায়নি কারন মৃত্যুর সময় তাঁর পকেটে হাদীসের বই ছিল, আল মাহমুদের কিছু দরকার নাই,পুরস্কার উনাকে আল্লাহই দিবেন।যারা তাঁর লেখা পড়েনি তারা জানে না তারা কি মিস করছে,এটা তাদের লস।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১১
ফাহিম আবু বলেছেন: আল্লাহ দিবেন আল মাহমুদ কে উপযুক্ত পুরুষ্কার !!
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
ফাহিম আবু বলেছেন: প্রকৃত মুমিনরা কখনো কোন ব্যাক্তি থেকে কোন পুরুষ্কার আশা করে না , তারা পুরুষ্কার আশা করে আল্লাহর কাছ থেকে !!
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: ম.র.নি ফাহিম আবু @ আল মাহমুদের কয়টা বই পড়ছেন, আশা করি ইন্টারনেট না ঘাইটা নিজের সৃতি থেকে বলবেন !
জামাতিদের একটা বাজে অভ্যাস কেউ ধার্মিক হলেই তারে জামাতি ট্যাগ দিয়ে কোলে নেয়া। আর কোন রকমে যদি একবার ভুলচুক বুঝিয়ে তাদের অনুষ্ঠানে নিতে পারে তবেতো মারহাবা। জামাতিগো বড় শিকার বিশিষ্ট গজল ও নজরুল সঙ্গিত শিল্পি খালেদ হোসেইন, ধর্মীয় সঙ্গিত গায় বলে নগদে হেরে জামাতি রা ট্যাগ লাগিয়ে দিল, এর ফলে কি হোল বেচারার ক্যারিয়ার বলে আর কিছু রইলো না, আমি লোক টাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি, তাকে প্রশ্ন করেছিলাম তিনি তার উত্তরে বলেছিলেন, তিনি জামাত কে সাপোর্ট করেন না, ১৯৮০-১৯৯০ সালের দিকে জামাতের ডাকে কিছু অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শিল্পি হিসাবে অর্থের বিনিময় তিনি গান গেয়ে এসেছেন, ব্যাস জামাতি চার পায়া রা দিলো তার সর্বনাশ করে। এই হল কাহিনী।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
ম.র.নি বলেছেন: @রানার ব্লগ :: বেশী পড়ি নাই, উনার ছোটগল্প সমগ্র আর কবিতার বই পড়ছি।আল মাহমুদকে চিন্তাম শুধু 'সোনালী কাবিনে'এর জন্য, অন্যকিছু পড়িনি।কিন্তু জখন ই দেখলাম উনি আপনার উস্তাদদের যন্ত্রনার কারন তখন আগ্রহী হয়ে পড়লাম। ছোট গল্প পড়ে আমার তারছিরা অবস্হা!! একসময় যখন বইয়ের পোকা ছিলাম তখন আপনার দাদাদের বই পড়তাম, যত টাইপের পাধ্যায়, বসু, মজুমদার আছে সব।এখন কার লেখার সাহি্ত্য মান কতটুকু বা পাঠকমনে আলোড়ন তুলে তা বিচার করবে কে?
পোস্টে লেখক কোথাও জামাতীদের কথা বলেছে?? আপনার মত 'ব্লগবেশ্যা' রা সবকিছু্তে জামাতী কানেকশান খুঁজেন কেন?
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কবি আল মাহমুদের আরোগ্য কামনা করছি।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
রানার ব্লগ বলেছেন: ম.র.নি @ সমস্যা আসলেই ওই খানে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। আমার মনে হয় আমি সুধু আপনাকে ট্যাগ করি নি , আর এক জনের নাম আছে। যাই হোক আমি কখনই বলি নি পোষ্টের সাথে জামাতি ট্যাগ আছে। কথার প্রেক্ষাপটে বাকি কথা গুলো চলে এসেছে। আল মাহমুদের বাকি বই গুলাও পড়েন আশা করি অনেক কিছু জানবেন। এক ছোট গল্প আর কয়েক টা কবিতা তে তিনি সীমিত নন। আল মাহমুদ আজ পর্যন্ত কাউকে খোঁচা দিয়ে লেখেন নি। আমি আমার কথিত (যাদের সন্ধান আপনার মধ্যমে পেলাম) উস্তাদ দের খুজতেছি, পাইলে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করব তাদের কি এমন ক্ষতি সাধন করেছেন, আল মাহমুদ।
দাদা দের বই পড়ে আপনার যদি সাহিত্য বোধ নিয়ে সমস্যা হয়ে থাকে আশা করি ভাই দের বই পড়ে আপনার বোধ কে উন্নত করবেন, তার আগে উর্দু খানা মজবুত করে নিবেন। বই পড়ার আগেই যদি দাদা, ভাই এর প্রভেদ করেন তাইলে বই না পড়ে আমার মোত ব্লগ বেশ্যা গীরি করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আল মাহমুদ নামে কবিও আছেন একজন?