নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট

পৃথু ঘোষ চেয়েছিল বড় বাঘের মতো বাঁচতে

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট

ছিল্লা কাইট্টা লবণ লাগাইয়া দিমু। My fundamental rights to oppose.

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাঁ, এইবার হয়েছে বেশ, সত্যিকারের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩০

হ্যাঁ, এইবার হয়েছে বেশ, সত্যিকারের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।



ইতিহাস ব্যাটা বড় পাজি; ব্যাটা নিজেকে বারে বারে পূনরাবৃত্তি করে!



১৯৭৩ এ সর্বাত্মক স্বৈরাচার লুন্ঠন করেছিল রাষ্ট্রিয় সম্পদ ও সম্পত্তি। ভূইঁফোড় মধ্যবিত্ত দাড়িয়ে গিয়েছিল । ২৭ অবাংগালী শিল্পপতির জায়গায় হাজারে হাজারে নব্য উৎপাদন ক্ষমতাহীন লুটেরা বাংলাদেশী শিল্পপতি দাড়িয়ে গিয়েছিল। শিল্প উৎপাদন ছাড়াই শিল্পপতি !!

জওহর লাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই জগজীবন রামকে ডেকে বললেন, ”এবার তোমরা শক্তিশালী বিরোধীদল গড়ে তোল” (জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাক্ষাৎকার- যদ্যপি আমার গুরু, লেখক - আহ্মদ ছফা)। কতটা দূরদর্শী নেতা হলে নিজের বিপক্ষে দল গড়তে উৎসাহ দেয়। গড়ে উঠে শতভাগ নিরক্ষর ভূমন্ডলে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত।



পাশাপাশি বাংলাদেশে, স্বাধীনতার পর পরই একদল স্বাপ্নিক তরুণ গড়ে তুলতে গেল ”জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল” - ”National Socialist Party

(NSP) ???”, এতোটাই আবেগময় ছিল ৭২এর অক্টোবরে (সম্ভবতঃ) তাদের জন্ম যে, সেই তরুণদের মনেই ছিলনা ”National Socialist Party (NSP)” হিটলারের পার্টির নাম। যাই হোক তড়িঘড়ি করে ইংরেজী নাম সংশোধন করা হোল। (তরুণদের ইতিহাস জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে কিন্তু দেশ গড়ার সততা নিয়ে প্রশ্ন নেই।) নিমর্ম ভাবে রক্ষী বাহিনী দিয়ে হাজারে হাজারে তরুণ হত্যা করা হোল রাষ্ট্রিয় শৃংখলা রক্ষার নামে পাকীদের মতো একই কায়দায়। সংক্ষেপে বলা যায়, বিরোধীদল বলে কিছু গড়ে উঠতে দেয়া হোল না, দাড়াতে দেয়া হোল না। এমনকি সনাতন বিদ্যমান দলগুলোকেও আলাদা অস্তিত্ব নিয়ে চলার সম্ভাবনা নিমূর্ল করা হোল বাকশাল গঠন করে। (এটার দরকার ছিল এই কারনে যে, দেশ গড়ার জন্য ঐক্যমতের সরকারের প্রয়োজনে, কিন্তু সর্বদলীয় সরকার হতে পারতো এর সমাধান, কিন্তু বাকশাল কোনো মতেই নয়।) এটা করা হয়েছিল আওয়ামীলীগের একটা ”সব খামু” মনোভাবের জন্যই।



মানুষ ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কালচার শিখলো ৭৩এর নির্বাচনে, গণ নকলবাজীর চর্চা শুরু হোল ৭৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে।



বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ”আপনি কি এই নির্বাচনে (১৯৭৩) বিরোধীদল করার জন্য ১০ সিটও সমঝোতায় ছেড়ে দেবেন না?” উনি তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে নাকচ করে দিয়েছিলেন সেই সম্ভাবনা। - (জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাক্ষাৎকার- যদ্যপি আমার গুরু, লেখক - আহ্মদ ছফা)। অথার্ৎ ”সব খামু” আওয়ামী লীগের মৌলিক বৈশিষ্ট্য।





মূল প্রসঙ্গে আসি,

১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পযর্ন্ত নিয়মতান্ত্রিক নয়, গণমানুষের নয়, মাটি থেকে উঠে আসা দল নয়, ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া, প্রাসাদ রাজনীতির ফসল, জিয়ার উদগ্র ক্ষমতালিপ্সা, কুটিল জটিল রহস্যময় রাজনীতির চালে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্রোতে দেশের রওয়ানা হওয়া, এই দেশই যারা চায়নি তাদের দেশ পরিচালনায় আনার পরিহাস দিয়ে বিএনপিকে মোটামুটি কিতাবি রাজনৈতিক শুদ্ধ দল নয় বলে বুদ্ধিজীবিরা নির্ধারণ করে ফেলেছিল। একবাক্যে নামকরণ করা হোত, অগণতান্ত্রিক প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল।



এ লেখার প্রসঙ্গে আমরাও ধরে নিলাম তাঁদের দল পরিচয় সঠিক। (পরবর্তীতে এই দলটি কিভাবে এরশাদের শাসন আমলে পুড়ে পুড়ে খাঁটি হোল সে গল্প পাঠক স্মরণে রাখুন তবে এই আলোচনায় দরকার নেই।)



এলো এরশাদ আমল; দেশের সত্যিকারের দূর্গতি শুরু হোল। দূনীর্তি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দাড়িয়ে গেল। চরিত্রের স্নিগ্ধতা বলে রাজনীতিকদের কিছু রইলো না। নৈতিকতা চুলায় গেল। (ভাবছেন শুধু এরশাদ কাকুর কথা বলছি, না জনাব, তাঁর পার্টির মিজানুর রহমান চৌধুরীর কথা মনে করুন, মওদুদের কথা মনে করুন(ইনি নিজেই একটা কিংবদন্তী, ইনষ্টিটিউট), মোশাররফ হোসেন, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, বিচারপতি আহসান উল্লাহ্, আরও আরও কত শত চরিত্রহীন নাম সৃষ্টি হয়েছে।

অতো বয়ানে না গিয়ে বলতে পারি, তাঁর নয় বছরের শাসন আমল ১৯৮২-১৯৯০ মোটামুটি নির্ধারিত হয়েছে, ”স্বৈরশাসন”।



আমাদের একটা অবজারবেশন হোল এখানে, যদি স্বৈরাচারিই হলো তবে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার অব্যাহতি পরেই নির্বাচনে কিভাবে ৩০টি আসন পায়?? (৩০ না ৫০ না ৭০ আসন এইমূহুর্তে মনে আসছে না, ক্ষমা করবেন।) এর ব্যাখ্যাটা এমন হতে পারে যে, এ দেশে গনতন্ত্র কখনোই ছিল না। Here is democracy of quantity rather than democracy of quality অর্থাৎ ভেড়ার পালের গনতন্ত্র, এক ভেড়া যে দিকে যায় অন্য ভেড়া বিন্দু মাত্র মগজ না খাটিঁয়ে সেই দিকেই যায়, প্রাজ্ঞতার গনতন্ত্র নয়। মাঝে মাঝে এ দেশের ভোটারদের আমাদের ভেড়ার পালই মনে হয়। (মাফ করবেন।)



রইল বাকি এক। ৬৪ বৎসরের সংগ্রামের ফসল নাকি এই দল। তাঁেদর দাবী শুনে উপরোক্ত ভেড়ার দলও হাসে। হত্যা, জুলুম, নির্যাতন, কারাভোগ, সব অর্জন শূন্যে মিলিয়ে গেছে এবারের নির্বাচনে। ৭৩এর মতো গায়েঁর জোরে নির্বাচিত হওয়া, ৭৩এর উৎপাদনহীন হাজারে হাজারে নব্য পূজিঁপতির মতো ক্ষমতার আলাদিনের চেরাগ দিয়ে ৩৮৪৫২% (!!!) পর্যন্ত ধন সম্পদ অর্জন, এক আবুলকে বাচাঁতে গিয়ে পদ্মা পাড়ের ৪ কোটি মানুষের কপালে জুতার বাড়ি মারা, ভীমরতিতে ধরা পাগল এক অর্থব বাক্যবাগীশ বৃদ্ধকে অর্থমন্ত্রীর মতো পদ কলংকিত করা, আরেক আধাপাগল হঠাৎ ধনশালী বৃদ্ধকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে পেচ্ছাব করতে দেয়া, নিজের মনগড়া সংবিধানের ব্যাখ্যা দিয়ে এক বেতমিজ মহিলাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ বিষ্ঠাময় করে সম্প্রতি ৬৪ বৎসরের (নাকি ৬৫) দলকে গনতান্ত্রিক স্বৈরাচার দলে পরিনত করে আগের বলা দুটি দলের কাতারে বিবেচনা করতে অনাগত নাগরিককে কোনো বেগ পেতে হবে না।





সারাংশঃ ১। অগণতান্ত্রিক প্রতিক্রিয়াশীল বিএনপি

২। স্বৈরাচার জাতীয় পার্টি

৩। গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ

সকলেই সমজাতীয়, (homogeneous)

অতএব সব পাঠা হোলো, সব এক কাতারে এলো, ইতিহাসের অমোঘ করাঘাতে অনায়াসে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হোল।



এবার জমবে খেলা। আমরা ভেড়ার পাল এবার বেছে নিতে পারবো বিকৃত গণতান্ত্রিক (perverted) দলগুলো থেকে একটি বিকৃত গণতান্ত্রিক দল।

মাভৈ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

রাকিবুল হাসান ২০১০ বলেছেন: এবার জমবে খেলা। আমরা ভেড়ার পাল এবার বেছে নিতে পারবো বিকৃত গণতান্ত্রিক (perverted) দলগুলো থেকে একটি বিকৃত গণতান্ত্রিক দল। :-P

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

গ্রাম্যবালক বলেছেন: বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি গুলো গেল কোথায়?? এই নির্বাচন ও গনপরিত্যাক্ত সরকার কি আগামী সময় গুলোতে দেশ চালাবে??

নাকি তারা সরকারকে এ ব্যপারে কোণ সঠিক দিক নির্দেশনা দিবে??

অথবা সেনাবাহিনী কি জাতির সাথে হাসিনা সরকারের এই বেইমানী নিরবে সহ্য করবে??

কিছুই স্পস্ট নয়।।

দেশের ভবিষ্যৎ ক্রমেই অনিশ্চইয়তার দিকে ধাবিত হইতেছে।।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০০

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
দেখা যাক কি হয়। মনে রাখি, বাংগালী বড় অসহিষ্ঞু জাতি।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: এ প্রহসন শেষ হবে, এ রাত ভোর হবে-আমরা ঘুচাবো মা তোর কালিমা, মানুষ আমরা নহিতো মেষ.....।

আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। আমার ধারণা সেই পরিবর্তন আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে। তবে এই ৫ বছর আমাদের জন্য বেঁচে থাকাটাই বড় চ্যালেন্জ!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০২

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।

অবশ্যই "মানুষ আমরা নহিতো মেষ... "

অতি অবশ্যই আশাবাদী হতে হবে।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৭

মেনন আহমেদ বলেছেন: হরিপদ কেরাণী বলেছেন: আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। আমার ধারণা সেই পরিবর্তন আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে। তবে এই ৫ বছর আমাদের জন্য বেঁচে থাকাটাই বড় চ্যালেন্জ!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০৪

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।

আরো নীচে নামার রাস্তাও নেই।

এই পড়ে পড়ে মার খাওয়া থেকে কত আর খারাপ হবে ??

তাই ভালোটাই আশা করতে হবে।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভেড়ার পালের গনতন্ত্র, এক ভেড়া যে দিকে যায় অন্য ভেড়া বিন্দু মাত্র মগজ না খাটিঁয়ে সেই দিকেই যায়, প্রাজ্ঞতার গনতন্ত্র নয়। মাঝে মাঝে এ দেশের ভোটারদের আমাদের ভেড়ার পালই মনে হয়। (মাফ করবেন।
+++++++++++++++++++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১০

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ধন্যবাদ।

এছাড়া কি বলবো ভাই।

তবে মাঝে মাঝে পুড়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ক্ষোভে বলা যায়, "আপনারটা খাই না, আমি আমার স্বামীরটা খাই", "আমাদের রেহাই দিন এই অরাজকতা থেকে।"- ঐ রকম সাহসী প্রভা রানী এই বাংলায় অগুনতি আছে বলে আশা জেগে থাকে। (ঐ সাহসী জননী / বোনটির নাম ভুলে গেছি, ক্ষমা করবেন।)

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩০

রাফা বলেছেন: বাপরে বিষাল একজন গবেষক পাওয়া গেলো।

এই যে দেশটা-আর এই যে আজকে ভার্চুয়াল জগত চষে অখাদ্য কুখাদ্য লিখছেন ।সব ঐ ৬৪ বছরের একটি পুরোনো দলের অবদান।
ক্বতদাশের জিবনই আসলে আপনাদের বাপ দাদাদের জন্য ঠিক ছিলো।
যেই সিস্টেমকে আতুর ঘরেই হত্যা করা হয়েছে তাকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই।
একটা প্রবাদ বাক্য আছে বাঙ্গালে পাইছে রাজধানি কাহাইলরে বানাইছে পিকদানি।আপনাদের মত লোকদের জন্য শতভাগ প্রযোজ্য।
কোন কিছু বিষর্জন দিতে হয় নাই যাদের তাদের মুখ দিয়ে অহরহ এমন দুর্গন্ধযুক্ত বাক্য প্রসব হবে এটাই স্বাভাবিক।
সবকিছু গড় নির্ণয়.....

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: বিনয়ের সাথে আপনার সমালোচনা গ্রহণ করছি।

ধন্যবাদ।

আমি ৫০+ বয়সে।

কৃত দাস বলছেন্। স্বাধীনতার আগে আপনাদের মতো লোকদের চাবুক মেরে কাজ করাতাম। অর্থাৎ কৃত দাসের মালিক।

ছিলাম ৭ ভাই। বড় ভাই ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে ছিলেন। মার্চে নয়, এপ্রিলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বিহারী সোলজারদের সংগে সাহসিকতার সাথে লড়ে শহীদ হয়েছেন। তাঁর লাশও খুজেঁ পাইনি।
রাষ্ট্রিয় সুযোগ সুবিধা নেইনি। শুধু ১/১১ এর সময় সোহ্ রাওয়াদী উদ্যানে স্থাপিত স্বাধীনতা স্তম্ভে তাঁর নামটি আর্কীণ আছে প্রথমেই, যারা ঢাকা শহরে লড়াই করে শহীদ হয়েছেন। রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি বলতে এটুকুই।
বাবা প্রিয় পুত্রের শোঁকে কাদঁতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গেলেন। উনিই আমাদের এতোবড় সংসারে প্রধান অবলম্বন ছিলেন।
একাত্তরের ৯ মাস আমার ৬নং কিশোর ভাই সংসার চালানোর জন্য রাস্তায় রাস্তায় দিয়াশলাই বিক্রি করে মা'র সংসারে অন্ন যোগান দিতো।

মেজ ভাই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। কর্ণেল হায়দারের অধীনে যুদ্ধ করেছেন খোদ ঢাকা শহরে গেরিলা হিসেবে। মাত্রই এম পি হলেন, পুরোন ঢাকার হাজী মোঃ সেলিম তাঁর অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী। প্রসঙ্গতঃ হাজী মোঃ সেলিমের বাবা ছিলেন হাজী চাঁন মিয়া, প্রখ্যাত রাজাকার।

সেজ ভাইকে এলাকার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, হেকিম ইমতিয়াজুর রহমান বেপক মারধর করে ঢাকা জেলে অন্তরীন রাখেন। ১৬ই ডিসেম্বর জেল ভেঙ্গে কয়েদিরা বের হয়ে এলো। ভাই জেলের গরাদের রড নিয়ে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানকে ধাওয়া করেছিল।

৫ম ভাই ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, ঢাকা শহরের চলমান খবর, তথ্য নিয়মিত কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত গেরিলা ঘাটিঁতে পৌছাঁতেন।

যে সিস্টেমটা আতুর ঘরে হত্যা করলেন তা তৈরীতে জেদ ধরেছিল কে ??

চেতনার দিক দিয়ে আপনার থেকে বেশী দগ্ধ একুটু বলতে পারি।

আমাদের ভাইদের হারিয়ে আমাদের পরিবার সেই যে থুবড়ে পড়লো আজও অব্দি আমরা দাড়াতে পারিনি। আমার বিশ্বাস অন্ততঃ আপনার মতো লোকের চেয়ে আমার পরিবার বেশী বির্সজন দিয়েছে।

আর ভার্চুয়াল জগত বলছেন, সকলের দোয়ায় ভার্চুয়াল জগতের আগেও অন্য মাধ্যমে লিখেছি। এখনও সময় পেলে লিখি। থাকি সবসময় সর্বাধুনিকতার সাথে।

এমন কি বর্তমান এম পি'র ছোট ভাই ঘুম থেকে উঠিয়ে রিভলবার ঠেকিয়ে শাসিঁয়ে যায় আর যেন এলাকার ব্যাপারে না লিখি দেয়ালে, পত্রিকায়, অন্য কোনো মাধ্যমে। আরও শুনবেন ??

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

আম-জনতা বলেছেন: @ অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট

আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম। এমনি হাজারো নাম না জানা 'ভাঙ্গা কুলা' র ভিতের উপর দাড়িয়ে বাংলাদেশ......।।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: thank you

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.