নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট

পৃথু ঘোষ চেয়েছিল বড় বাঘের মতো বাঁচতে

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট

ছিল্লা কাইট্টা লবণ লাগাইয়া দিমু। My fundamental rights to oppose.

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

Interpretation : Between the lines

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৩

গতকাল একটা লেখা দেখলাম। শিবিরের। এদের নিয়ে কথা বলাই বিশুদ্ধ অপচয়। আবার না বলেও থাকা যায় না।



অফ টপিক : বাবা মাত্র অবসরে গেল। বড় ভাই সংসারের হাল ধরেছেন। এসময় যুদ্ধ। ভাইয়ের লাশও পাইনি। বড় ইচ্ছা ছিল প্যারেড গ্রাউন্ডে যাওয়ার। ভাইয়ের সৃত্মিতেও যাওয়া উচিৎ ছিল। কালির ছোপ দেখলাম উদ্যোগে। মন টানলো না।



শুধু উদ্দেশ্য মহৎ থাকলেই হয় না। উদ্দেশ্য অর্জনের পথও মহৎ হতে হয়। - মহাত্মা গান্ধী।



যাই হোক মূল কথায় আসি। শিবির বক্তব্য দিয়েছে। এর ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। ওদের ম্যাসেজ বুঝতে হবে।



‘অনামিক রেজার ব্লগ থেকে -



“দশলাখ লোকরে সমাগম ঘটযি়ে জাতীয় সংগীতরে বশ্বিরর্কেড করা যতে বলে দাবী করছেে জামায়াতরে ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশবিরিরে কন্দ্রেীয় প্রচার সক্রেটোরী আবু সালহে ইয়াহইয়া।“





১। অর্থাৎ তারা প্রতিপক্ষ। যারা আরো ভালো ভাবে কামটা করতে পারতো। এটা একটা ডিক্লারেশন। “আমরা এই দলের নই। যারা চেতনা নিয়ে চেষ্টা করে। চেতনা নিয়ে চেষ্টা করা অনুচিত“ (নাকি বিদ‘আত কমু একটু জোস আনার জন্য ?)



“তনিি আজ দুপুরে তার ফসেবুক স্ট্যাটাসরে মাধ্যমে এই দাবী করনে। রাষ্ট্রীয় কোষাগাররে ৯০ কোটি টাকা খরচ করে যে রর্কেড র্অজন করছেে ছাত্রশবিরিকে দায়ত্বি দলিে বনিা পয়সায় ১০ লাখ লোকরে সমাগম ঘটযি়ে এ রর্কেড গড়া সম্ভব হতো বলওে তনিি তার ফসেবুক স্ট্যাটাসে দাবী করনে। আগামী ডসিম্বেরে ছাত্রশবিরিকে একবাররে জন্য এ দায়ত্বি দযি়ে দখোর জন্যও তনিি তার স্ট্যাটাসে উল্লখে করনে।“





১। চুক বোধাই। মব মবিলাইজেশন বোঝো? মব মবিলাইজেশন বা মাস মবিলাইজেশনে কি পরিমাণ ফান্ড মবিলাইজেশন হয় ধারণা আছে চুকুম বোধাই??



তার বাবাদেরই ধারণা নাই। মনে আছে ৯৬এ নির্বাচনী প্রচারণা বিটিভিতে হয়েছিল। কয়েকটি দলকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল প্রচারণার জন্য।

জামা-তে ইসলামী (খিয়াল কইরা) আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী নিজ দলের পক্ষে ছিল আলোচনায়। সিনিয়র সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছিল। নিজামীকে ছিল্লা কাইট্টা লবন লাগাইয়া দিছিলো।

প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনার দল (জামা-তে ইসলামী) সুদের ধারণায় ধর্মীয় অনুশাসনে চলতে চান। তা হলে খোদা না খাস্তা ক্ষমতায় আসলে বিদেশের সাথে এল/সি, রেমিট্যান্স, যে কোনো রকম বর্হিবাণিজ্য ইত্যাদি যা নাছারারা ব্যাংকের মাধ্যমে সুদ ছাড়া পরিচালনা করে না, তাদের সঙ্গে বর্হিবাণিজ্য কিভাবে করবেন ??“

মাওলানা নিজামী থতোমতো খেয়ে আমতা আমতা করে যুতসই উত্তর দিতে না পেরে তোতলাচ্ছিল।

বিটলা সাংবাদিক মাহ্ফুজ আমান মজা করে বলেছিলেন, “জ্বি জ্বি জনাব বুঝেছি, হেঁ হেঁ“;



অবশ্য শিবিররে তো কখনো ফান্ড নিয়া ভাবতে হয় না। ওদের আছে ফ্রানকেনষ্টাইন ইসলামী ব্যাংক যার বিদেশি প্যারেন্ট কনসার্ণ নাছারা।



আছে ইবনে সিনা হাতপাতাল ও ফার্মাসিউটিক্যালস নামে আরেক ফ্রানকেনষ্টাইন। (তাদের ইতিহাস জ্ঞান কতো কম, ইবনে সিনা ছিলো নাস্তিক, নরম করে বলা যায় স্যেকূলার।)



তাদের ফান্ড যোগাড় হয় তাদের গড়া অগুনতি ফ্রানকেনষ্টাইনদের অদৃশ্য হাত দ্বারা। বাজী ধরুণ দেখাতে পারি, এ রকম ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা আছে আমার কাছে। তাদের একটিতে কামলা খাটটাম। পেশা সূত্রে আমার হাত দিয়েই নিয়মিত মাসোহারা যেতো গরীব ছাত্র যারা ঢাকায় টিকে থাকতে শিবির করতো তাদের কাছে।



বাল আর বাং নাথিং পার্টি গণ হারে চাঁদা বাজী করে কোনো উদযাপনের জন্য, তারা ফ্রানকেনষ্টাইন তৈরী করলেও তাদের তৈরী ফ্রানকেনষ্টাইন ডেডিকেটেড না।



অতএব কথা তো সত্যি তাদের চাদাঁ বাজী বা নতুন করে বেবসা (ব্যবসা) করতে প্রয়োজন হয় না। একা রামই যথেষ্ট। (আমারে ধন্যবাদ দ্যান, ক্যামনে রহিম আর রামরে এক কাতারে ফেইলা দিলাম! দুটার প্রবণতা একই।)





“নীচে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-



দুই লাখ ৫৪ হাজার ছয়শত ৮১ জন মলিে জাতীয় সঙ্গীত গঁেয়ে বশ্বিরর্কেড গড়লো বাংলাদশে। ষোলকোটি মানুষরে মধ্যে এ সংখ্যা নতিান্তই কম। যে কোন দশে খুব সহজইে ভঙেে দতিে পারে এ রর্কেড। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা আর রাষ্ট্রীয় কোষাগাররে ৯০ কোটি টাকা খরচ করে বাংলাদশে র্অজন করলো এ কৃতত্বি।“ যদি ছাত্রশবিরিকে এ আয়োজনরে দায়ত্বি দযে়া হতো আর সময় দযে়া হতো মাত্র তনি দনি, তাহলে কমপক্ষে দশ লক্ষ লোকরে সমাগম ঘটযি়ে বশিাল রর্কেড গড়া সম্ভব হতো। আর খরচ..? রাষ্ট্ররে এক টাকাও খরচ না করে একমাত্র শবিরিরে পক্ষইে এমন কাজ করা সম্ভব।“বশ্বিাস না হলে আগামী ষোল ডসিম্বেরে দায়ত্বিটা একবার দযি়ইে দখেনে না, কমেনে কি হয়ৃৃ?”





২। শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা ??



৩। আরো তারা ঘোষণা করছে যে, যে কোনো কম্যূনিটির চেয়ে তারা বেশি অর্গানাইজড্ । অনুসঙ্গ হিসাবে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজড্ ক্রিমিনাল মাফিয়া, কøু ক্লাক্স ক্লান, বাদের মেইনহফ, কোচানোস্ত্রা এশিয়া, দাউদ ইব্রাহিমের নাম ক্যান মনে আইতাছে ??

তাদের নিষিদ্ধ করতে আর কোনো এ্যালিবাই লাগে??





শুধু উদ্দেশ্য মহৎ থাকলেই হয় না। উদ্দেশ্য অর্জনের পথও মহৎ হতে হয়। - মহাত্মা গান্ধী।

যেনতেন ভাবে ফান্ড যোগাড় করতে যেয়ে মহৎ উদ্যোগে কালির ফোটাঁ পড়লো। জামাতীদেরও দমানো সহজ নয়, স্যালাইনের ভিত্তর দিয়া হাইন্ডা পড়লো।



৪। বহু আগে ধার্মিক লিও তলস্তয়- এর একটা গল্প পড়েছিলাম। হুবহু মনে নেই। শুধু ভাবটা মনে আছে। সম্ভবত নবী ইব্রাহিম (তলস্তয় বাইবেল থেকে উদৃতি দিচ্ছেন, “অবিশ্বাসীদের অত্যাচারে পরিত্রাণ পেতে দাঊদ ঈশ্বরের কাছে আর্জি জানাচ্ছে, “ঈশ্বর, ওদের অভিশপ্ত করো, অভিশপ্ত করো, অভিশপ্ত করো। কিন্তু যতবারই অভিশপ্ত উচ্চারণ করছেন, ততবারই অভিশপ্ত শব্দটি অবলীলায় পাল্টে গিয়ে ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো শব্দাবলী নবীর কর্ণকে চমকিয়ে দিয়ে কন্ঠনালী দিয়ে বের হয়ে আসছে“ ;





১০ লক্ষ শিবির (আমার বিশ্বাস শিবির আছে কোটি) যতই আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি গাইতে যাইবো, ততবারই অবলীলায় কন্ঠে উঠবে “পাক সার জমিন বাদ“।



যার মনে যা, ফালডা উঠে তা।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.