নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট

পৃথু ঘোষ চেয়েছিল বড় বাঘের মতো বাঁচতে

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট

ছিল্লা কাইট্টা লবণ লাগাইয়া দিমু। My fundamental rights to oppose.

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডায়ালগের আত্মকথা :

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

ডায়ালগের আত্মকথা : “আমার প্রিয় বুলি“



শেখ হাসিনা : “মুক্তিযুদ্ধের চ্যাতনা“ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।



বাংলার মানুষের ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।



প্রয়োজনে আমার বুকের রক্ত দিয়ে হলেও আমি সংগ্রাম করে যাবো।





সবই ঠিক আছে কিন্তু কথা হইলো গিয়া, গত ৪৩ বছরেও খোঁজ পাইলাম না শেখ গোষ্ঠীতে কেউ সরাসরি মুক্তি যুদ্ধে ক্ষতি গ্রস্থ বা আহত বা শহীদ হইছে।

বঙ্গবন্ধু আমাদের মননে ছিলেন। যুদ্ধ আমরা তাঁর নাম নিয়ে করেছি, মানসিক ভাবে তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। শারিরীক ভাবে যুদ্ধে তাঁর থাকা হয়নি।



তিঁিন গ্রেফতার হলেন কেন ?? ভেবেছিলেন তাঁকে গ্রেফতার হলে দুটা লাশ কম পড়বে ?? ২৪ বছর ধরে পাকিস্তানি জান্তার সাথে ঘর করে তাদের এই চিনেছিলেন ?? আবেগপ্রবণ ছিলেন, ছিলেন বোকচোক।



শেষ বিচারে তবুও তিনি আমাদের বাংগালী রাষ্ট্রের স্থপতি। এই দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে লড়াই করে স্বাধীনতা পাওয়া একমাত্র দেশ।



একই ধরণের স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যান্য দেশের নেতাদের যুদ্ধ আসন্ন সময়ে মুভমেন্ট আর তাঁর মুভমেন্ট দেখে তাঁকে নিতান্ত মানের নবিশ মনে হয়।



লেনিন ক্যামোফ্লেজের প্রয়োজনে ঝঞ্জাবিক্ষুদ্ধ সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশের (রাশিয়া) কোণা কাঞ্চি দুর্গম অঞ্চলে না গিয়ে (যেই সাইবেরিয়া থেকে খুঁেজ পাওয়া অসম্ভব) লুকিয়ে ছিলেন পাশের ছোট্ট দেশ পোল্যান্ডে। সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়ার সুবিধার্থে।





মাও যে ডং জনতার মাঝে এমন পরিবেষ্টিত ছিলেন কোন শাসকের বাপের সাধ্য ছিলো না তাঁকে বিযুক্ত করে, গ্রেফতার তো দূরের কথা।





ফিদেল কাষ্ট্রো জঙ্গল থেকে গেরিলা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছেন, ধরা দেননি।



চে‘ বেচারা একই কৌশলে এগোচ্ছিলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় টাকার লোভে আকাম করে ফেলে। টাকা দিয়েছিল সি আই এ।



আর গান্ধী (আবার বলে মহাত্মা !) শাসকদের সঙ্গে উঠ বস কইরা চাইয়া মাইঙ্গা স্বাধীনতা নিছে। বুর্জোয়া চরিত্র তো, টেবিল বাজী, প্রাসাদ বাজী কইরা আরাম পাইতো।



জিন্নাহ্ তো পলিটিশিয়ান ছিলো না, পেশাজীবি, ধুরন্ধর, বুর্জোয়া তো বটেই। সে ও ঐ চাইয়া মাইঙ্গার লাইনে গেছে।





তাইলে কি বঙ্গবন্ধু গান্ধী জিন্নাহ্ ষ্টাইল ফলো করতো চাইছিলেন ?? তৎকালীন বাংগালী আন্দোলনের সাথে ঐ ষ্টাইল যায়?? বুর্জোয়া উপাদান এই অঞ্চলে বিন্দু মাত্রও ছিলো ?? কারে উনি বিশ্বাস করছিলেন ৭১-এ ??



আবেগ দিয়া ভাষণ দেওন যায় প্রজ্ঞা দিয়া আন্দোলন পাকাঁনো যায়।



আবেগ লইয়া ৩২এ বইয়া রইলেন পাকিদের সমস্ত মুভমেন্ট মিনিটে আপডেট জাইনাও তারে বোকচোদ কমু না তো কি কমু ?? এই যে “ধরা দিয়া“ শত বৎসরের অপ্রয়োজনীয় একটা বির্তকের সৃষ্ট্রি কইরা আমার নেতা মইরা গেলো এখন এইটার চুড়ান্ত মূল্যায়নে তাঁর পতনের ম্লাণ পটভুমির মতো তাঁর উত্থাণের পটভুমিও ম্লাণ হইয়া যায়।



মাঝখানের ৩৬ বছরের কষ্টকর, ত্যাগী রাজনীতি আজকের আলোকে ধুম্রজাল সৃষ্ট্রি করে।



কে না তাঁকে সইরা পড়তে বলছিলেন ? যেই তাঁর লগে দেখা করতে আইতো তারেই কইতো সামনে বিপদ, সময় মতো কাইটা পড়িস। নিজের করণীয় সমন্ধে খবর নাই।

দর্শণার্থী সহকর্মীরা, ড: কামাল, তাজুদ্দিন আহ্ মেদ, ক্যাপ্টেন মনসূর আলী, নজরুল ইসলাম প্রভৃত নেতারা অর্হনিশ আড়ালে যাওয়ার তাগাদা দিতেন।



মণি সিংহ, অধ্যাপক মোজাফফ্র, তোহায়া (এই লাইনের চোদনারা আবর পালানো, লুকানো, গায়েব লাইনের মাষ্টর) ব্যড়া ব্যড়া ডেরার সন্ধান দিছে, আমার নেতা গেল না, আবেগ দিয়া বোকচোদ বিচার বুদ্ধি দিয়া আমগো শতবৎসরের বির্তকের তলে ফালাইয়া গ্যালো।



মায় বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পর্যন্ত তাগো ষ্টাইলে কইতো, “যেই শরমাইলো সেই মড়িলো“, “য পলান্তি স জীবন্তী”, “৪ পা আগে বাড়তে অইলে ২ পা পিছাইতে অইবো“, “যে পলাইলো সেই বাঁিচলো, আরেকবার মুখামুখি হওয়ার সুযোগ পাইলো“ ইত্যাদি ইত্যাদি। (এই পরামর্শকের দলে ছিলেন অধ্যাপক আ: রাজ্জাক, অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ, অধ্যাপক আহ্ মেদ শরীফ আরো আরো অগণিত শুভাকাঙ্খি)। কে শোনে কার কথা ??



চলবে .. .. .. ..



(অপ্রমিত বানাণ ইচ্ছাকৃত)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ স্টাইলে দুর্দান্ত লেখা। মুজিব সম্পর্কে কথাগুলো বিপদজনক মনে হচ্ছেনা?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ঢাকাবাসী আমি খুব নীরিহ মানুষ। তবে ঢাকার ভাষা মরে যাচ্ছে। একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ঢাকার রাফ এন্ড টাফ টোনে বলার চর্চা।
ঢাকাইয়া ভাষার মূল জোর হোল কঠিন সরল সব বিষয়ই আদি রসাত্মক রসে ভিজিয়ে পরিবেশন করা।
মজার ব্যাপার হোল, অভিজাত সব ভাষায়ই আদি রসাত্মক উপমা সাবলীল।
এমন কি সংস্কৃত ভাষার মতো কঠিন ভাষাও (অভিজাত তো বটেই) আদি রসাত্মক উপমায় জর্জড়িত।
এটা যারা বুঝবে তারা নিশ্চিত জানবে, আমি বিপদজনক নই।
এটা শ্রেফ এই ভাষার রীতি।
ঢাকাইয়ারা ছেলেকে " .... পোলা দিয়ে সম্ভোধন শুরু করে।
বাপেকে ছেলে "অর মায়েরে ... দিয়া প্রারম্ভিকা সূচনা করে।
ওদের কানে কিন্তু ঐ টোন অতি অতি স্বাভাবিক।

লক্ষ্য করেছি আমার লেখার একনিষ্ঠ পাঠক আপনি। আমার সৌভাগ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.