নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নকে পাথেয় ভাবি।

অলওয়েজ ড্রিম

"Only He Who Can See The Invisible Can Do The Impossible" Frank Gain আমার ইমেইল ঠিকানাঃ [email protected]

অলওয়েজ ড্রিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছন্দের ক্লাস: যারা কবিতার ছন্দ শিখতে চান তাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য -১

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

আমার এই ছন্দের ক্লাসে আমি তাদেরকে শিক্ষার্থী হিসাবে আশা করি যারা কবিতার ছন্দ শিখতে চান। আর পাঠকহিসাবে তাদেরকেও আশা করি যারা ইতিমধ্যেই কবিতার ছন্দ ভাল ভাবেই জানেন। অভিজ্ঞরা এই ব্লগে এলে আমার এগোতে সুবিধা হবে। তারা আমাকে পরামর্শ দিয়ে আশা করি অবশ্যই উৎসাহিত করবেন।

বিভিন্ন সময়ে সামুতে অনেক কবিতা প্রকাশিত হয়। দুঃখের বিষয় তার বেশির ভাগই ভুল ছন্দে লেখা। আমি যারপরনাই অবাক হয়ে যাই যখন দেখি সেগুলির মধ্যে অনেকগুলিই আবার নির্বাচিত পাতায় স্থানও পায়। তখন বুঝতে পারি মডারেটররাও ছন্দে কাঁচা।

সুতরাং অনেক দিন থেকেই এই পোস্টটি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। তৈরি করতে একটু সময় লাগল।

আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলছি, কবিতার ছন্দ পৃথিবীর সহজতম বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ। মাত্র তিন/চারটি ক্লাসেই আশা করি আপনারা ছন্দ বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন। আমি ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনি পুলকিত হয়ে উঠছি যে এবার সামুতে আর প্রবোধ চন্দ্র সেনের অভাব বোধ করব না।

পুরো আলোচনাতেই আমি খুব গভীরে যাব না। আমার একমাত্র উদ্দেশ্য কত সহজে এবং সংক্ষেপে বাংলা ছন্দ সম্পর্কে অজ্ঞদেরকে ধারণা দেয়া যায় যাতে আমাদের সামু ছন্দনির্ভুল কবিতায় ভরে ওঠে। যারা মুক্তছন্দে লিখতে চান তারা যেন অবশ্যই জেনে-শুনে-বুঝে ছন্দের প্রাচীর ভেঙ্গে মুক্ত পরিবেশে এগোতে পারেন সেটাও আমার একটি উদ্দেশ্য।

ছন্দ কি তবে কোনো বাধা? না বন্ধুরা ছন্দ বাধা নয় বন্ধন। সম্পর্কের বন্ধন। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি ছন্দ আমাদের কবিতা লিখার পথে বাধা বা অন্তরায় নয়; একটা মধুর বন্ধন। ধরা যাক সেটা বন্ধুত্বের বন্ধন। সাধারণত বন্ধুত্বের বন্ধন আপনি তৈরি করবেন কি করবেন না, কার সাথে করবেন, কখন, কোথায় করবেন এবং কতটা গভীরভাবে করবেন সে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে আপনি যেমন স্বাধীন ঠিক তেমনি প্রত্যেক কবিও স্বাধীন তিনি তার কবিতায় ছন্দের বন্ধন মানবেন নাকি মানবেন না; মানলে কতটুকু মানবেন, কিভাবে মানবেন।

আপনি একজন কবি, সৃষ্টিশীল মানুষ।আপনার সৃষ্টির প্রয়োজনে আপনি ইচ্ছা করলে প্রতিটি কবিতাতেই ছন্দকে অস্বীকার করতে পারেন। অর্থাৎ প্রতিটি কবিতাই ছন্দহীন লিখতে পারেন। যেমনটি করেছিলেন সমর সেন। আবার এর উল্টোটাও করতে পারেন। কিংবা চলতে পারেন দুটি পথেই, যখন যে পথ আপনাকে ডাকে বা টানে।



যা হোক উপক্রমনিকা আর লম্বা করতে চাচ্ছি না।

দেখতে পাচ্ছি আমার কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা উসখুস করতে শুরু করেছেন। শুরুতেই কয়েকটি শব্দের অর্থ আপনাদেরকে জানতে হবেঃ-

১) দল: পাঁপড়ি, খণ্ড। Syllable, বাকযন্ত্রের এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনিখণ্ড। অর্থাৎ একটি শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে এক বারের চেষ্টায় যতটুকু আমরা উচ্চারণ করতে পারি।

শিক্ষার্থীরাঃ শিক্ + খার্ + থী + রা শব্দটিতে মোট চারটি দল। —

দল মোট দুই রকমের যথা –

ক। মুক্তদলঃ থী + রা

খ। রুদ্ধদলঃ শিক্ + খার্

উচ্চারণ ভেদেও দুটি রূপ, যথা –

ক। হ্রস্বদল (short syllable): মুক্ত বা রুদ্ধ দু’প্রকার দলই হ্রস্ব বা অপ্রসারিত বা সংকুচিত রূপে উচ্চারিত হতে পারে। অর্থাৎ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।

খ। দীর্ঘদল(long syllable): সাধারণত রুদ্ধদল, যা প্রসারিত রূপে উচ্চারিত হয়।

২) কলাঃ একটি হ্রস্বদলের (মুক্ত/রুদ্ধ) সম পরিমাণ ধ্বনি = এক কলা। একটি দীর্ঘদল = দুই কলা ।

৩) মাত্রা(unit of measure): যে কোনো বস্তু পরিমাপের আদর্শ মান। এখানে ছন্দ মাপের আদর্শ মান বা একক।

৪) পর্বঃ পর্যায়, অংশ



আরেকটা জিনিস যেটা স্পষ্টভাবে সকলের জেনে রাখা উচিত সেটা হচ্ছে অন্তমিল কোনো ছন্দ নয়; ছন্দের উপাদানও নয়। কবিতায় অন্তমিল দেখলেই আমরা অনেকেই মনেকরে বসি এটা বুঝি ছন্দে লেখা কবিতা। না এ ধারণা অজ্ঞতারই পরিচায়ক। সামনের আলোচনায় ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেব, আমার ক্লাসে যারা হাজির আছেন এতটুকু মনে রাখেন যে অন্তমিল ছন্দ নয়।



বাংলা কবিতার ছন্দ মোট তিন প্রকার।

১) দলবৃত্ত বা স্বরবৃত্ত ছন্দ ২) কলাবৃত্ত বা মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ৩) মিশ্রকলাবৃত্ত সংক্ষেপে মিশ্রবৃত্ত ছন্দ।

১) দলবৃত্ত ছন্দঃ আমি এটাকে ভাবি বা দেখি সবচেয়ে সহজ ছন্দ হিসাবে। এবং বলি দলবৃত্ত হচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দ। আমাদের স্বভাবের সাথে এই ছন্দটা মিশে আছে। তাই ছন্দ সম্পর্কে কিছু না জেনেই প্রায় সবাই এই ছন্দে দু’চারটি কবিতা প্রায় নির্ভুলভাবে লিখে ফেলেছি। যেহেতু এই ছন্দের চলন-বলন, ঠমক-ঠামকের সাথে আমরা পরিচিত সেহেতু আমি এনাকে দিয়েই শুরু করলাম।

দলবৃত্ত রীতিতে মুক্ত বা রুদ্ধ উভয় দলই সাধারণত এক মাত্রা। অর্থাৎ হ্রস্বদল।

সাধারণত – সা+ধা+র+ণ+ত = ১+১+১+১+১ = ৫ মাত্রা,

উজ্জীবন – উজ্+জী+বন্ = ১+১+১ = ৩ মাত্রা

ঝটপট – ঝট্+পট্ = ১+১ = ২ মাত্রা

উদ্ভট – উদ্+ভট্ = ১+১ = ২ মাত্রা

উজ্জয়িনী – উজ্+জ+য়ি+নী = ১+১+১+১ = ৪ মাত্রা

এবার দলবৃত্ত ছন্দে লেখা কিছু কাব্য উদাহরণ তাহলেই আশা করি পরিষ্কার হয়ে যাবে এই ছন্দের প্রকৃতি।

১)

তুমি মানে আশার প্রদীপ তুমি মানে বাতি

তুমি মানে দিন যাপনের মিষ্টি চড়ুইভাতি।

পর্ব ভেঙে ভেঙে দেখালে –

তুমি মানে/ আশার প্রদীপ/ তুমি মানে/ বাতি ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

তুমি মানে/ দিন যাপনের/ মিষ্টি চড়ুই/ভাতি। ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা



প্রতি পঙক্তির ভাগ করা এক-এক অংশে (এই অংশেরই অন্য নাম পর্ব)চারটি করে মাত্রা রয়েছে আর প্রান্তে রয়েছে দুই মাত্রার ভাঙা পর্ব।



২)

খুব রকমের/ কষ্টে আছি ৪+৪

যেমন কষ্টে/ দুঃখ ঘুমায়/ বুকের ভেতর ৪+৪+৪+=১২-মাত্রা

যেমন কষ্ট/ পথিক যখন/ পথ ভুলে যায় ৪+৪+৪+=১২-মাত্রা

যেমন কষ্টে/ সকল কবিই/ হবেন কাতর। ৪+৪+৪+=১২-মাত্রা

খুব রকমের/ কষ্টে আছি ৪+৪

যেমন কষ্ট/ কাছাকাছি/ আর কারও নেই ৪+৪+৪+=১২-মাত্রা

যেমন কষ্ট/ যায় না পাওয়া/ হাত বাড়ালেই। ৪+৪+৪+=১২-মাত্রা



৩)

জেগে জেগে/ স্বপ্ন দেখি/ আকাশ পাতাল/ ভাবি ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

বাস্তবতা/ কঠিন ভারী/ নিত্য খাচ্ছি/ খাবি। ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

দুলকি চালে/ কেউ যাচ্ছে/ দিগন্ত ছা/ড়িয়ে ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

ফুলকিরা সব/ ফুলের মতো/ যাচ্ছে যে হা/রিয়ে। ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

ফুলেরা নেই/ পাখিরা নেই/ শূন্য আমার/ বন ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

ফুল পাখিদের/ স্মৃতি আছে/ সুতীব্র রঙ্গন। (সুতীব্র রঙ/ গন) ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

* বন এবং গন যদিও ১ মাত্রা করে, কিন্তু রুদ্ধদল প্রান্তে থাকলে সেটা কখনো কখনো দুই মাত্রা দাবি করতে পারে। এখানে আমরা যদি ১ মাত্রা করেও হিসাব করি তাতেও কিন্তু ছন্দের কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। বিশুদ্ধবাদীরা অবশ্য ২ মাত্রা হিসাব করতেই পছন্দ করবেন।

প্রিয় মুখের/ প্রিয়ংবদা /সে আজ উড়াল/ পাখি ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

বনান্তরে/ খুনোসুটি/ নিবিড় মাখা/মাখি। ৪+৪+৪+২=১৪-মাত্রা

এই কবিতাটা পঙক্তি ভেঙে অন্যভাবেও সাজাতে পারতাম, যেমনঃ

জেগে জেগে/ স্বপ্ন দেখি ৪+৪=৮-মাত্রা

আকাশ পাতাল/ ভাবি ৪+২=৬-মাত্রা

বাস্তবতা/ কঠিন ভারী ৪+৪=৮-মাত্রা

নিত্য খাচ্ছি/ খাবি। ৪+২=৬-মাত্রা

এখানে বোঝার আছে – উপরের কাব্যাংশটুকুতে প্রতি লাইন = একটি পদ এবং প্রতি দুই লাইন বা দুইটি পদ মিলে একটি পঙক্তি।

তাহলে প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারি দলবৃত্ত বা স্বরবৃত্ত প্রতি পর্বে ৪-মাত্রার চালে চলে। ৪-মাত্রার চালই তার স্বাভাবিক চাল। প্রান্তে যদি ভাঙা পর্ব রাখি তবে সেটি হবে ৪ এর কম।



৪)

জীবন যদি চলার পথ, চলতে গেলেই স্মৃতি

কিছু ঘৃণা, কিছু দ্রোহ, কিছু কিছু প্রীতি।

মাঝেমাঝেই ভাবায় আমায়

মাঝেমাঝেই ভাসায়

মাঝেমাঝেই কাঁদায় আমায়

মাঝেমাঝেই হাসায়।



মাঝেমাঝেই রবীন্দ্রনাথ কলিংবেলে হাত রাখেন

সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলি---

অজ্ঞাত কে বুকের ভেতর মাঝেমাঝেই টান মারেন

চমকে উঠি, ঐ যে এল গোধূলি।



এটার পর্ব বিভাগ আপনাদের জন্য। আশা করি নিজেরাই পারবেন।



দলবৃত্তের নিয়ম-কানুন জানানো শেষ। এবার সামান্য কিছু ব্যাতিক্রম দেখাই।





১)

আমার তখন বালক বয়স, আমার তখন বারো

কিছু কিছু বুঝতে পারি, জানার ইচ্ছা আরো।

মেয়েদেরকে ভাল লাগে কারণ কিছু বুঝি

বাকিতো সব রহস্যময় ধাঁধাঁর জবাব খুঁজি।

এমন দিনেই অন্যরকম একটি বিকেল এল

আমাকে সে হাতে ধরে খেলায় টেনে নিল।

বলল আমার প্রথম রাণী, "রানা,

গোপন খেলার গোপন কথা বাইরে বলতে মানা"


উত্তেজনার পারদ তখন এক নিমেষে চূড়ায়

গন্ধমেরই আকর্ষণে ময়ূরপঙ্খী উড়ায়।

আমারও তো ইচ্ছা ছিল ভাঙতে সেসব ধাঁধাঁ

অকাট মূর্খ ছিলাম বলেই শুনতে হলো, "গাধা"।

বলল আমায় ফিসফিসিয়ে, "জড়িয়ে আমায় ধর

বউকে জামাই যেসব করে সেসব আমায় কর"।



বউকে জামাই কি সব করে কি সব করে বল

অবাক মেয়ে সবাক হলো, "না জানলে যাই চল"।

কতদূরে গিয়েছিলাম বলার উপায় নাই

নিষেধ তাহার আজো মানি প্রথম রাণী তাই।



গন্ধম ফল নেশা ধরায় গন্ধম ফল মিষ্টি

গন্ধম ফল রহস্যময় তাতেই সুপ্ত সৃষ্টি।

* বলল আমার/ প্রথম রাণী,/ "রানা, ৪+৪+২=১০ মাত্রা

গোপন খেলার/ গোপন কথা/ বাইরে বলতে/ মানা"। ৪+৪+৪+২=১৪ মাত্রা

উপরের দুই পঙক্তিতে মাত্রার মিল নেই। এক পর্ব কম-বেশি আছে। এতে ছন্দের পতন হয়নি। নিয়মটা হল পূর্ণ পর্বের হ্রাস-বৃদ্ধিতে সমস্যা নেই।

* গন্ধম ফল গুনলে তিন মাত্রা কিন্তু শুনলে চার মাত্রা। এটা আসলে একটা নিয়মও বটে যে, দলবৃত্তে কোনো পর্বে পাশাপাশি তিনটি রুদ্ধদল থাকলে সেটি সব সময় চার মাত্রার মূল্য পায়।



২)

তুমি মানে আশার প্রদীপ

তুমি মানে বাতি

তুমি মানে দিন যাপনের

মিষ্টি চড়ুইভাতি।



* মুখ ঝামটায় অভিমানে (মুখ ঝামটায় - পাশাপাশি তিনটি রুদ্ধদল)

তোমার জুড়ি নাই

* দৈনন্দিন প্রতিপলে (দৈনন্দিন - পাশাপাশি তিনটি রুদ্ধদল)

তোমায় শুধু চাই।



৩)

ভুল নারীকে ভালবাসার পাপে

দণ্ড পেয়ে বন্দী আছি একা মনস্তাপে।

এই কারাগার ভাঙতে হলে মুগ্ধতাবোধ চাই

মনের ভিতর সবই আছে দরকারিটাই নাই।

যেখানে যাই খুঁজতে থাকি সারা বাংলাদেশে

ভুল নারীকে ঘুঁচিয়ে দেবে আমায় ভালবেসে।

* ঘুঁচিয়ে দেবে গুনলে ৫-মাত্রা কিন্তু শুনলে ৪-মাত্রা।



৪)

আমাকে মা,/ যখন তুমি/ ঘুম পাড়িয়ে/ রাখ,

তখন তুমি/ হারিয়ে গিয়ে/ তবু হারাও/ নাক।

#রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘুম পাড়িয়েগুনলেও ৪-মাত্রা শুনলেও ৪-মাত্রা।

হারিয়ে গিয়েগুনলে ৫-মাত্রা কিন্তু শুনলে ৪-মাত্রা।





এভাবে কাঁপিয়ে পাখা, ঘুমিয়ে থাকা, জিরিয়ে নিয়ে বা নেওয়া, কাঁদিয়ে মারা ইত্যাদি দলবৃত্ত ছন্দে চার মাত্রার মূল্য পায়।



৫)

এই যে এখন/ একা আছি /আসছ না কেউ/ কাছে

এই যে হৃদয়/ প্রতীক্ষিত/ বাসছ না কেউ/ ভাল

ঝিঁঝিঁ ডাকার/ দিন ফুরালে,/ জোনাক জ্বলা/ রাত পোহালে

আমি কিন্তু/ উদাস হব,/ বিবাগী এক/ বাউল হব

কামশীতল/ পান্ডা হয়ে/ দিন কাটাব,/ রাত কাটাব

কার কি ক্ষতি?

বুঝতে হলে/ আসতে হবে/ বাসতে হবে/ ভাল

তোমার আমার/রসায়নে/ পৃথিবী জম/কালো।



কামশীতল = কাম+শী+তল = ৩ মাত্রা । প্রতিটি পূর্ণ পর্বে ৪-মাত্রা হলেও এখানে ৩-মাত্রা। আসলে এখানে ৩-মাত্রাই উচ্চারণের নমনীয়তার গুনে ৪-মাত্রার মর্যাদা পেয়েছে।



৬)

দেরি হয়ে যায় বলেই আমি ভুল গাড়িতে উঠি

নামতে নামতে আবার আমি পিছন দিকে ছুটি।

দেরি হয়ে যায় ৫-মাত্রা হলেও উচ্চারণের নমনীয়তার গুনে ৪-মাত্রার মর্যাদা পেয়েছে।



এভাবে কবিরা সৃষ্টির আনন্দে নিয়ম ভাঙতে পছন্দ করেন।তাই পর্বে পর্বে চারটি দলের উপস্থিত রাখার নিয়ম তারা সব সময় মেনে চলেন না। কখনো কমিয়ে দেন কখনো বাড়িয়ে দেন, যদি তার কান সায় দেয়। তাতে ছন্দের কোনো সৌন্দর্যহানী হয় না।

সবচেয়ে আসল কথা হল আপনি নিয়মের ব্যাতিক্রম অবশ্যই ঘটাতে পারেন যদি এবং কেবল যদি আপনার কান আপনাকে সায় দেয়। আপনার কান যদি সায় না দেয় অর্থাৎ বেসুরো লাগে তবে বুঝে নেবেন ‘চুদুর-বুদুর চইলত না’।



শুরুর দিকে বলেছিলাম অন্তমিল কোনো ছন্দ নয়। অন্তমিলবিহীন কবিতাও ছন্দের কবিতা হতে পারে যদি সেটা ছন্দে লেখা হয়। এই নিন তার একটি উদাহরণঃ এই চমৎকার কবিতাটি লিখেছেন ব্লগার বৃতি



গোলাপ, তোমার রঙটা ক্যামন?

সাদা হলুদ লাল গোলাপি নীলের ভিড়ে

আসল তোমায় খুঁজতে গিয়ে

বুঝতে শেষে

নিযুতপ্রহর পেরিয়ে গ্যালো;

আয়নাতে মুখ দেখতে গিয়ে

জানতে পেলেম আমার খবর-



মেয়ে-তুই আজ অনেক বড় ।



ষোল'র মানে জানিস কি তুই?

ঝাপসা কিছু, একটি ঘুড়ি,

অশ্রুজলের বাষ্প ছুঁয়ে আকাশ উড়ি

পদ্মফুলের পাঁপড়ি মেলার কষ্ট নিয়ে

ঝিলের বুকে হাওয়ার তুলির

গোপন হরেক ছবি আঁকা ।



ইচ্ছেগুলো লুকিয়ে রাখা,

ইচ্ছেগুলো লুকিয়ে রাখা,

আর কিছু নয়...



শীঘ্রই বাকি দুটি ছন্দ নিয়েও পোস্ট দেয়ার আশা রাখি ইনশাআল্লাহ। তবে যদি আপনাদের সাড়া পাই।

মন্তব্যে আপনারা দুয়েক পঙক্তি কবিতা/ছড়া যদি লিখে দেন তবে বুঝতে পারতাম আপনারা শিখতে পারলেন কিনা।

এই লেখাটা লিখতে সাহায্য নিয়েছি যে দুটি বই থেকেঃ-

১) নূতন ছন্দ পরিক্রমা – প্রবোধচন্দ্র সেন

২) কবিতার ক্লাস – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী





## কারও কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে দয়া করে মন্তব্যে জানাবেন।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন ক্লাস! :)

দাগ দিয়ে গেলাম, কাল পড়তে আসবো।

উপকারী এই পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনাদের কাজে লাগলেই আমার পরিশ্রম সার্থক।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: + mobile e asi pore pc te abar porbo

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: জ্বী ভাই পড়ে দেখেন। আশা করি এরপর আর ছন্দ বুঝতে কোনো অসুবিধা হবে না।ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তৃতীয় প্লাস।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্যার, আপনি কেমন আছেন? আচ্ছা এই ১ম প্লাস, ২য় প্লাস, ৩য় প্লাসের মানেটা আমি সত্যি জানি না। যদি একটু বুঝিয়ে দিতেন।
ভাল থাকবেন।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

বঙ্গদর্পণ বলেছেন: ভালো একটি বিষয়, ধন্যবাদ। চালিয়ে যান। অনেক কিছু শেখার আছে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। আমি মনেকরি যারা কাব্যচর্চা করি তাদের কাব্যছন্দ না জানাটা পাপ।
ভাল থাকবেন।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২০

ছণ্ণছাড়া যূবক বলেছেন: এতো সুন্দর করে মানুষ কিভাবে লিখে বা বুঝায়!!!!!!!! বাকীগুলোর আশায়...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন ভাল করে দেয়া প্রশংসাটির জন্য। আমার পরিশ্রম এই এক মন্তব্যেই তার বিনিময় পেয়ে গেছে।
ভাল থাকবেন। আর বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: প্লাস দিয়ে গেলাম

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। আর বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: +++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: !!!

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

বৃতি বলেছেন: আপনাকে অনুসরণে নিলাম । ছন্দ সম্পর্কে বিশেষভাবে অজ্ঞ হয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করছি, ভাবতেও খারাপ লাগছে /:) /:)

পোস্টে ++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার একটি কবিতা এই পোস্টে যুক্ত করে দিয়েছি, দেখেননি? দলবৃত্তে আপনি অনেক ভাল লেখেন।
ধন্যবাদ।

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

বনসাই বলেছেন: এমন একটি লেখা পড়ার আশায় কত বার সামুতে ঘুরে ফিরেছি। ইদানিং কিছু কিছু 'কবিতা' পড়লাম যা কবিতা বলে আমার কান সায় দেয় নি। তাই একটু জানতে চেয়েছিলাম, কবিতা কীভাবে হয়?
খুবই সাজানো লেখা, বেশ ভালো লাগলো। নিজে কবিতা লেখার আগ্রহ জন্মালো...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনাদের কাজে লাগলেই আমার পরিশ্রম সার্থক। আশা করি এরপর আর ছন্দ বুঝতে কোনো অসুবিধা হবে না। আমি মনেকরি যারা কাব্যচর্চা করি তাদের কাব্যছন্দ না জানাটা পাপ। আমার মনেহয় সামুর মডুরাও ছন্দ জানেন না। যদি জানতেন তাহলে খুবি বাজে রকম ভুল ছন্দে লেখা অকবিতাগুলো নির্বাচিত পাতায় আসতে পারত না। অথচ আমার নির্ভুল ছন্দে লেখা অনেক কবিতাই নির্বাচিত পাতায় ঠাঁই পায়নি।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ক্লাসের ছাত্র হলাম ++++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনাকে ছাত্র হিসাবে পেয়ে আমিও ধন্য হলামঃ!!!!!!

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:



কবি না তবু হাজিরা দিয়ে গেলাম।
প্রিয়তে +++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এই দেশে কেউ কি আছেন যিনি কবি নন? এদেশের বিচিত্র সুন্দর জলবায়ু এবং প্রকৃতির জন্য কোনো কবিতা না লিখেও সবাই কবি।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন বলে।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

বৃতি বলেছেন: আমি সত্যি দেখিনি আমার কবিতা এখানে দিয়েছেন! পড়ে সময় নিয়ে পড়ব ভেবেছিলাম! না বুঝেই দলবৃত্ত ছন্দে ভালো লিখছি- মি হাপ্পি!!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এজন্যই আমি ব্যাক্তিগত ভাবে দলবৃত্ত ছন্দকে স্বাভাবিক ছন্দ বলি। অনেক সময় হিসাব নিকাশ না জেনেই আমরা এই ছন্দ বুঝে ফেলি।

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

বৃতি বলেছেন: পরে সময় করে**

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!!!!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট হলো কিনা সেটা বুঝব যদি আপনি একটি নির্ভুল ছন্দের কবিতা লিখে মন্তব্যে পোস্ট করেন।

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৬

বালক৪২০ বলেছেন: কবি হওয়া কঠিন কাজ পড়ে বুঝলাম।১/গদ্য কবিতা লিখতে কোন ছন্দের প্রয়োজন?২/কেউ যদি কোন ছন্দ না মেনে/না জেনে কবিতা লিখে সেটা কি কবিতা বলা যাবে?৪/
কবিতা লিখতে গেলে কি গ্রামার মানতেই হবে?৫/গ্রামার না মেনে লিখলে কি বড় কবি হওয়া যায় না?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কোনটা হওয়া কঠিন নয় বলতে পারবেন? আপনি যদি বেকার হতে চান সেটাও কঠিন। কেন? পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলের কথার তীক্ষ্ণ খোঁচায় আপনি কাজের খোঁজে বেরিয়ে পড়বেন অথবা বলবেন ধরণী দ্বিধা হও, আমি তোমাতে আশ্রয় নিয়ে বাঁচি।
আইন না জেনে আপনি কি আইনজ্ঞ হতে পারবেন ? ডাক্তার হতে গেলে আপনাকে বিদ্যাটা ভাল করে জানতে হবে, নইলে হাতুড়ে ডাক্তার হতে হবে। ঠিক তেমনি আপনাকে কবিতার ছন্দটা ভালকরে জানতেই হবে। নইলে আপনি হবেন "গোলাপ ফুলের ছায়ায় গো বসে তুমি কি করিতেছ সখী?" গোছের কবি।
আপনি যাই হতে চান; যদি সেক্ষেত্রে বড় একজন হতে চান তাহলে কি সেই ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট জ্ঞান আপনি অর্জন না করেই বড় একজন হতে চান। অর্থাৎ এদেশে প্রচলিত পর্দার আড়ালের অনেক ব্যবস্থার মতো ফাঁকতালে শর্টকাট মেরে বড় হওয়া, নাকি?
সে আশায় গুরেবালি। আর যাই হোক কবি হওয়া তাহলে হবে না আপনাকে দিয়ে। আপনাকে সাধনা করতেই হবে।
গদ্য কবিতা লিখতে ছন্দ লাগে না, কিন্তু ছন্দ জানা লাগে। নয়ত ফাঁকে কখন ভুল ছন্দ ঢুকে যাবে সেটা টেরও পাবেন না।
ছন্দ না মেনে কবিতা লিখলেও সেটা কবিতা অবশ্যই হতে পারে, কিন্তু ছন্দ না জেনে কবিতা লিখলে জগাখিচুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কবিতা লিখতে গেলে আপনি ছন্দ-ব্যাকরণ নাও মানতে পারেন সেটা নির্ভর করবে আপনি কতটা জানেন তার উপর। ভালভাবে ভাংতে তিনিই পারেন যিনি ভালভাবে গড়তে জানেন।
গ্রামার না মেনে লিখলে কি বড় কবি হওয়া যায় না? গ্রামার বলতে যদি আপনি ছন্দকে বুঝিয়ে থাকেন, তবে বলব ছন্দ না মেনেও বড় কবি হওয়া যায়; তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ কবি সমর সেন, কিন্তু ছন্দ না জেনে বড় কবি হওয়া অসম্ভব।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি।

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শ্রমসাধ্য লেখা। অনেক কাজের একটি পোস্ট। শোকেসে রাখলাম; সময় করে পড়তে হবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ, তৌফিক। আশা করি সময় করে পড়ে নেবেন। তারপর দুয়েকটা পঙক্তি লিখে মন্তব্যে পোস্ট করতেন যদি খুবই ভাল লাগত।

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১২

এহসান সাবির বলেছেন: প্রিয় তে। ঈদের শুভেচ্ছা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।

১৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৪

আরজু পনি বলেছেন:

পোস্টটা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম...চর্চা করা যাবে।

খুব ভালো একটা কাজ করেছেন।
কৃতজ্ঞতা রইল।।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আশা করি সময় করে পড়ে নেবেন। তারপর দুয়েকটা পঙক্তি লিখে মন্তব্যে পোস্ট করতেন যদি খুবই ভাল লাগত।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন। আর অনেক ভাল থাকবেন। এবং অবশ্যই বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন।

১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

বৃতি বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম পছন্দের পোস্টটা ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ। দেখি শীঘ্রই মিশ্রবৃত্তের উপরেও একটা পোস্ট দিতে পারি কি না।

২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

সুমন কর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, প্রিয়তে নিলাম। সময় করে পড়তে হবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমার বাড়িতে স্বাগতম। আশা করি ছন্দ বোঝা আপনার জন্য এখন সহজ হয়ে যাবে।

২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন পোষ্ট। আশা করি যারা নতুন লেখালেখির চর্চা করছেন, তাদের কাজে আসবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কা_ভা। এই পোস্ট কারও কাজে আসলেই নিজেকে ধন্য মনে করব।

২২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: লেখাটি মিস করেছিলাম।ভালো লেগেছে।

বাংলা ছন্দচর্চা শুরু হয়েছে মধ্য যুগে। ৪৭ সালে ভারত ভাগ পর্যন্ত এ ছন্দ চর্চার বই প্রকাশ ছিলো কলকাতা কেন্দ্রিক এবং একক। এরপর থেকে কলকাতার পাশাপাশি ঢাকাকেন্দ্রিক ছন্দ চর্চা ও বই প্রকাশ শুরু হয়েছে। এর ফলে ছন্দের পরিভাষায় দুই বাংলায় দুই রকম বেশ কিছু শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন ছন্দের নামের ক্ষেত্রে পশ্চিম বাংলায় লেখা হয় দলবৃত্ত বাংলাদেশে স্বরবৃত্ত,কলাবৃত্ত বাংলাদেশে মাত্রাবৃত্ত আর মিশ্রকলাবৃত্ত বাংলাদেশে অক্ষরবৃত্ত। একত্রচর্চার পরে বাংলাদেশ এ শব্দগুলো ব্যবহার শুরু করে। বাংলাদেশের ছন্দের বইগুলোর মধ্যে সহজে ছন্দের প্রাথমিক ধারনা পেতে সবচেয়ে সহায়ক বই হচ্ছে মাহবুবুল আলমের বাংলা ছন্দের রূপরেখা (খান ব্রাদার্স)।

এর পাশাপাশি আপনি নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর কবিতার ক্লাস আর শঙ্খ ঘোষের ছন্দের বারান্দা রাখতে পারেন।

প্রবোধ সেন এর বই সমূহ (ছন্দ পরিক্রমা, ছন্দ জিজ্ঞাসা, বাংলা ছন্দের ক্রমবিকাশ, নূতন ছন্দ পরিক্রমা, বাংলা ছন্দ শিল্প ও ছন্দ চিন্তার অগ্রগতি ইত্যাদি) আর আবদুল কাদিরের ছন্দ সমীক্ষণ হচ্ছে অগ্রসর পাঠক/কবির জন্য বেশী উপযোগী।

উপর্যুক্ত বইগুলো ভালো ভাবে বোঝার জন্য এগুলোর আগে পাঠক/কবিকে পড়ে নিতে হবে অমূল্যধন মুখোপাধ্যায় (বাংলা ছন্দের মূল সূত্র), দিলীপ কুমার রায় (ছান্দসিকী), নীলরতন সেন (আধুনিক বাংলা ছন্দ/২ খন্ড, বাংলা ছন্দ শিক্ষা ইত্যাদি), আবদুল মান্নান সৈয়দ (ছন্দ), শাহজাজান ঠাকুর (আধুনিক বাংলা ছন্দের রীতি, রূপ ও বিকাশ) ইত্যাদি বই।

সবশেষ পাঠ্য হচ্ছে রবীন্দ্র নাথের "ছন্দ"।

রবীন্দ্র নাথের বইটি পাঁড় কবি ছাড়া অনুধাবন করা কঠিন বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।

দীর্ঘ মন্তব্য করে ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়ে থাকলে দু:খিত।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কামাল ভাই এত চমৎকার একটি মন্তব্য করলেন আর আমি তা টেরই পেলাম না। আসলে আমি আপনার এই মন্তব্যের পরে আর এই পোস্টে আসিনি। আজই প্রথম এলাম।

আপনার পঠন-পাঠনের জুড়ি মেলা ভার। আমি আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত সবগুলি বই পড়িনি। কয়েকটি পড়েছি মাত্র। তাতে মনেহয়েছে নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর কবিতার ক্লাস বইটি প্রথম শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে।

আর নামের ক্ষেত্রে আমি ছন্দগুরু প্রবোধ চন্দ্র সেনকেই শিরোধার্য মনেকরি। যদিও আমাদের এখানে প্রচলিত নামগুলিও তারই দেয়া। পরে তিনি ১) দলবৃত্ত ছন্দ ২) কলাবৃত্ত ছন্দ ৩) মিশ্রকলাবৃত্ত সংক্ষেপে মিশ্রবৃত্ত ছন্দ; এই নামগুলিতেই ছন্দের নামকরণ অধিক বিজ্ঞানসম্মত ভেবেছিলেন।

অনেক দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দু:খীত।

২৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

বর্ণহীণ বলেছেন: প্রিয়তে নিচ্ছি ঠিকই কিন্তু প্রিয় লিস্টে একটু পেছনে চলে যাচ্ছে কেন বুঝতে পারলাম না।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সম্ভবত এটা অনেক আগের পোস্ট তাই।

২৪| ২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

ইকরাম উল হক বলেছেন:

লেখাটা প্রিন্ট করে রাখবো, আপাততো প্রিয়তে

(আমি একটা লেট লতিফ)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: জবাব দিতে গিয়ে দেখি আমিও লেট লতিফ। ;)

২৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

আমিনুল ইসলাম বাবু বলেছেন: লজ্জা লাগছে।।ছন্দ না যেনেই কবিতা লিখে যাচ্ছি। আদেও সেগুলো কবিতা কিনা।। দেখতে হবে।অনেক ধন্যবাদ স্যার।।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রীত হলাম ছন্দের প্রতি আপনার আগ্রহ আছে দেখে।

২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: স্বরবৃত্ত ছন্দ একটু আধটু বুঝি। কিন্তু এটা বাদে অন্য ছন্দ কোনভাবেই বুঝিনা।

ভাইয়া আপনার ফেসবুক আইডির লিংক দিলে উপকৃত হতাম।

ধন্যবাদ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ইচ্ছা থাকলে বুঝে ফেলবেন। নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর কবিতার ক্লাস বইটি কিনে ফেলেন।

Nayeem.rana খোঁজ করলে ফেবুতে পাওয়া যাবে।

২৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

মো: মুস্তাফিজ রহমান বলেছেন: আপনার লিখা পড়ি আর ভাবি,
কেমন করে হবো আমি কবি?
ছন্দ আর তাল এত গোলমেলে,
দিতাম দুঘা ওদের কাছে পেলে;
লিখি আমি আমার মন যা বলে
মন কি আবার নিয়ম মেনে চলে?
ধন্যবাদ!

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অনেক অনেক পড়তে হবে।

২৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

খোরশেদ আহমেদ বলেছেন: ১। 'হারিয়ে গিয়ে গুনলে ৫-মাত্রা কিন্তু শুনলে ৪-মাত্রা।'
- ৪-মাত্রা কীভাবে হল, শুনতে সাহায্য করবেন, প্লিজ!

২। ছন্দের রহস্যের জট খোলার জন্য খুবই সহায়ক পোস্ট।
পোস্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, অলওয়েজ ড্রিম!

২৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৩

সাবিনার বচন বলেছেন: উপকৃত হলাম। পরের পোস্টের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ।
তোমার কথা লিখতে পারি
এমন কোনো কলম কই?
তোমায় ভুলে থাকতে পারি
এমন কোনো মলম কই?

এমন কোনো আড়াল কোথায়?
তোমায় লুকাই কোন দূরে?
যেদিক তাকাই তোমায় দেখি
তুমি আমার মন জুড়ে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.