![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"Only He Who Can See The Invisible Can Do The Impossible" Frank Gain আমার ইমেইল ঠিকানাঃ [email protected]
পাঠক প্রস্তুত হয়ে নিন। একটা প্রচণ্ড বিস্ময় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
আপনি শহর কিংবা গ্রামে থাকেন, আপনার ইচ্ছা অনুসারে। “এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়" আপনার এখন সেই শ্রেষ্ঠ সময়। সারাক্ষণ টগবগ করে ফুটছেন।
আপনার সামনের, পেছনের, কিংবা দু’পাশের কোনো এক বাসায় বা ঘরে বাবা-মা, ভাই-বোনের সাথে থাকে কোনো এক ফুটফুটে বাচচা মেয়ে। আপনার তাকে জোনাক-মেয়ে বলতে ইচ্ছা হয়। প্রচণ্ড কৌতুহলে, উচ্ছলতায় দিন কাটানোর বয়স তার। অনেক বার আদর করেছেন তাকে – গাল টিপে দিয়ে, চুমু খেয়ে, সোনামনি, আপুমনি বলে।
একদিন সেই জোনাক মেয়ে আপনাকে কোনো এক দুপুরের নির্জনতায় ডাকবে ইশারায়। আপনি এগিয়ে যাবেন আগে যেভাবে যেতেন সেভাবেই। আদর করে তার কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করবেন, কী আপু? জোনাক মেয়ে তৎক্ষণাৎ আপনার হাতের উপরে তার গরম গালটি চেপে ধরে চোখ বুঝলে আপনি নিশ্চিত একটু অবাক হবেন। ভাববেন কি ব্যাপার এমন অস্বাভাবিক গরম কেন? জ্বর? আপনি যখন জানতে চাইবেন, কী হয়েছে আপু, জ্বর? স্বাস্থ্য খারাপ? জোনাক মেয়ে ঘাড় নাড়িয়ে দ্রুত ‘না’ জানালে তার ঘাড় নাড়ানোর ভঙ্গিতে আপনি আরও ব্যাপকমাত্রায় অবাক হবেন।
তাহলে!?
আপনার বিস্মিত প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে সে আপনার হাত ধরে টেনে ভিতরে নিয়ে গেলে অচিরেই আপনি টের পেয়ে যাবেন – জোনাক মেয়ে ছাড়া বাসায় আর কেউ নেই। আরও জানবেন সবাই নিমন্ত্রণে গেছে। জোনাক মেয়ের হঠাৎ শরীর খারাপ লাগায় সে যায় নি।
আপনি আরও একটু অবাক হবেনঃ আশ্চর্য অসুস্থ জোনাক মেয়েকে রেখে কিকরে সবাই নিমন্ত্রণে যায়!?
আপনি মমতায় জোনাক মেয়েকে কাছে টেনে চুমু খাবেন, আদর করে দেবেন। এবং জোনাক মেয়ের কাছে বাসার অন্যান্যদেরকে বেশ বকাবকি করবেন, তাকে এভাবে একা রেখে যাওয়ার বোকামির জন্য। কিন্তু আপনি যখন জানবেন এটা জোনাক মেয়েরই চালাকি, সে-ই কৌশলে রয়ে গেছে। তার মোটেই স্বাস্থ্য খারাপ হয় নি। তখন আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। আপনি জানতে চাইবেন, কেন সে এমন করেছে? জবাবে জোনাক মেয়ে আপনার দিকে কেমন করে, কেমন করে যেন তাকাবে! আপনার মন বিষম খাবে তৎক্ষণাৎ। সে যখন আপনার কোল ঘেঁষে এসে তাকে আদর করে দেওয়ার জন্য বলবে এবং ভয়ানক জোরে আপনাকে জড়িয়ে ধরবে আপনি আরও ভয়ানক ভাবে চমকে উঠে প্রশ্ন করবেন, এসব কী!? সে কিছু না বলে সরে দাঁড়াবে। তার যেন বয়েই গেছে আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে। আপনি দেখবেন রীতিমতো সে হাঁপাচ্ছে। হাঁপি দিতে দিতে সে যখন আপনাকে চোখ বন্ধ করতে বলবে আপনি প্রচণ্ড কৌতুহলে তার আদেশ পালন না করে আর পারবেনই না। কেননা আপনি ততক্ষণে কৌতুহলের আইনস্টাইন হয়ে উঠবেন।
তারপর যখন আপনাকে চোখ খুলতে বলা হবে আপনি দেখবেন আপনার সামনে একজন পরিপূর্ণ রমণী মোহনীয় ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে আছে। চিরকাল যেভাবে তারা দাঁড়ায়।
আপনি শিউরে উঠবেন। কেঁপে-কেঁপে উঠবেন। জোনাক মেয়ে যখন আপনার হাত দুটি তার বুকে নিয়ে তার বড় হওয়ার প্রমাণ দেবে আপনি তখনও বিস্ময়াভিভূত হয়ে দেখবেন, আসলেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দুটি আপেল সে নিজের বুকে ধরে রেখেছে। কিভাবে এ সম্ভব আপনি কিছুতেই তা ভেবে পাবেন না। নিজেকে আপনার এলোমেলো লাগবে। হিসাব মেলানোর আগেই আপনি যখন আবার জোনাক মেয়ের দুবাহুর মধ্যে আটকা পড়বেন তখন এমনিতেই আপনার সকল হিসাব উল্টে যেতে থাকবে।
আপনি টের পাবেন দুঃসাহসী দুটি হাত আপনার যত্র-তত্র অতিমাত্রায় ক্রিয়াশীল। সবশেষে আপনাকে প্রচণ্ড জাগিয়ে যখন সে মাদক ভঙ্গিতে শুয়ে পড়বে, জানি আপনাকে আর কিছুই বলতে হবে না জোনাক মেয়ের।
পরিশিষ্টঃ গল্পটা বাস্তব একটি ঘটনার শিল্পীত রূপ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ এবং ঈদের শুভেচ্ছা।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আট বছরের বাচ্চা এমন আচরণ করতে পারেনা। দেখার ভুল হতে পারে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে ৫ বছরের মেয়ের মা হওয়ার ইতিহাস আছে একটি, ৬ বছরের মেয়ের মা হওয়ার ইতিহাস আছে ২টি, ৮ বছরের মেয়ের মা হওয়ার ইতিহাস আছে অনেকগুলি। সুতরাং তাদের রজঃস্বলা হওয়ার ইতিহাস তো আরও কম বয়সের। এরকম কম বয়সে রজঃস্বলা হওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে Precocious puberty।
ঘটনাটা আমার বন্ধুর বন্ধু ‘আ’ এর। তার কাছ থেকে শোনার পরে আমার প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে নেটে ঘাটাঘাটি করে দেখলাম এটা অস্বাভাবিক হলেও পৃথিবীতে Precocious puberty এর ঘটনা অনেক। ৫ বছরের যে মেয়েটি মা হয়েছিল তার পিছনে দায়ী ছিল তার আপন পিতা। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাকে শাস্তি দেওয়া যায়নি।
'আ' এর কাছ থেকে যেভাবে বর্ণনা শুনেছি তা রসময় গুপ্তের কাহিনীর মতো।
যা হোক গল্প হিসাবে কেমন হল, রসোত্তীর্ণ হয়েছে কিনা সেসব কিছুই বলেন নি। তাছাড়া ক্রিয়ার ভবিষ্যৎ কালের ব্যবহারের পরীক্ষাটা উতরে গেল কিনা সে ব্যাপারেও জানার আগ্রহ ছিল। যদি বলতেন!
ভালো থাকবেন। ঈদের শুভেচ্ছা।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আসলেই অস্বাভাবিক ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আসলেই অস্বাভাবিক মামুন ভাই। আমি তো প্রথমে গাঁজাখুরি গল্প বলে উড়িয়ে দিয়েছিলাম।
অনেক ভালো থাকবেন। ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখাটা পড়ে কিছুটা বিভ্রান্তিতে ছিলাম। বাস্তবতা এবং গল্পের সংযোগ লাইনটি ধরার চেষ্টা করছিলাম। পরে যা বুঝলাম তা হলো, জনৈক বন্ধুর, বন্ধুর বাস্তব অভিজ্ঞতাকে গল্পের রুপ দিয়েছেন।
গল্প হিসেবে লেখাটা ততক্ষন খারাপ লাগে নাই যতক্ষন না জানলাম সত্যিকার গল্পের মেয়েটার বয়স ছিল ৮। আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটের প্রেক্ষিতে বেশ অস্বাভাবিক কাহিনী। যদি মেয়েটা শিশু না হত, তাহলে গল্পের গভীরে ঢুকে উপভোগের বিষয়টা নিয়ে লেখা যেত। কিন্তু এখন কেন যে সেটা আর ইচ্ছে করছে না।
যাই হোক, আপনার লেখার সাবলীলতা আছে, প্রাঞ্জলতাও আছে। পড়তে ভালোই লাগে। আশা করি সামনে আরো ভিন্ন মাত্রার গল্প নিয়ে আসবেন। ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে উপলব্ধি হল বয়সটা উল্লেখ না করলেই বোধহয় ভাল ছিল। পড়ার শেষে একটা খচখচানি হয়। এক কাজ করি বয়সটা লুকিয়ে ফেলি। বাস্তবে যাই হোক গল্পে বয়স উহ্য থাকাই মনেহয় নিরাপদ। রসাস্বাদনে সুবিধা হয়, স্বস্তিও পাওয়া যায়, তাই না?
আমি বিষয়টা নিয়ে অনেকের সাথেই আলাপ করেছিলাম। কেউই তখন কোনো উপসংহারে আসতে পারেনি।
তবে আমার ধারণা এই মেয়েটির ক্ষেত্রে দুইটা বিষয় এক বিন্দুতে এসে হয়ত মিলেছিলঃ
(১) সে Precocious puberty তে ভুগতেছিল। এটা একটা রোগ। উপযুক্ত সময় আসার আগেই পরিপক্বতা লাভ।
(২) এবং সে বড়দের হতে পারে তার বাবা-মায়ের যৌনতা দেখে ফেলেছিল। আর তা থেকেই তার অকাল বয়ঃসন্ধি (Early maturity) তার মধ্যে ঝড় তুলেছিল যুগপৎ কামনার এবং শিশুসুলভ প্রচণ্ড কৌতুহলের।
যা হোক আপনার মন্তব্যে আমি উৎসাহিত। ভাল থাকবেন। ঈদের শুভেচ্ছা। সামুভিত্তিক আমাদের একটি সাহিত্য-গ্রুপ থাকা উচিত
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
আরজু পনি বলেছেন:
বুঝলাম একজন মা হিসেবে আমাকে আরো সচেতন হতে হবে ।
বাস্তবতাকেও শিল্পতে ফুটিয়ে তোলার জন্যে সাহিত্যিকরা কতো সিদ্ধহস্ত ।
আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে এসে দেখি উপরের সব পোস্ট পড়ে মন্তব্য করা হয়ে গেছে...তাই পেছনে এলাম পড়তে ।
ভালো থাকুন অনেক অনেক ।।
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় আরজুপনি, আমার গল্প পড়ে আপনার যে উপলব্ধি আমি মনে করি এটাই আমার সার্থকতা। সন্তানের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হয় মাকেই।
ধন্যবাদ পুরানো পোস্ট পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।
৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: প্রথমে মনে হয় গল্পে বয়সের উল্লেখ ছিল। তবে সুনির্দিষ্ট বয়স না থাকাটা ভালো হইসে।
গল্প লেখা ভালো হইসে, তবে ফোকাসটা আরেকটু শার্প হইলে ভালো হত। মানে আমি যদি ধরে নেই সদ্য কিশোরী কেউ কোনো সন্ধ্যায় কোনো পুরুষকে আহ্বান করলো। তা সে করতেই পারে। রবীন্দ্রনাথের নায়িকাদেরই দেখি দশ বছরে বিয়ে হয়ে যেতে। সেটা সে সময়ের রেওয়াজ ছিল যা হোক। কিন্তু আপনি নিশ্চয় এর সাথে অন্য কিছু একটা বলতে চেয়েছেন, সেই ফোকাসের কথা বলেছি।
আপনার এক্সপেরিমেনট ভালো লাগলো।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনি আপনার কর্মময় জীবনে অনেক ব্যস্ত একজন মানুষ সেটা টের পেয়েছি। তার ভিতরেও যে আমার বাড়িতে এসেছেন এজন্য আমি ধন্য। আসলে সেভাবে কিছুই ফোকাস করতে চাই নি। শুধু বাস্তবের একটা ঘটনা তুলে ধরতে চেয়েছি অন্যভাবে। আর একটা বিষয় ছিল নিজের বাচ্চা বিশেষ করে মেয়ে বাচ্চা কিংবা ছোট বোনদের ব্যাপারে যেন সচেতনতা আসে সেটা ছিল পরোক্ষ উদ্দেশ্য। বয়সটা গল্পে উল্লেখ থাকলে আমার মনে হয় সবাই একটু সজাগ হতে পারত। কিন্তু দেখলাম তাহলে গল্পটা কেউ সহজে নিতে পারছে না। তাই দিলাম বয়সটা ভেনিশ করে।
বাস্তবের এই ঘটনার যে মেয়েটা তার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। এই শিশুকে কেউ এমন একটা যৌনাবেদনময়ী চরিত্রে মানসিকভাবে নিতে পারছিল না। তাই বয়সটা বাদ দিয়ে দিলাম। উপরে হামা ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে ব্যাখ্যা সহ লিখেছি।
এই গল্পটা তো বেশ পুরানো গল্প। নতুন বেশ কয়েকটি ফাটাফাটি গল্প পোস্ট করেছি। সম্পূর্ণ অন্য ধাঁচের। পড়ে দেখবেন আশা করি।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, পরের গল্পটা এইটার চেয়ে পরিণত হয়েছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শঙ্কু। আপনি যে ছোট গল্পের একনিষ্ঠ পাঠক তা বুঝলাম লিংক ধরে আপনার এখানে আসায়।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা।
৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন:
১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বুঝলাম আপনি টাসকিত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো!