![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"Only He Who Can See The Invisible Can Do The Impossible" Frank Gain আমার ইমেইল ঠিকানাঃ [email protected]
এই কবিতাটি পাঁচ বছর লেগেছিল শেষ করতে। পরে কবিতার খাতাটি হারিয়ে যায়। কিছু দিন আগে যে সব কাগজে খসড়া করেছিলাম সেগুলোর কিছুকিছু খুঁজে পেয়েছি। সেগুলো থেকে যতটা সম্ভব পাঠোদ্ধার করলাম। আমি সবার কাছে এই কবিতাটির সমালোচনা চাচ্ছি। নরম নয় কঠিন সমালোচনা।
এক শ্যামাবতী মেয়ে পক্ষি-ডিম চোখে
কেমন নরম করে চায়, চেয়ে থাকে
উপমান জানি না তো
শুধু জানি ডিম ফুটে দুটি পাখি
উড়ে এসে জুড়ে বসে মনে
আর খুনসুটি করে বাড়িতে উঠোনে
পাখার ঝাপটে ঝরে টুপটাপ লাবণ্য-শিশির।
আমি শিশিরস্নাত নই, সে অন্য যুবক
আমি শুধু শিশিরের কুয়াশা-রূপ দেখি
বাতাসে ভাসিয়া আসে; আমি, ভেসে আসা দেখি
এসে ঘিরে ধরে ওই যে যুবক তাকে
আমি শুধু ঘিরে থাকা দেখি।
নাম তার অতন্দ্রিলা নরম হাসিতে
ভরে দেয় যুবকের বুক, জানে জয় করে নিতে
আমিও বিমুগ্ধ হই টের পাই
চারদিকে ফিতে!
অদ্ভুত ফিতে!
সরল সাহস তার নেই
হারিয়েছে জীবনের অকস্মাৎ বাঁকে
এখন হৃদয় জুড়ে দুঃসাহস ভালবাসা রাখে।
এখন সে একা নয়
এখন সে ভালবাসে একটি যুবক
তাই ভয়ে কাঁপে।
ভয়ে ভয়ে স্রোতস্বিনী বরফের নদী
উপরে জমাট কঠিন জল
ভিতরে অনন্ত স্রোত দ্রুত চলাচল।
হায় প্রেম প্রথম প্রণয়
হাত ধরে হেঁটে চলে অনুরাগ ভয় -
এই বুঝি, ওই বুঝি, কেউ বুঝি, ওহ গড
জেনে ফেলে প্রেম
ধোঁয়া দেখে যেরকম আগুনের খোঁজ লোকে জানে
স্রোত দেখে কেউ কেউ গভীরতা বোঝে
মেঘে দেখে কেউ কেউ রিমঝিম শোনে।
হায় প্রেম প্রথম প্রণয়
হাত ধরে হেঁটে চলে অনুরাগ ভয়!
এত বৃত্ত, এত বিঘ্ন, এত অন্ধকার
তবু স্রোত, এত স্রোত কোথা হতে আসে
অতন্দ্রিলা ভাবে আর প্রশান্তিতে হাসে।
তারপর অতন্দ্রিলা স্বপ্ন দেখে রঙধনু-যুবকের মুখ
বিস্তীর্ণ আকাশ দেখে – ছুট-ছুট মেঘের দঙ্গল
পাখির ডানায় দেখে দিগন্তে উড়াল
তারপর কিছুই দেখে না
মগ্নতায় দেয় ধীরে ডুব
নীরব-নিশ্চুপ!
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার মন্তব্য কিংবা সমালোচনা অনেক ভাল লেগেছে। আমাদের রচনার পারস্পরিকভাবে এমন সমালোচনাই হওয়া উচিত। তা নয় আমরা কী করি; নিছক প্রশংসা করি। যাকে বলে পাম্পিং – স্রেফ গ্যাস দেওয়া। আমার কাছে এমন প্রশংসাকে স্রেফ ফালতু মনেহয়। আপনার কাছ থেকে ভবিষ্যতেও আশা করি এমন সমালোচনা উপহার পাব। সে উপহার আমাকে আরও ভাল করার প্রেরণা জোগাবে।
আপনার সমালোচনার পরে আমারও মনে হচ্ছে প্রথম দিকটা আসলেই ভাল হয় নি, বেশ কিছু পঙক্তি বাদ দেওয়া যেত। এই যে এখন ভাবছি প্রথম দিকটা আরও কিভাবে ভাল করা যায়, এটা কিন্তু আপনার সমালোচনার সুফল। আপনার সমালোচনা আমাকে সচেতন করে তুলেছে। এজন্যই আমাদের আড্ডার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি করে উপলব্ধি করছি। কিভাবে কি করা যায় যদি আমার এই লিংকের পোস্টটাতে গিয়ে পরামর্শ দিতেন। সামুভিত্তিক আমাদের একটি সাহিত্য-গ্রুপ থাকা উচিত
আপনার মন্তব্য আরও যে কারণে ভাল লেগেছে তা হল আপনি ছন্দ সচেতন। কবিদের অবশ্যই ছন্দ সচেতন হওয়া উচিত। আর হ্যাঁ এটা মুক্তক মিশ্রবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্তে লেখা।
ভাল থাকবেন।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: হায় প্রেম প্রথম প্রণয়
হাত ধরে হেঁটে চলে অনুরাগ ভয় -
সুন্দর লিখেছেন ।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই। ঐ লাইন ক'টি আমারও প্রিয়।
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি কঠিন সমালোচনা করার মত তেমন কিছু পেলাম না বলে দুঃখিত। ভালো লেগেছে অনেক।
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। এই কবিতা আমাকে এক সময় রক্তাক্ত করেছিল মানসিক ভাবে। কবিতায় আমি নিজে দর্শক। নায়ক যে সে ছিল আমার বন্ধু। কিন্তু সে আমাকে এই কবিতার জন্যই ভুল বুঝেছিল। তখন এভাবে লেখা ছিলঃ
আমিও প্রলুব্ধ হই টের পাই বাঁধা পড়ে গেছি
চারদিকে ফিতে!
অদ্ভুত ফিতে!
প্রলুব্ধ আর বাঁধা পড়ে গেছিতে ছিল তার আপত্তি। নায়িকার জন্য আমার মোটেই প্রলুব্ধতা ছিল না বিমুগ্ধতা ছিল। কিন্তু আফসোস তখন মাথায় কিছুতেই বিমুগ্ধ শব্দটা আসেনি।
ভাষা আন্দোলন যেমন আমাদের স্বাধীনতার শুরু, এই কবিতা আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটির সাথে বিচ্ছেদের শুরু।
মনে হলে আজও ভাই খারাপ লাগে।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
আরজু পনি বলেছেন:
আমিতো ছন্দ বুঝি না ।
তবে পড়ে ভালো লেগেছে সেটুকু বলতে পারি ।।
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এই কবিতার ছন্দে আসলে সমস্যা নাই। তবে কোথাও সমিল কোথাও অমিল। সমস্যা হচ্ছে সম্ভবত একটু অতিকথন হয়ে গেছে কোথাও কোথাও। অনেক স্মৃতিবিজড়িত কবিতা তো তাই অনেক পঙক্তির মায়া ত্যাগ করতে পারি নাই। বড় কবিদের সাথে ছোট কবিদের এখনেই পার্থক্য। বড় কবিরা নিজের কবিতায় নিষ্ঠুর কাচি চালাতে দ্বিধা করেন না। নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় সমালোচক। আর ছোট যে তার তো সম্বল কম। তাই সামান্য সম্পদ থেকে কিছু ফেলে দিতে কষ্ট হয়। কৃপণতা এসে পথ আগলে দাঁড়ায়।
যা হোক দেখি মায়া কাটিয়ে উঠতে পারি কিনা। পারলে মেদ কিছুটা ঝেড়ে ফেলব।
কবিতাটা মিশ্রবৃত্তে লেখা। শীঘ্রই মিশ্রবৃত্ত ছন্দের উপর একটা পোস্ট দেব। তখন পড়ে নিলে এই ছন্দটাও বুঝতে পারবেন।
আর কবিতাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন।
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
আমি অভ্র বলেছেন: এই কবিতা আপনার বন্ধুর সাথা বিচ্ছেদের মূলে, জানতে পেরে কিছুটা টাশকি খাইছি । সাথে কিছুটা খারাপও লাগছে । এতটা সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত হয়নাই । বন্ধুত্ব সম্পর্কটা এত সস্তা না ।।
যাই হোক, কবিতাটা ভালো হয়েছে অনেক । যদিও আমি কবিতার কিছু বুঝি না । তারপরও মাঝে মাঝে কয়েকটা ভালো লাগে । বুঝে নয়, না বুঝে ।
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আসলে টাশকি খাওয়ার কিছু নাই। মনের মধ্যে একবার যদি সন্দেহের ঘুন পোকা ঢুকে যায় তাহলেই হল। মেয়েসংক্রান্ত ব্যাপার হলে তো বন্ধু কেন আপন ভাইও তখন ভাই না। ঐ প্রবাদটা জানেন নিশ্চয়ই
ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন ছিন্ন হয় নারীর কারণ।
মেয়েসংক্রান্ত ব্যাপার বড়ই স্পর্শকাতররে ভাই।
কত বছর আগের কথা কিন্তু এখনও আমার চোখ সজল হয়ে যায়।
আমার বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম। কবিতা আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমি উদ্বুদ্ধ হচ্ছি। সব সময় ভাল থাকবেন। বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা। আসলে আমাদের সম্বল তো ঐ স্বপ্নই। সৃষ্টিশীল মানুষগুলো স্বপ্ন দিয়েই ধনী।
৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
হাবিব কবি বলেছেন:
'নীরব-নিশ্চুপ! '
লাইনটি কবিতার গতিকে থামিয়ে দিল। সুপ্ত আবেগ আর ট্রাজেডি থেকে এক ধরনের সমাপ্তি সৃষ্টি হল।
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: তারপর অতন্দ্রিলা স্বপ্ন দেখে রঙধনু-যুবকের মুখ
বিস্তীর্ণ আকাশ দেখে – ছুট-ছুট মেঘের দঙ্গল
পাখির ডানায় দেখে দিগন্তে উড়াল
তারপর কিছুই দেখে না
মগ্নতায় দেয় ধীরে ডুব
নীরব-নিশ্চুপ!
কোথাও তো থামতেই হত। তবে এই লাইন ক'টা আমার বেশ ভাল লাগে। অতন্দ্রিলা এক সময় নিজেতে মগ্ন হয়। নীরবে। তখন সে বাহ্যিক কিছুই দেখে না। এরকম সময় তো আমাদের সবারই আসে তাই না?
আমার বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম। কবিতাটি আপনি পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন। আমার খুবই ভাল লাগছে। সব সময় ভাল থাকবেন। বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা।
৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
বোকামন বলেছেন:
সরল সাহস তার নেই
হারিয়েছে জীবনের অকস্মাৎ বাঁকে
এখন হৃদয় জুড়ে দুঃসাহস ভালবাসা রাখে।
স্রোত দেখে কেউ কেউ গভীরতা বোঝে
হূম ..... !
সুন্দর কবিতা ! খুব ভালো লাগলো কবিতাটি !
শুভকামনা !
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ। ঈদ কেমন কাটল?
কবিতাটা আমার অনেক প্রিয়, এজন্য যে এটার সাথে রয়েছে কিছু ইতিহাস। এই কবিতাটা যতটা সময় কেড়েছে আমার আর কোনো লেখা ততটা সময় নিতে পারে নি।
পড়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪১
এরিস বলেছেন: চারদিকে ফিতে!
অদ্ভুত ফিতে!
তারপর কিছুই দেখে না
মগ্নতায় দেয় ধীরে ডুব
নীরব-নিশ্চুপ!
কবিতা তেমন একটা বুঝতে পারিনা বললেই চলে। তবে ভালবাসি, খুব ভালবাসি। একা একা বসে হাঁটুতে থুতনি রেখে যখন নীরবে কোন কবিতা পড়ি, আমি আমার দরজা ছেড়ে অনেকদূর চলে যেতে পারি।
দূরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার কবিতা অবোধ্য হলেও আমার আপন মনে হয়।
আপনার কবিতা ভাল লেগেছে। অতন্দ্রিলা, দুইজন যুবক। ভাল লাগা জানবেন নায়েম ভাই।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এরিস, আপনি কি মেয়ে? ভুল হলে মাফ চাইছি। এমন ধারণার কারণ "একা একা বসে হাঁটুতে থুতনি রেখে" এই বাক্যবন্ধটি। বাক্যটা অনেক রমণীয়।
হ্যাঁ কবিতাটির কিছু পঙক্তি বেশ ভালই হয়েছে, তবে পুরোটা ভাল হয়নি। প্রথম প্রেমের অনুভূতি উঠে এসেছে কবিতায়।
এরিস, আপনাকে আবারও পেয়ে ভাল লাগল খুব। ভাল থাকবেন। স্বপ্ন দেখবেন। ইতিবাচক স্বপ্ন।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ও আপনি আমার নাম জানলেন কিকরে? ওটা নায়েম নয় নাঈম হবে। আমি আসলে ব্লগে ব্লগীয় নামেই সম্বোধিত হতে ভালবাসি।
শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ছন্দটা মুক্তক-অক্ষরবৃত্ত না?
বুঝেশুনে লিখতে চাইলে কবিতায় সময় লাগে অবশ্যই। ভাব আর আবেগের ঝর্ণা হলে এক বসাতেই কর্ম সারা। আর বেশী বুঝে শুনে লিখতে অতি সতর্কতার কারণে খানিকটা লাবণ্য হারিয়েছে মনে করি। কবিতা পাঠের আলাদা একটা তৃপ্তি আছে তা ছন্দে হোক কি গদ্যে। আমার কাছে ততটা তৃপ্তিদায়ক মনে হয় নি।
এত বৃত্ত, এত বিঘ্ন, এত অন্ধকার
তবু স্রোত, এত স্রোত কোথা হতে আসে
অতন্দ্রিলা ভাবে আর প্রশান্তিতে হাসে।
তারপর অতন্দ্রিলা স্বপ্ন দেখে রঙধনু-যুবকের মুখ
বিস্তীর্ণ আকাশ দেখে – ছুট-ছুট মেঘের দঙ্গল
পাখির ডানায় দেখে দিগন্তে উড়াল
তারপর কিছুই দেখে না
মগ্নতায় দেয় ধীরে ডুব
নীরব-নিশ্চুপ!
-শেষের দিকে যতটা ভাললাগা কাজ করেছে শুরুর দিকে তা বলতে গেলে অনুপস্থি।
ভাল থাকবেন। প্রত্যাশা করি আরো আরো লিখবেন।