![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"Only He Who Can See The Invisible Can Do The Impossible" Frank Gain আমার ইমেইল ঠিকানাঃ [email protected]
আজ তার বয়স ছত্রিশ বছর পূর্ণ হয়ে একদিন। অর্থাৎ আজ তার সাঁইত্রিশতম জন্মদিন। জন্মদিন পালন করা হয় না কখনোই। তবে কখনো কোনো জন্মদিনে কেউ শুভেচ্ছা জানালে বেশ ভাল লাগে। নিজের জন্মদিন অন্যের মনে আছে জানলে কার না ভাল লাগে। পৃথিবীতে নিজের কিছুটা হলেও গুরুত্ব আছে, এটা উপলব্ধিতে এলে মনটা অনেক ভাল হয়ে যায়।
শিফা আজ মোবাইলে অনেকগুলো শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছে। কিন্তু তার মোটেই ভাল লাগছে না। থেকে-থেকে মনেহচ্ছে প্রত্যেকে তার বয়সটা মনে করিয়ে দিচ্ছে। পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত সে কোনোদিন বয়স নিয়ে টেনশন করেনি। বয়স যে বাড়ছে এটা কোনোদিন ভাবনাতেই আসেনি। ছাব্বিশতম জন্মদিনে এক বান্ধবি যখন ফোন করে জানতে চেয়েছিল বিয়ে হয়েছে কিনা এবং নিজের বাচ্চাদের বিভিন্ন বর্ণনা ও স্বামীর সাথে নানান খুনসুটির টুকটাক উদাহরণ দিচ্ছিল তখন মনেহয়েছিল, হমম বয়সটা এখন বিয়েরই বটে। একটা বর থাকলে মন্দ হয় না। কয়েক বছর পরে একটা ছেলে কিংবা মেয়ে। বাহ!
তারপর গত এগার বছর ধরে প্রত্যাশার ওজন সে বয়ে চলেছে। সাতাশ-আটাশ পর্যন্ত ততটা খারাপ লাগত না। কিন্তু ত্রিশের পর সেটা ক্রমশ বোঝা হয়ে উঠতে লাগল। এখন এই চল্লিশের কাছাকাছি এসে প্রত্যাশার বোঝাটা যন্ত্রণা হয়ে উঠেছে। প্রায়ই রাতে ঘুম হয় না। হাসফাস করে রাত কেটে যায়। শরীর এবং মন একটা শক্তপোক্ত পুরুষকে কামনা করে।
ইদানিং ঘনঘন উল্টা-পাল্টা কিছু করার ইচ্ছা হয় শিফার। অনেক তো ধৈর্য দেখিয়েছে। বঞ্চিত হয়েছে। বছরের পর বছর পার করেছে। বিনিময়ে প্রাপ্তির ঘরে যোগ হয়েছে বয়সের ভীষণ ভার! ঘরের সবাই তাকেই দোষারোপ করে। এমন কি প্রেম করার যোগ্যতা নেই বলেও গাল-মন্দ শুনতে হয়। যে মুহূর্তে সবার কাছ থেকে মানসিক সমর্থনটা বেশি দরকার সে মুহূর্তেই সে টের পায় সকলের এক বড় যন্ত্রণার নাম, শিফা।
শিফা কিন্তু দেখতে মোটেই খারাপ নয়। শ্যামলা মুখাবয়বে সবুজ প্রকৃতির স্নিগ্ধতা আছে। চোখের দৃষ্টিতে রয়েছে টুনটুনির প্লবগ চঞ্চলতা। শরীর ইদানিং সামান্য স্থূল হলেও বেঢপ নয় মোটেই। সব মিলিয়ে সে আকর্ষণীয়া নিঃসন্দেহে। পুরুষদের চোখে চোখ পড়লে সে আরও নিশ্চিত হয়ে যায়। তারপরও এই মধ্যবয়স পর্যন্ত, যদিও তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই, সে কুমারি রয়ে গেল।
হায় কবে যে কুমারিত্বের যন্ত্রণা ঘুচবে। অবশ্য ইচ্ছা করলে যে কোনো দিনই সেটা ঘুচানো যায়। মেয়েদের পক্ষে এটা সবচেয়ে সহজ কাজ। কেননা তাদেরকে এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য দাতা হাতেম তাইয়ের অভাব নেই বরং একটু বাড়াবাড়ি রকমেরই বেশি আছে। কিন্তু শিফার সংস্কৃতি বরাবর তাকে নিরুৎসাহিত করে এসেছে। একটা বৈধ পবিত্র সম্পর্কের তৃষ্ণা তাকে হাতেম তাইদের সাহায্য নিতে বাধা দিয়েছে। কিন্তু সে তো কোনো রাবেয়া বসরীও নয়। খুবই সাধারণ একটি মেয়ে। ধৈর্যের দেওয়ালে ফাটলতো দেখা দিতেই পারে; এবং তাই হয়ত দিয়েছে। যে কোনো দিনই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে পারে কোনো অনুকূল উপলক্ষের ছোঁয়ায়। এই সম্ভাবনা ইদানিং সে নিজেই খুব টের পাচ্ছে।
বাসায় মাস কয়েক আগে বার/তের বছরের একটি ছেলে, তাদের দূর-সম্পর্কীয় আত্মীয়, বেড়াতে এসেছিল। ছেলেটা তার কাছাকাছি এলেই শরীরের ভিতরে তার কেমন একটা অনুভূতি হত। ছেলেটাকে ধরে আদর করে দিতে ইচ্ছা করত। সকলের সামনে বসেই সে একদিন ছেলেটার গাল টিপে দিয়ে আদর করেছিল। যদিও ছোটদেরকে এভাবে আদর করাটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু চোরের মন সব সময়েই অপরাধী। সে সংশয়ে এদিক-ওদিক তাকিয়েছিল, ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু হয়ে যায়নি তো। কেউ কিছু মনে করেনি তো।
ছেলেটা একদিন তার ঘুমঘরে পাশে এসে বসলে, শরীরের সেই অনুভূতিটা প্রবল হয়ে উঠেছিল। গাল টিপে দিয়ে বলেছিল, তোমাকে আমার কিভাবে যে আদর করতে ইচ্ছা হয়!
- কিভাবে?
দেখবে?
ছেলেটা ঘাড় নেড়ে দেখাতে বললে সে ছেলেটাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে, বরং বলা চলে জাপটে ধরে ভারী স্তনের চাপে পিষ্ট করে ওর দুঠোঁটে ঠকাস করে গাঢ় একটা চুমু ঠেসে দিয়েছিল। আর হ্যাঁ ওটাই ছিল পুংলিঙ্গের কাউকে তার কামনার্ত প্রথম চুমু। ছেলেটা শুধু দুষ্টু নয় দুষ্টও বটে। তারপর থেকে সে সুযোগ পেলেই শিফার গায়ের কাছে ঘেঁষতে চাইত। এবং শিফার কাছে সেটা ভালই লাগত। ছেলেটা কয়েকদিনের মধ্যে চলে না গেলে কী যে হত বলা যায় না।
তারপর এই তো সেদিন ফুপাত ভাই শিহাব এসেছিল। দশ/এগার বছরের বালক। আশ্চর্য ওকে দেখেও শরীরে, মনে কুটকুটানি শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভয় লেগেছিল তার। সে কি তবে মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছে। ঘুমকামরায় ঢুকে অনেকক্ষণ কেঁদেছিল সে।
কিন্তু কান্না তো কোনো সমাধান নয়। শিফা এখন সমাধান চায়। রক্ত-মাংসের জীবন্ত সমাধান। বৈধ-অবৈধের তর্কে মন এখনও অসহায়। সুতরাং যা কিছু করার হুট করেই করতে হবে। একবার করে ফেললে সংস্কার আর পথ আগলে দাঁড়াবে না। প্রথম পদক্ষেপেই যত দ্বিধা। এই দ্বিধার বাধা হুট করে, স্রেফ হুট করে যে কোনো একদিন সে কাটিয়ে দেবে।
সিদ্ধান্তটা নিতে পেরে তার মন আমোদের আমেজে বেশ কিছুক্ষণ আহ্লাদিত থাকে। নিষিদ্ধের আকর্ষণ চিরন্তন। রক্তের ভিতরে এই আকর্ষণ মাঝে-মাঝে উন্মাদনার ঝড় তোলে। ঝড়ের তোড়ে নৈতিকতার চাল উড়ে যায়। শিফার দৃষ্টিতে ধরা পড়ে একটা পুরো আকাশ। বৃষ্টি আসুক বৃষ্টি। কুকুর-বেড়াল বৃষ্টি! লণ্ডভণ্ড করে দিক সব। সে এখন বৃষ্টিতে ভিজবে।
বাহ, এত চমৎকার একটা সমাপ্তি এত তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব প্রত্যাশিত ছিল না মোটেই। লোভ হচ্ছে গল্পটা এখনেই থামিয়ে দেই। এমন অসাধারণ শিল্পিত পরিসমাপ্তি হয় না তো রোজ। কিন্তু শিফার পুরোটা যদি না শুনাতে পারি মনটা খচ-খচ করবে যে। তো -
তো পারিবারিক চেষ্টাতেও কিছুই হল না যখন, তখন সে নিজেই চেষ্টা শুরু করে দিয়েছিল। বিভিন্ন ম্যারেজ মিডিয়াতে সে ছবি পাঠিয়েছে, পত্রিকার পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন ধরে ধরে সে যোগাযোগ করেছে; এমন কি কয়েকটা প্রেমের চেষ্টাও করেছে। কিন্তু ঐ যে কেউ কেউ আছে না যাদের কোনো কিছুতেই কিছু হয় না। বারবার পিছলে যায়। নব্বইয়ের ঘরে আটকে যায়। আহারে একটুর জন্য! এই আফসোস আর ঘোচে না।
আচ্ছা প্রেম কি চাইলেই পাওয়া যায় কিংবা করা যায়? রুচির একটা ব্যাপার আছে না। মিল-অমিলের শ্বাশ্বত নিয়ম-কানুন আছে না। ভাল লাগার শর্ত আছে না। শুধু কি তাই, ভাল লাগলেই কি ভালবাসা যায়? ভাললাগা এবং ভালবাসা এ দুয়ের মধ্যে আরও একটা স্তর কি নেই? মুগ্ধতা কি ভাললাগার চেয়ে অধিকতর গাঢ় নয়? গভীরতর নয়? সুতরাং মুগ্ধতার স্তরে উঠতে না পারলে ভালবাসা কিকরে হবে? বড় জোর মোহ আসতে পারে, যাকে ভালবাসা বলে অনেকেই ভুল করে। আর এখনতো চারিদিকেই ভুল ভালবাসার ছড়াছড়ি এবং ছাড়াছাড়ি!
প্রেম বুঝতে শেখার বয়স থেকেই তো শিফা মুগ্ধতার প্রত্যাশায় ক্রমাগত হেঁটেই চলেছে। হেঁটেই চলেছে। মঞ্জিলে মঞ্জিলে আরও পথই পেয়েছে। ঠাঁই আর পায় নি।
কিন্তু সে কাকে একথা বলবে। কেই বা তাকে বুঝবে। মেয়েদের কে আসলে কেউই বোঝে না। বুঝতে চায়ও না। শুধু রহস্যময়ী, ছলনাময়ী, মায়াবিনী ইত্যাদি বিশেষণ দিয়ে এড়িয়ে যেতে এবং জটিল করে তুলতেই সবাই অভ্যস্ত। প্রকৃতপক্ষে মেয়েদেরকে বুঝতে চায়, উপলব্ধি করতে চায়, অনুভূতির গহনে নিয়ে তাদেরকে ভাবতে চায় এমন কেউ কি আছে? অধিকাংশ পুরুষই তো শারীরিক। স্থূলভাবেই শারীরিক। শরীরটাই বোঝে। সে তো এমনও শুনেছে এটা নাকি পুরুষদের কমোন ডায়লোগ, “বৌয়ের শরীর খুশি তো সব খুশি”।
ছি! এমন শরীর সর্বোস্ব চিন্তাধারার পুরুষের সাথে দাম্পত্য সে ভাবতেই পারে না।
মনের সাথে মনের লেনদেনের যে সূক্ষ্মতা, যে কোমলতা, যে সৌন্দর্য্য, যে কারুকার্য তা উপভোগের যোগ্যতা ক’জনের থাকে? আদৌ কি কারও আছে? শিফার আজকাল সন্দেহ হয়। সূক্ষ্মতার সমীকরণ মিলল না বলেই তো তার প্রেম হতে হতেও হয়নি একবারও। সবাই হয়ত তার মতো সমীকরণ মিলবার অপেক্ষায় থাকে না। কেউ হয়ত অর্থ-বিত্তকে প্রাধান্য দিয়ে মনের সমীকরণকে এড়িয়ে যায়। কেউ হয়ত জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নেয়। শুধু সেই পারল না। সে কি কোনো ভুল করেছে?
সম্বন্ধের বিয়েতে তো আর এত সব ভাবনার অবকাশ নেই। সুতরাং সে তা ভাবতেও যায় নি। মুরুব্বিরাই সাধারণত সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। সেটা যে খারাপ হয় তাও নয় বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাল হয়। কেননা মুরুব্বিরা অনেক ভেবে-চিন্তে, বিচার-বিশ্লেষণ করে, খোঁজ-খবর নিয়ে তারপর বিয়ের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছান। কিন্তু তার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই ক্লিক করছে না। হতে হতেও হচ্ছে না। বারবার সেই নব্বইয়ের গেরো।
শিফা তথাকথিত সুন্দরী নয়, কিন্তু সুন্দর। ভিজে কাপড়ে বড় আয়নার সামনে সে মাঝে মাঝেই দাঁড়ায়। নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেই মুগ্ধ হয়ে পড়ে। নিজেকে তার সমুদ্র সমুদ্র মনে হয়। অজস্র ঢেউয়ে গড়া তার নোনা শরীর। ভাবতে ভাবতে তার শরীরের ভেতর জেগে ওঠে আরেক শরীর। যেন আলাদা দুটি শরীর পরস্পর মুখোমুখী। তার দুটি হাত তখন রূপান্তরিত অন্য দুটি হাতে। সেই হাতের ছোঁয়ায় সে কেঁপেকেঁপে ওঠে। কখনো তর্জনী কখনো মধ্যমায় টর্নেডো শুরু হয়। আর টর্নেডোর পরে বিপর্যস্ত ঘরের মতো সেও পড়ে থাকে – বিষণ্ন! অবসন্ন!
এবং না চাইতেও এরকম দিনগুলি ফিরে ফিরে আসে। কিছুতেই রোধ করা যায় না। এই সময়টায় নিজেকে খুব অসহায় লাগে। মাঝেমাঝেই কান্না পায়। কাঁদেও। কিছুতেই বুঝতে পারে না কেন তাকে বছরের পর বছর এভাবে একদম একাকীই কাটিয়ে দিতে হল। দেখতে সে সুশ্রী। পারিবারিক ইতিহাসও ভাল। কোথাও কোনো ঝামেলা নাই। তারপরও সে আটকে রইল।
গতবছর পরিচয় হয়েছিল দুজনের সাথে। মোবাইলে। কিন্তু লুচচা দ্যা গ্রেট। চাইনিজের অন্ধকার কোণ যেন মেয়েদের বুক হাতানোর জন্য। সুতরাং প্রথম দেখার দিনেই তাদের কে পত্র পাঠ বিদায়। আসলে তার ভাগ্যটাই খারাপ। আশেপাশে যাদেরকেই পাচ্ছে সবাই যেন একই রকম; প্রত্যেকের চোখে আশ্বিনের কুকুরের লালা ঝরে। ঐ সব কুকুরের লোমশ থাবা তার শরীরের যত্র-তত্র ঘাটছে সে ভাবতেই পারে না।
সে কি তবে কাউকেই আর পাবে না? বয়সের সাথে তো এখন মিলিয়ে কাউকে পাওয়াই দুষ্কর। এই সব ভাবনার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় হতাশা তাকে আঁকড়ে ধরতে চায়। হতাশার হাত থেকে বাঁচার জন্যই জোরে পানির কল ছেড়ে দিয়ে সে শুয়ে পড়ে। পানির তীব্র ধারা শিশ্নের মতো আঘাত করতে করতে তাকে ভিজিয়ে দিতে থাকে। পানির এই তীব্র বেগ তার ভাল লাগে। শরীরের ভেতর আরেকটা শরীর জেগে ওঠে। দুটি হাত হয়ে যায় পুরুষের হাত।
ইদানিং কোনো কল সে মিস করতে চায় না। তাই গোসল-কামরাতেও সে মোবাইল নিয়ে ঢোকে। বেসিং-আয়নার সামনের তাকে রেখে দেয়। সম্ভবত অবচেতনে আশা – কোনো একজন, কেউ একজন যদি কোনো দিন ---
সুতরাং মোবাইলটা বেজে উঠলে বেগানা পুরুষটি বিদায় নিল। পাশের ফ্লাটের রিংকুর কল। এবার এস. এস. সি. দিয়েছে। হাতে কোনো কাজ নেই তাই অকাজের কোনো শেষ নেই।
কী খবর রিংকু? কল দিলে যে?
- আরে সেই কখন থেকে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কতবার নক করলাম। কেউ তো খুলছেই না। সবাই কি নাক ডেকে ঘুমাইতাছেন?
না, সবাই বাসার বাইরে আছেন। আমিই শুধু বাসায় আছি।
- তাইলে আপনি খুললেই তো পারতেন।
আরে আমি তো গোসল করছি। তা কি জন্য হিরোর আগমন?
- আপনার জন্মদিনের উইশ করতে।
কিভাবে জানলে?
- হাহ্ হা, রিংকু সবার হাড়ির খবর রাখে।
তাই?
- হাজার বার তাই।
ওক্কে বস, আপনি একটু দাঁড়ান, হিরোইন এক্ষুনি আসছে।
শিফা আয়নার দিকে তাকাল। অনেক দিন ধরে উলটাপালটা করার যে ইচ্ছাটা মনের মধ্যে তোলপাড় তুলছে তার আঘাতে এত দিন অবিচল থাকলেও এক্ষণে বুকের ভিতর ধড়াস ধড়াস পার ভাঙ্গার আওয়াজ উঠল। ভাঙ্গনের দ্রুত গতি তাকে আরও নিঃসংশয় হতে সাহায্য করল। আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে একবার চোখ মারল। অর্থাৎ গো অ্যাহেড।
কোমরে তাওয়ালটা পেঁচিয়ে নিয়ে শিফা গোসলঘর থেকে বের হয়ে আলনা থেকে আরেকটা তাওয়াল টেনে নিয়ে গায়ে জড়াল। তারপর দরজা খুলে দিল। রিংকু ভিতরে ঢুকে শিফার এই মূর্তি দেখে হতবাক হয়ে পড়ল। উইশ করতে সে ভুলে গেল। শিফা তাকে অপাঙ্গে দেখল একবার তারপর ঘুমকামরার দিকে যেতে শুরু করে ডাকল, আসো।
ঘুমকামরায় ঢুকেই শিফা রিংকুর দিকে ঘুরে দাঁড়াল। ঠোঁটের কোনায় কেমন এক অনভ্যস্তের হাসি। কোথায় যেন অস্বস্তির কাঁটা বিঁধছে। না কিছুতেই পিছু হটা চলবে না। কাঁটাটাকে আজকেই তুলে ফেলতে হবে।
বুকের উপর কাঁধের দুপাশ দিয়ে নামিয়ে দেওয়া তাওয়াল মেঘের মতো শুধু পর্বত চূড়াই ঢাকতে পেরেছিল। মাঝখানটা ফাঁকা থাকায় পর্বতগাত্রের সবই দৃশ্যমান। এমন ভংগিতে শিফা দাঁড়িয়েছিল পায়ের উরু অব্দি দেখা যাচ্ছিল। রিংকু চোখ সরিয়ে নিতে চাইল। তার সংকোচ হচ্ছিল। শিফাপু এত সিনিয়র, তার দিকে এভাবে তাকানো হয়ত ঠিক নয়। কিন্তু ভিতরে সে তার প্রচণ্ড ষাঁড়ের শক্তি নিয়ে অনন্য জাগরণ টের পেল। বুঝতে পারল, মোমে আগুন লেগেছে। তার আর কিচ্ছু করার নেই। জ্বলন্ত মোম গলবেই।
শিফা রিংকুর দিকে তাকিয়ে মাথা পিছন দিকে হেলিয়ে দুহাতে চুল ঝাড়তে যেতেই বুকের তোয়ালেটা খসে পড়ে। আসলে খসে পড়ে তার শেষ সংকোচটুকুই। কৃত্রিম লজ্জার ভান করে ঝট করে তোয়ালেটা তুলতে যেতেই কোমড়ের কাছে গিটে টান লেগে – ওটা যেন সংস্কারের গিট – নিম্নাংগের তোয়ালেটাও পায়ের কাছে ঝরে পড়ে। সাথে সাথে শিফা অনুভব করে কোথাও কোনো সংকোচ-সংস্কারের আড়াল আর নাই। বেপর্দা ময়দান বেগানা বাণের জলে এবার ভেসে যাবে। ভেসেই যাবে।
আহ, আবারও সেই চমৎকার পরিসমাপ্তির হাতছানি। এই আহ্বান, এই আবেদন কিভাবে উপেক্ষা করি। এবং আমি কখনো উপেক্ষার হাতে সঁপি নি আন্তরিকতা। তাছাড়া শিফার ঘুম-কামরায় উঁকি দিয়ে নৈতিকতাকে বানের জলে ভেসে যেতে দেয়া আদৌ কি ঠিক হবে ? কিন্তু জীবন্ত 3 এক্স দেখার এমন সুযোগ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করাও কি বোকামি হয়ে যাবে না? সুযোগ কি জীবনে বার-বার আসে? সুতরাং -
সুতরাং শিফা এবার সরাসরি রিংকুর চোখের দিকে তাকাল। শিফার ঠোঁটের কোণে এখন কোনো অনভ্যস্ততার হাসি আর লটকে নাই। সেখানে তীব্র ইচ্ছার প্রজাপতি ডানা মেলেছে। দুটো ইচ্ছুক ঠোঁট বাড়িয়ে সে রিংকুর দিকে এগোতে শুরু করলে হঠাৎ রিংকুর মগজে একটা দৃশ্য ভেসে উঠল। সে ভয়ানক ভাবে চমকে উঠল। মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল একটা অনুভূতি নেমে গেল।
শিফার চোখ দুটি যেন আগুনের ফুলকি। দুটি রাক্ষুসে ঠোঁট যেন তাকে গিলতে আসছে। সে ভয় পেল। দিনে দুপুরে ভুতের ভয়। তার মনে হল সে ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে। বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে সে দরজার দিকে ছুটতে শুরু করল।
পিছনে কি হচ্ছে তার কিছুই আর রিংকু দেখতে পায়নি। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম ছুটন্ত রিংকুর পিঠে শিফার হতাশ-হতবাক দৃষ্টির তীর পারলে ঝাঁঝরা করে দেয়।
পরিশিষ্টঃ গতরাতে রিংকু একটি ভুতের ছবি দেখেছিল। সেখানে এক ডাইনি, কামার্ত-সুন্দরী নারীর ছদ্মবেশে পুরুষদেরকে প্রলুব্ধ করে, তার ফাঁদে ফেলে তাদের ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে রক্ত পান করছিল।
(এতক্ষণে গল্প আমার প্রকৃতই শেষ হল প্রিয় পাঠক/পাঠিকা। এতটাক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।)
পরিশিষ্ট
ঘুমটা চটকে গেল নাঈমের। লাফ দিয়ে উঠে বসল। হাতড়াতে হাতড়াতে সুইচ টিপে আলো জ্বাললো। তারপর তাড়াতাড়ি আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। নাহ, সে শিফা নয়। নাঈমই আছে। স্বস্তি ফুটে উঠল চেহারায়। শরীর ঘামে ভিজে গেছে। টি-শার্টটা খুলে ছুঁড়ে মারল আলনার দিকে। বাথরুমে যাওয়ার আগে আরেকবার তাকাল আয়নায়। এই গভীর রাতে আলো জ্বালানোর জন্য তাকে এখন মহাবিরক্ত হয়ে কারও বলবার কথাঃ এই কী হইছে তোমার? আলো জ্বালাইছ কেন? দিলা তো ঘুমটা নষ্ট করে। যত্তসব!
কিন্তু ঐ যে আছে না কারও কারও কিছুতেই কিছু হয় না। যখন যা পাওয়ার, পায় না। যা থাকার, থাকে না। বারবার পিছলে যায়। নব্বইয়ের ঘরে আটকে যায়। আহারে একটুর জন্য! এই আফসোস আর ঘোচে না।
শিফার জন্য মায়া লাগল খুব। সে মায়ার শরীর কোমল, পেলব, কাশফুলের মতো নরম। সে মায়া শুধু নিজেকেই করা যায়।
হাহ .……
এক বেখেয়ালি দীর্ঘশ্বাস তারপর বাতাসে মিলায়! সাক্ষী তার রাতের বাতাস!
(কখনো কখনো সমালোচনা অধিকতর ভাল করতে, সুন্দর করতে সাহায্য করে। তবে শর্ত একটাই সমালোচনাকে হতে হবে গঠনমূলক। এই ব্লগে আমি ভাল কয়েকজন বন্ধু পেয়েছি। যারা আমার লেখার গঠনমূলক সমালোচনা করে আমাকে ভাল করার প্রেরণা দিচ্ছেন। সাহস দিচ্ছেন। আমার সেই প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম একজন লেখক হাসান মাহবুব। এই গল্পটা তাকে উৎসর্গ করলাম।)
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আগে পড়েন বন্ধু।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথম প্লাস।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্যার, কেমন আছেন আপনি? আপনার এই প্রথম প্লাস, দ্বিতীয় প্লাস, তৃতীয় প্লাস এর মানেটা একটু বলেন তো?
যাক আপনার কাছ থেকে প্লাস পেয়ে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ জানবেন।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নাম দিন কঠিন বাস্তবতার গল্প!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কেমন আছেন স্বপ্নবাজ? ঢাকায় কি ফিরেছেন? আমাদের আড্ডাটা শীঘ্রই হওয়া দরকার। ফেবু তে একটা গ্রুপ খুলেছি। আপনাকে যুক্ত করে নেয়ার অপেক্ষায় আছি।
আপনার মনে হচ্ছে কঠিন বাস্তবতার গল্প, আবার নিচে রাইয়ান সুহানের মনে হচ্ছে রসময় গুপ্তের গল্প। এমনই হয়। পাঠকে পাঠকে দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ থাকবেই। লেখক অবশ্য বাস্তবতার গল্পই লিখতে চেয়েছিলেন।
যা হোক আপনার নামটি বিবেচনায় রাখছি।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
ফিরাখ রাইয়ান সুহান বলেছেন: নাম দিতে পারেন " একটি মেয়ে এবং রসময় গুপত "
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমার বাড়িতে স্বাগতম জনাব ফিরাখ রাইয়ান সুহান। আমার লেখার তীব্র তীব্র সমালোচনা হোক এটাই আমার আন্তরিক ইচ্ছা। সমালোচনা আমাকে সঠিক পথ দেখাবে। তবে রসময় গুপ্তের কাহিনী বলতে যা আমরা বুঝি লেখক কিছুতেই তার সাথে এই গল্পের কাহিনীকে মেলাতে পারছেন না। প্রাক তারুণ্যে ঐ জাতীয় কাহিনী পড়ার অভিজ্ঞতা লেখকের আছে।
তবে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিচ্ছি কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন বলে। এবং আপনাকে নিয়মিত আমার ব্লগ-বাড়িতে আশা করছি। সামনে একটা যৌনবিকৃতির গল্প আসবে। সেটাতেও আপনার বিস্ফোরক মন্তব্য আশা করছি।
ভাল থাকবেন। বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা।
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনি গল্পের নাম কি দিবেন বুঝতে পারছেন না আর আমি মন্তব্য কি করব বুঝতে পারছিনা ।
তবে জটিল হইছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ইস কাণ্ডারী ভাই, একটা নাম প্রস্তাব করলেন না! আমি নাম খুঁজে পাচ্ছি না। স্বপ্নবাজ অভি অবশ্য একটা প্রস্তাব করেছে। চাচ্ছিলাম আরও কয়েকটা নাম পেলে তার ভিতর থেকে একটা পছন্দ করব।
আপনার ভাল লাগা আমাকে উৎসাহিত করছে। ভাল থাকবেন। আর বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। আমি নিজে অনেক স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখতে পারি বলেই অনেক হতাশা, ঘাটতির মাঝেও মনে হয়ঃ জীবন এত সুন্দর!
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার বলার ভঙ্গি চমৎকার। দুবার থামিয়ে দিয়ে গল্প শেষ করে আবার নতুন করে শুরু করার আইডিয়াটা অভিনব।আইবুড়ো নারীর সাইকোলজি চমৎকার ফুটে উঠেছে। ফিনিশিংটাতে দুর্দান্ত হিউমার। তবে স্বপ্নের অংশটা বাড়তি মনে হয়েছে। আমি মনে মনে ওটুকু ছেটে ফেললাম।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: হাসান ভাই, কেমন আছেন? আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আমার মনে কত্ত বড় একটা হাসি যে ফুটেছে সেটা যদি কেউ দেখত, তাহলে আমার আনন্দে সেও নিশ্চিত অনেক আনন্দ পেত। গল্পটা লিখতে গিয়ে বেশ কয়েক জায়গাতেই মনে হয়েছিল এখানেই তো শেষ করে দেয়া যায়। এবং সে সব জায়গাতে সমাপ্তিটা আদর্শ সমাপ্তিই হয় বলে আমার মনে হয়েছিল। তখনই ধারণাটা মাথায় আসে। আর স্বপ্নের অংশটা নিয়ে আপনার মতামত মাথায় রাখলাম। আপনি একজন শক্তিশালী গল্পকার। আপনার মতামত অবশ্যই সেভাবে ভাবনার অবকাশ রাখে। একজন সাধারণ পাঠকের ভাল লাগা, মন্দ লাগার চেয়ে একজন শক্তিশালী লেখকের অনুভূতি আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমি আসলে যা বলতে চেয়েছিলাম, যেভাবে বলতে চেয়েছিলাম তা হয়ত সেভাবে স্বপ্নের অংশে বলতে পারিনি। তাই এই অংশটা বাড়তি মনে হয়েছে। আবার এই লাইন কটা একটু পড়ে দেখেন তোঃ "তাই তো তুমি-আমি আলাদা কেউ নই। তারপর এক বেখেয়ালি দীর্ঘশ্বাস বাতাসে মিলায়! সাক্ষী তার রাতের বাতাস!"
কিছু কি বোঝা যায়, কোনো একটা লুকানো তথ্য? নাঈমের সম্পর্কে? যদি বোঝা যায় তাহলে আর আরোপিত মনে হবে না। যদি বোঝা না যায় তাহলে হয় স্বপ্নের অংশটা বাদ দিয়ে দিতে হবে, নয় নতুন করে অন্যভাবে লিখতে হবে।
দয়া করে আরেক বার যদি মতামত দিতেন।
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পের শিরোনাম হতে পারেঃ স্বপ্ন বিলাস
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কিন্তু একটু খটকা থেকে গেল। স্বপ্ন বিলাসিতা তো সেটাকে বলে যদি জেগে জেগে অনেক অনেক বেশি স্বপ্ন দেখা হয়। এবং তার মধ্যে যদি আকাশ কুসুম থাকে।
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। আরেকবার পড়ে দেখলাম। নিঃসঙ্গতা লৈঙ্গিক বিভাজন মানেনা। আপনি স্বপ্ন এবং বাস্তব, এই দুই পর্যায়ে একাকীত্বের অনুভব লিঙ্গভেদে দেখিয়ে পরস্পরের মধ্যে হাহাকারের সেতুবন্ধ করতে চেয়েছেন বলে মনে হল। সেক্ষেত্রে আমি বলব, কে যেন মনের ভিতর বলে উঠলঃ মনের সাথে মনের লেনদেনের যে সূক্ষ্মতা, যে কোমলতা, যে সৌন্দর্য্য, যে কারুকার্য তা উপভোগের যোগ্যতা ক’জনের থাকে? আদৌ কি কারও আছে? এই লাইনগুলোর বদলে অন্য কোন কিছু থাকলে, যেমন ছেলেটির নিঃসঙ্গতার ছোট্ট বর্ণনা, তাহলে পাঠকের কাছে আরো সহজে যেত মেসেজটা। নাহলে স্বপ্নের ব্যাপারটা প্রথম পাঠে আনারী চমক মনে হতে পারে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: হাসান ভাই দেখেন তো স্বপ্নের অংশটা কিছুটা বদলে ফেলেছি। এবার বলেন ঠিক আছে না আগেরটাই রাখব?
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
নেক্সাস বলেছেন: দারুন একটা গল্প। বলা যায় টাচি। খুব সুক্ষ্ম ভাবে তুলে এনেছেন যাপিত জীবনের চরম সত্য।
গল্পের একটা যুথসই নাম দিয়ে দিন।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্বাগতম নেক্সাস। শেষ পর্যন্ত নাম একটা পেয়েছি। মনে হচ্ছে খুবই যুতসই হয়েছে। কারণ আইবুড়ো কালের দীর্ঘশ্বাসই তো ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি এই গল্পে।
আপনি কি স্বপ্নের অংশটা অসম্পাদিত অবস্থায় পড়েছিলেন? যদি পড়ে থাকেন তাহলে বলেন তো আগেরটা ভাল ছিল নাকি সম্পাদনার পরেরটা ভাল হয়েছে?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, প্রিয় নেক্সাস। আপনার মন্তব্য আমাকে সাহস দিচ্ছে। ভাল থাকবেন সব সময়। আর যত পারেন বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই আমাদের সামনে এগোবার প্রেরণা জোগায়।
১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
ভিয়েনাস বলেছেন: আপনার কমেন্টের রেপ্লায় না দেখলে গল্পটা বুঝা সহজ হতো না।লিখেছেন চমৎকার।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম, ভিয়েনাস। পাঠকের ভাললাগাই হল লেখকের স্বার্থকতা। আপনার মন্তব্যে অনেক ভাললাগছে আমার।
ভাল থাকবেন। আর স্বপ্নটা অনেক বেশি দেখবেন। আমার মনেহয় আমাদের সম্মিলিত স্বপ্নই এদেশকে দ্রুত এগিয়ে নিতে পারে। আমাদের স্বপ্নের জোর ছিল বলেই বলা চলে খালি হাতে দেশটাকে স্বাধীন করতে পেরেছিলাম। স্বপ্নের সাথে যোগ হয়েছিল কর্মপ্রচেষ্টা, ফলে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজ আমরা ইমার্জিং টাইগার। আপনার আমার স্বপ্নই হল আমাদের সম্ভাবনা।
১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার। নামকরণটাও সুন্দর হয়েছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: হাসান ভাই, শেষটা যদি সুন্দর হয়ে থাকে তবে কৃতিত্ব পুরোটাই আপনার। আপনার সমালোচনাই আমাকে শেষটুকু অন্যভাবে লিখিয়ে নিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ। এমন সমালোচনা সব সময় চাই। আসলে সমালোচকই লেখকের উত্তম বন্ধু।
১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
নেক্সাস বলেছেন:
কেউ গল্পের কাহিনী দেখে....
কেউ ঘটনা পরম্পরা বিন্যাস দেখে....
কেউ বর্ণনার মুন্সিয়ানা দেখে.....
কেউ শব্দের বুনন দেখে------
কেউ শুরু আর শেষের শ্রেষ্ঠত্ব দেখে.....
কেউ ম্যাসেজ দেখে.......
সমালোচকের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নতা থাকবে....এটা গ্রহনযোগ্য।
কিন্তু তাই বলে সবাই সমালোচক নয়। সবার মন্তব্য কে সমালোচনা ভাবারো কোন অবকাশ নাই। কেউ নিজস্ব গোঁড়ামী বা জানার সল্পতায় একটা গল্পের মোটিভ বা গল্পকারের উদ্দেশ্য কে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করতেই পারে.... সেটাকে সমালোচনা বলার কোন যুক্তি নাই।
কাজেই কোন মন্তব্যটি আপনি কিভাবে গ্রহন করবেন সেটা আপনিই ঠিক করবেন। হতাশ হওয়ার কিছু নাই।
দারুন একটা ভিন্নধারার প্লট নিয়ে সাহসী একটা লিখা লিখেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন।
ক্যারি অন.....
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটা আমার লেখক জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ মন্তব্য। এটা একটা দিকনির্দেশনাও বটে। আমার এই মুহুর্তের ভাল লাগাটা পরিমাপ করা যাবে না। আত্মবিশ্বাস এক মন্তব্যে অনেকগুণ বেড়ে গেল।
শঙ্খ ঘোষের একটা লেখায় পড়েছিলামঃ
পদ্য = সর্বোত্তম শব্দের সর্বোত্তম ব্যবহার।
গদ্য = শব্দের সর্বোত্তম ব্যবহার।
আমারও তাই মনে হয়। লেখার সময় আমি এটা মনে রাখি। তবে কতটা প্রতিফলিত করতে পারছি জানি না।
আপনার এই উৎসাহ-দেওয়া এবং দিকনির্দেশনামূলক মন্তব্যটা আমার চিরদিন মনে থাকবে। আল্লাহ আপনাকে তাড়াতাড়ি পূর্ণ সুস্থ করে তুলুন।
১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আরে বাহ! দারুণতো!
দ্বিতীয়বার শেষ করে দেবার পরে ভাবছিলাম এটাই ভাল, আর কেন টেনে বাড়ানো কোরিয়ান মুভির মত। শিফার কাহিনী শেষ হবার পরে বেচারি শিফার জন্য কষ্টও পেলাম আবার ব্যাপক হাসিও পেল। কিন্তু কোরিয়ান মুভির তাতেও শেষ নাই। অবশেষে ঘুম ভেঙ্গে নাঈম জেগে উঠল।
চমৎকার।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ, সমুদ্র কন্যা। শুধু ২য় জায়গাতে নয় আরও কয়েক জায়গাতে শেষ করা যেত। তাতেও একটা ভাল গল্পই পাওয়া যেত বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা আর বলা হত না। সেটা বলার জন্যই নাঈমের আগমন। একটা বিষয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিনা আমি নিশ্চিত নই - নাঈম স্বপ্নের ভিতর কিন্তু নিজেকেই দেখেছে; শিফা হিসাবে। তাই স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর সে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং নিজেকে নাঈম হিসাবে পেয়ে স্বস্তি পেয়েছে। অর্থাৎ স্বপ্নের অব্যবহিত পরের বিভ্রমটা কেটে গিয়েছিল।
আপনাকে আমার বাড়িতে পেয়ে অনেক ভাল লাগছে। আশা করি নিয়মিতই আসবেন এখন থেকে। তাহলে আরও ভাল লাগবে। বাংলাদেশের বাংগালিরা অতিথি পেলে খুশি হয়। ভাল থাকবেন।
১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: শিফার ভেতর নাঈমের নিজেকেই দেখবার ব্যাপারটা প্রথমে ধরতে পারি নি। দুইবার পড়ে, মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য দেখে তারপর ধরেছি। এ কারণেই কোরিয়ান মুভির সাথে তুলনাটা এসেছে। শেষ করে দেয়া সম্ভব এমন জায়গা থেকেও মুভিগুলো প্রায় তিরিশ-চল্লিশ মিনিট এগুতে থাকে। আরো আরো অনেক কিছু দেখায়।
শুভেচ্ছা রইল। কথা হবে আবারও।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কোরিয়ান মুভি একটা দেখেছিলাম ভাল করে। মোটেই ভাল লাগেনি। আরও দুয়েকটা সম্ভবত দেখেছিলাম মাঝখান থেকে।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।
১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বোকামন বলেছেন:
সুন্দর লেখনী !
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: খুব ভাল লাগে যখন প্রায় প্রতিটি পোস্টেই আপনাকে পাই। ভাল থাকবেন। আমি বিশ্বাস করি আপনারাই আমার স্বপ্ন দেখার সারথি।
১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
আমিভূত বলেছেন: কি লেখা উচিত বুঝতে পারছি না গল্প পড়ার সময় চোখের পানি আটকে রাখতে পারলেও গলা ধরে এসেছিল !!
অসম্ভব ভালো লেখার হাত আপনার ,অনুভূতি ,মূল্যায়ন ,চেতনা কি অদ্ভুত ভাবে একটি গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
ভালো থাকবেন ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে আমি অনেক দিন থেকেই চিনি। মাঝে মাঝেই আমি আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে ঘুরে যেতে দেখেছি সম্ভবত। অথবা আপনি আমার বাড়িতে কখনো আসেন নি তবে অন্যান্য বাড়িতে আপনাকে আতিথ্য গ্রহণ করতে দেখেছি।
আপনার মন্তব্য ভাললাগার একটা দারুণ স্পর্শ দিয়ে গেল। আমার স্বপ্নের শাখা-প্রশাখা আরও প্রসারিত হওয়ার সাহস অর্জন করল।
ভাল থাকবেন প্রিয় ভূত। আপনি যদি সাথে থাকেন তাহলে কোনো ভূতকেই আর ভয় পাওয়ার কারণ দেখি না।
১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অস্থিরতা যাচ্ছে।
অনেক সময় লাগলো পড়তে।
ভালো লেগেছে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: দুর্জয় ভাই আপনার কিছু কিছু কবিতা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। কখনো কখনো অস্থিরতাই ভাল কবিতার জন্ম দেয় কিন্তু। আশা করি শীঘ্রই আপনার কাছ থেকে ভাল ভাল অনেক কবিতা পাব।
গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম। ভাল থাকবেন।
একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন ছিল, আপনি কি ঢাকায় থাকেন?
১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অফটপিক- একজনের মন্তব্যে তার মনের ভেতরে লুকায়িত কালোসাপটা ফণা তুললো দেখলাম। এইগুলার বিষদাঁত ভেঙে দেয়া দরকার কী বলেন? ব্যাকস্ট্যাবারদের থেকে খুব সাবধান।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনি ঠিক কোন মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত দিলেন বুঝলাম না। আসলে আমি গ্রামের পোলা তো একটু কমই বুঝি। কেউ কেউ তো বোকাই ভাবে। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি সাহিত্যিকদের মাঝে দল বিভাজন ইত্যাদি থাকতে নাই। একজন সাহিত্যিকের বিশ্বাস, দর্শন, মতবাদ, আদর্শ, রাজনীতি ইত্যাদি আলাদা হতে পারে, কিন্তু সে একজন সাহিত্যিক এই পরিচয়েই আমি তাকে স্বাগত জানাব। এই পরিচয়ের জন্যই আমি তাকে আপনার জন মনে করব।
আমাকে সাবধান করার জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই।
১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
হুম, ঢাকাতেই আছি।
শুক্রাবাদে থাকি।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বাহ চমৎকার। আমরা একটা গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ফেবু তে সাহিত্য-আড্ডা নাম দিয়ে খুলেছিও। আপনাকে আমাদের গ্রুপে চাচ্ছি। দয়া করে নিচের লিংকটাতে একটু ক্লিক করে যদি দেখতেন।
View this link
২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
আমিভূত বলেছেন: ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম
আতিথ্য গ্রহণ করলাম , আমি অলস পাঠক গল্প পেলেই গিলি কিন্তু মন্তব্য করা আর হয়না
গতকাল পড়ে যাওয়া এই গল্প আজ খুঁজে বের করতে প্রায় আধা ঘণ্টা লেগেছে, কেননা এই গল্পে মন্তব্য না করলে বেশীই কার্পণ্য হয়ে যায়
লিখে যান সাথে আছি আর যাতে হারিয়ে না ফেলি তাই অনুসরণ করে নিলাম :!>
আর ভূতকে ভয় পাবার কোন কারন নেই ভূতেরা আর যাই হোক কোনদিন অমানুষ হবে না
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভূত ভাই। আপনি কি ঢাকায় থাকেন? তাহলে আমাদের গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। উপরের প্রতি মন্তব্যে লিংক দেওয়া আছে। ক্লিক করে একটু দেখে নিন না।
২১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
নাঈম নিজের ভেতরই শিফাকে দেখতে পায়...
দারুণ আইডিয়া...
তাছাড়া বার বার গল্প শেষ হয়েও আবার শুরু করার ধারণাটা ছোটগল্পের সংজ্ঞায় না গেলেও ভাল লাগছে...
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্বাগতম। অনেক ভাল লাগছে আপনাকে পেয়ে। আমি একদমই নতুন তো তাই কেউ ভুল ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করলে বেশ খুশি হই। সবার কাছ থেকে মনে মনে আশা থাকে দুর্বলতাগুলি যদি দেখিয়ে দিতেন।
আপনার নামটা আমার অনেক পছন্দের। অর্থ কি?
২২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৩
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: নামের অর্থটা হলো...
সুপান্থ= সুপথের পথিক
সুরাহী= সুপথের পথিক
সুপান্থ আমার ছদ্মনাম
আর
সুরাহী নামে বাবা একসময় লিখতেন...
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৮
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ।
পান্থ = পথিক।
রাহী = পথিক। সংস্কৃত সু + ফারসী রাহী।
তবে আরবি থেকে উদ্ভুত সুরাহী = জলের পাত্র।
বাহ আপনার বাবাও লিখতেন! এটা শুনে সবচেয়ে ভাল লাগল।
২৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
কালোপরী বলেছেন:
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: !!!!!!
মানে খুশি।
সামুর ইমোগুলি এত বিচ্ছিরি লাগে! আমি ব্যবহার করি না।
২৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাহ! অদ্ভুত লেখেন আপনি। দুইদুইবার (নাকি তিনবার) শেষ করেও শেষ হয়নি। ব্লগের রেসপেক্টে বড় লেখা, কিন্তু পড়তে একটুও ক্লান্তি লাগেনি, এতেই আপনার লেখার মুন্সিয়ানা বেশ ফুটে উঠেছে।
শেষে এসে নাঈমকে ধরে যে ইউটার্নটা দিলেন ! মাই গড!! ক্ষুণাক্ষরেও ভাবিনি এমন কিছু হতে পারে।
একটা জিনিস, ছেলেটা শুধু দুষ্টু নয় দুষ্টও বটে - এখানে দুষ্টু - দুষ্ট এই দুয়ের বানানগত পার্থক্য ছাড় অর্থগত কোন পার্থক্য আছে কি?
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্বাগতম। একটা অকপট স্বীকারোক্তিঃ অনেক দিন থেকেই প্রত্যাশা ছিল আপনি যদি আমার বাড়িতে আসতেন! এমন প্রত্যাশা তৈরি হওয়ার কারণ - আমি লক্ষ করছিলাম আপনি বিভিন্ন পোস্টে বেশ গঠনমূলক মতামত ব্যক্ত করেন। অন্য অনেকের মতো সৌজন্যের প্লাস বর্ষণ করে ক্ষান্ত হন না। ভুল-ত্রুটি, দুর্বলতা সনাক্ত করেন। আমি নতুন ব্লগার আমার অত হিটের দরকার নেই। আমার দরকার আপনার মত প্রাজ্ঞ পাঠকের। আপনার কাছে আমার প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেল। বরং দাবিই বলি – অনুগ্রহ করে আপনি আমার বাড়িতে নিয়মিত আসবেন এবং খাপ-খোলা তলোয়ার দিয়ে আমার লেখার ব্যবচ্ছেদ করবেন।
আপনার প্রশংসা আমাকে আপ্লুত করে দিচ্ছে। সাহস পাচ্ছি। আমার ব্যর্থতার পাহাড় জমতে জমতে এখন মাউন্ট এভারেস্ট। লিখতে গিয়েও ভয়ে আছি – হচ্ছে তো কিছু?
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শান্তির দেবদূত। সব সময় ভাল থাকবেন। নিরন্তর শুভ কামনা।
দুষ্টু = দুরন্ত, অশান্ত (আদুরে ডাক)।
দুষ্ট = পাজী, খারাপ, দোষযুক্ত। বদমাশ শ্রেণির লোক। এটা সাধারণত নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
২৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: লেখকের উপর পাঠকদের প্রত্যাশার একটা প্রচন্ড চাপ থাকে, কিন্তু পাঠকের উপরে যে গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশি এমন চাপ থাকবে কখনও ভাবিনি। আপনি হয়ত আমাকে একটু ওভাররেটেট করে ফেলেছেন। চাকুরি, পরিবার ইত্যাদির ফাকে ফাকে একটু আধটু লেখি আর অন্যের পোষ্ট পড়ি, এই আর কি।
আর, শুধু লিখে যান, লিখে যাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। লিখতে লিখতেই একসময় লেখার মান বাড়বে, প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন। এভাবেই ভাল লেখা বের হবে।
পুড়ে গিয়েই ত ফিনিএক্সের পূর্নজন্ম হয় তাই না? না পুড়লে কি হত? তাই ব্যার্থতার পাহাড় নিয়ে চিন্তা করবেন না। শুভেচ্ছা রইল অনেক আর এমন ভাল ভাল লেখা লিখতে থাকুন।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনাকে আবারও মন্তব্যে পেয়ে অনেক ভাল লাগল। আপনাকে আমি মোটেই অতিমূল্যায়ন করিনি। যা সত্যি তাই বলেছি। দেখি তো কিভাবে একেকটা পোস্টে সৌজন্যের প্লাসের ছড়াছড়ি। সেখানে আপনার মতো দুয়েকজন ব্লগার ব্যাতিক্রম আছেন যারা নিছক সৌজন্যবশত মন্তব্য করেন না। আপনাদের ভাললাগা মন্দলাগা তীব্রভাবে জানিয়ে দেন। লেখকের জন্য দরকার এটাই। সৌজন্যের প্রশংসায় লেখক নিজের লেখার সঠিক মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হন। আমি অন্তত লেখার ক্ষেত্রে সচেতন। সব সময় চাই তীব্র সমালোচনা হোক। সমালোচনা হচ্ছে লেখকের জন্য আশীর্বাদ।
আবারো শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।
২৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এলুম এবং পড়েও ফেললুম। অনেকের হিসেবে হয়তো আমি রক্ষণশীলদের দলে পড়ে যাবো। তবু বলতে চাই কাহিনীতে "হট" দৃশ্যের অবতারণা না করলেও কাহিনীর কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি হয় না। তবে সবার উপস্থাপন যে একই হতে হবে তেমন কোনো কথা নেই, লেখকের স্বাচ্ছন্দ্যই আসল কথা।
তা ছাড়া গল্পে লেখকের বক্তব্য বা নাক গলানোটা বিশেষ করে ছোটগল্পের মান ক্ষুণ্ণ করে বলে অনেকের এমন ভাবনার সঙ্গে আমিও ঐকমত্য পোষণ করি। গল্পে আপনি উঁকি দিয়ে পাঠক হিসাবে আমাকে বিরক্ত করেছেন। আপনার ওই কথায় (৩বার) আমার মনোযোগ বা একাগ্রতা যা বলেন তা নষ্ট হয়েছে। নয়তো এক টানে গল্পটা পড়ে শেষ করতে পারতাম।
শেষে আরেকটা কথা বলি- আপনি গদ্যে বেশি ভাল করবেন। শুভকামনা থাকলো।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: : বড় ভাই এজন্যই আপনাকে আমি মনেপ্রাণে আমার ব্লগে এত বেশি চাই। আপনি খালি প্রশংসাই করেন না সাথে আপনার চোখে যা দুর্বলতা মনে হয় তার দিকেও ইঙ্গিত করেন। আমাদের নবীণ লেখকদের জন্য এটা বেশি দরকার। গল্প কয়েক জায়গাতে থামিয়ে দিয়ে আবার শুরু করাটা বলতে পারেন একটা পরীক্ষা। লিখতে গিয়ে আমার মনে হয়েছিল, বাহ এখানেই তো থামিয়ে দেয়া যায়। তাই চেয়েছিলাম পাঠকও আমার সাথে ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারুক। কিন্তু ঐ তিন জায়গার যে কোনো এক জায়গাতে যদি শেষ করতাম তাহলে পাঠককে বোধকরি শেষের ধাক্কাটা দিতে পারতাম না। নাঈমের প্রসংগ টেনে বলতে চেয়েছি কিছু কিছু অনুভূতি লিংগভেদ মানে না।
যা হোক আপনার শেষের প্রশংসায় সাহস পাচ্ছি।
ভাল থাকবেন।
২৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: পরিশিষ্ট ছাড়াই এটা একটা চমৎকার মাইন্ড ব্লোইং গল্প । নামকরণটাও সুন্দর হয়েছে ।
রিংকুর সামনে ইচ্ছেকৃতভাবে তোয়ালে ফেলে দিয়ে নিরাভরণ না হয়েও শিফা রিংকুকে চেটে পুটে খেতে পারত । এই যে কল্পনায় কাম বা দীর্ঘশ্বাসের ঝড়ো হাওয়া হয়ে উঠা- এই অন্তর্গত বোধের বর্ণনা দারুণ ব্যাপার হয়ে উঠতো ।
শুভকামনা এবং গল্পে ভাললাগা ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মামুন ভাই ধন্যবাদ। আসলে যে দুর্বলতাগুলো আছে এগুলো অপরিপক্কতার ফল। গল্পে এখনও হাত পাকেনি। মাত্রই তৃতীয় গল্প এটা। তবে আশা করছি আপনারা সাথে থাকলে এবং যে দুর্বলতাগুলি চোখে পড়বে তা ধরিয়ে দিলে এগিয়ে যেতে পারব।
ভাল থাকবেন সব সময়।
২৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বর্ণনাভঙ্গি সুন্দর এবং প্রাঞ্জল। আরও প্লাস পয়েন্ট, গল্পটাকে অনেক দূর টেনে নিতে পেরেছেন এবং বেশ কয়েকটা টুইস্ট দিতে পেরেছেন। বেশ স্পর্শকাতর একটা টপিক বলে পড়ার সময় একটু সংকোচ হয় তা অস্বীকার করবো না, তবে শেষ করতে ইচ্ছে করে। সম্ভবত লেখক চাইছেন কিছু ব্যাপার, যেগুলো আড়ালে থাকে, যেগুলো সাইকোলজিক্যাল বিষয়, সেগুলোকে সামনে নিয়ে আসতে। কাজটা মোটেই সহজ নয়।
অনেক শুভকামনা। আপনার কাছ থেকে সুন্দর লেখা চাই।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্বাগতম। আমার বাড়িতে আপনাকে পেয়ে যারপরনাই আনন্দ হচ্ছে। এই ব্লগে যে কয়েকজন বস-গল্পকার আছেন আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। দৈনন্দিন তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়গুলোকে যেভাবে আপনি গল্প বানান, আমার হিংসা হয়। সার্থক গল্পকার তিনি যিনি তুচ্ছ বিষয়টাকে তুলে ধরে তাচ্ছিল্যের খোলস খসিয়ে দিয়ে বিষয়টার অসামান্য দিকটাকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। সে দিক থেকে আপনি সার্থক।
মনের ভিতরে অগুন্তি অলি-গলি, বাঁক-মোড়, কানাগলি। জটিল তার রসায়ন। সুতরাং এই মনের ভিতরের ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে কাজ করা কিছুটা তো কঠিন বটেই।
যৌনতা মানবজীবনের একটি অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু অনেকেই তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে সংকোচ বোধ করেন। আমিও তাদের দলে। অথচ অন্তরালে কত কিছুই তো ঘটে যায়। তার সব বাইরে আনা ঠিক নয়। তবে কিছ-কিছু ব্যাপার লুকিয়ে রাখাও অন্যায়। যৌনতার নানা দিক নিয়ে সামনে সিরিজ গল্প লেখার ইচ্ছা আছে। সেখানে শারীরিক ব্যাপারগুলোর চেয়ে মানসিকতা ফুটিয়ে তোলার আগ্রহই বেশি। দেখি কতদূর কি করতে পারি।
আপনার কাছ থেকে যে প্রশংসাটুকু পেলাম তা আমার পাথেয় হয়ে থাকবে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: অলওয়েজ ড্রিম ভাই, প্রথমে বলি, আপনার উৎসর্গ নিয়ে। আচ্ছা বলেন তো বই উৎসর্গ এই ব্যাপারটা বাংলা সাহিত্যে প্রথম চালু করেন কে? আপনি হয়তো জানেন। তবুও অন্য অনেকে যারা জানেন না তাদের জন্য বলি। মধুসূদন দত্ত তার 'বীরাঙ্গনা' কাব্য উৎসর্গ করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে। সেই শুরু বাংলা সাহিত্যে কাউকে গ্রন্থ উৎসর্গ করার রীতি। দেখুন কেমন যোগ্য লোক কেমন যোগ্যতমকে উৎসর্গ করেছিলেন। আপনি ও একদম সঠিক লোকটিকেই বেছে নিয়েছেন।
ব্রেকিং নিউজের মতো যেটা এসেছে সেটাকে কিন্তু বিজ্ঞাপণ বিরতির মতোই বিরক্তিকর মনে হলো, সেই সাথে এই মনে হলো এই বিরতির সময়টার বিজ্ঞাপণের জন্যই তো এতো সুন্দর সুন্দর নাটক দেখি, তাই কি আর করা! এর মানে মেনে নিলাম।
পানির তীব্র ধারা শিশ্নের মতো আঘাত করতে করতে তাকে ভিজিয়ে দিতে থাকে। এখানে 'শিশ্ন' শব্দটির ব্যবহার নিয়ে আমার সংশয় আছে। অন্য কিছু বলা যেত।
ভাষা হয়েছে চমৎকার, সাবলীল আর গতিশীল। চিন্তার বুননও চমৎকার। একটা জায়গায় খাপ ছাড়া, মেয়েটির কেন বিয়ে হচ্ছে না। এর কিন্তু স্বাভাবিক কোনো কারন দাড় করানো যায়নি। কেবল জানানো হচ্ছে, হচ্ছে না। শারীরিক যেহেতু সমস্যা নেই, তাই আর্থ-সামাজিক কারণ ও কিন্তু উঠে আসতে পারতো। আসলে সেগুলোও নেই। তাই শেষের পরিশিষ্ট আনার দরকার হলো। আর পরিশিষ্টটা গল্পকে পরিপূর্ণ করার জন্য এসেছে। কিন্ত আমার কেন জানি মনে হয়, পরিশিষ্ট ছাড়াই গল্পটি চমৎকার দাড়িয়েছে। যদি শিফার বিয়ে না হওয়ার স্ট্রং কোনো কারণ ঢুকিয়ে দেয়া যায়। অবশ্য লেখকের স্বাধীনতাই সবচেয়ে বড়। লেখকের চিন্তাই সর্বশেষ চিন্তা।
আর কী বলবো? একটু আগেই হাসান মাহবুব ভাইয়ের গল্প পড়ে আসছি (গল্প যদি শুনতে চাও, আমার কাছে এসো!) তাই তার গল্পের রেশ এখনো রয়ে গেছে। আপনার গল্পটি পড়ার পর পরই গল্পের রেশ কেটে যাচ্ছে, এমন যেন না হয়। চিন্তা করে দেখেন। তা হলে আরো ভালো হয়। (অথচ পরিশিষ্টটা না থাকলে এই গল্পের রেশ থেকে যেত মনের মধ্যে। ঠিক যেখানে শেষ হতে পারতো বলে আপনিই লিখেছেন। এজন্য যে পাঠক নিজে চিন্তা করতো এরপর কি হলো, কি হতে পারতো। অবশ্য এই চিন্তা আপনিও করেছেন। এবং সুচিন্তিতভাবেই এগিয়েছেন।)
আপনার গল্পের হাত ভালো। গল্প বলার স্টাইলটাও ভালো লাগলো। এর আগে আপনার আর কোনো গল্প পড়িনি তাই আরো পড়ে পরের গুলোতে মন্তব্য করবো। ভালো থাকুন। সব সময়।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সজীব ভাই আপনাকে আমি এই জন্যই খুব করে চাচ্ছিলাম। আপনি অনেক ব্যাপক ও বিশ্লেষিত আকারে মন্তব্য করেন। আমিও চাই আমার লেখার কঠোর সমালোচনাই হোক। যদিও আপনি আলোচনা করেছেন ব্যাপক আর সমালোচনা করেছেন সামান্য। হয়ত প্রথম বার বলেই। তবে আমার দাবি থাকবে আমার লেখার প্রতি আরও কঠোর হবেন। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি সমালোচনা একজন লেখককে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, লেখার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে।
গল্পটাকে থামিয়ে দিয়ে আবার এগিয়ে চলা ছিল পরীক্ষামূলক। কিন্তু এই ফরম্যাটে আর গল্প বুনন আপাতত করছি না। কারণ বুঝতে পারলাম এটা আসলেই হয়ত বিরক্তিকর কিংবা আমারই যোগ্যতা হয়নি উপভোগ্য বিজ্ঞাপন রচনার।
“পানির তীব্র ধারা শিশ্নের মতো আঘাত করতে করতে তাকে ভিজিয়ে দিতে থাকে”। আসলে শিফা হয়ে উঠেছে অতি যৌন-আকাঙ্খী। পানির ধারাটাকেও তার শিশ্নের মতোই মনেহয়। কেননা এর আঘাতেও সে মৃদু হলেও যৌনসুখ পায়। গল্পে সরাসরি উল্লেখ করিনি পানির ধারা ঠিক কোথায় আঘাত করছে। শিশ্নের উল্লেখ করে শুধু ইঙ্গিত দিয়েছি। আর পানির ধারাকে শিশ্নের সাথে তুলনা করার ব্যাপারটা মাথায় এসেছে এক মহিলার বাস্তব স্বীকারোক্তি থেকে। আমার বন্ধু ‘ম’ লুচ্চাশ্রেষ্ঠ ছেলে। তার কাছে তার এক লুচ্চা বান্ধবী বলেছিল গোসলখানায় পানির কল পূর্ণ গতিতে ছেড়ে দিয়ে তার নিচে শুয়ে থাকতে তার অনেক ভাল লাগে। কারণ যখন তীব্র গতিতে পানির ধারা জরায়ু মুখে আঘাত করে তখন নাকি সে বেশ সুখ পায়। এটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য। মানুষ যখন অসহায় তখন হাতের কাছে যা পায় তাই সে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে।
শিফার বিয়ে না হওয়ার বড় কোনো কারণ আসলেই নাই। আমার স্বজনদের মাঝে বেশ কয়েকজন আত্মীয়া এরকম বিপদে পড়েছিলেন। এমন সব কারণে তাদের বিয়ে ভেঙে যেত যে অবাক হয়ে যেতাম। যেমন একটা উদাহরণ দেই – ঢাকায় মেয়েদের কোনো বাড়ি নেই, কিংবা ফ্লাট নেই। অথচ, যার কথা বলছি, তিনি ছিলেন বেশ ধনী পরিবারের মেয়ে। তাদের অনেকগুলো গাড়ি ছিল। কোটি কোটি টাকার শিল্প প্লট তারা কিনতেছেন। কিন্তু বাড়ি করেন না বা ফ্লাট কেনেন না। সম্ভবত তাদের হিসাব বাড়ি করার জন্য যে টাকা খরচ করবেন সেই টাকা ব্যবসায় খাটালে রিটার্ন বেশি আসবে। তো বাড়ি নেই বলে তার বিয়েটা ভেঙে গেল। এরকম টুকটাক কারণে বিয়েগুলো ভেঙে যেত। আর তার প্রেমও হয়নি কারণ সে ছেলেদের খুঁত ধরত বেশি। শেষদিকে মরিয়া হয়েই সম্ভবত একটা ছেলের সাথে প্রেম শুরু করেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানা গেল ছেলেটা বিবাহিত। যাহোক এই গল্পে তার কিছুটা ছায়া আছে। আছে আরও কয়েকজনের। আর ছোটদের প্রতি যে যৌন-আকর্ষণ এটাও একটা বাস্তব ঘটনা থেকে নেয়া।
বিয়ে না হওয়ার বড় কিছু কারণ দেখাতে পারতাম। কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল না সেটা দেখাই। আমি মূলত দেখাতে চেয়েছিলাম, “কিন্তু ঐ যে কেউ কেউ আছে না যাদের কোনো কিছুতেই কিছু হয় না। বারবার পিছলে যায়। নব্বইয়ের ঘরে আটকে যায়। আহারে একটুর জন্য! এই আফসোস আর ঘোচে না” তাদের কি অবস্থা?
আপনার প্রশংসা মন ভরিয়ে দিল। আমার লেখার ঔৎকর্ষের প্রয়োজনেই আপনার মতো বন্ধু ব্লগার আমার পাশে থাকা অপরিহার্য বলে আমি মনে করি। আশা করি তা থেকে আমি বঞ্চিত হব না।
শুভ কামনা সব সময়।
ও, উৎসর্গের বিষয়টা জানতাম না। জেনে ভাল লাগল।
৩০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রথমেই বলব আপনার লেখার ধরণ সুন্দর , গদ্যের হাত ভালো। দ্বিতীয়ত বানান সংক্রান্ত কোনও ঝামেলাই চোখে পড়ে নাই, আর অলক্ষ্যে যদি সেটা এড়িয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সেটাও আপনার লেখনির কৃতিত্ব।
একজন আইবুড়ো নারীর মানসিক জ্বালা দুর্নিবার, আশে পাশের কয়েকজনকে দেখে বুঝতে পেরেছি। তার যেমন মহল্লায় কিশোর থেকে শুরু করে বুড়োদের দ্বারাও টিজ হয় কিন্তু নারীর শরীর বলি আর পুরুষের শরীরই বলি না কেন একটা সময়ে বিশেষ করে যখন পরিপূর্ণ ভাবে কেউ শরীরের চাহিদা বুঝতে পারে আর সে সময় সঙ্গীহীন হয় সেটা আর বেশি মারাত্মক। নারীদের এই বয়সটা সম্ভবত ৩০ এর পর শুরু হয়।এরকম একটা ব্যাপার নিয়ে লিখতে শুরু করে দিয়েও থেমে গেছি। আপনার গল্প পড়ে সেটা আবার লেখার তাগিদ অনুভব করছি।
এবার দুই একটা অন্য প্রসঙ্গে বলি। আপনি দুই বার গল্পের মাঝে নক করেছেন , অর্থাৎ - চাইলে আমরা এখানেই গল্পের সমাপ্তি ভেবে পড়া থামিয়ে দিতে পারি এবং বন্ধনী দিতে লেখাটা লিখেছেন। আমার মনে হয় বন্ধনীর লেখাটাও আপনি গল্পের ভাষার সাথে মিলিয়ে করতে পারতেন। পরবর্তীতে এটা মাথায় রাখলে ভালো হবে।
গল্প এবং মন্তব্যও সবই উপভোগ করলাম। হাসান ভাই আপনাকে যে ব্যাপারে সাবধান করলেন অর্থাৎ ৪ নাম্বার মন্তব্যকারী সুহানের মন্তব্যকে। আপনি কি ভাবে লিখেছেন এবং পাঠক কিভাবে নিচ্ছে তার চেয়েও বেশি মনে রাখা জরুরী পাঠকের রুচি ভেদ আলাদা হবেই।
গল্পের নাম সুন্দর হয়েছে। আর নাঈমের দীর্ঘশ্বাসটাকে বাতাস থেকে তুলে আনতে সক্ষম হলাম। শেষ লাইনটা ভালো লাগলো।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অপর্ণা আপু আপনি এসেছেন! খুব খুশি হয়েছি। অনেক অনেক খুশি হয়েছি। আর আপনার প্রশংসা পেয়ে গদোগদো হয়ে গেলাম। (গদোগদো = আপ্লুত)
আপনার পরামর্শ অবশ্যই মাথায় থাকবে।
আপনার মন্তব্যের যে বিষয়টা সবচেয়ে আমার ভাল লেগেছে তা হচ্ছে আপনিই সম্ভবত নাঈমকে সবচেয়ে ভাল উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আমি তো এটাই চাচ্ছিলাম যে পাঠক শিফার গল্প থেকে দুঃখ নিক শেষে হাসিও নিক, কিন্তু সবশেষে নাঈমের দীর্ঘশ্বাসটাকে উপলব্ধি করুক। এই গল্পটাতো আসলে নাঈমেরই দুঃস্বপ্নের গল্প। স্বপ্নের ভিতর সে কিন্তু দর্শক ছিল না, সেই ছিল শিফা।
অনেক ধন্যবাদ আপু। আশা করি আপনাকে এখন থেকে নিয়মিত আমার বাড়িতে পাব। কথা দিচ্ছি আতিথেয়তায় মোটেই কার্পণ্য করব না। বাঙালির আতিথেয়তার খ্যাতি জগৎজোড়া তা তো জানেনই।
সব সময়ের জন্য শুভ কামনা।
৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি সুহানের মন্তব্যের কথা বলি নাই।
৩২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, হামা ভাই কি ১ নাম্বারটার কথা বলেছেন ?
তিনি গতকাল একটা লেখা প্রসব করেছেন, গল্প কিংবা আবিষ্কারের কাহিনী । ভাই এই মাসের সংকলন নিয়ে ব্যাপক চাপে আছি । মডুরাই যেখানে ব্লগে টিকতে পারে না, সেখানে আমি...
:-&
৩৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
এরিস বলেছেন: নিঃসঙ্গতায় ভুগতে থাকা শিফার সাইকোলজি নিয়ে চমৎকার গল্প লিখেছেন। একবার বৈধ অবৈধ নিয়ে ভাবনা, আবার সব নিয়ম ছিঁড়ে নিজেকে মেলে দেয়ার বাসনা। মানসিক আর নৈতিক টানাপোড়ন, প্রয়োজনের কাছে নীতির বিসর্জন, ছলনা, এসবকিছু মিলে শিফা চরিত্রকে আরও বেশি রঙ দিয়েছে।
একটা বৈধ পবিত্র সম্পর্কের তৃষ্ণা তাকে হাতেম তাইদের সাহায্য নিতে বাধা দিয়েছে।
...ছেলেটা একদিন তার ঘুমঘরে পাশে এসে বসলে, শরীরের সেই অনুভূতিটা প্রবল হয়ে উঠেছিল। গাল টিপে দিয়ে বলেছিল, তোমাকে আমার কিভাবে যে আদর করতে ইচ্ছা হয়!
...শিফা এখন সমাধান চায়। রক্ত-মাংসের জীবন্ত সমাধান। বৈধ-অবৈধের তর্কে মন এখনও অসহায়।
...ছি! এমন শরীর সর্বোস্ব চিন্তাধারার পুরুষের সাথে দাম্পত্য সে ভাবতেই পারে না।
মনের সাথে মনের লেনদেনের যে সূক্ষ্মতা, যে কোমলতা, যে সৌন্দর্য্য, যে কারুকার্য তা উপভোগের যোগ্যতা ক’জনের থাকে? আদৌ কি কারও আছে? শিফার আজকাল সন্দেহ হয়।
কিছু কথার মধ্য দিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্র পেয়েছি। তবে কিছু কিছু জায়গায় স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ইংগিত থাকায় কয়েকবার গল্প ছেড়ে উঠতে যাচ্ছিলাম, তবু বাধ্য হলাম শেষ দেখে যাই, আপনার লেখনীর কৃতিত্ব।
পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সবার নিঃসঙ্গতার একই রূপ দাঁড়ায়। নাফিসের ঘুম ভেঙ্গে উঠা কি নির্দেশ করলো , আমি শিওর হতে পারিনি। নিজের নিঃসঙ্গতাকে মেয়েরূপ দিয়ে সে এই দুঃস্বপ্ন দেখেছে?? নাকি তারই মতো নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণায় পুড়তে থাকা শিফার মতো একটি মেয়েকে পাশে চেয়েছে??
ভাল লাগা রেখে গেলাম। মিস করবো না আর কখনো।
জোরে-সোরে মহব্বতের সাথে স্বপ্ন দেখুন। স্বপ্নই সম্ভাবনা। লাইক।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় এরিস, স্বাগতম আমার বাড়িতে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। পড়তে গিয়ে অস্বস্তি লেগেছে জেনে একটু শরমিন্দা! স্বস্তির গল্প শীঘ্রই সম্ভবত দিতে পারব না। যৌনতার উপর ভিত্তি করে সিরিজ গল্প লেখার ইচ্ছা আছে। অবশ্যই সেগুলো হবে শৈল্পিক। অন্তত এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি সেগুলো রসময় গুপ্তের কাহিনী হবে না। সেগুলো যতটা না শারীরিক তার চেয়ে বেশি হবে মনের অন্ধকার থেকে তুলে আনা কিছু চমকে দেওয়ার মত গল্প। সেগুলো আমাদেরকে ভাবতে বাধ্য করবে। সচেতনও করবে।
যেহেতু বিষয়টা স্পর্শকাতর তাই অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। পরের গল্পটা দিতে হয়ত দেরিই হবে।
নাঈমের ব্যাপারটা উপরের বিভিন্ন মন্তব্যের জবাবে উঠে এসেছে। পড়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যাবে। তারপরও কিছু ধারণা দিচ্ছি - নাঈম একজন নিঃসঙ্গ মানুষ। সেও বিয়ের জন্য বৌ পায় নি। তারও বয়স কেটে যাচ্ছে। এ বিষয়টা নিয়ে সে হতাশাগ্রস্ত। নিশ্চয়ই সে এটা নিয়ে অনেক ভাবে। এবং ঘুমের মধ্যে তারই প্রতিফলন সে দেখতে পায়। নাঈমকে টেনে আনা হয়েছে মূলত নৈসঙ্গের কোনো লৈঙ্গিক বিভাজন নাই এটাই বোঝানোর জন্য। কিংবা কিছু কিছু চাহিদারও লৈঙ্গিক বিভাজন হয় না এটাই বোঝানোর জন্য। হঠাৎ নাঈমের উপস্থিতি পাঠককে চমকে দেয়। চমকটা হচ্ছে তার জন্য বোনাস।
আবারো ধন্যবাদ প্রিয় এরিস। অনেক সুন্দর মন্তব্য উপহার দিয়েছেন। আমি তো সামুর ব্লগারদেরকে ভালবাসতে বাধ্য হচ্ছি। সিনিয়র ব্লগাররা এত চমৎকার করে মন্তব্য করছে, অকপটে দুর্বলতাগুলি দেখিয়ে দিচ্ছে আমি আর্দ্র হয়ে যাচ্ছি। ক্রমশ সাহসী হয়ে উঠছি। আর আফসোস হচ্ছে কতগুলো বছর স্রেফ হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছি প্রেরণার অভাবে।
আপনারা যখন আছেন ইনশাআল্লাহ, আর সময়ের অপচয় হবে না।
সব সময়ে ভাল থাকবেন। এবং অবশ্যই বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নে যত জোর থাকবে আপনার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। চেষ্টা করবেন সম্মিলিতভাবে স্বপ্ন দেখার। তাহলে সম্ভাবনা আরও শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ পাবে। আমি সারাক্ষণ স্বপ্নের মধ্যেই ডুবে আছি। ওটাই আমার এখন সম্বল।
৩৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
এরিস বলেছেন: এহেম। আমি কিন্তু মোটেও সিনিয়র নই।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার বাড়িতে গিয়ে মাত্র উঁকি দিয়ে দেখে এলাম। আমি তো ভেবেছিলাম আপনি ছেলে। উঁকি দিতে গিয়ে দেখি ওমা, আপনি তো সালোয়ার কামিজ পড়ে আছেন! আর ব্লগিংয়ের বয়স সাত মাস। আমার নিয়মিত ব্লগিংয়ের বয়স ২ মাস। যদিও রেজিস্ট্রেশনের বয়স ১ বছরের বেশি। যা হোক সিনিয়রিটি মেনে নিলাম সাথে সাথে সিনিয়রিটি আপনার ব্লগে ফলিয়েও এলাম।
শুভেচ্ছা -----
৩৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
আরজু পনি বলেছেন:
এটা কি সেই লেখা যেটাতে শিরোনাম দিতে পাচ্ছিলেন না ?
সব আইবুড়ো মেয়েরা এমন হয় কি না, জানি না । তবে তেমন কাউকে পেলে জিজ্ঞেস করে দেখতে মিস হবে না ।
একটা করে অংশ শেষ করে লেখককে শৌভিকের ভুমিকায় অবতীর্ণ করতে দেখে গল্পটা বেশ বড় হওয়ার পরও শেষ করতে সমস্যা হয় নি । বরং মনোযোগ ধরে রাখতে পেরেছেন ।
বলার স্টাইলেই অনেকগুলো প্লাস দিতে হয় ।
আর কৃতজ্ঞতা জানানো দরকার আপনার মতো একজন সহব্লগারকে পেয়ে, যে আমার পোস্টে ভুলগুলোকে নিঃসঙ্কোচে ধরিয়ে দিয়ে আমার উপকার করেছে । আশা করি, সামনের সময়গুলোও আমার সীমাবদ্ধতাগুলোকে তুলে ধরতে দ্বিধা করবেন না ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: হ্যাঁ প্রিয় আরজু পনি, এটাই সেই গল্পটা। লেখার পর নাম খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাই ভাবলাম প্রিয় ব্লগারদের সাহায্য নেই। কিন্তু দুজন যে নাম প্রস্তাব করেছিলেন তাও পছন্দ হল না। তারপর হঠাৎ করেই এই নামটা মাথায় চলে এল। নামকরণের পর দেখি নামটা আসলেই মানিয়ে গেছে।
নিশ্চয়ই সব আইবুড়ো মেয়ে এরকম হবে না। কিন্তু শিফার বয়সটা হিসাবে আনলে, তার মতো যারা তাদের কিছুটা ক্ষ্যাপাটে হওয়ারই কথা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তীব্র হতাশা থেকে মানুষ অনেক কিছু করতে পারে যা স্বাভাবিক সময়ে সে করবে না। ভেবে দেখেন শিফার পরিস্থিতিটা। তার তো অবশ্যই শরীরের চাহিদা আছে। পুরুষ শরীরের স্বাদ যেহেতু কখনোই সে পায়নি সেহেতু অজানা সেই স্বাদের প্রতি দুর্নিবার কৌতূহল থাকা স্বাভাবিক। তবে বালকদের প্রতি তার যে আকর্ষণ সেটা স্বাভাবিক ছিল না। এই ক্ষেত্রে সে আসলেই মানসিক রোগী। তবে বালকদের হাতের কাছেই পাওয়া যাচ্ছে এবং তারা নিরাপদও সেই কারণেও তাদের প্রতি আকর্ষণ আসতে পারে।
আইবুড়ো মেয়ের কাছে জিজ্ঞেস করলেই আপনার কাছে সে বুঝি মন উজাড় করে দেবে? কস্মিন কালেও না।
আর হ্যাঁ পাশেই পাবেন সব সময় ইনশাআল্লাহ।
সব শেষে গল্পটা পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৩৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার। আসলে আমি খুব বেশি একটা সাহিত্যবোদ্ধা নই কিংবা সৃজনশীল লেখালেখির অভিজ্ঞতাও খুব একটা উল্লেখযোগ্য নয়। নিজেকে পাঠক হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাই খুব গভীরে থেকে গল্পটাকে বিশ্লেষন করতে পারছি না। একজন সাধারন পাঠক হিসেবে আমার উপলব্ধি, বেশ চমৎকার একটা গল্প পড়লাম। গল্পের দৃশ্যায়ন এবং চরিত্রের চিত্রায়ন খুব চমৎকার হয়েছে। পাঠক হিসেবে চরিত্রের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছিলাম। মাঝে মাঝে গল্পের কোন এক চরিত্রের সাথে নিজেকে কল্পনাও করে ফেলছিলাম। আমার নিজস্ব মতে, এই ব্যাপার গুলোই একটা সার্থক লেখার অন্যতম গুনাবলী।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রিয় কাল্পনিক_ভালবাসা, আপনার পাঠপ্রতিক্রিয়া আমাকে ভাললাগায় আচ্ছন্ন করে দিল। আপনাকে চুপিচুপি একটা কথা বলি, লেখক নিজেও একটা চরিত্রের সাথে নিজেকে বেশ একাত্ম করে ফেলেছিলেন।
আমাদের আশেপাশেই এই চরিত্ররা আছে। আমরা তাদের মনঃকষ্ট কখনো কি বোঝার চেষ্টা করি?
ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
৩৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণভাবে লিখেছেন, আসলে সময়ের কাজ সময়ে না হলে দুনিয়ার সব কাজেই সমস্যা হয়। বাস্তবতা দারুণভাবে তুলে এনেছেন...
+++
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ, জহিরুল ভাই। আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে এলাম। আরও বিস্তারিত লিখবেন আশা করি। ইরান সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে। ছোট বেলায় নজরুলের 'ইরানি বালিকা' গানটি শোনার পর থেকে এই আগ্রহ।
ভাল থাকবেন।
৩৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৪
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন:
সবার মন্তব্য গুলা এত্তো বিশাল বিশাল... তার জবাব দিতেই লেখকের না আবার গল্প লেখার মতই পরিশ্রম হয়ে যায়......
আমি বলবো শুধুই ভালো লেগেছে......
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমার আসলে বিশাল মন্তব্য পেতেই ভাল লাগে। কারণ বড় মন্তব্য করতে গেলেই লেখার আলোচনা-সমালোচনা করতে হবে। আমি চাই আমার সকল লেখা তীব্রভাবে সমালোচিত হোক। তাতে আমি লেখার দুর্বলতাগুলি চিনতে পারব।
ভাল থাকবেন ইকরাম বাপ্পী।
বাপ্পী = বাবা।
বাপ>বাপী>বাপ্পী
৩৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭
পড়শী বলেছেন: আমি গল্পের বোদ্ধা নই। পাঠক হিসেবেই বলি।
গল্পটি পড়ে ভালো লেগেছে। আমার মনে হয় পাঠক যখন কণ গল্প পড়ে, তখন গল্পের সাথে সে একাত্ম হয়ে যায় বা যেতে চায়। গল্পের চরিত্রের সাথে নিজেকে বা পরিচিত কাউকে বসিয়ে নেয় কেউ কেউ। তাই গল্পের মাঝখানে করা লেখকের বক্তব্যগুলো সেই একাত্মতার মাঝে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, এক গল্পে অনেক বিষয় টাচ করতে গিয়ে সম্ভবত শেষের ট্যুইস্ট। এটা আমার কাছে একটুও ভাল লাগেনি। টুইস্ট টা বাদেই গল্পটি, সচেতন পাঠকের চিন্তার জগতে যথেষ্ট ধাক্কা দিয়েছে।
ছোট গল্পের ভেতরে শিক্ষার বা চিন্তার উপকরণ সীমিত থাকলেই মনে হয় ভাল। একই বিষয় বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখানোর জন্য হঠাৎ করে পরিচয়বিহীন একটা চরিত্র কে শেষে ঢুকিয়ে দেয়াটা ঠিক ভাল করে হজম করতে পারিনি।
গল্প, গল্পই থাকুক। ইচ্ছাকৃতভাবে এটাকে শিক্ষণীয় বানানোর চেষ্টা না করলেই ভাল হয়, মনে হয়। যেটুকু শিক্ষণীয়, সচেতন পাঠক, সেটুকু, নিজের অজান্তেই চিনে নিবে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পড়শী। পড়শী, প্রতিবেশি শুনলেই মনের মধ্যে আপন লোক, চেনা লোক, নিকট জন বলে একটা অনুভূতি হয়। দূরের লোক ভুল ধরিয়ে দিতে আসে না, কাছের লোকই এই দায়িত্ব পালন করে। সুতরাং আজ থেকে আপনি আমার আপন জন হয়ে গেলেন, ঠিক আছে?
আপনার মূল্যবান মতামত অবশ্যই আমার চিন্তাজগতের নিউক্লিয়াসে চঞ্চলতার সৃষ্টি করল।
ভাল থাকবেন। আর অবশ্যই সতত স্বপ্নের সাথে থাকবেন।
৪০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯
পড়শী বলেছেন: আর একটা কথা, গল্পের নামকরণ টা ঠিক পছন্দ হয়নি। নমটি অনেকটা 'বুড়ি বয়সে ভীমরতি' টাইপের হয়েছে। গল্পের স্ট্যান্ডার্ডের সাথে মানায় নি। কিছু মনে করবেন না, পাঠকের ক্রিটিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গী থেকে উপরের সবগুলো লেখা। ওভারঅল, গল্পটি আমার অনেক ভাল লেগেছে।
আপনার কাছ থেকে আরো ভাল ভাল লেখা দেখার আশায় রইলাম।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: প্রথমে এই গল্পের কোনো নাম ছাড়াই পোস্ট করেছিলাম। খুঁজে পাচ্ছিলাম না কী নাম দেব। শেষে এই নামটার চেয়ে আর কোনো যুতসই নাম পেলাম না।
বুড়ো বয়সে ভীমরতিই যদি হয় গল্পের মুল বিষয় তাহলে এই নাম দিতে তো আমি কোনো সমস্যা দেখি না।
আমার গল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল আইবুড়ো বয়সের মনস্তত্ব, হতাশা ফুটিয়ে তোলা। সেদিক থেকে দেখলে নামটা বরং অনেক সুন্দর হয়েছে বলেই আমি দাবি করব। যাহোক মায়ের কাছে নিজের মেয়ে তো কখনোই অসুন্দর নয়। কিন্তু মেয়ে সুন্দর কি না সেটা তো অন্যের চোখ দিয়েই দেখা উচিত।
আমার ভাল লাগছে এজন্য যে মেয়ের নাম আপনার পছন্দ না হলেও মেয়েটিকে আপনি সুন্দরী বলেই রায় দিয়েছেন। নাম বদলানো যায় কিন্তু সৌন্দর্য তো আর বদলানো যায় না।
শুভেচ্ছা.......
৪১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২
চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন।
প্রায় কাছাকাছি থীম নিয়ে একটা গল্প লেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু ব্যস্ততা, কিছুটা আলসেমির কারণে তা আর শেষ করা হয়ে উঠেনি।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্বাগতম। আপনার এই প্রথম আগমনে আমার বাড়ি উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। আশা করি আপনার নিয়মিত আগমনে প্রকৃতই আপনি আমার চেনা মুখ হয়ে উঠবেন।
আপনার গল্পটা লিখে ফেলেন। পড়ার আগ্রহ বোধ করছি।
ভাল থাকবেন। আর স্বপ্ন দেখবেন আন্তরিকভাবে।
৪২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: বাপ্পী = বাবা।
বাপ>বাপী>বাপ্পী
ছোট বেলার একবান্ধবী তার বাবা কে বাপী ডাকতো, আমি জানতাম না এটা, প্রথমদিন তাদের বাসায় যেয়ে বিশাল বড় এক প্যাকেট লজ্জা পেয়েছিলাম। আবার মনে করায়ে দিলেন
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: হা-হা-হা-----
সমস্যা নাই। সবাই আপনারে বাবা ডাকতেছে। মজা না? ধরেন সন্তানও ডাকতেছে, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব সর্বোপরি বৌ কিংবা প্রেমিকাও ডাকতেছে। তার মানে কী দাঁড়াল? আপনি মুফতে জাতির পিতা হয়ে গেলেন!
৪৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
মহাকাল333 বলেছেন: অলওয়েজ ড্রিম,আপনার সব লেখায় চমৎকার. +++
১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গল্প টা হরর হবে নাকি