নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ কাল খুব মিস করি দিন গুলো। মনে হয় কেন যে ভাল দিন গুলো এত দ্রুত চলে যায়। এইতো সেদিন সারা এলাকার সবাই মিলে বিকেল হলেই ছুটে যেতাম মাঠে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মকতবে যেতাম। মকতবে আম্মা দুই টাকা দিয়ে দিতেন ভাপা পিঠা কিনে খেতাম। সাথে ডাল পুরি। আমাদের পড়াতেন মাসজিদের ঈমাম সাহেব। উনি আজ অনেক বয়োবৃদ্ধ হয়ে গেছেন। নামাজ পড়াতে অনেক কষ্ট হয়। শীতের দিনে কোনদিন মকতব না গেলে আম্মা ঘুমের মধ্যেই পানি ঢেলে দিতেন। তখন খুব রাগ উঠতো। কিন্তু আজ বুঝি আম্মার এ শাষনের মানে।
মকতব থেকে এলে আম্মা নাস্তা দিতেন। নাস্তা খেয়ে স্কুল। স্কুল ছিল খেলাধুলার আরেক জায়গা। বন্ধুদের সাথে ক্লাসে, ক্লাসের ফাকে, ক্লাসের পরে সারাদিন হই হুল্লোর। স্কুল থেকে এসে আরেক গ্রুপের বন্ধুদের সাথে খেলা। গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্দা, ক্রিকেট, ফুটবল, বউ চি, আরো শত শত খেলা। আমাদের ছোট খালার বাড়ি ছিল বিশাল খেলার মাঠ। আজ ছোট খালাও নেই। ঈদ ছাড়া খালার বাড়ি যাওয়া ও হয়না।
সন্ধ্যা হলে হারিকেনের চিমনি মুছে নিতাম আগেই। কারন কারেন্ট চলে গেলেও পড়া থামানো যাবেনা। আম্মা পাকের ঘর থেকে পড়ার শব্দ শুনছেন। পড়া থামলেই আম্মার ধমক খাওয়ার ভয়। রাত দশ টা বাজার একটু পরেই ঘুম।
আমার শৈশবে টিভি দেখার চল ছিল খুব কম। আলিফ লায়লা ছিল সবচেয়ে প্রিয়। বাড়িতে টিভি ছিলনা বলে পাশের বাড়ি গিয়ে দেখতে হতো।
জীবনের আসল মানে বুঝে উঠার আগেই হয়তো মানুষ বেঁচে নেয়। এগুলোই ছিল বেঁচে থাকার দিন। ছিলনা জীবনের চিন্তা। কি হবে, কি হচ্ছে এসব ভাবার সময় নেই। এটাই ছিল জীবন। আমি যাকে জীবন বলি অনেকে তাকে বলে শৈশব।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
নিবিড় এখন বলেছেন: আসলে অাগের দিন গুলি অনেক মিস করি।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ভাল লাগল, আপনার সাথে অনেক মিল...........