নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৭১-ব্লগ

আমি মুক্তি্যোদ্ধা

আমি মুক্তি্যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তচিন্তা বনাম ধর্মে অবিশ্বাস [একটি স্বল্প-বুদ্ধির ক্ষুদ্রবিশ্লেষণ]

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

মুক্ত চিন্তা কি?আমার কাছে এর অর্থ হচ্ছে মানুষ বা জীবজগত্‍ কে সব কিছুর উর্দ্ধে বিবেচনা করা।হয়তো এই মতের সাথে আপনার অমিল থাকতে পারে।তবে ধর্মের অপবিশ্লেষণ নিয়ে দুটো কথাঃ

ধর্ম কি?ধর্ম হচ্ছে একটা বিশেষ সৃষ্টি।যার মূলমন্ত্র মানবতা।যার মধ্যে নিহিত আছে অনেক নীতি ও অনুশাসন।

ধর্মের উত্‍পত্তিঃঅতীব অতীত তথা আদিম যুগ থেকে পৃথিবীবক্ষে মানুষের বাস।সেসব মানুষের চলাফেরা কিম্বা চালচলন প্রভৃতি কে সুস্থ রুপে পরিচলন করার জন্য পৃথিবীতে ধর্মের আবির্ভাব।যার প্রমাণ স্বরুপ বিভিন্ন ধর্মের গ্রন্থে স্পষ্টাক্ষরে খচিত আছে বিভিন্ন নির্দেশনা।

মূল রচনাঃপৃথিবীতে আদিমযুগ থেকে মানুষ বসবাস করে।কেউ সুশৃঙ্কঁল কেউবা উছৃঙ্কঁল।ঐসব শৃঙ্কঁল উছৃঙ্কঁলকে একতাবদ্ধ করার জন্য পৃথিবীতে ধর্মের উত্‍পত্তি হয়।যদিও বিভিন্ন গোষ্ঠীবদ্ধতা অতীত থেকে বিরাজমান তাই ঐ গোষ্ঠীগত কারণে বিভিন্ন ধর্মের ভিন্ন নাম,ভিন্ন প্রচারক।কিন্তু ভেতর খোঁজলে ঐসব কিছুর একই উত্তর বা একই বর্ণনা মিলবে।ধর্ম এমন এক বিষয় যাতে আলোচিত হয়েছে একজন মানুষের জীবন বা কর্মপদ্ধতি।কোন পরিবেশে ও কিরকম হবে,কোন পরিবেশে কিরুপ আচরণ ধর্মসম্মত তথা পরপোকারী ও পরিবেশের সহিত মানানসই হবে ঐসব বিষয়েই আলোকপাত করা হয়েছে।জন্মের পর একটা শিশু কিরকম সুস্থ থাকে বা তাকে কিরকম সুস্থ রাখা যায় ,মৃত্যুপরবর্তী একটা দেহ কিরুপ সত্‍কার করলে ওটা পরিবেশ বান্ধব হবে ঐ জন্যই মৃত দেহের সত্‍কারে ধর্মীয় অনুশাসন।এছাড়াও আপনি একটু খেয়াল করলে বোঝতে পারবেন ধর্মের আরোও বিশেষ দিক।একদম মদ্যপান থেকে শুরু করে প্রস্রাব করা পর্যন্ত একজন অনুসারীর কিরুপ কর্ম প্রয়োজন ওটা স্ব স্ব ধর্মের প্রধান গ্রন্থগুলোতে আলোচিত আছে।মদ্যপান সর্ব মননের জন্যই নেতিবাচক বিধায় মদ নিষিদ্ধ।আবার কিছু গ্রন্থে বিশেষ ক্ষেত্র বিবেচনায় বলা আছে যে,অনুসারী যদি মদ্যপানের উপযুক্ত হয়,মদ পান করার পর ও সুস্থ থাকে তবে ও মদ্যপান করুক।তেমনি প্রস্রাব পরবর্তী জল ব্যাবহার নিয়েও বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেয়া আছে।শরীরের বিভিন্ন ময়লা,আবর্জনা প্রভৃতি ঐ প্রস্রাব দ্বারাই নিঃসরৃত হয়।অতঃপর আপনি জলদ্বারা পরিচ্ছন্ন হবেন।এখানে নাবিশ্বাস আর সমালোচনার কি আছে?এছাড়াও মনুষ্য জীবনে কোনো প্রাণী যেনো কোনো কুকর্ম না করে ঐসব ব্যাপারেও ধর্মে বিস্তর আলোচনা আছে।বা কুকর্ম করিলেও পরবর্তীতে তা কেমন ফলপ্রসূ হবে ঐ ব্যাপারেও বিষদ আলোচনা করা আছে।তাছাড়াও বলা আছে একজন মানুষ মৃত্যু পরবর্তীতে তার সর্ব অপকর্মের বিচারের মূখোমুখি হবে।অর্থাত্‍ পৃথিবী বা বাংলাদেশের লোক ঐ বিষয়ে বিশ্বাস রেখেই চলে।তাছাড়া আপনি দেখলেন একজন লোক মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছে বা ও যেখানে ছিলো তখন তার তার মৃত্যু অনিবার্য।কিন্তু কেনো মরে নি?হয়তো সবাই বলবে ওটা লাক।অর্থাত্‍ তার ভাগ্য যথেষ্ঠ ভালো।এই ভাগ্যটা কোথা থেকে এলো?ওটা কে সৃষ্টি করলো ঐ বিষয়েও ধর্মে ব্যাপক আলোকপাত করা হয়েছে।তাছাড়া ইদানীংকালে একজন নাস্তিক আমায় বলেছিলেন তোমার ঈশ্বর এতোই কটু যে,তিনি সবাইকে এক করতে পারেন না,সর্বদিকে ভিন্নতা।আমি বলেছিলাম যে,ওটাই তো স্রষ্টার মূলকীর্তি।স্রষ্টা প্রাণী জগত্‍,উদ্ভিদ জগত্‍ সব কিছুতেই ভিন্নতা রেখেছেন।তিনি যদি সব কিছু এক করে দিতেন তবে পৃথিবী সৃষ্টিতে যে রহস্য আছে ওটা কেউ বোঝতো না।তখন উনি সিগারেট খেয়ে অতীব তড়িঘড়ি করে স্থান ত্যাগ করেন।পৃথিবী সৃষ্টির একটা কাহিনী আমি পড়েছিলাম সনাতনধর্মীয় একটা বইয়ে,ওখানে উল্লেখিত ছিলো যে,পৃথিবী প্রথমে সম্পূর্ণ জ্বলাচ্ছাদিত ছিলো,অতঃপর তিলতিল করে তার উত্‍পত্তি।তাছাড়া কোরানের গ্রহ বর্ণণা!এর পেছনেও যথেষ্ঠ যৌক্তিক বর্ণনা আছে।আর বর্তমান নাস্তিকরাও পৃথিবী উত্‍পন্নে একই বর্ণনা দেন।আর বলেন অমূক বইয়ে অমূক নিদর্শন।তখন তাদের প্রশ্ন করি যে কোন বই আগে এসেছে?তখন উনি ব্লা ব্লা বলে পাগলের প্রলাপ বকেন।তারপর উনারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না।কিন্তু প্রথমে আমার বোঝা উচিত্‍ যে,ঐ উপরোক্ত ধর্মীয় যে আলোচনাগুলো ওগুলো কোথা থেকে আনা?ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে।ওটা কোথাথেকে এলো?প্রচারকের হাত ধরে।কে প্রচার করলো?তখন ভিন্ন নাম আসবে।কারণ বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন প্রচারক।আর ঐ প্রচারকরাই বলে গেছেন পৃথিবী সৃষ্টে ঈশ্বরের কৃতিত্ব কি।হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন আল্লাহ,প্রভূ শ্রী চৈতন্য বলেছেন পরমেশ্বর ভগবান ,যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন ঈশ্বর,আর গৌতম বলেছেন বৌদ্ধ।তারপর তারা বিস্তর বিশ্লেষণ মারফত বলেছেন উনি কে?কেনো এই ইহজগত্‍ পরজগত্‍ সৃষ্টি হয়েছে?এর সর্বোপরী বর্ণনাও গ্রন্থে দেয়া আছে।তাছাড়া এর কিছুটা প্রমাণও আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেয়ে থাকি যা আমাদের বাধ্য করে ঈশ্বর,আল্লাহ,বা সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে।পরিশেষে বলি,ধর্ম একটা বিশেষ নীতি ও অনুশাসন।মানবতার প্রাচীর দিয়ে তৈরী একটা গৃহ।ওটার মাধ্যমেই পৃথিবীতে মানুষ পালিত হচ্ছে।আর ঐ ধার্মিকের মধ্যেই আছেন ব্যাপক বুদ্ধিমান,বিচক্ষণ ব্যাক্তিবর্গ।তখন আপনি এসে বললেন আমি নাস্তিক,আমি ওসবে অবিশ্বাসী,বা পৃথিবীতে ধর্ম বলে কিছু নেই,আপনার ও কথা কেউ গ্রহণ করবে না।বা এটা বিশ্বাসের কথাও না।ধর্ম অবশ্যই পালনীয়।আপনি ধর্মের বিভিন্ন কট্টর নির্দেশনার সমালোচনা করতে পারেন তাই বলে পুরো ধর্মই আপনার সমালোচনার বস্তু নয়।আপনি নাস্তিকতার মাধ্যমে যোগ্য ব্যাক্তিস্বত্তার পরিচয় বহন করবেন না।ওটা একটা মানসিক অসুস্থতা।আর বর্তমান সময়ে ধর্মকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপসংস্কৃত কর্মকাণ্ড,উগ্রবাদ ঐ নাস্তিকতার জন্মদাতা হলেও নাস্তিকদের বলবো আপনি অপরাধের মধ্যে ধর্ম খোঁজবেন না,ধর্ম খোঁজবেন না অপকর্মে,ধর্মের পরিচয় বহন করে ধার্মিক,এবং ওটা তার আচরণে।আপনি যদি ধর্মের সমালোচক হতে চান,তবে আগে জানতে হবে গীতা কি?আল-কোরআন কেমন?ত্রিপিঠক কি?বাইবেল কেমন?আপনাকে অবশ্যই ঐসব বিষয়ে ব্যাপক অধ্যয়ন করেন তবেই ধর্ম যে কতো মহান ওটার প্রমাণ আপনার নষ্ট মস্তিস্কে সুস্থতা আনবে।আর ওসব না বোঝেই যদি আপনি লুইচ্চা,জানোয়ার প্রভৃতি বলেন,আর বলেন,ধর্ম নিয়ে হাসাহাসি অপছন্দ?তাহলে এমন হাস্যকর কিছুতে বিশ্বাস না করলেই তো হয় !ওটা আপনার অসুস্থতার প্রতীক ।পৃথিবীতে ধর্ম বলে একটা কিছু আছে বিধায় পৃথিবীতে এতো মন্দির মসজিদ গীর্জা আর প্যাগোডা স্থাপিত এবং এতে লক্ষ লোকের সমাগম ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.