নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিন রবিন

আমিন রবিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হিতে বিপরীত হতে পারে

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪


ধর্ষণের শাস্তি আমিও চাই সর্বোচ্চটাই হোক। কিন্তু এখানে একটা টেকনিক্যাল ঝামেলা আছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর যত সংখ্যক ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনের মামলা হয়, তার অন্তত ৮০ ভাগই (বা কম-বেশি) হয় সাজানো, হয়রানিমূলক। যেহেতু এই মামলার আসামীর জামিন হয়না, তাই অনেক সময়েই প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করতে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে যৌন হয়রানির মামলা দেয়া হয়। জমি-জায়গার বিরোধ, ক্ষমতার দন্দ্ব, প্রেমে ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণেও এদেশে যৌন হয়রানির মামলা দেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত চিত্র হলো, আসলেই যারা নির্যাতিত হচ্ছেন, তারা লোকলজ্জা, সামাজিক লাঞ্ছনা, বিয়ে না হওয়া - এসবের ভয়ে নিজের বা পরিবারে মধ্যেই পুরো ঘটনাকে চেপে রাখেন; আদালত পর্যন্ত যাননা।
এখন যদি ধর্ষনের শাস্তি যদি মৃত্যুদন্ড নির্ধারিত হয়ই, ধর্ষকেরা আদৌ কতটুকু সাবধান হবে জানিনা; তবে ধর্ষিতাদের তাতে আদালতে যাওয়া বাড়বেও না কমবেও না - যতদিন না সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে। মাঝখান দিয়ে লাভবান হবে শুধু ধান্দাবাজেরা। শত্রুকে ধনে প্রাণে মারতে খুব শক্তিশালী একটা হাতিয়ার হয়ে উঠবে ধর্ষণ মামলা। আর ব্যবসাও হবে বিস্তর। এখন যেমন ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে ফায়দা হাসিল করার কথা প্রায়ই গণমাধ্যমে উঠে আসতে দেখি, তখন ধর্ষণ মামলার হুমকি দিয়েও বিস্তর চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং চলবে। আর সবচেয়ে বড় কথা এখন যেমন অনেকেই মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফেঁসে জেলে পচছেন, তখন তারা ফাঁসিকাঠে ঝুলবেন। ঠিক এমন একটা ঘটনা কোলকাতায় একটা ঘটেছিল ২০০৩/৪ এর দিকে (ধনঞ্জয় কী যেন নামটা)।
কাজেই মৃত্যুদন্ডের বিধান তৈরি হলে আইনের একটা ব্যাকডোর/ লুপহোলও কিন্তু তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আর আইন বলে, একজন নিরপরাধীকে বাঁচাতে, প্রয়োজনে একশ' অপরাধীকে ছেড়ে দিতে হবে। যারা আইন বানান, তারা এই বিষয়টা জানেন। সাথে তারা মিথ্যা মামলার পরিসংখ্যানটাও জানেন। কাজেই এটা নিশ্চিত করা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, যাতে শুধুমাত্র প্রকৃত ধর্ষকেরাই ফাঁসিতে ঝোলেন; আইনের মারপ্যাঁচে পড়া কোন নিরীহ ব্যক্তি নন!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নারী নির্যাতন মামলা আর ধর্ষনের মামলা এক নয়। বিষয়টা বোঝা কি খুব কঠিন কিছু।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪৩

আমিন রবিন বলেছেন: ধর্ষনের মামলা নারী নির্যাতন মামলার মধ্যেই পড়ে।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তার চেয়ে ভালো হয়, আজ থেকে সব মানুষ ভালো হয়ে যাক।
কোন আইনেরই দরকার যেন না হয়।
হে মানুষ, তুমি ভালো হয়ে যাও।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কথায় ঊক্তি আছে।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১০

নতুন বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নারী নির্যাতন মামলা আর ধর্ষনের মামলা এক নয়।


তবে বিয়ের প্রলভনে ধর্ষন বিষয়টা পরিস্কার করতে হবে। এবং এটাকে ধর্ষন বলে দাবি করা যাবেনা সেটা পরিস্কার করতে হবে। না হলে অনেকেই হয়রানির স্বীকার হবে।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে আমার প্রতিক্রিয়া আসলে মিশ্র। কখনও মনে হচ্ছে ভালো হয়েছে, কিছু তো পেলাম। আবার কখনও আপনার মত সন্দিহান হচ্ছি এই ভেবে যে আমাদের দেশে অপরাধের পর পুলিশ, তদন্ত, আদালত এই ধাপগুলি অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত। তাছাড়া ১% ঘটনাও আদালত পর্যন্ত গড়ায় কি না সন্দেহ। আবার প্রচুর পরিমান মিথ্যা মামলা হয় জমি বা অন্যান্য বিরোধের জন্য। তবে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা অপরাধীদের একটা বার্তা দেবে যে সরকার এই ব্যাপারে আগের চেয়ে সিরিয়াস।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

আমিন রবিন বলেছেন: আশায় থাকলাম। দেখা যাক।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৪

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: বিচার হওয়া জরুরি । দেখা যাক সামনে কি হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.