নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল যুগের লেখক

অমিতানন্দ

আমি লেখছি

অমিতানন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

TOP 7 WONDERFUL FEELINGS

০৯ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

অনন্তকাল (আমাদের উচ্চারণে অনন্ত, আর জলন্ত জলিলের উচ্চারণে ‘ওনন্তো’) ধরে, সৃষ্টির পর থেকেই জীবিত প্রাণীর গ্রহ নামে পরিচিত, বহু বছর ধরে চলে আসা সময় হিসেব করে (সময়টাও কোটি বছর হিসেবে গুনতে হবে) পৃথিবীতে অনেক মানুষের আসা যাওয়া (আসছে তো মরার জন্যেই, নাকি ?) হয়েছে। মানুষের আগমন তো ১০০০০ বছর আগে হয়েছিল। তখন আমি ছিলাম কিনা মনে নাই। আর যদি তখন আমি আদিমানব হয়েও থাকি, আমার কোন স্মৃতি অবশিষ্ট নাই যে তোমাদের গল্প শুনাব। মানব সভ্যতার উন্নয়ন হল এইতো। আর আমি তো আসছিই বিংশ শতাব্দীর শেষে। তাই বাকিদের অনুভূতি কি না বলতে পারলেও আমি কিন্তু আমার বেশ কিছু অন্যরকম অনুভূতির কথা বলতে পারি। লিস্ত করলে ব্যাপারটা কেমন হয় ? আচ্ছা দেখি তো লিস্ট করে.........।



১. চুলে হাত বোলানোঃ ছোটবেলায় খুবই আফসোস করতাম কারন আমার মামারবাড়ি আমাদের বাসার খুব কাছে ছিল। ছুটিতে সবাই সপ্তাহ, মাস লাগিয়ে বেড়াতে জেতো মামারবাড়ি। আর আমি জেতাম কয়েক ঘণ্টার ছোট ভ্রমনে। মামার বাসা থেকে ফেরত আসার সময় মুখ ভার করতে বলতাম আমি আর বাসায় যাব না। তখন মাসি আসতো। আমার মাথার চুলে বিলি কেটে দিতো। সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়তাম। ঘুম থেকে উঠে দেখতাম আমি আমার বিছানার উপর হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আছি। তাই চুলে হাত বোলানোর অনুভূতিটাই ‘অন্যরকম অনুভূতি’ লিস্টে এক নাম্বারে থাকবে।



২. বুদবুদ ফোটানোঃ ছোটবেলায় বাসায় ছিল বিটিভি। সপ্তাহের শেষে একটা অনুস্থান দেখতাম। খুবই আকর্ষণীয় ছিল অনুষ্ঠানগুলো। আর সারাদিনের এন্টারটেইনমেন্টের জন্য আমার ছিল ভিডিও গেমস। সেই ভিডিও গেমসের প্যাকেটগুলো ছিল মনোমুগ্ধকর। একটা বুদবুদে ভরা প্লাস্টিকের প্যাকেটে গেমস থাকতো। ইংলিশে বলে ‘BUBBLE WRAP’। গেমস খেলার চেয়ে তাই সেই BUBBLE ফোঁটাতে বেশি ভাল লাগতো। তাই BUBBLE ফোটানো আমার লিস্টে ২ নাম্বারে থাকবে।



৩. বালিশের ঠাণ্ডা সাইডে মাথা দিয়ে ঘুমানোঃ রাতের বেলায় প্রায়ই ঘুম আসে না। এটা আমাদের জেনারেশনের পোলাপানের একটা বিশাল সমস্যা। এমন এক রাতে আমি ফোন হাতে নিয়া ফেসবুক চালাতে চালাতে বিরক্ত। ঘুমও আসছিলো না। তখন বালিশটা ঘুরিয়ে উল্টা পাশের ঠাণ্ডা অংশে ঘুমালাম। এরপর বাকিটা ইতিহাস। একরাত ঘুমেই কাবার। তাই বালিশের ঠাণ্ডা সাইডে মাথা দিয়ে ঘুমানো ৩ নাম্বারে থাকবে।



৪. বৃষ্টির ছাঁটের সাথে হালকা বাতাসঃ আকাশ থেকে হালকা বৃষ্টি পরবে। সাথে থাকবে দখিণা বাতাস। যখন হালকা বৃষ্টির ছাঁট পরে শরীরে, আর বাতাস বয়ে যায় গায়ের উপর দিয়ে, তখন তো ‘অসাম সালা’ লাগে। অজানা কারনে শিহরণ দেখা দেয়। শরীরে কাঁটা দেয় সজারুর মতন। বৃষ্টি হল রোম্যান্টিক কাপলদের জন্য। আর তার সাথে যদি বোনাস হিসেবে গার্লফ্রেন্ড থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। বাকিটা গার্লফ্রেন্ড ওয়ালাদের চিন্তাশক্তির উপর ছেড়ে দিলাম !!!



৫. খালি পায়ে ঘাসে হাঁটাঃ আমি শহরের ছেলে। ঘাস পাড়ানোর সুযোগ পাইনি খুব একটা। মনে আছে, একদিন ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম সকালে। মাথে গিয়েই মোজা আর বুট খুলে খালি পায়ে হেঁটেছিলাম। সে এক অসাধারণ মুহূর্ত। মাথার উপর সূর্যের তপ্ত রশ্মি আর পায়ের নিচে ঠাণ্ডা ঘাস আর শিশির। অসম্ভব ভাল লাগার একটা অনুভূতি। কেউ এখনো সেই ফিলিংস না পেলে অবশ্যই ফিল করে নিবেন।



৬। মাত্রই আয়রন করা গরম গরম জামা পরাঃ ছোটবেলায় সকালে উঠে স্কুলে/কলেজে জেতে হয় সবাইকে। মাঝে মাঝে মা সকালে রেডি হওয়ার সময় শার্ট আয়রন করে দিতো। সেই আয়রন করা গরম শার্ট পরার ফিলিংসটাই চরম ছিল। আর শীতের দিন হলে তো কথাই নেই.........। ;)



৭. প্রচণ্ড বাতাসে চুল উড়তে থাকাঃ ছবিতে দেখায় নায়কের চুল উড়ে বাতাসে। আর নায়িকার চুলের ঝাঁপটায় নায়কের চোখে মুখে খোঁচা লাগে। বরই রোম্যান্টিক দৃশ্য। আমার চুলগুলো ছোট ছোট, একদম মাথার সাথে লেপটে থাকে। তাই সচরাচর চুল উড়ার এমন ফিলিংস আমার হয় না। তাই এখন মোটামুটি বাতাসে উড়ানোর মতো চুল মাথায় জমিয়ে রেখে দেই। যেন বারবার পিনিক (ফিলিংস) নিতে পারি। ভার্সিটির বাস যখন ৭০-৮০ কিঃমিঃ স্পীডে চলে তখন ব্যাপারটা আর বেশি ভাল লাগে।



লিস্টটা ৭ নাম্বারে শেষ করতে চাই। কারন লাকি সেভেন বলেও একটা কথা আছে !!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.