নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হীয়া

আবদুল মুকিত

আবদুল মুকিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আসুন! শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই"

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩



ঋতু বদলের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী
চলে এসেছে শীত,এসেছে তার হিম
শীতল পরশে আমাদের আলিঙ্গন করতে-
আসুন! হাসিমুখে বরণ করে নেই শীতের এই হিমায়িত আলিঙ্গন !
আসলেই কি সকলের পক্ষে এই ঋতুটি হাসিমুখে বরণ করা সম্ভব?
উন্নয়নশীল দেশের প্রতিটি
মানুষ কি পারছে গরম কাপড়ের আতিশয্যে শীতের প্রকোপ থেকে নিজেকে উষ্ণ রাখতে?
প্রতিটি শিশু কি পারছে নিদারুণ
আনন্দে শীতের এই আমেজ উপভোগ
করতে?
ব্যস্ততম দিনের মাঝে একটু সময় নিয়ে
ভাবুন সেইসব অসহায়, শীতার্ত মানুষগুলির মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি!
কেমন আছে তারা?
কিভাবে পার করছে শীতের রাতগুলি?
কেউবা চটের ব্যাগে আপাদমস্তক মুড়িয়ে, কেউবা সেটিও
পারছে না-বেঁচে থাকার তীব্র
লড়াইয়ে কোনভাবে কেটে যাচ্ছে!
যে মানুষগুলো একবেলা আহার অন্বেষণের জন্য দিকবিদিক ছুটে বেড়ায়, সে
মানুষগুলো কিভাবে শীতবস্ত্র ক্রয় করে জীবনযাপন করবে?
এ শীতের বাতাসে এ মানুষগুলোর জীবনে যে দুর্বিষহ সময় অতিক্রম করবে, তা কি
আমাদের বিবেককে জাগ্রত করে না?
আমাদের দয়া কি অনুভব হয় না?
আমাদের মানবতাবোধ কি উদয় হয়না?
যেখানে আমরা প্রতিদিনই নিজ সৌখিনতা পূরণে কত অর্থই না ব্যয় করছি!
বছর বছর নিত্য নতুন ফ্যাশনেবল পোষাকের সম্ভার করছি!

আসুন! আমাদের মানবতাবোধকে জাগ্রত করে, মনুষত্যকে সঠিক কাজে লাগিয়ে কিছু
অর্থ শীতার্ত মানুষের সেবায় ব্যয় করি!
দশজন কে না পারি, অন্তত একজনকে একটা কম্বল দিয়ে হলেও তাদের কষ্ট লাঘবের
অংশীদার হই।
আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কিছু
অসহায় মুখে স্বস্তির হাসি ফোটাই!
তাদের হাসিতেই দেশ হাসবে!
আমাদের একটি সোয়েটার, কোট, চাদর কিংবা কম্বল যদি এতিম শিশু, অসহায়
নারীদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে তাহলেই এ ক্ষুদ্র জীবনের স্বার্থকতা খুজে
পাওয়া যাবে।
আসুন না আমরা আমাদের সামর্থের মধ্যেই তাদের সাহায্য করি, আমাদের
ভালোবাসাই হোক তাদের শীতের
উষ্ণতা ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঢাকায় মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে
আমিও শীতার্ত !!
আমার পাশেও থাকুন।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই শীতে দেশের প্রতিটা স্বচ্ছল নাগরিকের দায়িত্ব দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

শিখণ্ডী বলেছেন: ছোট বেলায় দেখতাম গরিব মানুষেরা আখ গাছের ফুল দিয়ে লেপ বানিয়ে, মাটিতে খর বিছিয়ে শীত পার করত। এখন কাপড়ের দাম কম, সহজেই কিনতে পারে। এদিকে প্রতি বছর গরম কাপড় পায় সরকার বা সচেতন মানুষদের কাছ থেকে। প্রত্যক বৎসর যত দেয়া হয়, ওসব হিসেব করলে তো কারও গরম কাপড়হীন থাকার কথা নয়। এরা মাগনা পায় বলে সেসবের মূল্যায়ন করে না। শীত শেষ হলে মুরগির ঘরের ওপর সারা বছর পড়ে থাকে, ধানের স্তুপ কম্বলে ঢেকে রাখে যেন হাঁস-মুরগি না খেতে পারে। যত দেন না কেন অভাব থাকবেই। কিছু মানুষ অবশ্য সত্যি সত্যিই শীত বস্ত্রহীন অবস্থায় রাত পার করে যারা কখনও সাহায্য পায়নি। মনে হয় প্রতি পরিবার হিসেবে কটি শীত-বস্ত্র দেয়া হল, তার একটি হিসেব রাখা দরকার এবং পরের বছর ওসব পরিবারে না দিয়ে যারা পায়নি তাদের শীত বস্ত্র দিলে দানের মূল্যায়ন করতে শিখবে সবাই। আমার বাড়ি উত্তর বঙ্গে, নিজ চোখে দেখছি তো......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.