![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আনন্দধারা। লিখতে ভালবাসি। ভালবাসি অনলাইনে ঘুরে বেড়াতে।
আম্মা আব্বু দুজনেই চাকুরীজীবী ছিলেন একই অফিসে কাজ করতেন। মাঝে মাঝে আম্মাকে টুরে যেতে হত। তাই অফিস থেকে একটা মোটর সাইকেল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আম্মা চালাতে জানত না। তাই আব্বু নিয়ে যেত যখন যেখানে যাবার দরকার ছিল।
আম্মা খুব বিরক্ত ছিল আব্বুর সাথে যেতে। কারন আব্বু এতটাই স্লো চালাত যে রিক্সাকে পর্যন্ত সাইড দিত, মানে রিক্সা মোটর সাইকেলকে ওভারটেক করে যেত।
এই অবস্থা মাসখানেক চলার পর একদিন আম্মা ঘোষণা করল আর আব্বুর সাথে যাবে না। সে ঠিক করল দাদার (আমার বড় ভাই) সাথে যাবে। দাদা চালাত খুব জোরে, যা আম্মার পছন্দ। তো আব্বু কে বাতিল করে আম্মা দাদাকে ঠিক করল ড্রাইভার হিসাবে।
যথারীতি একদিন দুজনে বের হল, কিন্তু ঘন্টাখানেক পরেই দুজনে কাঁদা দিয়ে মাখামাখি হয়ে বাসায় ফিরল! আমরা তো অবাক হয়েছেটা কি! শুনলাম...
আম্মার পঙ্খিরাজের চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেছিল। তাই রাস্তা ছেড়ে পাশের ধান ক্ষেতের মাঝে চলে গিয়েছিল, অতঃপর মা ছেলে কাঁদার মাঝে ডুবাডুবি করে বাসায় ফিরেছে।
আব্বু বাসায় ফিরে এই কাহিনী শুনে বলেছিলঃ"ফাস্ট লেডি ও তার পঙ্খিরাজ এর এই পরিণতিতে আমি হাসব নাকি শোক প্রকাশ করব বুঝতে পারছি না।"
অতঃপর আম্মা তার পুর্বের ড্রাইভারকেই পুনরায় নিয়োগ দিল, আব্বু তার পার্ট-টাইম জবটাও ফিরে পেল।
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
আনন্দ ধারা বলেছেন: মোটেও অপ্রাসঙ্গিক কথা নয়। ঠিকই বলেছেন, আমার দাদাও সেইরকম বেপরোয়া চালক ছিল। কতবার যে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোন হিসাব নেই।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩১
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: দারুন প্রকাশ। এগিয়ে যান কবি। শুভ কামনা।
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
আনন্দ ধারা বলেছেন: সত্য বলছেন !! মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছে করে, জানি না গুছিয়ে লিখতে পারি কিনা, তবে মনে যা আসে তাই লিখি। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০০
মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: ha ha ha....
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৮
আনন্দ ধারা বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে পড়লে আমিও হাসি
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৩
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: বাইকের মত থিলিং আর আকর্ষনীয় জিনিস অল্পবয়সীদের জন্য কমই আছে। আর তারা এটা চালায়ও বেপরোয়া। আমিও তাই ছিলাম, একবার এক্সিডেন্ট করে কোনমতে প্রানে বেঁচে এরপ্র একেবারে সিধা হয়ে গেছিলাম। কোনকিছুই সেফ না। একবার থেমে থাকা অবস্থাতেই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম একটা বাস আমার গাড়ীর উপর উঠে যাচ্ছে। সেইদিনও হালকা ইনজুরি নিয়ে কোনক্রমে বাচি, জাস্ট তিনবছর আগে। সবসময় জান হাতে নিয়ে ঘুরি। কখন যে কি হয় কে জানে। মরতে চাইলে মরা কঠিন, বাঁচতে চাইলে ভরসা নাই। এইটাই জীবন।

অপ্রাসঙ্গিক কথাও বলে ফেললাম। পোস্ট পড়োতে ভালো লাগছিলো। শুভকামনা রইলো।